শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ

ধুয়ে মুছে তৈরি হয়েছে তলোয়ার
সেজেগুজে গুঁজে গেছে কোমরে —
চারপায়ে তখন খুরের ধ্বনি,
মোবাইল বেজে উঠেছে
দিক আর নির্দেশ নিয়ে;
কীবোর্ডে অগুনতি ফলোয়ার
চাপাতি-কোপ দেবার জন্যে
নিয়ে নিচ্ছে দম

কেবল বইমেলার ধুলো পেয়েছিল টের
সেকেন্ড আগে ঢের
ওদের পা জড়িয়ে ছিল
ইনিয়ে বিনিয়ে
চেয়েছিল
আরেকটু দেরি হোক
কুশলাদি আর অটোগ্রাফ চেয়ে
আরো আসুক লোক
আরেকটু আটকে থাক
অভিজিৎ আর বন্যা

অথচ ধুলোর চেয়ে বেশি কে জানে
তা তো হবার না

এমন কি বইগুলো সব
পাতায় পাতায় অস্থির খসখস
বারংবার, বারংবার —
ও পথে যেওনা, খবরদার
শোনে কে কার কথা
খুরেদের কাছে পৌঁছেও গেছে
মেলা থেকে রিকশায় ওঠার বারতা
এক নিঃশ্বাসে তলোয়ারের ধার গেছে বেড়ে
হা রে রে রে রে রে রবে
রবের নাম নিয়ে ছুটেছে তেড়ে

অভি, আলো দিতে চেয়েছিলে
এসব আঁধার-পূজারিদের
চেয়েছিলে ভাইরাস একদিন পরাজিত হোক
তোমার বন্যা তখন রক্তমাখা মূহ্যমান
তুমিও বন্যায় ভাসতে ভাসতে
তখনো ভেবে চলেছিলে
‘আমি তোমাদেরই লোক’?

১,৫৫৬ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ”

  1. মুজিব (১৯৮৬-৯২)
    তখনো ভেবে চলেছিলে
    ‘আমি তোমাদেরই লোক’?


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    খুব ব্যাক্তিগত এক কারনে, আগে কখনোই একবারে এই কবিতাটা পুরোটা পড়তে পারি নাই।
    তাই কমেন্ট করাও হয়ে ওঠে নাই।
    যতবার এটেম্পট নিয়েছি, কিছুদুর পড়ার পড়েই চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
    আজ একবারে পুরোটা পড়লাম তাই কমেন্ট করলাম।

    আজ মনে হচ্ছে, টাইম ইজ রিয়েলি এ হীলার.....


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মুজিব (১৯৮৬-৯২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।