আবোলতাবোল বাজনা-২

রাগ ভৈরব শুনলেই শান্ত ভোরবেলার কথা মনে হয়। মনে হয়, আঁধার ফুর‍্যিয়ে গিয়ে একটু একটু করে ফর্সা হয়ে আসছে চারদিক; আরেকটি নতুন দিনের শুরু হতে চলেছে। পুবদিকে উঠে আসছেন সূর্য – কোমল আলো নিয়ে যাত্রা শুরু করে কেমন করে একটু পরেই গনগনে তেজী হয়ে উঠবেন কে জানে

এই রাগটির সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি একদম চিরকালীন হয়ে গেছে। আমাদের কন্যাটি তখন সবে হয়েছে — দিল্লীতে তখন নভেম্বরের হাড়কাঁপানো শীত। ঘুম থেকে উঠে একেকসময় অবিশ্বাসে তাকিয়ে থাকি কম্বলে মোড়া নিদ্রিত মুখটার দিকে — আমি তবে এর বাবা! অবশ্যম্ভাবীভাবেই আমার হাতে দিনের পর দিন তার পর উঠে এসেছে বাদনযন্ত্র আর বেজে উঠেছে কেবলমাত্র এই রাগ। হোস্টেলের ওইটুকু ঘরে যেন নেমে আসছেন সূর্য — যেন আমিই নামিয়ে আনছি ভোর, অক্ষম হাতে – আঃ

৮১৩ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “আবোলতাবোল বাজনা-২”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ভোরে আবার শুনবো। আপাতত চলুক একবার। রাগের বিশ্লেষণগুলো ভাল বুঝি না। কিন্তু সকালের সঙ্গীত হলেও কেমন জানি মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে! 😕 সকালে শুনলে কি সেই শান্তিটুকু পাওয়া যাবে? দেখা যাক! চমৎকার বাজিয়েছেন। এই সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম! 🙂


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    বিরাট কোন সঙ্গিত বোদ্ধা নই। ক্লাসিকাল মিউজিকের তো আরও কম।
    সাধারনতঃ শুধু কানের ভাল লাগার উপর নির্ভর করে সঙ্গিতের ভাল মন্দ বিচার করি, জ্ঞান-গম্যির ভূমিকা সেখানে যৎসামান্যই।

    এইটুকু বলতে পারি,
    শুধু কান না, মনটাও জুড়িয়ে গেল.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    গত সপ্তাহে টানা চার দিন শেষ রাতে ঘুম ভেঙে আর আসে নি। টানা চারটা কমলা সূর্যোদয় দেখে মন সারাদিন নরম হয়ে ছিল। এই সুরটা এই ভর দুপুরে সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দিল!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।