প্রলাপ-১২

আজকাল আর মন ভালো করার কবিতা হয় না।
আজকাল ফুল,প্রজাপতি বা নীলাকাশ
থইথই নদী কি পাহাড়ি অবকাশ –
সব ফেসবুকে চলে গেছে।

বেছে বেছে
কবিতার বই ওল্টাতে হবেনা আর
সমুদ্র কি হ্রদের ওপার
হবেনা দিতে পাড়ি।
তারচে’ ওখানেই চলো,
হ্যাপি হ্যাপি স্টেটাসে
সেলফি তোলো

আজকাল ফেসবুক আমাদের বাড়ি

উৎসর্গ:প্রবরদা।সুহৃদ এবং ভ্রাতা
মন ভালো করা একটা কবিতা খুঁজে দিতে বলেছিলে আজ।

২,০৯৫ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “প্রলাপ-১২”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ছেড়ে দিয়েছিলাম ফিরে গিয়েছি। আপনার প্রলাপ পড়ে মনে হচ্ছে আবারে ছেড়ে দিতে হবে।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ফেসবুকে এখন চিড়িয়াখানার মত ঘুরে বেড়াই, মানুষের এক্টিভিটি দেখি আর হাতি/ঘোড়ার পিঠে চড়ার মত নিজেও একটিভ হয়ে যাই।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বাড়ি না হলেও ফেসবুকে আমার ছোট্ট একটি ঘর আছে। ছোট বলে এখন পর্যন্ত নিজের পছন্দ মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পেরেছি... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      আমি উদারপন্থী ফেসবুক নীতি মাইনা চলতে গিয়া আমার প্রোফাইল পুরাই ঈদের মৌসুমে সদরঘাট টার্মিনাল। মাঝে মাঝে কিছু মানুষের নিউজ ফীড দেইখা ভাবি, "ইলা আমার এনো কিতা করে?" 😕


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        তৃতীয় বার বিরক্ত করলেই, "পত্রপাঠ ব্লক"।
        এই নীতিতেই চলছি বেশ কিছু দিন এবং এতে ক্যাডেট-অক্যাডেট, সিনিয়ার-জুনিয়ার ভেদাভেদ করি না।
        ব্যাক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করলে সহজ উত্তর: "মনে পড়ছে না তো। ভুল করে হয়ে গিয়ে থাকবে হয়তো। কি জানি। চেক করে দেখবো"
        আর এড করার সময় তো আজকাল প্রোফাইল দেখে আন ফলো অবস্থায়ই এড করি বেশিরভাগ। যে ভ্যালু এড করবে না, তাঁকে এড করাও হলো আবার জ্বালাতন থেকেও মুক্তি পাওয়া গেল।
        এক্কেরে "সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙ্গবে না" সিচুয়েশন 😛


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
      • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

        একবার এক লেখায় পড়ছিলাম সামাজিক সাইটে সর্বোচ্চ ২০০-২৫০ জন ফ্রেন্ড মেইনটেইন করা সম্ভব। এর চেয়ে বেশি হলে বাড়াবাড়ি শুরু হয়ে যায়...২৫০ ক্রস করার পর নেহায়েত ঠেকায় না পড়লে এড করি না। তেমনিভাবে বেছে বেছে অন্যের রিকোয়েস্ট ওকে করি। অবশ্য, এক্স-ক্যাডেট কেউ এড করলে সাধারণত না করি না...এই এক জায়গাতেই মার খেয়ে যাই...

        ফ্রেন্ড লিস্টের ৯০% ক্যাডেট। ফলে মতের অমিল কম হয়। অবশ্য সব বিষয়ে মত মিলবে আশাও করি না। কিন্তু যাদের সাথে 'স্পর্শকাতর বিষয়ে' মত মেলে না, যারা বেশি ছবি আপ্লোড করে, কথায় কথায় স্ট্যাটাস দেয়- তাদেরকে আনফলো করে দিই। এজন্য আমার ফিড মোটামুটি সবসময়ই পরিচ্ছন্ন ত্থাকে... 😀


        ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

        জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

          অভিজ্ঞতার কারণেই এক্সক্যাডেটদের প্রতি সেই আশ্বস্ততা নেই। মানুষ ঠিকঠাক কি না বুঝতে গেলে একটু আধটু কথা, ছাড় দিতেই হয়। তবে পথে বা দাওয়াতে বা ফেসবুকে -- যেখানেই হোক, মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে/ অনুভূতি শেয়ার করে অনেক উপকৃত হয়েছি। অন্তর্জালে ঘোরাঘুরি করতে করতেই তো সিসিবিকে পেলাম, যা কি না আমার কাছে অস্তিত্বের আরেক নাম।

          জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।