আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে করো তোমার
মনে যাহা লয়
পোড়াচোখের
কাজলঘেঁষা জল
কবে’ হয়ে গেছে
মাছব্যাপারীর
আঁশটে নোট,কালা!
পাষাণ বন্ধু রে
প্রহরগুলো তোর
যমুনায়
নেমে গেছে
পায়পায়,
গলায় দড়ি দি’ছে
রঙ্গিলা কলস হায়
এখন শুধু
মাসী গুণে
কনডম দ্যায়,
গোণে ক’জন এলো গেলো।
শ্শা-আ-লা!
প্রথম?!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ইয়েস :awesome: ইয়েস :awesome: ইয়েস :awesome: !!!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এই কথাটা কিভাবে আসলো?! অপূর্ব বলাটা অনেক কম হচ্ছে। না চাইতেও ব্যাপারটার একটা উদ্ভট চিত্রায়ন মাথায় আসলো! 🙁 নূপুরদা! :boss: :boss:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোকাব্বির,
কথাটা যে কিভাবে আসলো জানিনা। এক দু'টানে ছবি আঁকায় যেমন ভাববার আগেই আদল গড়ে উঠে তেমনি।
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: মন্তব্য করার ভাষা নেই :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাষা না থাকলে চলবে? 😀
এ কোন রাধার কথা বলছ নূপুর :-/
সাত সমদ্দুর তের নদী পার হয়েছ :grr:
নইলে মকবুলের মত খবর ছিল :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই,
বুঝেছেন তো কোন্ রাধা বা রাধাদের কথা বলছি।
আপনি যে লাইনগুলো পিক করেছেন তা লিখেছি Whores' glory ছবিটা দেখার অভিজ্ঞতা থেকে। কোনকালে কোন যৌনপল্লীতে যাবার সুযোগ ঘটেনি, দুনিয়ার অনেক কিছুই চোখের আড়ালে রয়ে গেলো।
:shy:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
যেহেতু বুঝলাম না তাই বোকার মতো প্রশ্ন করিঃ
এটা আঁতলামী না ফাজলামি?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তার জন্যে,
শাহীনের জন্যেও --
চেষ্টা করছি যতদূর সম্ভব ব্যাখ্যা করতে।
এটা যৌনপল্লীর গল্প -- অর্থের বিনিময়ে শরীর বিকিয়ে দেবার গল্প। সেখানেও প্রেম আসে -- কখনো কখনো 'মুক্তি'র প্রহর গুণতে প্ররোচনা দেয়। যে 'কালা'র কথা বলা হচ্ছে সে হতে পারে পুরনো প্রেমিক যে ওকে বেচে দিয়েছিলো এ পল্লীতে বা কোন খদ্দের যার জন্য সে অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতেই অন্যের শয্যাসঙ্গী হয়। এবং সেই তুলনা করতে গিয়ে রাধা যমুনা কলস এ অনুষঙ্গগুলো টেনে এনেছি।
আর প্রহর গোণার বদলে কনডম বা শয্যাসঙ্গী গোণাগুণতির সঙ্গে তো তার ওখানে টিকে থাকা জরুরী - যেটা তার পৃষ্ঠপোষক নিশ্চিত করে। এবং এমনি একটা ব্যাপার দেখেছিলাম Whores' glory ছবিটায়, যেখানে মেয়েগুলোকে মাসী বা 'মা'র কাছে গিয়ে হাত পাততে হয় একটা একটা করে প্রতি খদ্দের হিসেবে- হিসেব রাখার হিসেবটা পাকা, কি বলো!
শান্তা,
আঁতলামি হলো ত বটেই, যে জীবন দেখিনি - যে দুঃখ পাইনি তাকে বলতে চেয়ে। কিন্তু এঁদের নিয়ে ফাজলামি করার মন কোনদিনই হবেনা এ আত্মবিশ্বাস আমার আছে।
আর প্রথমে ইটালিক-এ একটি জনপ্রিয় গান উদ্ধৃত করা হয়েছে।
বারী সিদ্দিকী ছাড়াও আরো কয়েকজন গেয়েছেন।
গীতিকার সম্ভবত উকিল মুন্সী।
একবার চিত্রালীতে এরকম একটা ছবির গল্প পড়েছিলাম :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কান ধরছি আর আপনাকে কবিতার মানে জিজ্ঞেস করবো না। অবশ্য জিজ্ঞেস করলে আখেরে লাভই হয় - অনেক কিছু শেখা যায়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
কেন জিজ্ঞেস করবা না? 🙁
না বুঝলে প্রশ্ন তোলা যাবে না?
আর দেখো কবিতা কতটা হয় কে জানে,
ভাবনাকে এক দু'টানে একেকটা ছবি বানাবার চেষ্টা করি -- নিজের সম্পৃক্ততার কারণেই সেটাকে সহজবোধ্য মনে হতে থাকে শুরু থেকেই; পাঠকের তা না হবার সম্ভাবনাই বেশি। সেই খেই ধরিয়ে দেয়া, আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া লেখকের জন্যে বিরাট ব্যাপার।
এ লেখার ক্ষেত্রে তোমার কমেন্টটার পেছনের ভাবনাটা যদি শেয়ার করতে বরং, তাহলে আরো খোলাসা হতো ব্যাপারটা। কখনো কখনো লেখার মধ্যে যে-কথা বলা হচ্ছে তার প্যারালালে অনেক কিছু ছড়ানো-ছিটানো থাকতে পারে আশেপাশে -- চলচ্চিত্র বা আলোকচিত্রের কম্পোজিশনের মতোই। অন্তত আমার কাছে 'অন্যভাবে/অন্যচোখে' দেখার একটা উপায়। যেমন ধর, শুরুর লোকগীতিটায় বলছে -- 'গায়ে যত দুঃখ সয়', আসলে কষ্টটা তো হৃদয়েরই। কিন্তু এ লেখায় প্লেস করার ফলে শরীরি ভাবনা ডমিনেট করতে পারে -- একটা দ্ব্যর্থবোধ তৈরী হবার সম্ভাবনা থেকে যায় -- এবং এটা ডেলিবারেট আমার তরফ থেকে। শরীর বিক্রি যার জীবিকা তার কাছে প্রত্যেক সঙ্গীই 'কালা' ওপরে ওপরে -- কিন্তু সেও তার গোপন অভিমান/জ্বালা পুষে রাখে একজন নির্দিষ্ট কারো জন্যে।
অনেক বকবক করে ফেললাম।
আমার ভাবনাটা আর এখন প্রকাশ করতে ইচ্ছে করছে না। তার থেকে বরং স্টাইনব্যাকের কিছু প্রাসংগিক ভাবনা শেয়ার করব - বইটা হাতের কাছে পেলে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:boss: :boss:
বহুদিন পরে রাধাকথন ! :tuski: :tuski:
চার পাঁচ বার পরলাম। নিজের মতো করে কল্পনায় একটা দৃশ্যকল্প তৈরী করে নিলাম ! :hatsoff: (সম্পাদিত)
Whores' Glory ছবিটা নিয়ে কি তুমি লিখেছিলে? মনে পড়ছেনা আমার।
না, এখনো লিখিনি। গ্লোবালায়জেশন ট্রিলজি। এই ট্রিলজি এর আরো দুটো মুভি আছে... পরের দুটো মুভি সম্ভবত মেগাসিটি আর ওয়ার্কিং ক্লাস পিপল নিয়ে। দেখে নিয়েন সময় পেলে।
তাহলে অন্য কেউ লিখেছে সিসিবিতেই, মনে করতে পারছিনা খুঁজেও পাচ্ছিনা। লেখাটা পড়েই ছবিটা দেখতে উৎসাহী হলাম। দেখা শেষ করে আমি আর আমার বউ বেশ কিছুক্ষণ থম মেরে বসেছিলাম।
যাক, আমার এই লেখাটি কিছু বুঝতে পেরেছো গোড়াতেই? প্রায় সবার কাছেই দুর্বোধ্য ঠেকেছে মনে হচ্ছে - যদিও আমি নিশ্চিত ছিলাম খুবই সহজবোধ্য লেখা হয়েছে। 🙁
শেষ অংশটুকু পড়ে ফেলার পরে পুরোটা আবার চোখ বুলিয়ে আসলে খুবি সহজ। এমনকি আক্ষরিক অর্থ না মিললেও মূল বক্তব্য আমার কাছে সোজা লেগেছে। তবে অসাধারণ লেগেছে উপরের মন্তব্যে যেটা উদ্ধৃতি দিয়েছি। সম্পূর্ণ সঠিক ধরতে পারি নাই কিন্তু ওদের পেশায় "পোড়াচোখের কাজল ঘেঁষা জল" টা খুবই আইকনিক। মিস হবার কোন কারণ নেই! দাগ কেটেছে। :boss:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
অনেক ধন্যবাদ তোমার সদয় মন্তব্যের জন্যে মোকাব্বির।
:gulli2:
:hatsoff:
নূপুর দার কবিতা!!! বরাবরের মতই :just:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ধন্যবাদ সামিউল।
মনে হচ্ছে বেশ দুর্বোধ্য হয়ে গেছে এটা।
একটু ব্যাখ্যা করেছি ওপরে।
ভাই আমিতো অর্থপ্রকাশ করার আগেই অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছিলাম। 😀 😀
এখন মিলিয়ে নিলাম, নিজের কল্পনা।
যাক, কবিতা তাইলে কিছু কিছু বুঝি আমি। :awesome:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
আমিও কিছু বুঝি নাই।
কবিতাটার অর্থ প্রকাশের আবেদন।
The Bond Cadet
ওপরে কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি শাহীন। তারপরো কিছু না-বোঝা রয়ে গেলে জানিয়ো।
মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
কবিতার অর্থ প্রকাশের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করছি। বড়জোড় আকারে ঈঙ্গিতে কিছু হিন্টস দেয়া যেতে পারে , কিন্তু কবি ঠিক কী ভেবে লিখেছেন সেটা না প্রকাশের ব্যাপারে পক্ষপাত আমার। পাঠক তার নিজের মত করে পড়ে, ভেবে, অর্থ বুঝে নেবেন। আমি মনে করি, রহস্যই কবিতার অন্যতম, কিংবা প্রধাণ সৌন্দর্য্য, অর্থ বলে দিলে যেটা অনেকাংশেই চলে যায়।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সম্পূর্ণ সহমত জিহাদ।
তবে অনেকসময় একেবারে ধাঁধার মতন ঠেকলে কি আর করা যেতে পারে বলো? সৌন্দর্য চলে না গিয়ে কখনো কখনো নতুনভাবে ধরাও দিতে পারে; একটু ব্যাখ্যা, আলোচনা করে নিলে কখনো কখনো কুয়াশার আবরণ সরে যায়, সোনালী রোদ উঁকি দ্যায়, কখনো বা শব্দের ইশারাগুলো হটে গেলে খটখটে কঙ্কাল পড়ে থাকে -- সে-অভিজ্ঞতা হতাশার।
আমি জিহাদের সাথে একমত।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:-B
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
??? ;))
নূপুরদা,
সশস্ত্র সালাম... ::salute::
আমার একটি পয়েন্ট আছেঃ কবিতাটা পড়ার সময় 'পদ্মা নদীর মাঝি' টাইপ একটি দৃশ্য মাথায় আসছিল। অর্থাৎ সেই পটভূমি, সময়, জেলে পাড়া...কিন্তু 'মাসী গুণে/ কনডম দ্যায়' পড়ে ঝপ করে ৬০/৭০ বছর এগিয়ে আসতে হল। 'মাসী গুণে/ টাকা দ্যায়' থাকলে সেই সমস্যাটা থাকত না, তবে এটা ঠিক এতে রাধার আক্ষেপ/গ্লানি/ঘৃণার তীব্রতা কমে যেত...
যাই হোক, 'রাধাকথন' এর ডাবল ডিজিট এর অপেক্ষায় থাকলাম... ;;)
(অবশ্যই ব্যক্তিগত মতামত... 😀 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তোমার পাঠপ্রতিক্রিয়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ জুনায়েদ।
তোমার পাঠের শুরুতে জেলেপাড়ার দৃশ্য আসার ব্যাপারটা অভিনব - একটা লেখা লিখে ফেলার পর তার কত যে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দাঁড়িয়ে যায়! লেখকের আর হাত থাকেনা তাতে।
একটা বড় ধাক্কা খেলাম এইখানটায় এসে
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
B-)
আমি কবিতা আঁকতে দেখলাম ,নূপুর!
আমি চোখ মেললুম আকাশে
জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে
🙂 🙂