সকাল আট।
গ্রীলের ওপাশে
নাগাল-বাইরে
নির্ভয়ে গ্যাঁট
হয়ে
চোখেমুখে গোঁফে
নবাবী আমেজ
মিটিমিটি হাসে
বাংলার রাজকীয় ক্যাট
সাড়ে বারো, দুপুর।
জুতোর শব্দে
যেনো বা পাথর
চোখে তার
চাবির গোছার
ঝনঝন
বেজে উঠে
গোঁফে লোমে ঢেউ
বিলাই শেষে
দু’তিন লাফে’
জ্যান্ত
প্রমাণিত
পৌনে চারের কালচে বিকেল
ক্লাসফেরত মেঘেরা
গায়গায় বাড়ি খেলে
ভেজা হাওয়ায়
একটা কাক
গাছ থেকে নেমে এসে
ঝিমন্ত বিলাইটিকে
সাদা-কালো ছোপ থেকে
সাদাটুক মুছে নিতে বলে
চারটা বাজতে পাঁচ
কাকভেজা বৃষ্টি এলো বলে,
সে ভাবে
এই বেলা ভিজে বেড়াল ব’নে গেলে হয়….
সাড়ে চারটা,বৃষ্টি শেষে
ঝড়শোয়ানো-প্রায়উপড়ানো-তবুজীবিত-গাছটির পেশল প্রাচীন গুঁড়িতে আভিজাত্যে লেপটে থাকা প্যাস্টেল-কালো পুরু বাকল দারুচিনিকে মনে পড়ায় মেঘল বিকেলে; কালো গোঁফটুকু দুধ চেটে সাদা করে নিয়ে ওইখানে সেই ঝকঝকে বিলাই শিমুলতুলোর বালিশ হয়ে পেটভর ঘুম খায় শ্বাস টেনে টেনে
:boss: :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂
Valo Laglo vaia
থ্যাংকস জিয়া!
সম্পূর্ণ অন্যরকম এবং অদ্ভুত। জিয়ো ভাইয়া জিয়ো। :thumbup: :thumbup:
অনেক ধন্যবাদ রিদওয়ান!
বিড়াল আমার ভাবনায় বারবার ফিরে আসে। সেই ভাবনার এলোমেলো কিছু টুকরোকে একসাথে তুলে দেয়া।কবিতা কতটা হলো যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।আর এসব টুকে রেখেছিলাম অন্তত ১২ বছর তো হবেই।খুব বেশি পাল্টাতে বা ইমপ্রুভ করতে পারিনি আর। সিসিবিতে একটু আস্কারা তো আমি পেয়েছিই, তার সুযোগ নিলাম। 😀
টুকরো হয়ে থাকলেও সেগুলো এ কবিতায় অসাধারনভাবে জোড়া লেগেছে। একটা অন্যরকম কবিতা। :clap: (সম্পাদিত)
🙂 🙂 🙂
খুব ভালো লেগেছে নূপুর ভাই।
ধন্যবাদ জিয়া!
তবে কি জানো, খুব ভালো লেগেছে দেখে একটু অবাকই হচ্ছি।এই টুকরো টুকরো ছবিগুলো আসলে একটা নির্দিষ্ট বেড়ালেরই।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ লাইব্রেরী বিল্ডিংয়ে এর সদর্প আনাগোনা ছিলো।নানান দিনে ভিন্ন ভিন্ন মুহুর্তে একে যেমন দেখেছিলাম, তেমনই টুকে রাখা।ব্যক্তিগতভাবে এই নোট আমার কাছে আলাদা ব্যঞ্জনা নিয়ে আসে, কিন্তু পাঠকের কাছে তা আদৌ কোন আবেদন সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে কি না এ নিয়ে আমি যথেষ্টই সন্দিহান।
ভাই আপনার কবিতার সংকলন বই আকারে কবে আসবে? সবার আগে আমি লাইন দিয়ে কিনবো মনে হয়।
আসেপাশে এমন মেধাবী কবি তো আর দেখি না।
কবিতা থেকেও যে এমন চমৎকার দৃশ্যায়ন সম্ভব, সেটা জানা ছিল না। (সম্পাদিত)
বইয়ের কথা জানিনা শাওন। তোমাদের কথা শুনে একটু একটু লোভ হচ্ছে বই বের করার।তবে লাইন দিয়ে কিনতে হবেনা শিওর, বরং ডজনখানেক কিনে নেয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাইখো। 😀
' মেধাবী কবি'-র স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে তো বলাই বাহুল্য।কিন্তু 'আর দেখিনা' কথাটা মোটেও ঠিক নয়।এখানে, সচলায়তনে মুগ্ধ ইর্ষা নিয়ে কতজনের লেখা পড়ি!
তাছাড়া শুধু 'কবি' হিসেবে স্বীকৃতি পেলেই বর্তে যাই।
:clap: :clap: :clap:
গায়গায় হবে না গায়-গায় হবে? :frontroll:
শেষের প্যারা যে ভিন্ন তা বুঝছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তোমার বানানটাই বোধ হয় ঠিক।
আমি কিন্তু এটাই লিখতে চাইবো, কারণ একসাথে লেগে না থাকলে ছবিটা ঠিক ফুটছেনা।
মজার লেখা... সুন্দর।
-আলীম হায়দার.1312.
ম্যাঁও...ম্যাঁও...
নুপুর'দা,
আপনার চোখে চিটাগাং মেডিকেল এর সেই বিড়ালের একদিন পড়লাম না দেখলাম।
তাই শুরুর ডাকগুলো কিন্তু আসলেই কানে লেগে আছে।
হুম্ম...
:clap:
সৈয়দ সাফী
ওবায়দুল্লাহ,
তোমার লেখা পাইনা বহুকাল।চিত্রনাট্য ছাড়ো এবার!
অরণ্যের দিনরাত্রি তো শেষ হলোনা এখনো!
ঠিক বলেছেন নুপুর'দা।
মাথায় কিছু পোকা ঘুরছে।
সময় করে বাগে আনতে পারছি না।
অরণ্যের গপ্পোটা শেষ করবো ভাবছি। :thumbup:
ভাল থাকুন প্রিয়।
সৈয়দ সাফী
মাথার bug-কে তাড়াতাড়ি বাগে আনো,
কোনদিন আবার না বাঘ হয়ে যায়।