কতিপয় মাছের আত্মকাহিনী

আয় না সখী,
অপলক পেট পেতে দি’
ভেবে আর লাভ হবে কি।
বরফের শয্যা পাতা
জালে পড়ার দিনটি থেকে’
আমাদের রক্ত দেখে
কারুর আর
বুক কাঁপে কি
বরফের মন গলে কি!

শ ওয়াটের দেঁতোহাসির
মাছব্যাপারী হাঁকছে দ্যাখ্‌
হেঁ হেঁ আসুন স্যার
মাননীয় ধর্মাবতার
রূপোলী পেটের বাহার
পাবেননা এমনটি আর
বাজারের অন্যকোণে।

যেনোবা আপনমনে’
ভাবছিলো তার বিবির কথা
হিসহিসিয়ে বলেছে সে
গায়গতরে হাত বুলিয়ে :
এবার ভালোবেসে
আলতো সুইট হেসে
বাবুটির দম লুটে নে
কিছুতে লেট করিসনে

নিয়ে যাও ফূর্তি লোটো
আঁশ ছাড়াও বাছো কোটো
তেলে ভাজো মশলা মেখে
জিভের ডগায় আলতো চেখে
মচমচিয়ে মুণ্ডুখানা
দাঁতের নীচে পিষে দিও
আধবুড়ো হে রোমিও

কেবল টুকরো
হতে হতে যখন
প্রতিদিন রক্তক্ষরণ
ডুবসাঁতারের অতীত
কাঁদে
বরফ-চোখে
ফেলে আসা পুকুর
কাঁদে

জালে পড়ার দিনটি কেমন
ফিসফিসিয়ে রৌদ্র আনে
এছাড়া কি আছে বলো
লিপিস্টিকের হাসির মানে…..

১,২৭০ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “কতিপয় মাছের আত্মকাহিনী”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    বহুত দিন আগে সিসিবিতে একখান পোস্ট দিছিলাম, "ঘাই" 🙂 মারাত্মক গল্প একখান 😀

    যাউজ্ঞা, আপনি নিজেকে বদলাচ্ছেন মনে হচ্ছে, আমার কাছে পুরোনোটাই ভালো লাগছিল।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    মাছেরা যদি জানতে পারলো আপনি ওদের নিয়ে দারুন একটা কবিতা লিখেছেন...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. সাব্বির (৯৮-০৪)

    আপনার কবিতার প্রথম বাক্য থেকেই পাঠকের ভেতর যে আশা তৈরী হয়, তা যেকোনো ভাবেই হোক না কেনো- হতাশায় পরিনত হয়না ; এখানেই বোধহয় জিতে যান আপনি। :just: :gulli2:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।