প্রলাপ-৪

চরাচর অন্ধ করা আলোয়
শাখা-প্রশাখায় ওই একবার।

একবার চমকে উঠেই
দুনিয়া বধির ক’রে
নিকষকালো মেঘের থেকে
হুড়মুড়িয়ে
নেমে শেষে
গেঁথে গেছে
পোড়াকাঠ হয়ে
তুষারে তুষারে ঢাকা
এমন বিজন প্রান্তরে।

আর দেখো!
কি ভালোমানুষি চেহারায়
বরফের একটা লম্বা
মাফলার জড়িয়ে
অঙ্গে অঙ্গে
কী বিভঙ্গ এনে
প্রতীক্ষায় জমে যদিও
দিন গুনছে
কবেকার সেই
বসন্তরোদের
যেদিন হাওয়ায়
হাসতে হাসতে
সবুজ পাতারা
ক্রমে বেরিয়ে আসছে
শাখা বেয়ে
প্রজাপতি-পাখার লোভে
শরমের মাথা খেয়ে
উদ্বাহু পাপড়িগুলো
উড়াল দেবে ফের আকাশে,
গাছ হয়ে বাড়িয়ে হাত
পাখিটিকে পাবেনা জেনে
পাকিয়ে পাকিয়ে
রাগ জমা ক’রে এনে
সমস্ত দিনরাত
অন্ধমেঘের অন্দরে
তিলতিল বিজলির বারতা
পাঠাতে থাকে….

১,৩১৪ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “প্রলাপ-৪”

  1. রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

    " আমি কোনদিনও কবিতা ভালোবাসিনি,
    কবিতা বুঝিনি বলে।
    কখনো সখনো বুঝলেও, আমি কবিতা ভা্লোবাসিনি,
    আমার শব্দেরা কেন কবির হবে আমায় ছেড়ে।"

    বরাবরের মতই প্রিয় শব্দেরা আছে, আর কিছুটা বোঝা না বোঝার দ্বন্দ। বাজ পড়া গাছে সবুজ পাতা কি বের হবে ?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।