রূপান্তর-২

চালের বস্তা কেটে কেটে
আনাজপাতি খুঁটে
সূঁচলো চোখে দাঁতে লেজে
ধুলো জমছিলো আর
মুহূর্তেরা সব কাটছিলো
ঝিমুনির নিরুত্তাপ আমেজে,
প্রচলিত সংজ্ঞায়
যথেষ্ট সুখী হতে পেরে
নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে
দিতে যাবে
হঠাৎ তোর প্রশ্রয় মাখানো
আহবানে চোখ প’ড়ে..
সাহসের পারদে ভর দিয়ে
অতঃপর তরতর ক’রে
ইঁদুরটা হুলোবেড়াল হয়ে গিয়ে
ফের হুলো থেকে চটপট
রাগে গরগর
ডোরাকাটা বাঘ হয়ে শেষে
একগাল হেসে
দাঁতের নব্য ধারটুকু নিয়ে
একটু এক্সপেরিমেন্ট করবে বলে
যখন তোর ঘাড়ে
লাফাতে উদ্যত
তখন একটা ভাবনা
সমান্তরালে ইতস্তত
উঁকি দিয়ে যায়ঃ
এই রে
যদি পুনরায়
মূষিক বানিয়ে দ্যায়!

১,১৯১ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “রূপান্তর-২”

  1. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    নুপুরদা......

    অ-সাধারণ সুন্দর হয়েছে। :clap: :clap: :clap:

    পুরা-ই হিংসিত হয়ে যাচ্ছি... :salute: :salute:

    মানুষ কেমুন করি এত্তু সোন্দর লিখে? :bash: :bash: :bash:


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আমি কবিতাকে ভয় পাই, শুধু আপনার লেখাগুলো বাদে ......

    অনেক দিন পর এসেই বেশ কয়েকটা কবিতা পোষ্ট দিলেন কয়েকদিনে। খুব ভালো লাগল।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে ইঁদুর থেকে হুলোবেড়াল বা ডোরাকাটা বাঘ ভাবতে ক্ষতি কী!


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।