ফুটপাত

মেয়ে তোমার মাথার ঠিক ওপরে
ভেসে আছে এক খণ্ড মেঘ;
রোদ্দুরে বিচলিত হওয়া কি
তোমাকে মানায়?
প্রতিদিন বৃষ্টিহীন আমি
ভেতরে ভেতরে
কী ভীষণ তৃষ্ণা পুষে রেখে
তোমার সংগে নিপুণ হাসি,
বিনয়ের ভান করি
ঈর্ষায় জ্বলে গিয়ে
লোলুপ দেখি তোমার মেঘ।

জানোনা মেয়ে,
তুমি অভিমান করলেই
বৃষ্টির ছাঁট এসে
চশমার কাঁচ ঝাপসা করে দিয়ে
শহরটা হয়ে যাবে
ভেজা ভেজা মাঠ,
সেই মাঠে দুরন্ত শিশুদের
ফুটবল খেলা পেরিয়ে
শেষ প্রান্তে বসে থাকা
তোমার কাছে পৌঁছে
অনন্তকাল ধরে বসে থাকা
একটা এক্কেবারে নতুন রিকশায়
তোমাকে যখন হাত ধরে
ওঠাতে যাবো, তখন তুমি
খিলখিল করে হেসে ফেলে
ফের চকচকে রোদ্দুর আর
হট্টগোলের শহর ফিরিয়ে দেবে
পুরো চশমা জুড়ে।
মেয়ে তুমি কী উদাসীন,
কিছু যায় আসেনা তোমার
মেঘের টুকরো থেকে
ঝরলো কি ঝরলো কিনা
স্বপ্নের দুটো একটা কণা ….

ফুচকা বানানো লাটে ওঠে,
কানে আসে
আর সব আপুদের গঞ্জনা।
আমারো ভাল্লাগেনা,
শুধু ইচ্ছে করে
সবকিছুকে গুডবাই দিয়ে
তোমার মেঘের থেকে
একটু একটু জল ভরে নিয়ে
আজীবন তোমাকেই
ফুচকা দিয়ে যাই…..

৩,৯১৪ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “ফুটপাত”

  1. আন্দালিব (৯৬-০২)

    এই মেয়েটা খুব শাশ্বত। কবিতা পড়তে পড়তে সবার মনেই নিজস্ব মূর্তি ভেসে উঠবে। আপনি যেভাবে "নিরপেক্ষ" থাকলেন, কবিতাটিকে ব্যক্তিগত করলেন না, সেটা আসলেই চমৎকার নূপুর ভাই। :clap:

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    শেষ পর্যন্ত ফুচকাওলা হয়ে ফিরে এলেন ! 😉

    পাখির নীড়ের মতো দু'টি চোখ তুলে সিসিবি আপনাকে জিজ্ঞেস করছে- এতোদিন কোথায় ছিলেন ? 😉


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আরে নূপুর ভাই দেখি... কত্তোদিন পর... কবিতা পুরা সিরাম হইছে :hatsoff: :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।