অবশেষে ‘বিতংস’

সিসিবিতে ধারাবাহিকভাবে একটি উপন্যাসটি লিখছিলাম। সেটি গত বছর বই আকারে বের হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়েছেও। তবে বইমেলাতে নয়। বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে। আগামী প্রকাশনী থেকে। ২০১৩’র বইমেলাতে সে বইটি আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এবার নিশ্চিত হয়েই কথাটি বলছি। কারণ বইটি আমার হাতে এসেছে। আর আগামী প্রকাশনীও তাদের তালিকাতে বইটির নাম উল্লেখ করেছে। গতবার বইমেলাতে উপন্যাসটি বের হবার কথা ছিল বলে অনেকেই আমার কাছে তার খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন। প্রকাশকের থেকে পূর্ণ নিশ্চয়তা পাবার পরও কেন বাজারে বইটি আসলো না সে নিয়ে আমি আর মাথা ঘামাইনি। বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্প কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে মোটামুটি অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। তাই এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। সবকিছু ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে ভাল লাগে। তাই শেষ পর্যন্ত গতবছরই বইটি বের হয়েছে – যদিও এবছরের বইমেলায় তা বাজারজাত হবে। অবশ্য বাজারজাত বিষয়টি নিয়ে আমি যে খুব উৎসাহী তা বলবনা। সিসিবি আর নিজের পরিচিত হাতে গোনা কিছু মানুষ জানে আমার লেখার কথা। বই প্রকাশ বিষয়টি নিজের কাছেই নিজের মাইলস্টোন। এ বছর আরেকটি বই বের করার কথা ছিল। আশা করি তাও করব। জাফর স্যাররা হয়তো বলবেন এইসব নতুন লেখকরা কেন যে লেখে – শুধু শুধু গাছের অপচয়। স্যার অপচয়ের কথা ভাবলে আপনি তাহলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের টন টন বানানো কাপড়চোপড় নিয়েও প্রতিবাদ করেন। অন্যজাতের কথা বাদ দিলাম, এই আমরা বাংলাদেশীরাই যে কিরকম কাপড়চোপড়ের পেছনে পয়সা খরচ করি, অপচয় করি তা তার একটা পরিসংখ্যাণ নিলে আক্কেলগুড়ুম হয়ে যেতে হবে। এই আমেরিকাতে প্রতিবছর প্রায় একশ পয়ষট্টি বিলিয়ন ডলারের খাবার অপচয় হয়। গার্মেন্টস নিয়ে কেউ কিছু বলবে না। বিদেশীরা এইরকম কাপড়চোপড় কিনে পয়সা অপচয় না করলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে কিভাবে? নতুন লেখকরা বই বের করলেই যত দোষ! শুনেছি কাগজের কঁচামালের প্রায় পুরোটাই নাকি আসে রিসাইকেল করা পুরোনো কাগজ থেকে।

‘বিতংস’এর বাজারজাত নিয়ে যে কারণে আমি খুব একটা উৎসাহী নয় তার আরেকটা কারণ হচ্ছে এর দাম। প্রকাশক বোধহয় প্রায় চারশ টাকার মতো বইটির দাম রেখেছে। অনেক অনুরোধ করেও সেই দাম কমাতে পারলাম না। সিসিবির অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী শ্রেণীয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বইয়ের দাম চারশ টাকা আমার কাছে অনেক মনে হয়। সত্যি বলতে কি কাঁচামাল আর শ্রম হিসেবে ধরলে বইয়ের দাম আরও কমানো যায়। প্রকাশকরা নাকি বাংলা একাডেমির বেঁধে দেওয়া নিয়মে বইয়ের দাম নির্ধারণ করেন। জানি না তা সত্যি কিনা।

বই আর খাবার – এই দুটো বিষয় কাউকে জোর করে গেলানো ঠিক নয়। তাই আমি আর জোর দিয়ে বলছি না বইটি পড়ার কথা। কারণ আমি জানি যার ইচ্ছে হবে সে এমনিতেই এই বই পড়তে চাইবে। বইটি লেখার পেছনে আমার যে উদ্দেশ্য কাজ করেছে তা হলো যেরকম একটি বই আমি পড়তে চাইছি কিন্তু হাতের কাছে পাচ্ছি না, সেরকম কিছু লিখে ফেলা। আর লেখার আরেকটি মজা রয়েছে। সেটি হলো সৃষ্টির আনন্দ। এই সৃষ্টির মাধ্যমে খুব অলক্ষ্যে আমি চাইছি পাঠকের অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করতে। সেটাই আমার সার্থকতা। অন্যভাষার কথা জানিনা, কিন্তু বাংলাভাষায় আর যাইহোক কেউ ইচ্ছে করে লিখতে আসে না। যে লেখে সে তার যন্ত্রণা কমাতেই লেখে। মাথায় লেখাদের ঘুরে বেড়ানোর যন্ত্রণা। আমি অবশ্য অখ্যাত লেখকদের কথা বলছি। বিখ্যাতদের তো আবার চাপের ঠেলায় লিখতে হয়। সে আরেক যন্ত্রণা!

‘বিতংস’ বইটির প্রচ্ছদ সামিয়া করে দিয়েছে। গতবছরের প্রথমে ওকে বইয়ের পাণ্ডুলিপি দিয়েছিলাম লেখককে পৌছে দেওয়ার জন্য। সিসিবিতে যে অংশটি দিইনি সে অংশটি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে সে একরাতে পুরোটা শেষ করে ভোরের দিকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমাকে ওর কিছু অনুভূতি লিখে পাঠিয়েছিল। এরকম প্রতিক্রয়া আমিনের কাছ থেকেও পেয়েছিলাম। পাঠকের এসব অনুভূতিই হচ্ছে আমার মতো লেখকদের পারিশ্রমিক। বইটি যেহেতু সামিয়ার পড়া ছিল তাই অনুরোধ করলাম প্রচ্ছদ করে দেওয়ার জন্য। বইটিকে একটি সিসিবি প্রকাশনা বলা যায়। কারণ সানাভাই আর রাব্বী আমার দু-একটি তথ্য ঠিক করে দিয়েছিল। অবশ্য ইতিহাসের বইতেই যেভাবে তথ্যের হেরফের হয় (কে ইতিহাস লেখে তার উপর নির্ভর করে) সেখানে উপন্যাসতো একটি মায়ার জগৎ। লেখকই এখানে সর্বেসর্বা।

আমার আগের বইটি সম্পর্কে স্বপ্নচারী মঈনুল একটি প্রশ্ন রেখেছিল। তা হলো সেখানে সিসিবির কথা উল্লেখ করিনি কেন। মঈনুল হয়তো তার প্রশ্নটি ভুলে গেছে। কিন্তু আমি যেহেতু তখন উত্তর দিইনি তাই এখন দিচ্ছি। গত বইটির পাণ্ডুলিপি আমার এক ভাগ্নেকে পড়তে দিয়েছিলাম। তখন সে তেইশ-চব্বিশ বছরের এক যুবক। বইটির শেষের দিকের একটি চ্যাপ্টারে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হিয়া আর আর্মি অফিসার রেজওয়ানের কিছু সংলাপ ছিল। সেসব সংলাপে ২৫শে ফেব্রয়ারী বিডিয়ারের ম্যাসাকারের কথা কিছু উঠে এসেছিল। সে অংশটি পড়ে আমার ভাগ্নে রীতিমতো ক্ষেপে গিয়ে আমাকে তা বদলে দিতে বলে। ওর যুক্তি হলো সে অংশ পড়ে তার মনে হয়েছে যে আমি আর্মিদের পক্ষে সাফাই গাইছি। যখন দেশে ছিলাম তখন আমি ঠিক একাত্মভাবে কোন একটি পক্ষ নিয়ে আরেক পক্ষকে ঘৃণা করতাম না। পাখী যেমন উড়ে যেতে যেতে জনপদ দেখে যায়, আমারও ঠিক সব কিছু পাখীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু আমার ভাগ্নেকে দেখলাম যে সে আর্মিদের রীতিমতো ঘৃণা করে। পরে অবশ্য কিছু ব্লগ পরিভ্রমণ করে এই বিষয়টা বুঝে যাই যে অধিকাংশ মানুষই মনের মধ্যে অনেক ঘৃণা পুষে রাখতেই পছন্দ করে। হয়তো এটা একটা সময় পর্যন্ত তাদের জীবনে মোটিভেশন হিসেবে কাজ করে। অনেক সিভিলিয়ান আর্মিদের ঘৃণা করে। কিম্বা হয়তো ঘৃণা বা ক্ষমার মধ্যে কোন পার্থক্য বোঝে না। আমি কোন অপরাধীকে ক্ষমা করিনা। বিশেষ করে যারা ধর্ষণ করে। আমার সন্তানদেরও সবসময় বলি বুঝেশুনে কাজ করো। কারণ যা করছো তার ফল তোমাকেই ভোগ করতে হবে। কোনভাবে এড়ানো যাবে না। আবার ব্যক্তিগতভাবে এমন কিছু মানুষের পরিচয় পেয়েছি যে বা যারা আমাকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল। যখন সেরকম মানুষটিকে চিনতে পারি তখন তাকে আমার জীবন থেকে এমনভাবে অস্তিত্বহীন করে ফেলি যে এক সময় তাকে চিনতাম সেই ব্যাপারটাই ভুলে যাই। তাই বলে পুরো একটি ক্লাস ধরে তাকে ঘৃণা করতে হবে – এই ব্যাপারটি আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। যাইহোক আমার ভাগ্নের পরামর্শে আর কিছু বদলাইনি। তবে ক্যাডেট পরিচয়টা গোপন করে গেছি। এমন অনেক মানুষও দেখেছি যারা ঠিক ক্যাডেট শুনলেই এমন ভাব করে যে আমরা না জানি গরীব দেশের কতো পয়সা হজম করে বসে আছি। সরকারের অকারণ বিদেশ ট্রিপে এই গরীব দেশে যে পরিমাণ অর্থ অপচয় হয় তা দিয়ে এই গরীব দেশে আরও অনেক উন্নত মানের আবাসিক স্কুল বানানো যায়। সেখানে এই গরীব দেশের সব সাধারণ ছেলেমেয়েরাই পড়তে পারবে।

যাক বাবা, এবার আবার মূল প্রসংগে ফিরে আসি। এই ব্লগের কারণেই লেখার জন্য অনেক ফুয়েল পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাঁদের যারা সময় করে পড়ে মাঝে মাঝে কিছু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রথমেই আমার সিনিযরদের কথা বলব। সাইফ ভাই আমার প্রথম উপন্যাসটি অনেক পছন্দ করেছিলেন। এবারেও উনার থেকে অনেক উৎসাহ পেয়েছি। আলীম ভাই এবং আজিজ ভাইকে ধন্যবাদ। লাভলু ভাইয়ের স্মৃতিচারণ তো ব্যবহারই করেছি এই উপন্যাসে। উপন্যাসে যখন হিন্দুদের বিষয়টি এসেছে তখন নূপুরদার প্রতিক্রিয়া আমার ভাবনাগুলোর একটা প্রতিবিম্ব রূপ দেখেছি। এখন এই উপন্যাসের উপক্রমণিকায় কি লিখলাম সেটা এখানে দিয়ে দিচ্ছি।

—————————————————————————-

বিতংস
উপক্রমণিকা

অফিসের দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় সহকর্মী চিত্রার সাথে প্রায়ই গল্প হতো। সেসময় একদিন চিত্রাকে এই উপন্যাসের প্লটটা সম্পর্কে বলেছিলাম। প্লটটা চিত্রার এতো পছন্দ হয় যে শেষ পর্যন্ত ওর জোরাজুরিতে লিখতে বসলাম। কাজের ফাঁকে, অবসরে বেশ অনেকটা সময় ধরে লেখা চলতে থাকে। যখন খেয়াল করলাম উপন্যাসটি বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে যাচ্ছে তখন বই প্রকাশের চেষ্টা চালাতে লাগলাম। সে আরেক ধৈয্যের পরীক্ষা। প্রকাশকরা পাণ্ডুলিপি নেবেন কিন্তু কখনই জানাবেন না ছাপাবেন কি ছাপাবেন না। আবার এক বছর ধরে কেউ ছাপাবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত আর ছাপান না। আর আমি নতুন লেখক বুঝতে পারি না লেখার দোষটা কোথায়? যদিও একজন পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে সাহিত্যের বাজারে আমার আনকোরা নামটিই যতো সর্বনাসের কারণ। নিজের একটি বই বের হচ্ছে সে আনন্দ পূর্ণতা পাবে যদি পাঠক বইটি পড়ার সময় কিছু সুন্দর সময় কাটাতে পারেন। আমার লেখার উদ্দেশ্যও সেটি।

গল্প বলার সময় অনেক বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করতে হয়েছে, সত্তর দশকের বাংলাদেশের ছবি আঁকতে হয়েছে। সে সময়টা আমার শৈশবের। মুক্তিযুদ্ধ এবং তার আগে ও পরের অনেক ঘটনাই পরিচিত মানুষজনদের মুখ থেকে সরাসরি শোনা। তবে একটি উপন্যাস লিখতে গেলেল তো শুধু আর লোকমুখের কথায় ভরসা করা যায় না। সে সময়টা আত্নস্থ করতে আমাকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো ছিল সুনীল গংগোপাধ্যায়ের ‘অর্ধেক জীবন’, হায়দার আকবর খান রনোর ‘শতাব্দির পথে’ এবং আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ‘আমার উপস্থাপক জীবন’ । এছাড়াও উল্লেখ করবো কাজী নজরুল ইসলামের উপর লেখা বেশ কয়েকটা বই। দুটো স্মৃতিচারণমূলক লেখা, সানাউল্লাহ লাভলুর ‘স্মৃতির ঝাঁপি’ এবং মীজান রহমানের ‘এ নজরুল আমাদের নয়’, আমাকে সাহায্য করেছে কিছু ঘটনা ফুটিয়ে তুলতে।
এটি একটি উপন্যাস – আত্নজীবনী নয়। এই উপন্যাসের কথা-বলা চরিত্রগুলোর জন্ম আমার কল্পনায়। ঘটনায় আবর্তে কিছু ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম উল্লেখ করতে হয়েছে। মূলত কল্পনা থেকে প্রসূত হলেও চেষ্টা ছিল একটি বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা। কিছুটা ভ্যারচুয়্যাল রিয়েলিটির মতো। ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এই উপন্যাসটির কিছু অংশ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের সময় যারা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা স্বীকারের তালিকাটা এতো বড় হবে যে এজন্য কারও নাম আর আলাদা ভাবে উল্লেখ করতে চাই না। কাছের মানুষরা বুঝে নেবেন আমার না বলা কথাগুলো। ‘বিতংস’ উপন্যাসটির প্রথম খণ্ড। দ্বিতীয় খণ্ডের নাম ‘তিতিক্ষা’ – যার প্রকাশটা নির্ভর করছে পাঠক আর প্রকাশকের উপরে। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ

২,৪০০ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “অবশেষে ‘বিতংস’”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    দুর্দান্ত দুর্দান্ত পূর্বপাঠ।
    উপক্রমণিকা অপঠিত রাখলাম, বইতেই পড়বো বলে।

    প্রচ্ছদ যে সামিয়া করেছে জানতামনা - অত্যন্ত রুচিবান ও উপযুক্ত হয়েছে।
    বিশাআআআল অভিনন্দন!
    'তিতিক্ষা' নামটিও এত সুন্দর!

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      ধন্যবাদ দাদা। বইয়ের মধ্যে কতক জায়গায় ভুল দেখে খারাপ লাগলো। এই যেমন কোটেশন মার্কের ব্যাপারটায় একটু গরবর আছে।

      তবে ফন্ট আর দুই চ্যাপ্টারের মধ্যে খালি জায়গা কম রেখে বইটিকে ২৮০ পৃষ্ঠার মধ্যে রাখা গেছে। বইটা হাতে নিলে বেশ লেখক লেখক ভাব জাগে।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  2. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    লেখাটি দেখে লগ ইন করলাম উপস্থিতি জানান দিতে।
    এই মুহূর্তে আক্ষরিক অর্থেই আমি বিজি। তবে এই মন্তব্য এডিট হবে পরে।

    আপাতত শান্তাপুকে অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম।

    জবাব দিন
  3. রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

    আপু,
    বিরাট একটা অভিনন্দন । আর "তিতিক্ষা"র পরের বইটার প্রচ্ছদ আমি বুকিং দিলাম (এই মুহুর্তে সামিয়াকে হিংসা হচ্ছে)। ফেব্রুয়ারীতে দেশে থাকবেন তো? লেখকের অটোগ্রাফসহ একটা বই তো লাগবে,নাকি? (সম্পাদিত)


    আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
    ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
    ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
    সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
    ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
    আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

    জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    আপনার উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে জেনে আনন্দিত হলাম। অভিনন্দন!

    গত বইমেলায় একজন আমার হয়ে আপনার বইটা খুঁজেছিল। পরে আমাকে বেশ কিছু বই কিনে নানাভাবে পাঠিয়েছিল দেখে আর জিজ্ঞেস করতে পারিনি "বিতংস" কোথায়। এবার বুঝলাম যে সামনে আসছে।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      বিখ্যাত হওয়া জিনিষটা আবার কি? সব গল্প কি সব জায়গায় যায়? আন্তর্জাতিকভাবে লিখতে হলে সেভাবে ভাবতে হবে। ফিকশনের আন্তর্জাতিক বাজার তো খুব রমরমা। চিন্তা করে দেখো এক ফিকশন লিখে জে কে রলিং এক্কেবারে বিলিওনিয়ার হয়ে গেলো। হলিউড তো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভালো ফিকশন খুঁজে বেড়ায় ছবি বানানোর জন্য।
      বিশাল অংকের কন্ট্রআক্টের স্বপ্নটা আসলেই যদি ছোঁয়া যেত ...


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  5. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    শান্তা,

    যাক শেষ পর্যন্ত বের করতে পারলে বইটা তাহলে। খুব খশী হলাম জেনে। আমেরিকাতে বইটি আসলেই কেনার চেষ্টা করবো।

    বিতংস শব্দের সাথে আগে পরিচয় হবার সূযোগ হয়নি। আচ্ছা পাখীর বদলে মানুষের গলায় বিতংসের ফাঁস পরানো যাবে কি?

    জবাব দিন
  6. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    আপনাকে বই পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। আমিও বইয়ের অপেক্ষায় আছি। বিতংস অবশ্য গলার ফাঁস না - মাটিতে গর্ত করে যে ফাঁদ বানায় তা। হরিণশাবকদের বিতংস। তাহলে তো মানুষও তাতে এঁটে যাবে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।