ডঃ লরা কী বলেন

ডঃ লরার কথা প্রায়ই শুনতাম এখানে আমার কিছু বন্ধুদের কাছ থেকে যাদের প্রায় সবাই আন্তঃধর্ম কিম্বা আন্তঃরাষ্ট্র বিয়ে করেছে। পেশায় একজন মনোনিজ্ঞানী এই মহিলা রেডিওতে একটা জনপ্রিয় টক শো করতেন সেখানে শ্রোতাদেরকে সম্পর্ক বিষয়ক নানা সমস্যার সমাধান দিতেন। তার নানারকম চটজলদি সমাধানের রেশ ধরে বন্ধুদের মধ্যে ডঃ লরার প্রসঙ্গ উঠতো। আমিও তার টক শো শুনেছি। প্রাশ্চাত্যের তুলনায় কিছুটা রক্ষণশীল বলে মনে হয়েছে। তবে মোটের উপর বেশ ভালোই লাগতো।
সেদিন লাইব্রেরীতে বসে ছিলাম। চোখে পড়লো ডঃ লরার একটা বইয়ের প্রচ্ছদ – টেন স্টুপিড থিংকস কাপলস ডু টুু মেস আপ দেয়ার রিলেশনশীপস। বইটা দেখে মইনুল আর সামিয়ার কথা মনে হলো। যে চাকা ইতিমধ্যে আবিষ্কার হয়ে গেছে তা আর নতুন করে আবিষ্কার করে লাভ কি? হাজার হাজার লোকের সাথে কথা বলে মহিলা এই দশটা পয়েন্ট আবিষ্কার করেছে। আমি সেগুলো এখানে উল্লেখ করলাম।

১) বোকার গোপনীয়তা
সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে পারে এই ভয়ে নিজের কোন অতীতের কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করা

২) বোকার অহংকার
সম্পর্কটা আরো ভালো করার জন্য আমি আর কী করতে পারি সেটা না ভেবে খালি আমি কী পাচ্ছি তার হিসেব কষে চলা

৩) বোকার ক্ষুদ্রতা
পকেটে একটা ডিম রেখে তা থেকে একটা বড়সড় মুরগীর খামারের আশা করা

৪) বোকার ক্ষমতা
নিজেকে সব সময় সব কিছুর নিয়ন্ত্রনে থাকতে হবে এমন ভাবা

৫) বোকার অগ্রাধিকার
সম্পর্কোন্নয়কে কেন্দ্রে না রেখে ক্যারিয়ার, সংসার সম্পর্কিত যাবতীয় বৈষয়িক ব্যাপার আর শখের পিছনে নিজের সবটুকু সময় আর শক্তি খরচ করে ফেলা

৬) বোকার সুখ
নিজের সব অপরিপক্ক আর লোক দেখানো চাহিদাগুলোকে পরিতৃপ্ত করে এক ধরনের মেকী সুখ পাবার জন্য সব ভুল জায়গায় ছুটে চলা

৭) বোকার কৈফিয়ত
নিজের ভুল স্বীকার না করা – সবসময়ই কৈফিয়ত তৈরী থাকা

৮) বোকার বন্ধন
যারা সম্পর্কটাকে বিষিয়ে তুলছে সেসব কুটবুদ্ধি সম্পর্ন্ন বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়-স্বজনের থেকে বন্ধনটা ছিন্ন না করা

৯) বোকার বিসদৃশতা
ক্ষতি যাতে কম হয় এর জন্য কখন চলে যেতে হবে তা অনুধাবন করতে না পারা

১০) বোকার ভাঙ্গন
সব ভুল কারণগুলোর জন্য সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলা

৫,১৭৪ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “ডঃ লরা কী বলেন”

  1. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    শান্তা,

    সাম্প্রতিক একটি ঘটনা বাদ দিয়ে ডঃ লরা এ পর্যন্ত অনেকের কাছে বিশেষ সন্মান পেয়ে এসেছে সন্দেহ নেই। আমেরিকাতে যদিও বিয়ের মন্ত্রে সাধারনত বলা হয় 'মৃত্যু ছাড়া আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হবে না', কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় 'অধিকাংশ' (শতকরা ৫০%-এর বেশী) বিয়ে ভেঙ্গে যায় এখানে।

    অন্য দিকে মুসলমানদের বিয়ে অনেকটা ব্যবসা-বানিজ্যের মত। টাকা পয়সার উল্লেখ আছে এখানে, ভালবাসার কোন উল্লেখ নেই। তবু শতকরা হিসাবে বিয়ে ভাঙ্গার পরিমান তুলনামূলক ভাবে কম। এর জন্যে হয়তো আর্থিক কারণ এবং সামাজিক গ্রহন যোগ্যতা বেশী দায়ী।

    লরার বইতে একটি কথা উল্লেখ দেখলাম না - তা হচ্ছে বেশীর ভাগ বিয়ে ভাঙ্গার কারণ হছে কোন এক পক্ষের 'চিটিং'-এর কারণে।

    অবশ্য অনেক কিছুই বদলে যাছে এখন খুব তাড়াতাড়ি। আমার এক বন্ধু (হয়তো ঠাট্টা করে হবে) বলছিল আমরা যদি চারটি করে বউ রাখি তবে সংসার সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশী। সে এমনকি রসুল উল্লার ১৩ টি স্ত্রী থাকার কথাও বলছিল।

    জানি না স্ত্রীরা যদি একাধিক স্বামী রাখতে চায় - সেটা কোন অসুবিধার কারণ হবে কিনা।

    জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        দ্রৌপদীর প্রবলেম হয়নাই বলা যাবেনা। মহা প্রবলেম হইসিলো, তাছাড়া স্বেচ্ছায় তো পঞ্চস্বামী নেয়নাই!
        অর্জুনকে পছন্দ করলো বলে পক্ষপাতিত্ব দোষে দোষী হলো,
        পাশা খেলায় ধর্মপুত্র (!) যুধিষ্ঠির তাকে পণ রেখে হেরে গেলে
        বস্ত্রহরণ পর্ব হলো... আরো কত কি। এসব তো শুধু ঘটনা। তার মনের খবর কে রাখে? সেখানে নিশ্চয়ই আরো হাজারো প্রবলেম!

        জবাব দিন
        • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

          🙁 ইয়ে,দ্রৌপদীর কথা বইলাই মাইনকা চিপায় পইড়া গেলাম মনে হয়। ভারতের টাডা উপজাতির ক্ষেত্রেও মনে হয় এই কেস আছে।নূপুর ভাই একটা অফটপিক প্রশ্নঃ মহাভারতে আপনার প্রিয় চরিত্র কে? আমার কর্ণকে খুব ভালো লাগে...(এইটা যদিও খুব কমন)

          জবাব দিন
              • মেলিতা

                কর্ণ কে রাধেয় বল, আমার সমস্যা নাই। তবে http://deshiboi.com/component/hotproperty/index.php?option=com_hotproperty&view=property&id=938&tech=1&nsnid=938
                এই বইটা পড়লে আমাকে তোমার মতামত টা জানিও।
                তোমার ফেইসবুক আকাউন্টের নাম কি?

                জবাব দিন
                • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

                  ইশ মহাভারতটা তোমাদের মতো এতো বিশদভাবে পড়া নেই।
                  দ্রৌপদীর জীবনটা আমার কাছে একটু কষ্টের মনে হয়। কারণ মনের মতো কাউকে যদি পায় তাহলে মেয়েরা একজনেই খুশি থাকে। একাধিক বরের ফয়ান্টাসিতে ভোগে না।


                  “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
                  ― Mahatma Gandhi

                  জবাব দিন
                  • মেলিতা

                    আপু প্রতিবার আপ্নার লেখার প্রশংসা করতে করতে আমি হিংসিত। তবে এই লেখা বেশি ছোট হয়েছে
                    আপু পৃথা পড়ে এতো ভাল লাগার কারন হচ্ছে, এই খান এ পুরানের অলৌকিকতার আবরন সরিয়ে কুন্তীর সংগ্রাম কে খুব সুন্দর করে দেখিয়েছে। এক জন মা,এক জন মেয়েই মনে হয়ে পারে এমন সাহসী হতে, এত বড় আত্নত্যাগ করতে।সত্যি মিথ্যা জানি না, বইটা আমাকে খুব অনুপ্রানিত করেছে।

                    জবাব দিন
                  • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                    পড়লাম।অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম দারুণ একটা বইয়ের লিঙ্ক দেবার জন্যে।কুন্তী অসাধারণ মহীয়সী ছিলেন সন্দেহ নেই কিন্তু তারপরেও তাঁর কিছু কিছু জিনিস এখনো ভালো লাগেনা।অর্জুনলব্ধ দ্রৌপদীকে ভাইদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া এর মধ্যে অন্যতম-"ভাইরা সকলেই একে কামনা করে,একে সবার ভোগ্যা না করলে ভ্রাতৃযুদ্ধ হবে" এই যুক্তি মানতে পারছিনা,বরং মা হিসেবে তাঁর কর্তব্য ছিল দ্রৌপদীকে পাঁচটা স্বামী সামলানোর মত কষ্টকর গুরুদায়িত্বে ঠেলে না দেয়া।তিনি সত্যিকারের প্রভাবসম্পন্ন মা হলে(যেমন প্রভাব আমরা দেখি পান্ডবদের যুদ্ধে উদবুদ্ধ করতে) বরং অন্য পুত্রদের ভাতৃবধূর দিকে কামভাবে না তাকানোর কথা বলতেন।এছাড়া "সুবিধাজনক" সময়ে কর্ণের কাছে যাওয়াটাও আমার কাছে খুব মহৎ কিছু বলে মনে হয়না।
                    তবে এত কিছুর পরেও কুন্তী দুর্দান্ত একটি চরিত্র সন্দেহ নেই।আর আরো দুর্দান্ত হচ্ছেন সমরেশ মজুমদার বা কালকূট-যিনি পৌরাণিক কাহিনীকেও এরকম অসাধারণ বাস্তবিক বিশ্লেষণে ফুটিয়ে তুলেছেন।আমার যখন ১ বছর বয়স এ বইটি তখন প্রকাশিত,সেই সময়ে লেখকের অসাধারণ ধীশক্তি এবং চিন্তার সূক্ষ্ণতা দেখে শিহরিত হচ্ছি।আফসোস,ডঃ হুমায়ূন আজাদ ছাড়া এরকম ধীশক্তি বাংলাদেশের লেখকদের মধ্যে প্রায় নেই বললেই চলে।

                    আবারো প্নেক ধন্যবাদ আপু লিঙ্কটার জন্য।

                    জবাব দিন
          • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

            মাসরুফ,
            মহাভারতে আমার প্রিয় চরিত্র অনেক। কর্ণ তাদের মধ্যে অন্যতম।
            আরেকটি প্রিয় চরিত্র অভিমন্যু।
            এছাড়া রয়েছে দ্রৌপদী, দ্রোণ, ভীষ্ম...
            একলব্য...
            তবে প্রিয়তম চরিত্র অভিমন্যু, যার জন্য নীরবে অশ্রুপাত করতে পারি।

            জবাব দিন
            • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

              হায় বালক বীর অভিমন্যূ,চক্রব্যুহে প্রবেশ এবং সপ্তরথীর হাতে অন্যায় সমরে তার মৃত্যতে ছোটবেলায় কিরকম কষ্ট যে পেয়েছি!
              নূপুরদা,আমার মহাভারতপাঠ মূলত চিল্ড্রেন ক্লাসিক্স নামের একটা বাংলা বই থেকে যেখানে রামায়ন,মহাভারত,ইলিয়াড আর ওডেসি একসাথে ছিলো।পাতায় পাতায় ছবি থাকায় গল্পটাও খুব সুন্দরভাবে মাথায় ঢুকে গিয়েছে।পরবর্তীতে বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে ইন্টারনেট টুকিটাকি ঘেঁটেছি।বড়দের জন্য বিস্তারিতভাবে পড়তে ভালো লাগবে এরকম মহাভারত কোনটি কিনবো একটু কষ্ট করে বলবেন? ফেলুদার মুখ দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের কথাটা এত সত্যি-মহাভারত হচ্ছে নন্সটপ ভুরিভোজ!

              জবাব দিন
              • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

                সবগুলো ঘটনা আর চরিত্র নিয়ে সন্নিবেশিত যে মহাভারত আমার কাছে সবচে' ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে রাজশেখর বসুর মহাভারত। আরো ডিটেইলে জানার জন্য নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি পড়ে দেখতে পারো। ইনি একেকটা চরিত্র নিয়ে একেকটি অধ্যায়ে বিস্তারিত প্রাণবন্ত আলোচনা ফেঁদেছেন। বইয়ের নাম মনে পড়ছেনা। আর পড়তে পারো বুদ্ধদেব বসুর গবেষণাধর্মী লেখা 'মহাভারত'

                জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      সাইফ ভাই,
      আপনার মন্তব্য দেখে বিশাল উত্তর দিতে হবে বলে রেখে দিয়েছিলাম। যাইহোক যতটুকু পারি লিখছি।
      আমেরিকায় সবকিছুই পরিসংখ্যানের আওতাধীন। তাই আমরা একটা ডেফিনি্ট নাম্বার বলতে পারছি। মুসলমানদের মতো হিন্দু (মূলত ভারতীয়) এবং বৌদ্ধদের (মূলত চায়নীজ, দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ানরা - এদের দাবীমতে) ডিভোর্সের হারও তুলনামূলক ভাবে কম। বিষয়টা আপনাকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগলিক এবং অর্থনেতিক প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে। আমেরিকার মতো বাংলাদেশেও যদি আইনের সাহায্যে ডিভোর্সের সময় বৌরা স্বামীদের ৫০% সম্পদ নিয়ে যেতে পারতো তাহলে বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার কাহিনী পড়তে হতো না। ডিভোর্সের পেছনে অর্থনীতি একটা বড় ভূমিকা পালন করে। খুব বেশিদিন আগে নয় - গত কয়েক দশক ধরে শিক্ষার সুযোগ পাবার কারনে মেয়েদের জীবনযাত্রায় চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারনে অনেক সম্পর্ক ভাংগছে। আরো কয়েক দশক লাগবে এটা স্টাবিলাইজ হতে। আমার ধারনা অনেক নারী স্বেচ্ছায় সন্তানহীনতার দিকে এগুতে পারে। জনসংখ্যা এতো বেড়ে যাচ্ছে যে সমাজও একে উতসাহিত করতে পারে। সন্তান না কাজ কোন মাধ্যমটিকে নারী তার রিপ্রোডাকশনের জন্য পছন্দ করবে এটার অপশন থাকলে বর্তমান পৃথিবীর সম্পর্কজনিত জটিলতা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে হয়।

      সৌদি আরবের যে শেখের চার বৌ আছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে তার ড্রাইভার, মালি, খানসামা, বাবুর্চির কারোই এক বৌও নেই। কারণ ওদেশে মেয়ে বলতে গেলে পয়সা দিয়ে খরিদ করতে হয়। যার তেলাক্ত টাকা আছে সেই চার বৌ রাখতে পারে। কিন্তু এটা কী সুবিধা দিতে পারে সেটা বুঝলাম না।
      আমার পাশের বাড়ির পাকিস্থানী প্রতিবেশি বললো পাকিস্থানে খুব বেশি ডিভোর্স হচ্ছে। তার মতে ছেলেরা যতো বেশি লিবারেল হচ্ছে মেয়েরা ততো বেশি ডিমান্ডিং হচ্ছে। উপরে যা উল্লেখ করেছি এখানও একই কারন বলবো। স্বাধীনতা সবাই সামনাভাবে কাজে লাগাতে পারে না। এর সাথে দরকার উপযোগী জ্ঞান।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    সাইফ ভাই,ভদ্রমহিলার বইটার পয়েন্টগুলো ভালো লাগছে আমার কিন্তু আপনি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটার অনুপস্থিতি তুলে ধরেছেন :boss:

    জবাব দিন
  3. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    শান্তা আপা,
    "৯) বোকার বিসদৃশতা
    ক্ষতি যাতে কম হয় এর জন্য কখন চলে যেতে হবে তা অনুধাবন করতে না পারা"
    এটা বুঝি নাই।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      ধরো রিপা আর রিপন দুজন মিলে প্রেম করছে।
      ধরো রিপন খুব বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রন করতে চায়। রিপা কেন চুল ছোট করলো, কেন ওই ছেলের দিকে তাকালো, এরকম প্রতিটা ব্যাপারে রিপাকে একদম নিজের মুঠোয় রাখতে চায়। রিপা ব্যাপারটা পছন্দ করছে না কিন্তু পরে ঠিক হয়ে যাবে এমনটা ভাবছে।
      আবার ধরো রিপা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক। নিজেরটা ছাড়া কিছু বুঝে না। রিপন তার সাথে দেখা করতে আসার পথে একটু আহত হয়েছে - রিপার এটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। সে ঝগড়া শুরু করে দিলো কেন রিপন তার জন্য ফুল আনেনি তার জন্য। রিপনের ব্যাপারটা খারাপ লাগলেও এমন প্রেমে মজে আছে যে সেটা তেমন আমলে আনতে চাচ্ছে না।
      উপরের দুটো উদাহরনই মিসম্যাচের উদাহরণ। ক্ষতি কমানোর জন্য এ ধরনের সম্পর্ক বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া ঠিক কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  4. সামিয়া (৯৯-০৫)

    চমৎকার লাগল, মনে রাখার চেষ্টা করব 🙂
    ১ নম্বর এখন পর্যন্ত করি নাই, ২ নম্বর প্রায় সবসময় করি, ৩ নম্বর বুঝি নাই, ৪ নম্বর চেষ্টা করি না করতে, তাও মাঝে মাঝে হয়ে যায়, ৫ নম্বর একদম উলটা, বেশি কেন্দ্রে রাখি বিধায় সারাক্ষণ ঝাড়ির উপ্রে থাকি, ৬ নম্বর জানিনা করি কিনা, ৭, ৮ নো কমেন্ট, ৯,১০- আল্লাহ মাফ করুক 😐
    কিন্তু শান্তাপা, আমার কথা মনে পড়লো কেন? 🙁 আমি কি হের লগে এত ঝগড়া করি??

    জবাব দিন
  5. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)
    বইটা দেখে মইনুল আর সামিয়ার কথা মনে হলো।

    কন কি আপু ??? আমি রিলেশনশিপ নিয়া কবে ফাল পারলাম???? 😮 😮 😮 আমি তো এইসব ব্যাপারে একেবারেই কাচা .... O:-) O:-) O:-)

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    সম্পর্ক জিনিসটাই কঠিন কিছু মনে হচ্ছে! সবসময়েই হয় টিকিয়ে রাখতে হবে, না হয় ভেঙ্গে ফেলতে হবে, কিভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে, কখন ভেঙ্গে ফেলতে হবে, কখন ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হবেনা এরকম একগাদা রেজলিউশন দিয়ে এর হাত পা বাধা মনে হচ্ছে 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  7. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    শান্তা,

    তোমার উত্তরের আশায় এর আগে এক বার ঘুরে গেছি। তোমার এবং অন্যান্যদের মন্তব্যগুলি পড়ে অনেক আশানিত্ব হলাম। স্বীকার করতে লজ্জ্বা নেই, ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার সময় এমন গভীর ভাবে চিন্তা করার কোন ক্ষমতা আমার ছিল না।

    তুমি এক বার জানতে চেয়েছিল নতুন কি কি প্রজেক্ট নিয়ে আমি চিন্তা ভবনা করছি [ভাল কথা তোমার ইমেইল ঠিকানা খুঁজে পাইনি তাই তোমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি, পারলে ঠিকানাটা জানিও]। আমি একটা প্রজেক্ট নিয়ে বহু দিন ধরে ভাবছিলাম - যে দু'টো কম্পুউটারের মধ্যে কি ভাবে সম্পর্ক সৃষ্টি করা যায়। কম্পুউটারগুলি চেষ্টা করবে বিশেষ বিশেষ মানুষের অনুভুতির অনুকরণ করে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক সৃটি করার। তবে এই অনুভুতিগুলি যেন বিভিন্ন উপায়ে কম্পুউটার নিজের থেকে বের করতে পারে [অর্থাৎ 'শাদী ডট কমের' মত ফরম পূরণ করে না]। এটা বুঝতে যেয়ে - মানুষ কি ভাবে চিন্তা করে সেটা বের করতে যেয়ে দেখলাম - আসলে আমরা খুব কমই নিজের স্বাধীন ইচ্ছা অনুসারে চিন্তা করি। 'Theory of Mind' বুঝতে যেয়ে মনে হলো আমারই যেন 'TOM Disorder' হয়ে যাচ্ছে।

    "আমরা যদি যোগাযোগের মাধ্যমে অপরপক্ষকে আমাদের ভালোমন্দ ঠিক করে নাই বোঝাতে পারলাম তাহলে সেক্ষত্রে নিজেদের ঘাড়েও কী কিছুটা দায়িত্ব বর্তায় না?"

    সাধারণ ভাবে তোমার কথাটা সত্যি - কিন্তু আমি এবং আর একজন কেমন হয়ে গড়ে উঠেছি তার পিছনে অনেক কিছু আছে যার উপর আমাদের ততটা হাত নেই। এই মন্তবের পরিমিত স্থানে ঠিক ভাবে সম্পূর্ণ কথাটা বোঝাতে পারবো না। তবে তোমার চিন্তার খোরাক হিসাবে বলছি - জন ম্যাকেইনের বাংলাদেশী মেয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বুদ্ধিমতি এক তরুনী। যদি তার জন্মের পর এই বড় পরিবর্তনটা তার জীবনে না আসতো - আজ কোথায় থাকতো সে?

    যাহোক, আশা করবো তোমারদের সবার কাছ থেকে এ রকম খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং এর ফলে একদিন হয়তো সত্যি আমার এই প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়ে যাবে।

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      সাইফ ভাই,
      আপনার মতো এতো গভীরভাবে ভাবতে পারিনা এখনো। আপনার উদ্যম আর তারুণ্য দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই আর ভাবি: দেশের মাটিতে আপনাকে পেলামনা কেনো... আপনার মতো দু চার জনই তো গোটা দেশটাকে পাল্টে দিতে পারতেন..

      'দুটো কম্পিউটারের মধ্যে ভাবনার যোগাযোগ' এই আইডিয়াটা আমাকে ভাবাচ্ছে...
      :salute:

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইফুদ্দাহার শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।