কিন্নরকণ্ঠী নদী

আবার ফেব্রুয়ারী – একুশ তারিখ, পঁচিশ তারিখ এক একটা দিন আসবে আর আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হতে শুরু করবে। এই তারিখগুলো আমাকে নিজের জীবনের সেই সময়গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।

সময়টা ১৯৯৯ সালের দিককার। হঠাৎ নোটিশে দেশে গিয়ে আবার আমেরিকায় ফিরে আসা। তখন ভগ্নপ্রায় আমার প্রতিনিয়ত জীবনমুখী হবার প্রাণান্ত চেষ্ঠায় নিত্য সহযোগী ছিল বই আর আধ্যাত্মিকতা। দুটোই বেশ সাহায্য করছিলো। সে সময়ে পড়া একটা বই এখনও মাঝে মাঝে উলটে পালটে দেখি। বইটার নাম ‘ WHEN THE WORST THAT CAN HAPPEN ALREADY HAS’। প্রচ্ছদে লেখা আছে বইটা জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম সময়কে জয় করতে সাহায্য করবে। আসলেও তাই। বইটিতে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে দুঃসময় এবং তা জয় করার গল্প বলেছেন। তা পড়তে পড়তে কখনো মনে হয়েছে আহা, আমার থেকেও লেখকের সময়টা কতো খারাপ গেছে, কিম্বা এই গল্পটা তো ঠিক আমার কথাই বলছে। অনুধাবন করলাম দুঃসময়ে বই খুব ভালো বন্ধু হতে পারে। হ্যাঁ, সেসময়টাতে আশেপাশে কাছের মানুষজন ছিল, সহযোগিতার হাত ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বাস্তব সত্যটা হলো এই যে যার যার জীবন তার তার। আমার দুঃখ, আমার সমস্যা ঠিক আমার মতো করে আর কেউই বুঝবে না। অনেকসময় সান্ত্বনা দিতে গিয়ে আমরা আরো কারো দুঃখ বাড়িয়ে তুলি। আমি ঠিক যে কথাটা শুনতে চাই বা যা শুনলে আমার উপকার হয় তা কেউ বলছে না। অথচ কোন না কোন বইয়ে ঠিক সে কথাটাই লেখা আছে। ঘটনাচক্রে বইটা ঠিক সময়ে আমার হাতে পড়েছিল।

কম্পিউটারে কাজ করতে করতে অনেক সময় প্যাচ লেগে গিয়ে জ্যামে আটকে পড়া গাড়ির মতো মনিটর কিংকর্তব্যবিমূ• হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কন্ট্রোল, অলটার, ডেল – এই তিনটা বাটন টনিকের মতো কাজ দেয়। ঠিক তেমনি আমাদেরও মাঝে মধ্যে কন্ট্রোল, অলটার, ডেলের দরকার পড়ে। একটা ভালো বই কিন্তু সেই টনিকের প্রতিস্থাপক হতে পারে। আবার দেখা গেল আশেপাশের কারো কোন কটু কথা শুনে মন খারাপ হচ্ছে, তখন বই ঘাটতে গিয়ে কোন এক উপন্যাসে হয়তো একই ঘটনার বর্ণনা দেখতে পেলাম। তখন বুঝলাম আমি একাই না এরকম অবস্থার মধ্যে অনেকেই যায়। এ ধরনের অনুভূতিটা মানসিক পরিপক্কতার পরিধি বাড়িয়ে দেয়। নিজেকেই বুঝে নিতে হয় কোন কথাটা মুছে ফেলবো আর কোন কথাটা তুলে রাখবো।

বই পড়লে চৈতন্যের উন্মেষ ঘটে, জ্ঞান বাড়ে -এরকম পোশাকি কথা আমরা সচারচ শুনে থাকি যার সত্যতা নিয়ে আমার কোনরকম দ্বিধা নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে বেশি পোশাকি কথা মনের মাঝে তেমন ভাবে গেঁড়ে বসে না। বই সম্পর্কে আমার সহজ সরল উপলদ্ধি হলো একটা ভালো বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়। একটা সুন্দর সিনেমা দেখলেও তো মন ভালো হয়ে যায় তবে বই পড়ার দরকার কি? এর উত্তরে আবার সেই পোশাকি শব্দ চেতনাকে টেনে আনতে হবে। সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে চোখ আর কান শুধু দুটো ইন্দ্রিয় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বই পড়ার ক্ষেত্রে শুধু তা চোখ দিয়ে দেখে গেলেই শেষ হয়ে যায় না, অনুধাবন করার জন্য সব ইন্দ্রিয়ের সাহায্যের দরকার পড়ে। ছাকনী দিয়ে যেমন চা পাতা থেকে নির্যাস নিংড়ে পেয়ালা পূর্ণ করি ঠিক ইন্দ্রিয়ের ছাকনী দিয়ে বই থেকে ভাবটুকু নিংড়ে নিজেদের ভেতর কখনো জ্ঞান কখনো চেতনা স্তর বৃদ্ধি করি। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যা কারো জ্ঞান বৃদ্ধি করে আর দার্শনিক বিদ্যা চৈতন্যের উন্মোচন ঘটায়। একটা জীবিকা খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে আরেকটা জীবনের মানে খুঁজে পেতে সাহায্য করছে। একটা বৈষয়িক চাহিদা পূরনে সাহায্য করে, আরেকটা কোথায় তার রাশ টেনে ধরতে হয়, কিভাবে নৈতিকতা বজায় রাখতে হয় সেটা অনুধাবন করতে শিখায়।

লেখার বাসনা থেকেই সিসিবির সাথে জড়িয়ে যাওয়া। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি কে কী লেখা কিম্বা কার কী মনতব্য তা দেখার। ব্লগের কারণে এখন আমরা অনেকেই লিখছি। ‘সব … কবি হতে চায়‘ – তারুন্যের উদ্দীপ্ত সময়ে এ কথা লিখে একবার এক কবি (মোহাম্মদ রফিক কি) বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন। কারণ তার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এক ক্ষমতাশালী শাসক। ব্লগের এই যুগে বর্তমানে প্রবীন সেই কবি এখন কী বলবেন? আমাদের জীবনে বিনোদনের একটা বিরাট অংশ বোধহয় গুগল, ব্লগের দখলে চলে যাচ্ছে। সামনে কী হয় তা জানতে খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

আরেকটা কথা সিসিবির সাথে শেয়ার না করলে সেটা আমার অপরাধ হয়ে যাবে। সিসিবিতে একবার একটা গল্প দিয়েছিলাম। নাম চিকিৎসা। বলতে গেলে সিসিবির কারণেই সেটাকে একটা উপন্যাসে দাড় করিয়েছিলাম। আজ শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় দেশে আমার আত্মীয় স্বজনের অতি উৎসাহে তার মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠান করছে। আমিও একজন লেখক — তারও আবার বই – বিষয়টা ভাবতেই কিঞ্চিৎ মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। বিদেশে থেকে বেঁচে গেছি। কেউ আমাকে দেখতে পারবে না। পঁচা ডিমও ছুড়তে পারবে না। যদিও জানি পঁচা ডিমের আশা করাটাও এক বিরাট বিলাসিতা – কার অতো সময় আছে?

বইটা লেখার সময় অনেকের অনেক মনতব্য ভালো লেগেছিল। লেখার সময় তার প্রভাব পড়েছে। আবার কিছু সমালোচনা ছিল তা তেমনভাবে উৎরে যেতে পারিনি। যেমন সানা ভাই, ফয়েজ একটা চরিত্র হিয়াকে আরোপিত বলেছিল। ঘটনার প্রয়োজনেই চরিত্রটা কিছুটা অচেনা হয়ে উঠেছিল অর্থাৎ কিছুটা আরোপিত রূপই ধারণ করেছিলো যেটা আমি হয়তো অতোটা পরিষ্কার করে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। নতুন একটা চরিত্রের সংযোজন ঘটেছে। নায়িকা ক্যাটরিনা মেলাতে না পেরে নায়কের নাম আর কাউয়ুম রাখতে পারলাম না। চরিত্রটা একজন আর্মি অফিসারের। এটা তৈরী করতে সাইফের ব্লগ আর তার মন্তব্যের সাহায্য নিয়েছি।

নীচে আমার বইয়ের প্রচ্ছদ দিয়ে দিলাম। হাশেম খান করাতে তা পুরোপুরি নীলের প্রভাব মুক্ত। প্রকাশনী হচ্ছে সাকী পাবলিশিং ক্লাব।
টুম্পা প্রকাশনী (স্টল#৪৬৬, ফোন 01720 174 446) তে বইটা পাওয়া যাচ্ছে।

Cover-Wahida_Final[1]

উপন্যাসের সারসংক্ষেপঃ

নদী আর মানুষের জীবনের কী আশ্চর্য মিল! দুটোই স্বতত প্রবাহিত। অথচ আঁকেবাঁকে অনবরত পরিবর্তন ঘটে চলছে। কখনও গতির, কখনওবা রূপ-বৈচিত্র্যের। এ উপন্যাসে উঠে এসেছে দুটো নারী চরিত্রের কথা। একজন অসামান্য আকর্ষনীয়, আরেকজন দশজনের ভীড়ে মিশে যাওয়া কেউ যাকে আলাদা করে চোখে পরে না। স্রোতস্বিনী জীবনের ধারায় পথে তাদের মিল হয়, বন্ধুত্ব হয়। অলক্ষ্যে একজন আরেকজনের আনন্দ, হাসি, বেদনা, দুঃখ-সুখের প্রভাবক হয়ে উঠে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। আরো আছে হাসানের মতো শান্ত-সৌম্য ভদ্র নিপাট মানুষ, সুমনের মতো রোমিও, সুজনয়ের মতো সুবিধাবাদী, আর রেজওয়ানের মতো আবেগপ্রবন দেশপ্রেমিক পুরুষেরা। যারা কোন না কোন ভাবে লাবনী আর হিয়ার জীবন-বলয়ে প্রাজ্জ্বল্যমান। তাদের উপস্থিতি ছাড়া ঘটনা এগোয় না। এছাড়াও প্রসঙ্গক্রমে এসেছে মানসিক রোগীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী, আর্মি-সিভিলিয়ান দ্বন্ধের কথা।

পথের মাঝে নদী মিলে আবার আলাদা হয়ে যায়। যে যার নিজের ছন্দে অবধারিত মোহনার দিকে এগিয়ে চলে। সেই শেষটা কেমন?
নদী তার চলার পথ আর পরিনতির জন্য কতোটা দায়ী? আর নারী?

সারাটা পথ গুনগুন করে গান গেয়ে পথ চলা মন-আবেশী এক কিন্নরকণ্ঠী নদীর জীবন কী আমরা পেতে পারি না?

২,৭৮৭ বার দেখা হয়েছে

৭৬ টি মন্তব্য : “কিন্নরকণ্ঠী নদী”

  1. মিশেল (৯৪-০০)

    অভিনন্দন শান্তাপু। দেশে গেলেই বইটা কিনে ফেলবো। হ্যাপী এন্ডিং হলেও লাবনীর বিট্রে করাটা কিংবা হাসানের মাফ করে দেয়াটা, দুটোর একটাও মেনে নিতে পারিনি কোনভাবেই। গল্পটা পড়েই মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই বোধহয় কিনেও পড়া হবেনা।

    অ.ট. সামনে বই থাকলে পড়া হয়না এমন হয় নাকি??? 🙂

    When the Worst That Can Happen Already Has

    থাঙ্কস আপু বইটার নামের জন্য। বইটা বোধহয় এই মুহুর্তে আমার খুব কাজে দিবে।

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      মিশেল আমার বড় গল্পটা ছিল ৩০ পৃষ্টার আর উপন্যাসটা ১২৬ পৃষ্টার। বুঝতেই পারছো অনেক কিছু যোগ করতে হয়েছে। ঘটনাও অনেক বদলাতে হয়েছে। কারন আমি নিজেও কনভিন্স হয়েছিলাম যে একজন লেখক হিসেবে আমার আদর্শকে তুলে ধরা উচিত। আমি শেষটা বলব না তবে তা আর আগের মতো নেই।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  2. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    শান্তা,
    অভিনন্দন - কিন্নরকণ্ঠী নদীর জন্যে। তোমার বইটা পড়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো। ঢাকা থেকে আনাতে সময় লাগবে। আমেরিকাতে কি পাওয়া যাবে? কোথায় টাকা পাঠাবো?

    তোমার এই লেখাটাও খুব সুন্দর। নতুনত্ব আছে। কম্পিউটার চাকরীতে ক্লান্ত হয়ে গেলে creative marketing চাকরীতে ভাল করবে। তোমার বই-এর প্রচ্ছদটাও খুব সুন্দর হয়েছে। হাশেম খান এখনো কত কার্যক্ষম - ভাবতে অবাক লাগে।

    ভাল থেকো।

    জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আপনার লেখা আমার ভালো লাগে, যদিও ভালো লাগাটা উচিৎ না। কারন আপনি প্রেমের মধ্যে মাহাত্ম্য খুঁজেন, আর আমি খুজি দীর্ঘশ্বাস। আপনার লেখায় একটা অতিসাধারন পরিবেশ খুজে পাই, লেখা পড়ে মনে হয়, এমন তো হতেই পারে, এই আর কি।

    আমি মনে প্রানে ধারন করি, একজন মানুষের সব কিছু আসলে শেয়ার করা যায় না। কিছু কিছু জিনিস থাকে একদম নিজের, হতে পারে তা আনন্দ, বেদনা বা কস্টের কোন জায়গা। এগুলো শেয়ার করতে গেলেই আশাহত হবার ভয় থাকে। আর যাই হোক, হৃদয় ছিড়ে তো আর কাউকে দেখানো যায় না, জায়গা দেখার আনন্দ কি আর ছবি দিয়ে হয়।

    অনেক কিছু লিখলাম, ভালো থাকবেন, শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  4. আন্দালিব (৯৬-০২)

    বিরাট বড়ো একটা অভিনন্দন আপু!!

    আপনার বইটা অবশ্যই কিনবো, কিন্তু অটোগ্রাফ পাবো না ভাবতেই আবার খারাপ লাগছে। (বইয়ের লেখককে আমি চিনি, এটা বলে ঠিকমতো ভাব মারতেও পারবো না! 😛 )

    গল্পটা আমি ব্লগে পড়ি নাই, মিস হয়ে গেছে হয়তো কোনোভাবে। একবারে বই পড়ে আপনাকে জানাবো কেমন লেগেছে। 😀 😀

    জবাব দিন
  5. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    অভিনন্দন আপু।
    এবারেরটা কিনবো।
    কিন্তু এর পর থেইকা উপন্যাসের নায়কের নাম কামরুল না হইলে আর কারো বই কিনুম না। 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    শান্তাপু, বইটা কি কোনভাবে অনলাইন থেকে কেনা যাবে?
    আদিব ভাইয়ের বইটা যেমন boi-mela.com থেকে কেনা যায়; এমন কোন সুযোগ থাকলে ভালো হতো। 😀
    অভিনন্দন রইলো আপু; দোয়া করি শতেক বইয়ের লেখক হন। 😛 (ক.রা.- ফয়েজ ভাই)


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. রকিব (০১-০৭)
    বই সম্পর্কে আমার সহজ সরল উপলদ্ধি হলো একটা ভালো বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়। একটা সুন্দর সিনেমা দেখলেও তো মন ভালো হয়ে যায় তবে বই পড়ার দরকার কি? এর উত্তরে আবার সেই পোশাকি শব্দ চেতনাকে টেনে আনতে হবে। সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে চোখ আর কান শুধু দুটো ইন্দ্রিয় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বই পড়ার ক্ষেত্রে শুধু তা চোখ দিয়ে দেখে গেলেই শেষ হয়ে যায় না, অনুধাবন করার জন্য সব ইন্দ্রিয়ের সাহায্যের দরকার পড়ে।

    বিশেষ করে, এই লাইনকটার জন্য আপনাকে :salute: আপু।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  8. তারেক (৯৪ - ০০)

    অভিনন্দন আপু।
    মেলায় এবারে আর যাওয়া হবে না। বইটা কিভাবে কালেক্ট করবো সেই চিন্তায় আছি। আপনি কি বইমেলা ডট কমে বইটার ডিটেইলস দিয়েছেন? না দিলে দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে প্রবাসীরা কিনে নিতে পারবে।
    বইটার জন্যে শুভকামনা অনেক। প্রথম বই প্রকাশ হবার আশ্চর্য অনুভুতিটা কদিন আগেই পেলাম আমিও, তাই আপনার ভাবনাটা বুঝতে পারছি এখন। 🙂


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      তারেক তুমি হচ্ছো আসলেও লেখক শ্রেনীয়।
      এখন থেকে দশ বছর আগে বই বের হলে তোমার মতোই উচ্ছাসটা থাকতো। বিশের কোঠা আর ত্রিশের কোঠায় প্রতিক্রিয়াটা বোধহয় আর একরকম থাকে না। তবে প্রকাশকের ইমেইল খুলে যখন দেখলাম যে এই দুদিনে নতুন হিসেবে বই নাকি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে তখন সত্যিকার অর্থেই ভালো লাগতে শুরু করলো।
      বই-মেলার মাধ্যমে বেচাকেনার কথা আমার প্রকাশককে বলবো।
      আমি এই ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশের ভালো ভালো ছবি্র প্রদর্শনী করতে চাচ্চিলাম। এই সাইডটা ক্লিয়ার আছে কিন্তু দেশে একজনের সাথে যোগাযোগ করলাম উত্তর পেলাম না।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  9. তারেক (৯৪ - ০০)

    এডুর কাছে একটা অনুরোধ-
    বইমেলায় এক্স ক্যাডেটদের বের হওয়া বইগুলোর বর্ণনা ও অনলাইনে পরিবেশকের ডিটেইলস সহ আলাদা একটা পোস্ট কিছুদিনের জন্যে স্টিকি করে রাখা গেলে ভাল হতো।


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
  10. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    শান্তা অভিনন্দন। তোমার মেইলও পেয়েছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে জবাব দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে তোমার বইয়ের মোড়ক উম্মোচণও হয়ে গেছে। বইমেলায় এখনো যাওয়া হয়নি। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে যাবো দুপুরের পরপর ফাঁকা মাঠে।

    আর বাকি মন্তব্য বইটা পড়েই না হয় করবো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  11. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আপু,

    সিসিবি'তে আপনার গল্পটা পড়িনি। কিন্তু এই রিভিউটা খুবই ভালো লাগল। মনে হচ্ছে, আপনার উপন্যাসটা কিনতেই এবার বই মেলায় যাওয়া লাগবে।

    অফটপিকঃ সিসিবি'র সব লেখকের বইয়ের তালিকা প্রকাশ করার প্রস্তাবটা সমর্থন করছি।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  12. তানভীর (৯৪-০০)

    আপনার বইটা পড়ে শেষ করলাম মাত্র। 🙂

    সিসিবিতে আপনার ধারাবাহিকটা পড়ার সময় যে মুগ্ধতাটুকু ছিল, বইটা পড়ার সময় সে মুগ্ধতা বিন্দুমাত্র কমেনি, বরং বেড়েছে। শেষটায় পরিবর্তন এনেছেন- এখন আগেরটার চেয়ে আরও বেশি ভালো লেগেছে। 🙂

    অফটপিকঃ শেষদিকে এসে রেজওয়ানকে এত গুরুত্ব দেয়া উচিত হয়নি, আমাদের ব্লগের রেজওয়ানের (৯৯-০৫) ভাব অনেক বেড়ে যেতে পারে। 😀
    ইয়ে....মানে....কাউকে যদি গুরুত্ব দেয়ার দরকারই ছিল, তাইলে আমার মত ভালো ছেলের কথা চিন্তা করতে পারতেন। O:-)

    জবাব দিন
  13. আপু, আপনার বইটা পড়লাম. অসাধারণ!! কভারে আপনার ছবিটা যেন সাক্ষাত দেবী প্রতিমা. একবার আপনার সাথে দেখা করে আপনার পায়ে ধরে সালাম করতে চাই, আপনার পায়ের ধুলো মাথায়ে নিতে চাই.

    জবাব দিন
  14. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    আপু বইটা যে পড়েছিলাম অনেক আগেই সেটা দেখি বলা হয় নাই। ব্লগে দেয়া গল্পটার থেকে কাহিনীতে পরিবর্তন এনেছেন সেটা ভালো লেগেছে, নয়তো অনেক বেশি প্রেডিক্টেবল হয়ে যেত, মানে আমরা যারা গল্পটা পড়েছি তাদের জন্য।

    আপনাদের তিনজনের বই নিয়ে রিভিউ লিখব ভাবছিলাম, সময় করে উঠতে পারছি না 🙁

    আপনার ই-মেইল আইডি আমাকে মেইল করে দিয়েন। আমার আইডি
    ofn_2195@yahoo.com

    কেন্দ্রীয় চরিত্র আমার নামে তাই বড় একটা থ্যাংকস B-)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আদনান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।