অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)
-ওয়াহিদা নূর আফজা

ক্যাডেট কলেজে আমার তিন বছরের জুনিয়র সেলিনা একদিন এই ব্লগটার সন্ধান দিল। সেই সাথে লিঙ্ক পেলাম ক্যাডেটদের লেখা প্রথম ই-বুকের। প্রথমে ই-বুকটা খুলে পড়তে বসলাম। লেখক যদি ধরে না রাখতে পারেন তবে কোনকিছু এখন আর শেষ পর্যন্ত পড়া হয়ে উঠেনা। অথচ এই ই-বুকটাতে চোখ এমনই আটকে গেল যে রাত প্রায় ভোর হবার উপক্রম। মনে হচ্ছিল কোন টাইম মেশিনে করে হঠাৎ করেই এই ২০০৯ থেকে পেছাতে পেছাতে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ এর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। একেকজনের লেখায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে ফেলে আসা নিজেদের সেই কৈশোরে, তারুন্যের প্রারম্ভের দিনগুলোতে। ই-বুক পড়ে মনে হলো একটা জায়গায় আমরা সবাই এক, আর তা হলো ক্যাডেট জীবন। সময় বা লিঙ্গ কোনটাই এই জীবনকে খুব একটা বদলে দিতে পারেনি। তাই আর অবাক হলাম না যখন অন্য আরেকজনের কলমে আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম। ঘটনার পাত্র পাত্রী অনেক টীচারকে আমাদের সময়ে আমরাও পেয়েছিলাম।

একজনের লেখায় বাংলার শিক্ষক শাহজাহান স্যারের কথা দেখলাম। ছেলেরা উনার উপাধি দিয়েছিল ক্লাসে ভালো প্রেপে পাগলা। ক্লাস সেভেনে আমরা যখন উনাকে পেয়েছিলাম তখন বোধহয় উনি কর্মজীবনের প্রাথমিক অবস্থায় ছিলেন। অসম্ভব আবেগী এই শিক্ষক ক্লাসে বলতেন,’ তোমরা এখনও পবিত্র আছ, কিন্তু যখনই একটু উপরের ক্লাসে উঠবে তখনই শয়তান হয়ে যাবে।’ এমনকি স্যারের ক্লাস নেওয়ার সময় পাশের ব্যালকনি দিয়ে উপরের ক্লাসের কোন আপা হেটে গেলে উনি মাঝে মধ্যে তাদের ক্লাসের ভিতর ডেকে এনে বেশ আচ্ছা করে বকে দিতেন। তাদের অপরাধ হলো স্যারকে দেখে নাকি তারা মুচকি হাসি আড়াল করবার চেষ্ঠা করেছিলেন। তখনও স্যার প্রেপে স্বাভাবিকই থাকতেন। উনার প্রেপে পাগলা হবার উপসর্গটা বোধহয় আমাদের ওখানেই প্রথম দেখা দেয়। স্যার হঠাৎ করেই একদিন প্রেপে আমার সাথে খুব রূ• আচরন করলেন। কেন করলেন বুঝলাম না। বিশেষ করে ক্লাসে একবার পাবনার ভাষায় কথা বলাতে আমি উনার খুবই স্নেহধন্য ছাত্রী হয়ে গিয়েছিলাম। এ ঘটনার পর পরই স্যার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে বদলী হয়ে চলে যান। পাঁচ বছর পর আমি যখন ক্লাস ইলেভেনে, তখন সদ্য শিক্ষা সফর শেষে ফৌজদারহাট ঘুরে আসা ক্লাস টুয়েলভের এক আপা বললেন স্যার নাকি আমার কথা খুব জিজ্ঞেস করছিলেন। পরের বছর অবশ্য স্যারের সাথে আমার দেখা হয়েছিল।
ক্লাস সেভেনে আরো পেয়েছিলাম ফারুক স্যার আর তৌহিদা ম্যাডামকে। ওনারা আমার হাউজ সদাচারের সাথে যুক্ত ছিলেন। স্যার খুব মজা করে বক্ততা দিতেন। আর আমাদের মতো নতুন ক্যাডেটদের কাছে ম্যাডামের ছিল মায়ের ইমেজ। উনারাও কিছুদিন পর বদলী হয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজশাহীতে।

প্রিন্সিপ্যাল করিমুদ্দিন স্যারের তত্বাবধানে যখন ১৯৮২ সালে মেয়েদের প্রথম ক্যাডেট কলেজের যাত্রা শুরু হলো, তখন শিক্ষকের তালিকায় প্রাধান্য ছিল সদ্য ভার্সিটি থেকে পাশ করা তারুন্যের যার অধিকাংশই ছিল ম্যাডাম। এখনও চোখে ভাসে সাদা শাড়ি লাল পাড় পরা মাহফুজা ম্যাডাম, বুশরা ম্যাডাম, মাফরুহা ম্যাডাম, ঝর্না ম্যাডাম, ইন্দু ম্যাডাম, রকিবুন্নেসা ম্যাডাম, শিপ্রা ম্যাডাম কিম্বা নুশরাত ম্যাডামের পরিপাটি প্রতিচ্ছবি। ম্যাডামেরা পড়ানোর পাশাপাশি পরিবার থেকে দূরে থাকা এক দঙ্গল টীন এজার মেয়েদেরকে সময়মতো শাসন করতে ভুলতেন না। তাই সেই সময় আমাদের মধ্যেকার সম্পর্কটা ছিল কিছুটা শাষক আর শোষিতের মতো। ছাত্রীরা আড়ালে আবডালে ওনাদের বিভিন্ন নামে ভূষিত করার পাশাপাশি তাদের অনুরকন করে নিজেদের মধ্যে মজা করতো। এখন যখন পেছনে ফিরে তাকিয়ে সে সময়টা বুঝতে চেষ্ঠা করি, তখন মনে হয় আমাদের সেই ম্যাডামরা ছিলেন তাদের সময়ের থেকে অগ্রগামী এক প্রজন্ম। তারা অধিকাংশই অবিবাহিত অবস্থায় চাকুরী জীবন শুরু করেছিলেন, চাকুরীরত অবস্থাতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর অধিকাংশই চাকুরী ছেড়ে চলে যাননি। বরং ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক কোয়ার্টারেই স্বামীদের নিয়ে সংসার শুরু করেছিলেন। এই পুরুষশাষিত সমাজে মাতৃতান্ত্রিকতার এক ব্যতিক্রমি জ্বলন্ত উদাহরন। সত্যি বলতে কি উনারাই ছিলেন আমাদের জীবনের প্রথম রোল মডেল।
মনে আছে একবার তিন হাউজে তিন টিউটর ম্যাডামদের থাকার নিয়ম চালু হলো। তারা তিনজন সব সময় একসাথে থাকতেন বা তখনকার ভাষায় বলতে গেলে এক জোট হয়ে মেয়েদের পেছনে লেগে থাকতেন। আমরা এই যন্ত্রণা পোহাতে না পেরে ওনাদের নাম দিলাম ছুড়ি, কাঁচি, দড়ি। সবচেয়ে ভয়ংকর যে ম্যাডাম, যিনি তীক্ষ্নতার কারণে ছুড়ি খেতাব পেয়েছিলেন, একদিন হঠাৎ করেই ওনার বিয়ে হয়ে গেলো এক কানাডা প্রবাসীর সাথে। ছুড়ির অভাবে কাঁচি, দড়ি ম্যাডামরা বাদর মেয়েদের সাথে হলে থাকাটা আর নিরাপদ মনে করলো না। তড়িঘরি করে শিক্ষক কোয়ার্টারে চলে গেলেন। আমরা হল মুক্ত হবার আনন্দে যখন আত্নহারা ঠিক তখনই শুনলাম তিনদিনের মাথায় ছুড়ি ম্যাডামের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। তবে উনি আর হলে ফিরে আসেননি। ক্যাডেট কলেজের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথায় চলে গিয়েছিলেন।

করিমুদ্দিন স্যার ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। দেখতেও সেরকম। তখন বলা হতো যে মেয়েদের ক্যাডেট কলেজটা চলছে শান্িতনিকেতনী ধারায়। কথাটা অনেকাংশে সত্যিও ছিল। কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই বলতে গেলে প্রায় সারাবছর ধরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগে থাকতো। আরো ছিল ঘন ঘন আউটিং, পিকনিক, শিক্ষা সফর আরো কত কি। সিনিয়রদেরকে কোন র‌্যাগিং করতে দেখিনি। আমাদেরকে দিয়ে তাদের কোন ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিতেন বলেও তখন তেমন একটা শুনিনি। দু একটা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকতে পারে। বরং খাকী ড্রেসের হাত গুটানো থেকে শুরু করে কিভাবে জুতা পালিশ করতে হয় তা উনারে হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তাদেরকে দেখে ক্যাডেটী কায়দায় সটান হয়ে না গেলে একটু বিপদ ছিল। পেছনে বেয়াদব ক্যাডেটের কালিমা পরে যেত। এছাড়া এমনিতে পুরো পরিবেশটা ছিল বেশ øেহজড়ানো। এটা আমি বলছি ১৯৮৫ এর দিককার কথা। সে বছরই প্রথম ব্যাচ ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা দিল। ক্যাডেট কলেজে তাদের অবস্থানকাল ছিল মাত্র দু বছর। কিন্তু তাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল বোধহয় আমাদের ক্যাডেট কলেজের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলম্বিত, হূদয়স্পর্শী, এবং বেদনাবিধুর। টেবিল, হাউজ আর কলেজ মিলিয়ে সারা সপ্তাহ ধরে যে বিদায় অনুষ্ঠানগুলো চলল তাতে বোধহয় রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের বিদায় বিষয়ক যতো গান আর কবিতা ছিল সবই একবার করে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিদায়ের আগেরদিন থেকে শুরু হলো কান্নার রোল। প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা ধরে কলেজের আকাশে বাতাসে, গাছের ডাল পালায়, দালানের ইট কাঠে বিউগলের মতো কান্নার সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। তখন আমরা সদ্য দুমাস আগে কলেজে ঢুকেছিলাম। মন এমনিতেই নরম। তাছাড়া ঐ ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট মারিয়ম আপা ছিলেন অসম্ভব ক্যারিশমাটিক। ঐ সময়টাতে উনি কলেজে তারকারও তারকা। আমাদের কারো দিকে একবার তাকালেই আমরা ধন্য হয়ে যেতাম। আর কথা বললে তো জ্ঞান হারাবার উপক্রম। অন্যসব কিছু ছাড়িয়ে মারিয়ম আপাকে আর দেখব না – এই ধ্রুব সত্যটা আমাদের মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই চারপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে আমরা চার রুমমেট নিজেদের গলা জড়িয়ে ধরে হু হু করে তার সাথে সুর মেলেচ্ছিলাম। সে বছর অতিরিক্ত ব্যবহারে বোধহয় সবার চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। কারণ পরের বছর আর তেমন কোন কান্নাকাটি হলো না। আর আমরা যে বছর বেরুলাম ১৯৯১ সালে, সে বছরতো কান্নাকাটি করার তো কোন মানুষই ছিল না। আমরা খুব অজনপ্রিয় ছিলাম ব্যাপারটা আসলে তা না। পরীক্ষার কারণে আমাদের ব্যাচ ছাড়া আর সবাই তখন ছুটিতে।

করিমুদ্দিন স্যার অবসরে যাওয়ার পর পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে সলিমুল্লাহ স্যার প্রিন্সিপ্যাল হয়ে এলেন। সেই সাথে দেওয়ান স্যার ভিপি। আমরা তখন ক্লাস নাইনে পড়ছিলাম। সেসময়টাতে অন্যান্য আর সব ক্যাডেট কলেজগুলো নিজ নিজ বোর্ডের মেধা তালিকার সব আসনগুলো পূর্ণ করে ফেলছে আর একমাত্র আমাদের ক্যাডেট কলেজের কোন পাত্তা নেই – এটা যে একটা গুরুতর অপরাধ সেটা এই প্রিন্সিপ্যাল-ভিপি জুটি আসার আগে খুব একটা বুঝতে পারিনি। ম্যাডামরা তখন একে একে মাতৃকালীন ছুটিতে যাওয়া শুরু করছিলেন। কলেজ কতৃপক্ষের মনে হলো আমাদের খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারন অনভিজ্ঞ মহিলা শিক্ষক এবং মাতৃকালীন ছুটির কারণে তাদের দীর্ঘ অনুপস্থিতি। এতে নাকি আমাদের শিক্ষার ধারাবাহিকতার বিঘ্ন ঘটছে। সুতরাং শুরু হলো ঢালাও শিক্ষক বদলী। অন্যান্য ক্যাডেট কলেজ থেকে দল বেঁধে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা আসতে লাগলেন। তারা বোধহয় এটাকে ডিমোশন হিসেবে নিয়েছিলেন কারণ আমাদের কোন কিছুই উনারা পছন্দ করতে পারছিলেন না। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা ইংলিশের হান্নান স্যার কথায় কথায় উনার পছন্দের ছাত্র শাঈফ আর শাক্লাঈনের প্রসঙ্গ এনে আমাদের স্টানডার্ড নিয়ে কটাক্ষ করতেন। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা প্রাণীবিজ্ঞানের ছোটখাট মহসীন স্যার খালি বলতেন, ’তোমাদের ক্যাডেট কলেজের মতো তোমাদের পড়াশোনার মানও খুব ক্ষুদ্র। মির্জাপুরে সব কিছুই অনেক বড় বড়।’ উনি কথা বলতেন খুব মৃদু স্বরে। ক্লাসের পেছন দিককার বেঞ্চে বসে ডাইসে দাড়ানো স্যারের খুব কম কথাই শুনতে পেতাম। প্রথম ক্লাসে উনার মুখভঙ্গি দেখে মনে হয়েছিল উনিও উনার তারকা ছাত্রদের সাথে তুলনা করে আমাদের তুলোধুনো করছেন। আমরাও অপরাধী মুখে স্যারের কথায় তাল দিয়ে উপর নীচে মাথা নাড়ছিলাম। পরে প্রথম বেঞ্চে বসা বায়নিক ওম্যান লুবনার কাছ থেকে শুনেছিলাম যে স্যার পুরো ক্লাস জুড়েই আমাদেরকে কেঁচো, কৃমি, জোক, তেলাপোকা, টিকটিকির মতো প্রাণীবিজ্ঞানে যতো নিকৃষ্ট প্রাণী আছে তাদের সাথে তুলনা করেছিলেন। অপমানটা সত্যি সত্যিই গায়ে লেগেছিল। এরপর স্যারের ক্লাসে একটু বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করলাম।
এদিকে ছুটি থেকে ফিরে আসা পুরনো ম্যাডামরাও আমাদের উপর খুব ক্ষ্যাপা। তাদের অনভিজ্ঞতার কারনে আমরা পরীক্ষায় খারাপ করছি এই অভিযোগ তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তারা মোটামুটিভাবে সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্েত আসলেন যে আমাদের পড়াশোনায় অমনোযোগীতার প্রধান কারণ আমরা আসলে নিজেরা ভাল রেজালট করার বদলে ভাল রেজালটধারী ক্যাডেট ছেলেদের নিয়ে সবসময় স্বপ্নে বিভোর থাকি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে উনারা নিজেদের সিদ্ধান্েতর সপক্ষে অকাট্য সব যুক্তি প্রমানও পেয়ে যাচ্ছিলেন।
তখন পুরো কলেজ হিন্দি ছবি কেয়ামত সে কেয়ামতের জ্বরে আচ্ছন্ন। এক সিনিয়র আপা নিজের আবেগ সইতে না পেরে ক্যাডেট কলেজ থেকেই পালালেন প্রেমিকের উদ্দেশ্যে। পরে অবশ্য সোয়ারী ঘাট থেকে উনাকে পাকরাও করা হয়েছিল।

৫,৫৬৯ বার দেখা হয়েছে

১১৫ টি মন্তব্য : “অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    সিসিবিতে স্বাগতম শান্তাপু 🙂
    অনেকদিন পর কলেজ লাইফ নিয়ে চমৎকার নস্টালজিক একটা লেখা পড়লাম :hatsoff: :hatsoff:
    আশা করি নিয়মিতই আমরা আপনার কাছ থেকে লেখা পাবো :clap:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)
    তখন পুরো কলেজ হিন্দি ছবি কেয়ামত সে কেয়ামতের জ্বরে আচ্ছন্ন। এক সিনিয়র আপা নিজের আবেগ সইতে না পেরে ক্যাডেট কলেজ থেকেই পালালেন প্রেমিকের উদ্দেশ্যে।

    =)) =)) =))
    আপনার লেখার স্টাইলটা জটিল ......

    জবাব দিন
  3. তখন পুরো কলেজ হিন্দি ছবি কেয়ামত সে কেয়ামতের জ্বরে আচ্ছন্ন। এক সিনিয়র আপা নিজের আবেগ সইতে না পেরে ক্যাডেট কলেজ থেকেই পালালেন প্রেমিকের উদ্দেশ্যে। পরে অবশ্য সোয়ারী ঘাট থেকে উনাকে পাকরাও করা হয়েছিল।

    জটিল লাগলো আপু :goragori: :goragori: :goragori:
    আপনার লেখার স্টাইলটা খুব ভালো লাগলো...
    দয়া করে লেখালেখি থামাবেন না... 🙂

    জবাব দিন
  4. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    শান্তাপু
    স্বাগতম, সিসিবিতে।
    অন্য কয়েকটা ব্লগে আপনার লেখা পড়েছি। আপনি যে খুব ভালো লিখেন এটাও জানি। সিসিবিতে নিয়মিত লিখবেন, এটা আমাদের দাবি।

    অনেকদিন পর সিসিবিতে কলেজ লাইফের স্মৃতিচারণ করে কেউ লিখলো। দারুণ।

    একজনের লেখায় বাংলার শিক্ষক শাহজাহান স্যারের কথা দেখলাম। ছেলেরা উনার উপাধি দিয়েছিল ক্লাসে ভালো প্রেপে পাগলা।

    হাহহাহা
    তার মানে ই-বুকে আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন। শাহজাহান স্যারকে নিয়ে এটা 'কোথায় পাবো তাদের' সিরিজে লিখেছিলাম। 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  5. রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা ইংলিশের হান্নান স্যার কথায় কথায় উনার পছন্দের ছাত্র শাঈফ আর শাক্লাঈনের প্রসঙ্গ এনে আমাদের স্টানডার্ড নিয়ে কটাক্ষ করতেন।

    :khekz: :khekz:
    এই সাইফ ভাই, গোলাম সাকলায়েন ভাইদের গল্প আমরাও শুনেছি... অনেক বেশি করে শুনেছি। সাকলায়েন ভাই (১৯৮৩-১৯৮৯) বোর্ডে সম্ভবত ডাবল ফার্স্ট স্ট্যান্ড ছিলেন, কলেজ প্রিফেক্ট ছিলেন, এখন ইউএসএ-তে থাকেন ডেট্রয়েটে।
    সাইফ ভাই (১৯৮২-১৯৮৮) কলেজ প্রিফেক্ট ছিলেন,এখন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস এর প্রফেসর বোধহয়...
    তাদের একবার দেখার আমার বড় শখ। সাইফ ভাই নাকি কোনদিন মিথ্যা বলেননি ক্যাডেট থাকা অবস্থায়। হান্নান স্যারকে আমরা ক্লাস সেভেনে পেয়েছিলাম রাজশাহীতে...

    আপু, আপনার কতদিন পর আমরা ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম... তবু গল্পে অনেক মিল!
    ক্যাডেট হওয়ার এইটা একটা মজা 😀 😀
    -----------------
    আরো লেখা চাই, আরো আরো... 🙂 🙂

    জবাব দিন
  6. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    তারা মোটামুটিভাবে সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্েত আসলেন যে আমাদের পড়াশোনায় অমনোযোগীতার প্রধান কারণ আমরা আসলে নিজেরা ভাল রেজালট করার বদলে ভাল রেজালটধারী ক্যাডেট ছেলেদের নিয়ে সবসময় স্বপ্নে বিভোর থাকি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে উনারা নিজেদের সিদ্ধান্েতর সপক্ষে অকাট্য সব যুক্তি প্রমানও পেয়ে যাচ্ছিলেন।

    এই লাইন দুইটায় সবচেয়ে মজা পাইছি 😀 😀 😛 😛 ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  7. সামি হক (৯০-৯৬)

    আপা, হান্নান স্যারের কথায় কিছু মনে করার নাই, স্যারের সাইফ ভাই আর সাকলাইন ভাইয়ের গল্পের হাত থেকে আমরাও রেহাই পাই নাই। স্যারের কাছে এই দুইজন হলো আদর্শ ক্যাডেট। স্যারের ছেলে আমাদের ব্যাচমেট ছিল।

    জবাব দিন
  8. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এক সিনিয়র আপা নিজের আবেগ সইতে না পেরে ক্যাডেট কলেজ থেকেই পালালেন প্রেমিকের উদ্দেশ্যে।

    আহারে, আগে মেয়েরা কত্ত ভাল ছিল...কাশ মেরে "ইয়ে" ভি এইসি হোতি... 🙁 🙁 🙁

    জবাব দিন
        • ভাইয়া,
          খিয়াল করবেন যেন অর্থবোধক শব্দ উচ্চারিত হয়।
          :gulti: :gulti:
          -----------------

          :goragori: :goragori: :goragori:
          আপু, আপনি হয়ত আমাদের ব্লগের এই জামাই মাসরুফ ভাইকে চিনেন না... পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি...
          ইনি মাসরুফ ভাই।। তার অনেক গুণ... এত্তো গুণ লিখার সময় নাই। সময় হলে জেনে যাবেন-- কিন্তু তার বড় গুণ তিনি এই ব্লগের মেজ জামাই... 😀 😀

          বড় জামাই ভাইয়া ইতোমধ্যে কমেন্ট করেছেন।। ছোটটা এখনো আসে নাই, মনে হয় রাতে আসবে 😛

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            খিয়াল করবেন যেন অর্থবোধক শব্দ উচ্চারিত হয়।

            আমি এমুন টিউবলাইট এখনো বুঝিনাই 🙁 🙁 🙁 দুর্দান্ত ভাল মানে খুব বেশি ভাল-এইডার মানে না বুঝনের কি আছে???

            অফ টপিকঃ
            ১) এই কমেন্টের সাথে সাথে তোরে ডিঙ্গাইয়া আমি সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হইলাম B-)
            ২) ব্লগের বড় জামাই কিডা? আমি আদি জামাই সামি ভাইরে চিনি (উনি ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের আপন জামাই-সত্যি সত্যি।উনার থিকাই ব্লগে জামাই নামের প্রচলন)। সামি ভাই তো কমেন্টান নাই এখনো। আর কাইয়ুম্ভাই তো সিসিবি চিরকুমার সভার সভাপতি তুই কারে কি কস??? :-/ :-/
            ৩) বেশি তেরিবেরি করলে কিন্তু "**"(সাজিদ ভাইয়ের খুলনার সেই শব্দ) মাইর খাবি।

            জবাব দিন
  9. দিহান আহসান

    আপু যদিও শেষটা দিয়ে শুরু করেছি আমি, তারপরও দুইটাই চমৎকার লাগলো।
    পড়তে পড়তে লেখার মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিলো, আমি ক্যাডেট না হয়েও আপনাদের পুরানো দিনে চলে গিয়েছিলাম। 🙂 :clap:
    আরো লেখার দাবী জানালাম আপনার কাছে।

    জবাব দিন
  10. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    তোমাদের কথাবার্তা ভালই লাগতেছে। নতুন জেনারেশনকে বোঝার সুযোগ পাওয়া যাবে মনে হয়। শব্দের ম্যারপ্যাচ সব সময়ই ছিল। এই যেমন আমাদের সময় ফুজি।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  11. হাসান (১৯৯৬-২০০২)
    এক সিনিয়র আপা নিজের আবেগ সইতে না পেরে ক্যাডেট কলেজ থেকেই পালালেন প্রেমিকের উদ্দেশ্যে। পরে অবশ্য সোয়ারী ঘাট থেকে উনাকে পাকরাও করা হয়েছিল।

    তারপর কি হয়েছিল? ঝাতি ঝানতে ছায় 🙂

    ব্লগে স্বাগতম 😀

    জবাব দিন
  12. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অসাধারণ স্মৃতিচারণ শান্তা। আমরা যখন বের হই তখনো তোমাদের কলেজ শুরু হয়নি। তাই আজকালের পোলাপাইনের মতো এমজিসিসি নিয়ে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তোমার লেখায় সেটাও ঘুরে এলাম। :hatsoff:

    এখানে পড়লাম তোমাকে কেউ কেউ শান্তা নামে ডাকছে। আমিও না হয় এই নামেই ডাকি।

    ও আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করলাম! কেউ তোমাকে মনে করিয়ে দেয়নি যে সিসিবির একটা শৃঙ্খলা আছে! এখানে ব্লগ শুরু করলে প্রিন্সিপালের সম্মানে ১০টা :frontroll: দেওয়ার একটা নিয়ম আছে। তবে এমজিসিসির জন্য :frontroll: নাকি কষ্টকর! তাই প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫টা মটর সাইকেল চক্কর!! দিয়া দাও। আফটারঅল আমাকে তো শৃঙ্খলাটা রক্ষা করে যেতেই হবে! প্রিন্সিপাল বলে কথা ......... ~x(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  13. সেলিনা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    শান্তা আপু,
    সালাম।
    ব্লগে স্বাগতম। আপনার লেখার ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই, সেটা তো আগে থেকেই অসাধারণ।
    প্লিজ যা যা মনে আসে লিখে ফেলেন, দরকার হলে বিভিন্ন এডিশন করা যাবে।

    মারিয়াম আপার কথা আমরাও এত শুনেছি মাঝে মাঝে মনে হয় কলেজে উনাকে দেখেছি।

    জবাব দিন
  14. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    তাই আজকালের পোলাপাইনের মতো এমজিসিসি নিয়ে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই

    বেচারা সানা ভাই! আহা সেই আইসিসিএলএম এম, আহা কিন্নরীকণ্ঠী আফরোজের সেই "খোল খোল খোল গো দুয়ার" 😡 😡 😡

    অফ টপিক- আফরোজ , দোস্ত মাপ করে দিস ;;)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মনসুর আহমেদ (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।