এইচ এস সি এবং তারপর

রায়হান আবীরকে বলেছিলাম এইচ এস সি আর তার পরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট দেবো। সদ্য পাস আউট করা করা ক্যাডেটরা এই পোস্টের উদ্দেশ্য। আমি বলবো না এটা করো না, ঐটা ভালো না বা ভালো। উপদেশ দেয়া কঠিন কাজ, ভুল হলে দায়টা নিজের উপর এসে পড়ে। আমার মতামতও দেব না, শুধু নিজের অভিজ্ঞতাটা বলবো। যে যার মতো বুঝে নিক। কারো সিদ্ধান্ত নেবার সময় এই অভিজ্ঞতা থেকে যদি সাহায্য পায় তাহলে আমার ব্লগর ব্লগর কিছুটা হলেও অর্থ খুঁজে পাবে।

কোথা থেকে শুরু করি? এইচ এস সি-র টেস্ট পরীক্ষা থেকেই শুরু করা যাক। টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেবার পর দেখলাম টেনেটুনে ফার্স্ট ডিভিশান, এস এস সি-তে যা রেজাল্ট করেছিলাম ধরে রাখাটা কষ্টকর হবে। টনক নড়লো, মন লাগিয়ে পড়া শুরু করলাম। এইচ এস সি পরীক্ষার সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর্মিতে যাবো। আর্মিতে চান্স পাবো না – একথা কখনোই মনে হয়নি। পরীক্ষায় ভালো করাটা আমার কাছে তাই মুখ্য বিষয় ছিল না। তবু মা যেন কিছু বলতে না পারেন সে জন্য পরীক্ষাটায় অন্তত এস এস সি-র মার্কটা ধরে রাখার ট্রাই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পড়ে টড়ে ভালোই দিলাম এইচ এস সি। রেজাল্ট ভালোই হলো। ময়মনসিংহের ছেলে আমি, এইচ এস সি-র পর ঢাকায় চলে আসলাম আই এস এস বি কোচিং করার জন্য। আর্মিতে চান্স পাবোই – এই রকম একটা অন্ধ কনফিডেন্স ছিল। অন্য কিছুর কথা তাই সেভাবে চিন্তা করিনি। তবু ব্যাক আপ প্ল্যান হিসাবে প্রথম চয়েস ছিল আই ইউ টি, দ্বিতীয় চয়েস ছিল বুয়েট। আই ইউ টি-কে চয়েস করার কারণ ছিল এর পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা এবং সেশন জ্যামহীনভাবে পাস করার নিশ্চয়তা। বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফর্মও তুলি নাই, ইচ্ছা ছিল আর্কিতে পড়বো। আর্মি এবং আই ইউ টি- দুটোই ছিল আমার নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো অর্জন করার সিঁড়ি, ওগুলো আমার প্যাশন ছিল না। প্যাশন ছিল আর্কি, তবু ওটাকে তালিকায় তিন নম্বর স্থান দিয়েছিলাম ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলোকে প্যাশনের থেকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার কারণে। প্ল্যান এবং ব্যাক আপ প্ল্যান শেষ, এখন এক্সিকিউশন।

৫১ লং কোর্স আই এস এস বি দিলাম এবং পাস করে ফেললাম। বই পত্র গুছিয়ে ফেললাম। পড়াশোনা থেকে আপাতত ছুটি। প্রত্যেকদিন বিকালে আর্মি সুইমিং পুলে যাই, সাতাঁর কাটি। বাকি সময় আড্ডা দেই, মধুর জীবন। এর মাঝে মেডিক্যাল শুরু হল। কাশি দেয়াল, লাইটও মারল। সবকিছু সহ্য করলাম, এবং ধরাটা খেলাম এখানেই। আমার পায়ের শিরাতে একটা সমস্যা আছে। লম্বা এবং শুকনো হওয়াতে পায়ের শিরায় রক্তচাপ অনেক বেশি থাকে। শিরার এই বেশি চাপটা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকায় সেটা ফুলে যায়। ডাক্তারী ভাষায় বলে ভেরিকস ভেইন। খুব জটিল সমস্যা না, অপারেশন করলেই হলো। যে ডাক্তার আমাকে দেখছিলেন, তাঁর পদমর্দাযা ছিল কর্নেলের। আমাকে বললেন অপারেশন না করলে আমাকে ক্লিয়ারেন্স দিতে পারবেন না। পেশাদারী আলোচনা শেষ করে আমাকে রেজাল্টের কথা জিজ্ঞাসা করলেন। বলার পর বললেন, তোমাকে একজন আর্মি পারসন না ওয়েল উইশার হিসাবে বলছি অপারেশনটা তুমি করিয়ো না, বাইরে ক্যারিয়ার খুঁজে নাও। তাঁর এই কথা আমাকে টলাতে পারেনি, বাসায় এসে বললাম অপারেশন করাবো। মা-বাবা বেঁকে বসলেন। গোঁ ধরে রইলাম দুই দিন। বাসায় মা-বাবার সাথে আলোচনা, যুক্তি-তর্ক চলে। তাঁরা আমাকে অপারেশন করাতে দেবেন না, আমি যেকোন মূল্যে যাবোই। একদিন সকালে বাবার সাথে চা খাওয়ার সময় আলোচনা চলছিল। বাবা হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন, আমি বুঝে গেলাম তাঁদের বোঝানো সম্ভব হবে না। সুতরাং আর্মি বাদ। এখন আমার সেকেন্ড চয়েজ আই ইউ টি।

আই ইউ টি-তে তখন ভর্তি পরীক্ষা হতো না। ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির মার্কের ভিত্তিতে স্টুডেন্ট নেয়া হত। আমার গড় মার্ক ফাটাফাটি রকমের ছিল না, তবে ভালোই ছিল। ভর্তি হতে পারবো না মনে হয়নি। কিন্তু আমাদের ইনটেকে কোন এক কারণে আই ইউ টি বিরাট হিট হয়ে গেল। আই বি এ, মেডিক্যাল এবং বুয়েট ছেড়ে পোলাপান আই ইউ টি-তে ভর্তি হচ্ছে। প্রতিযোগিতা বেশি। চার চারটা লিস্টেও আমার নাম এলো না। ভালোই চিন্তায় পড়ে গেলাম। এবং পড়াশোনা শুরু করে দিলাম। এদিকে ফর্ম তুলেছি শুধু বুয়েট আর্কির। কিছু শুভাকাঙ্খী বন্ধু আমার ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত ছিল। কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চান্স পাবো না এরকম ছাত্র ছিলাম না, ওদের মতে আমার ইঞ্জিনিয়ারিং-এই যাওয়া উচিত। আমার যুক্তি ছিল, বুয়েটে সেশন জট থাকবে। সেশন জটে যেহেতু পড়বোই, সুতরাং আমি আমার প্যাশনকেই বেছে নিলাম, শুধু শুধু চারশো টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ফর্ম কেনার কি দরকার। খুব আত্নবিশ্বাসী ছিলাম, পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাবো না এরকম মনে হয়নি কখনো। আরেকটা যুক্তিও ছিল আমারঃ এইম স্মল, মিস স্মল। বয়েসের ঔদ্ধত্য কিছুটা ছিল বোধহয়। পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশ ভালোই হচ্ছিল। আই ইউ টি-র আশা ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু ফিফথ লিস্টে নাম চলে আসল। এবং ভর্তি হয়ে গেলাম। যেদিন বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা ছিল, ওইদিন আই ইউ টি-তে ওরিয়েন্টশনে গেলাম পরীক্ষা দিতে না যেয়ে। আমার কয়েকটা বন্ধুর চোখে আমি তখন নিজের পায়ে কুড়াল মারা এক গর্দভ। কেয়ার করবো না ভাবি, কিন্তু গায়ে এসে লাগত। তবু রক্ষা কিছুটা বন্ধু মহলের মধ্যে আশিক আই ইউ টি-তে ভর্তি হওয়ার কারণে। আমাদের ব্যাচের ফার্স্ট বয় এবং ঢাকা বোর্ডের থার্ড স্ট্যান্ড। ওর মতো হাই প্রোফাইল ছাত্র এবং আমার ডিসিসান এক হওয়াতে মির্জাপুর মহলে খুব একটা অসুবিধা পোহাতে হয়নি তখন। আমার বন্ধুরা অবশ্য আমার ভালোই চাইত, তাই আমার গোয়াঁর গোবিন্দ মার্কা কার্যকলাপ তাদের খুব একটা পছন্দ হয়নি। আমার জন্য ওরা কেয়ার করতো বলেই ওরা আমার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল।

আই ইউ টি থেকে পাস করে আমি এখন কানাডায় মাস্টার্স করি, শেষের পথে। গবেষণার বিষয় মেশিন ভিশন, আরো স্পেসিফিক্যালিঃ সারফেস রিকন্সট্রাকশন এন্ড অটোমেটেড থ্রিডি মডেলিং। আর ব্যক্তিগত লক্ষ্য যা যা ছিল, তা সবই অর্জন করতে পেরেছি এখন পর্যন্ত। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার জীবনটা এখন পর্যন্ত তাই সাকসেস স্টোরি হিসাবেই আছে। এখন মনে হয় সাফল্যের সংজ্ঞাটাও দিতে হয়। আমার মতে সাফল্য হলো সুখী থাকা। অবশ্য আমার এক রসিক প্রফেসর ক্লাসে বলেছিলেন, মানি ইজ এ স্টুপিড মেজার অব সাকসেস, আনফরচুনেটলি দিস ইস দ্য অনলি মেজার উই হ্যাভ। অভিজ্ঞতার ঝুলি খুব বড় হয়নি এখনো। তবু নিজের চোখে দেখা ঘটনা থেকে বলতে পারি, টাকা থাকলেই সাফল্যমন্ডিত হওয়া যায় না। টাকাওয়ালা অসুখী মানুষ দেখেছি দু’একজনকে। সুখী থাকাটাই আসল। সবার সেজন্যই চেষ্টা করা উচিৎ, জীবন তো একটাই, তাই না?

উচ্চ নম্বরের সিঁড়িঃ
এখন পোস্টের সামারাইজেশনঃ
১। জীবনের চাওয়াটুকু বুঝে নিতে হবে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এর ফলাফল কি কি আসতে পারে সে ব্যাপারে নিজের মনকে প্রস্তুত রাখতে হবে। আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলতে গেলে, ধরা যাক কেউ আর্মিতে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করছে। শারীরিক কষ্ট এবং আর্মির অন্যান্য হার্ডশিপের কথা তখনই মাথায় রাখতে হবে এবং নিজে আর্মিতে যেতে চাওয়ার কারণের সাথে সেগুলো তুলনা করতে হবে। যদি মনে হয় যাওয়া যায়, তাহলে মানসিকভাবে হার্ডশিপগুলো সহ্য করার প্রস্তুতি নিতে হবে। মোদ্দা কথা, ইনফর্মড ডিসিসান নিতে হবে এবং ডিসিসানের আউটকাম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।

২। প্ল্যান এবং ব্যাক আপ প্ল্যান রাখতে হবে। প্ল্যান করার সময় নিজের শক্তি, দুর্বলতা এবং পছন্দকে মাথায় রাখতে হবে। এই তিনের অপটিমাইজেশনে বেস্ট প্ল্যান হাতে নিতে হবে। প্ল্যান করার সময় প্ল্যানগুলো স্পেসিফিক করা ভালো, এক্সিকিউশনে সুবিধা হয়। তোমার প্ল্যান যদি খুব স্থিরলক্ষ্য হয় তবে তা মিসফায়ার করার সম্ভাবনা কম। এইম স্মল, মিস স্মল।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইংরেজি শব্দের ব্যবহার বেশি হয়ে গেছে, সেজন্য দুঃখিত। বাংলা বই পড়ি না অনেক দিন, শব্দভান্ডার থেকে অনেক শব্দ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। ভালো থাকবেন সবাই।

৫১ টি মন্তব্য : “এইচ এস সি এবং তারপর”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    প্ল্যান এবং ব্যাক আপ প্ল্যান রাখতে হবে। প্ল্যান করার সময় নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা এবং পছন্দকে মাথায় রাখতে হবে। এই তিনের অপটিমাইজেশনে বেস্ট প্ল্যান হাতে নিতে হবে।

    জটিল, এইটাই মনে হয় মূল রহস্য।
    যেহেতু তৌফিক পুরোটাই নিজে নিজে ঠিক করেছে প্ল্যানিং এর ব্যাপারটা ওর নিজের ক্ষেত্রে, তাই এর পুরো কৃতিত্বই ওর প্রাপ্য। আফসোস লাগে একটাই, নিজের বুদ্ধিতে সেই আমলে এসব আসেইনি 🙁 আর ধরিয়ে দেবার মতোনও কেউ ছিলেননা 🙁
    খুব খুব কাজে লাগবে, শুধু নতুনদেরই নয় আমার মত ভুক্তভোগীদেরও।
    :hatsoff:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      আমি একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। এইচ এস সি পাস করা পোলাপানদের থেকে সিনিয়াররা কি বলেন সেইটাই আমার চিন্তার বিষয় ছিল। হাজার হইলেও আপনাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, আপনারা অনেক ভালো বলতে পারবেন এ ব্যাপারে। খুব উৎসাহ পাইলাম কাইয়ূম ভাই। আপনার র‌্যাপিড পোস্ট আসতেছে ইনশাল্লাহ। (খালি ট্রেলার দিতাছি, কবে যে রিলিজ দিমু!)

      অনেক ধন্যবাদ। :hatsoff:

      জবাব দিন
  2. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    আমি ব্যাক্তিগতভাবে জিহাদের মতটাকেই ভালো বলব।
    এইমলেস থাকাটাই ভালো। স্বপ্ন বদল হয় বদল হয় দৃষ্টিভঙ্গি। অবশ্যি আমার মত যারা তাদের জন্য এই পরামর্শ।
    তৌফিকের গল্পগুলো আগেই জানতাম। কখনো যা বলিনি আজ বলে গেলাম.......... :salute: তৌফিক।

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    তৌফিক, খুব সুন্দর করে লিখেছ।
    আমার কাছে মনে হয় জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই যেমন আমি নিজেও জানিনা আমার জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত! 🙁 যদিও দেশের বাইরে যাবনা এইটা মোটামুটি নিশ্চিত। 😀

    আমার মতে সাফল্য হলো সুখী থাকা।

    সহমত। :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  4. আহারে আমাকে যদি কেউ এগুলো বলত !!
    :(( :((

    এইম ছিল যার সবগুলাতে ভেজাল হইছে। এই আমি যে কি থেইকা কি করছি ভাই, ভাইংগা কইলে আপনারাও সহদুখী হবেন আমি নিশ্চিত। ভাবতেছি সময় পাইলে সেই ব্যখ্যা দিয়া একটা পোস্ট দিয়া দিবো...

    হয়ত শিরোনাম দিতে পারি, " জাহাজ যখন সবার, আমার তখন ডিঙ্গি "...

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কখনোই এইম ছিল না, এখনো নাই বলা যায়... hsc রেজাল্টের আগেই issb তে ডাক আসলো, কিভাবে জানি চান্স পেয়ে গেলাম, সাথে সাথে অন্য সব চিন্তা ভাবনা বাদ... যদিও আর্মি সম্পর্কে ক্যাডেটদের সাধারণ ধারনা থাকে তার থেকেও কম ছিল... শর্টকাট ভেবেই এগিয়ে যাই... ট্রেনিং নিয়ে একটু ভয়ও ছিল, তবে ট্রেনিং এর সময় আমার শারীরিক ও মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা দেখে সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম আমি নিজেই। এখনও নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়... তবে জানি না ভবিষ্যতে কি হবে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      আমিও এইচ এস সি-র আগেই ডাক + চান্স পেয়েছিলাম। রেজাল্ট আসলে পরে সিদ্ধান্তের উনিশ বিশ কিছু একটা হয়নি।

      নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়

      তার মানে তুই সুখেই আছোস, এবং আমার বিচারে তুই ১০০ ভাগ সফল। সাফল্যটাকে ধরে রাখিস।

      জবাব দিন
  6. ‍েতামার কথাগুলা পোলাপা‍‍‍নের কা‍‍জে লাগবে আশা‍করি। কিন্তু ক'জন আর সিসিবি পড়তে পা‍রে ব‍‍‍‍‍লো এই অভিজ্ঞতাগু‍‍লো একসা‍‍‍েথ যদি পোলাপা‍নের নাগা‍লের মধ্যে ‍পৌছানো যায় তাহলে সত্যি কাজে আসবে।

    আমার মনে হয় কি, একটা ড্রাইভ থাকা খুব জরুরী, কে কোথায় আছে(সামরিক পেশা বা স্নাতক শিক্ষার বিষয়) ততটা গুরুত্বপূর্ন না। নিজের পছন্দের কিছু করার প্রবল আকাংঙ্ক্ষা আর সেটাতে লেগে থাকাটা খুর দরকার মনে হয়। বাকিটা কপা‍ল টেনে নিয়ে যায়।

    চমতকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  7. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    তৌফিক, তোর সাথে আমার লক্ষ্যের অনেক মিল ছিল। আমারও ১ম টার্গেট ছিল আর্মি তারপর আই ইউ টি। একসাথে আই এস এস বি দিয়েছিলাম। দুজনেই টিকে গেলাম। মেডিকেলও একসাথেই দিলাম। মনে আছে সেই সময়ের কথা।
    আই ইউ টি তে প্রথম লিস্টে নাম আসলো। বিপদে পড়লাম তখনি। কোনদিকে যাই...... আর্মি না আই ইউ টি......?????? এই চিন্তায় ৩ রাত নির্ঘুম ছিলাম। অতঃপর ঝাপিয়ে পড়লাম...... " আল্লাহু আকবর" বলে আর্মিতে.........।।
    :gulli2:

    জবাব দিন
  8. এহসান (৮৯-৯৫)
    আমার মতামতও দেব না, শুধু নিজের অভিজ্ঞতাটা বলবো। যে যার মতো বুঝে নিক। কারো সিদ্ধান্ত নেবার সময় এই অভিজ্ঞতা থেকে যদি সাহায্য পায় তাহলে আমার ব্লগর ব্লগর কিছুটা হলেও অর্থ খুঁজে পাবে।

    তোমার ব্লগের এইমটা ভালো লাগছে। লেখাও ভালো হইসে।

    আর তুমিতো দেখি বেশ সফল মানুষ। তোমাকে অভিনন্দন। তোমার আগামী দিন গুলোও যেন সাফল্যময়/সুখময় হয় এই দোয়া করি।

    জবাব দিন
  9. সামিয়া (৯৯-০৫)

    বহু দিন পর ঢুকেই আপনার দুই দুইটা লিখা!!
    আপনার পোস্ট নিয়ে আর কিসু বললাম না, একদম স্ট্রেইটকাট বলে দিলেন যা বলতে চান।
    আমার শুধু মনে পড়ে, স্থাপত্য নিয়ে একসময় আমার উথাল পাথাল অবস্থা ছিল, আপনি তখন আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছিলেন। তারপর থেকে আমার মনে হয়, কি আছে দুনিয়ায়, মরে তো আর যাচ্ছি না। আমি আমার মত কাজ করে যাই, আমার পছন্দটাকে খুঁজে যাই।
    এবং আসলেই, সাফল্য আসলে সুখ।
    ধন্যবাদ আপনাকে, ধন্যবাদ সবাইকে B-)

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      সামিয়া তোমারে মনে মনে খুঁজতেছিলাম। বিতর্ক করতা/ কর নাকি, যেমনে ধন্যবাদ আমারে, ধন্যবাদ সবাইরে দিলা? 😀

      তোমার জন্যও একটা ব্লগ আসিতেছে। খোমাখাতায় ছবি দেখে কানাডায় একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন নিয়ে একটা লেখা দিতে বলছিলা, মাথায় আছে কথাটা।

      (আরেকটা ট্রেলার......আমারে যে কি করা উচিত 😡 )

      জবাব দিন
  10. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    তৌফিক ভাই, বড়ই সুন্দর লিখছেন। আমারও এইভাবে নিজের কথা লেখা উচিত ছিল। :bash:

    তবে এতোকিছুর পরও আমি নিজেই জীবনে লক্ষহীন। অতীতের দিকে তাকালে দেখি অলটাইম স্রোতের সাথে ভেসে চলছি। কখনও খ্রাপ জায়গায় ফেলে নাই। 🙂 যদিও ভবিষ্যতে যে ফেলবে না, তার নিশ্চয়তা নাই 🙁

    হ্যাট্রিকের অভিনন্দন। বুক রিভিউ আর এইটা পড়লাম। :thumbup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।