ঘটনার সূত্রপাত জাহিদ ভাইয়ের পোস্ট থেকে। উনি এনালজি হিসাবে একটা গাড়ির উদাহরণ দিয়েছিলেন। গাড়িটা যদি উপরে উঠতে চায় তাহলে অসীম বল লাগবে এটা ছিল জাহিদ ভাইয়ের দাবী। আমি দ্বিমত করেছিলাম এবং বলেছিলাম এ ব্যাপারে সময় করতে পারলে পোস্ট দেব। আমি আবার খুব কথা রাখা পোলা :p । কথা দিলে কথা রাখি। সুতরাং এই পোস্টটা জাহিদ ভাইয়ের জন্য।
আমি যে প্রশ্নটার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো, শুধু চাকার টর্ক ব্যবহার করে একটা গাড়ির পক্ষে দেয়াল বেয়ে উঠা সম্ভব কিনা। উত্তর হচ্ছে, সম্ভব না, সাধারণ একটা গাড়ির জন্য। নিউটনের বলবিদ্যা দিয়ে প্রমাণ করা যায়, কিন্তু করতে ইচ্ছা করছে না। ডিটেইলস দিয়ে লোকজনকে বোর করবো না, তবে সমীকরণ বাদ দিয়ে ভাষায় বলি বরং।
একটা গাড়ি চাকার টর্ক ব্যবহার করে সামনে বাড়তে পারে, কারণ গাড়িকে সামনে বাড়তে সাহায্য করে ঘর্ষণ। ঘর্ষণের কারণ হচ্ছে গাড়ির ওজন। গাড়ির ওজনকে প্রতিহত করার জন্য রাস্তা একটা “প্রতি বল” প্রয়োগ করে, যেটার সাথে ঘর্ষ বল সমানুপাতিকভাবে জড়িত। উলম্ব একটা দেয়ালে গাড়ির চাকা আর দেয়ালের মধ্যে “প্রতি বল” থাকতে হবে যদি চাকার টর্ক গাড়ির ওজনকে উলম্বভাবে বহন করতে চায়। সাধারণ সেট আপে এটা সম্ভব না। “প্রতি বল” সৃষ্টি করার জন্য কিছু একটা লাগবে। জাহিদ ভাইয়ের পোস্টে আমার দেয়া ইউটিউব ভিডিওতে যে গাড়িটা দেখানো হয়েছে দেয়াল বেয়ে উঠছে, ওটার নিচে সাকশান কাপ লাগানো আছে। যেটা “প্রতি বল” যোগান দেয়। সুতরাং শুধু চাকা ঘুরায়া দেয়াল বাওয়া সম্ভব না। তবে কেউ যদি উপরে উঠতে চায়, চাক্কা ঘুরায়া উঠার কি দরকার? >:)
বুঝি নাই।
তবুও......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তৌফিক,
তোমার পোষ্ট দেখার জন্যেই নিয়তি আজকে আমাকে ব্লগে ঢুকিয়েছে!
ভুল বুঝ না। আমি তা বলি নাই।
গাড়ী যদি উপরে উঠতে চায়, তাহলে তাকে অভিকর্ষজ বলের বিপক্ষে যেতে হবে। সুতরাং, তার মান হবে mg। সাধারণ হিসাব। এইটা তুমি কিভাবে দিবে সেটা তোমার ইচ্ছা।
আমি বলেছিলাম, পথ যদি হঠাৎ খাড়া হয়, তাহলে x দিকে যেতে তার অসীম বল লাগবে। x কিন্তু আনুভূমিক (horizontal)। উপরে যেতে চাইলে তাকে h/y এর দিকে যেতে হবে। তুমি যদি মিল খুঁজতে চাও তাহলে বিবর্তনের ক্ষেত্রে, x বরাবর আছে সময় আর h/y এর দিকে আছে তার পটেন্সিয়াল বা অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষমতা। সুতরাং, একি x এ উপরে উঠা মানে হচ্ছে, একি সময়ে প্রানীগুলো নতুন ক্ষমতা অর্জন করা। প্রক্রিয়াটা তখন আর ধীর থাকে না!
যাই হোক, ভাল থেকো। আমি কিছু হিসাব দেখিয়েছিলাম ফাহিমকে। চাইলে তোমাকে পাঠাতে পারি। ইমেইল ঠিকানা দিলে বাধিত থাকব। 🙂
আপনার এনালজিটা আসলেই বুঝি নাই। আমি শুধু মেকানিক্যাল দিকটা দেখছিলাম। মিস্তিরি মানুষ তো। 😛
ইমেইল ঠিকানা দিলে বাধিত থাকবেন?? 😮 এইসব কি কন বস, তার আগে আমি যেন একহাজার :frontroll:
আমার ঠিকানা দিয়া আমিই বরং বাধিত হই। 😀
taufiq_rasel এট yahoo ডট com
অফটপিকঃ
ফাহিম ভাইয়ের সাথে আপনার যেহেতু যোগাযোগ আছে, উনারে বইলেন থিসিস শেষ করে যেন অবশ্যই ব্লগিং শুরু করে। জীবনে তো আর সুইজারল্যান্ড যাইতে পারব না, আমাদের মতো গরীবদের জন্য ফাহিম ভাইয়ের পোস্টই ভরসা। 🙂
মেইল পাইছি বস। থ্যাংকু। অনেক কষ্ট করে লেখা + স্ক্যান করে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ।
পড়লাম। এবং বুঝছি আপনি যা বলতে চাইছিলেন। আমি আমার মতো বুঝছিলাম, আপনার দেয়া কনটেক্সটে চিন্তা করি নাই। থ্যাংকু এগেইন।
তোমাকেও ধন্যবাদ। 🙂
হেই মিয়া আমি এখন কোন কনটেক্সটে বুঝব। খোলসা কইরা পোস্ট দাও।
:khekz: :khekz: :thumbup: :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অই তোগো চাক্কা ঘুরে ...........................
শুধু চাক্কা নি রে! পুরা বডি শুদ্ধা 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মাথা ঘুরাইনা মানুষেরা,
২৪ তারিখে আমি খোলাসা করে লিখবো না হয়। যা আমি ফাহিম আর তৌফিকরে পাঠিয়েছি। তখন কিন্তু আমারে আঁতেল/মুর্খ বলতে পারবা না। আগেই বলে দিলাম। 😀
এই দুই-দিন কষ্ট করে নিজে উল্টা দিকে ঘুরে মাথার ঘুরা ব্যালেন্স কর!