অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতা

ক্যাডেট কলেজে যে ট্রেনিং পাইছিলাম তা জীবনে অনেক কাজে লাগছে। মাগার, অবস্ট্যাকল কোর্সের ট্রেনিংটা এই সেদিন পর্যন্ত কোন কাজে লাগাইতে পারি নাই। এই সেদিন পর্যন্ত বললাম কারণ, সপ্তাহ খানেক আগে সেইটাও কাজে লাইগা গেছে। কেমতে লাগছে, তার বেন্তাত্ত বলতাছি। আমার বর্তমান ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট, মানে মাস্টার্স আর পি এইচ ডি-র স্টুডেন্ট আছে ১৭০০, তাদের দেখভালের জন্য আছে জি এস ইউ (গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন)। জি এস ইউ – এর এই কয়দিন আগে একটা বিরাট ইভেন্ট হয়া গেল, গ্র্যাড ফেস্ট। গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্য নানা রকম আয়োজন। তার মধ্যে একটা হইল পেইন্টবল টুর্নামেন্ট। পেইন্টবল সম্পর্কে প্রথম জানছিলাম তিন গোয়েন্দার যুদ্ধ ঘোষণা বই থাইকা। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আরকি, ছোটবেলায় খেলনা বন্দুক নিয়া আমরা যেমন দৌড়াদৌড়ি করছি সেইরকম। পার্থক্য হইল, এইখানে বন্দুকগুলাতে কম্প্রেসড এয়ারের ক্যানিস্টার থাকে, আর বন্দুকের মধ্যে থাকে রসমালাইয়ের মতো ছোট ছোট বল। বলের মধ্যে থাকে পেইন্ট, বল গায়ে লাইগা ফাইটা গেলে রঙ মাখামাখি হয়া যায় এবং প্লেয়ার ডেড বইলা ধইরা নেয়া হয়। ট্রিগার টিপলেই কম্প্রেসড এয়ার এই বলগুলারে প্রায় ঘন্টায় দুইশ মাইল গতিতে ছুইড়া দেয়, দুই টিমে খেলা হয়। ফুটবল, ক্রিকেট – এর মত নিয়ম কানুন অত নাই। মারো অথবা মর এই হল একমাত্র নিয়ম।

ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট বার বিটার– এ গেলাম যথাসময়ে, লেটলতিফ আমার অভ্যাসের ব্যতিক্রম কইরা। গিয়া দেখি আমার মতো আরো ২০-২৫ জন হাজির। জি এস ইউ-এর এক্সিকিউটিভ সেবাস্টিয়ান হইল আমাদের নেতা। তার নেতৃত্বে আমরা গিয়া উঠলাম বাসে, গন্তব্য পাশের সিটি মাউন্ট পার্লের বিখ্যাত পেইন্টবল এরিনা। এরিনাতে পৌছানো মাত্র সবার হাতে একটা ফর্ম ধরায়া দিল, পেইন্টবল খেলোয়াড়দের কোন ক্ষতি হইলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না- এই মর্মে ঘোষণা দিয়া স্বাক্ষর করতে হইব। করলাম স্বাক্ষর, এরপর এরিনার এক এমপ্লয়ী আইসা নাতিদীর্ঘ একটা বক্তৃতা দিল, কি করা যাবে কি করা যাবে না এই নিয়া। বলল, সবাইকে একটা মাস্ক অবশ্যি পরতে হবে আর পরতে হবে তাদের সাপ্লাই করা ট্যাকটিক্যাল গিয়ার। এইসব পরার পর আমাদের সবাইরে মোটামুটি সোয়াট টিমের মত দেখা যাইতেছিল। এরপর সবাইকে পাঁচটা টিমে ভাগ কইরা দেয়া হইল। যাদের পেইন্টবল খেলার এক্সপেরিয়েন্স আছে তাদের করা হইল টিম লিডার, আমার টিমের লিডার হইল রেচেল। টিমের নাম ঠিক করা হইল – টিম রেচেল। নামটা আমিই দিছিলাম, রেচেলরে তেল দেয়ার জন্য। অন্য টিমগুলা হইল- টিম ব্রুস, টিম উলভেরিন, টিম ডিসেপ্টিকন, আরেকটা মনে নাই (তাতে অবশ্য ক্ষতি হয় নাই, ওরা হইছিল লাড্ডুগুড্ডু)। আমাদের নিয়া যাওয়া হইল এরিনার ভেতরে। বড় বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ ফুলায়া ফুলায়া তৈরী করা হইছে বাংকার, কাভার নেয়ার জায়গা। দুইদিকে হইল দুই টিমের বেস, মাঝখানে হইল গিয়া ফ্ল্যাগ। ফ্ল্যাগ ম্যাচ হবে আগেই ঠিক কইরা রাখা হইছিল। জেতার নিয়ম হইল হয় সবাইরে মারতে হবে, না হইলে ফ্ল্যাগ নিয়া অন্য টিমের বেসে না মইরা পৌছতে হবে। অবশ্য সবাইরে না মাইরা ফ্ল্যাগ ক্যাপচার করা অসম্ভব। এখন আমাদের দেয়া হইল বন্দুক আর গুলি। বন্দুকগুলাও সেইরকম, হোকলার এন্ড কচ-এর MP5 সাবমেশিনগানের মতো। পিস্টল বাট আছে, গান সাইট আছে, ধরার জন্য সামনের দিকে আরেকটা বাট আছে, সেফটি ক্যাচ আছে। আর কম্প্রেসড এয়ারের ক্যানিস্টারগুলারে এমনভাবে লাগানো হইছে যে শোল্ডার স্টক হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

আমাদের প্রথম ম্যাচ হইল গিয়া টিম ডিসেপ্টিকনের সাথে। সবাই গিয়া পজিশন নিল যার যার বেসে। লিডার রেচেল আমদের দুইজনরে বলল ডান দিকে যাইতে, আমারে আর টনিরে। ডানদিকটা পুরা প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়া ঘেরা , তার পাশেই দেয়াল। সুতরাং এর মধ্যে একটা বাংকার বাংকার ভাব আছে। বামদিকে আবার পুরাই খালি, দুই প্রান্তে আর মাঝখানে বস্তা দেয়া, কাভার নেয়ার জন্য। ট্যাকটিকালি চিন্তা করলে, ডানদিক দিয়া যদি আরেক মাথা পর্যন্ত যাওয়া যায় তবে শত্রুটিমের সবাইরে সাফা কইরা দেয়া ছেলে খেলা, যাওয়াটাই টাফ। আমাদের দুইজনের আ্যাসল্ট টিমের চেস্টা করতে হবে এই বাংকার দিয়া একটা আ্যাসল্ট করা। আমি আমার সহযোদ্ধারে কইলাম, আমি সামনে যামু তুই আমারে কাভার দে। হে কইল, আইচ্ছা। রেফরি বাশিঁ দেয়া মাত্র বেস থাইকা আমরা ছুট লাগাইলাম যার যার পজিশনে। আমি লাফ দিয়া পড়লাম মাটিতে, গুলি করার টাইম নাই, বাংকারের দখল নিতে হইব। টনি আমার মাথার উপর দিয়া গুলি চালাইতাছে, ওদের টিমের দুইজনও একই কাম করার ট্রাই নিতাছিল, টনির গুলির তোড়ে ওরা মাথা তুলতে পারতাছিল না। ক্যাডেট কলেজের অবস্ট্যাকল কোর্সে কম ক্রল করতে হয় নাই, কাজে লাইগা গেল সেইটা। আমি জানপ্রান দিয়া ক্রল কইরা আগাইতাছি, টনি দিতাছে কাভার ফায়ার। আমি কাছাকাছি পৌছায়া গেছি দেইখা শত্রুপক্ষ মরিয়া হয়া মাথা বাইর করল, আমারে ফালায়া দিব বইলা। আমার সহযোদ্ধা টনি এইরকম একটা সুযোগের অপেক্ষাতেই আছিল, একটা ব্রাশফায়ার কইরা দুইটারে ফালায়া দিল। মাথার উপর হাত তুইলা তারা এরিনা থাইকা বাইর হয়া যাইতাছে এমন সময় আমি বাংকারের শেষ মাথায়, এখন খালি বন্দুকটা কোনা দিয়া বাইর কইরা ঠুসঠাস পাখি মারা। কিন্তু আমার আর গুলি করা লাগল না। অসাধ্য সাধন কইরা আমাদের মিডল আর লেফট আ্যাসল্ট টিম ওদের বাকি সবগুলারে মাইরা ফেলছে ইতিমধ্যে। আমার জীবনের প্রথম পেইন্ট বল ম্যাচে আমরা এইভাবেই জয়ী হইলাম।

পরের ম্যাচ হইল গিয়া টিম ব্রুসের সাথে। রেচেল বলল আগের মতোই স্ট্র্যাটেজিতে খেলব। বাশিঁর পরে টনি আর আমি ছুট দিলাম বাংকার দখল করতে, এইবারে টিম ব্রুসের একজন আসছে বাংকার রক্ষা করতে (তারা হয়তো ভাবছিল বাংকার দখল করা অসম্ভব, একজনরে দিয়া বাংকার কাভার দিলেই হইল)। ওই ব্যাটা বুদ্ধিমান, টনির পজিশনের দিকে তার নজর বেশি, সেইদিকে সে গুলি করতে শুরু করল। টনি এই তেবরো গোলা বর্ষনের মুখে বেশিক্ষণ টিকতে পারল না, মইরা গেল। এতোক্ষনে আমি বুইঝা ফেলছি, নিশানা তার অসম্ভব ভালো, সেই জন্যই অর টিম অরে একলা পাঠাইছে আমাদের দুইজনের জন্য। আমার যে ক্যাডেট কলেজ ট্রেনিং আছে সে তা হিসাবে নেয় নাই, টনিরে মারতে গিয়া তার মনোযোগ ছিল ওইদিকে বেশি, আমার ক্রলিং-এর এতো স্পিড সে আশা করে নাই। আমার দিকে নজর দিতে দিতে আমি প্রায় ৯০% পৌছায়া গেছি। সে আমারে গুলি করা শুরু করতেই আমি ব্যাগের সাথে শরীর মিশায়া বন্দুক তাক কইরা শুয়া পড়লাম। গুলি করে সে, মাগার ওর জায়গা থাইকা লাভ হয় না। এইদিকে বাংকারেও ঢুকতে পারতাছে না, ঢুকলেই আমি ফালায়া দিমু। একময় ধৈর্য্য হারায়া সে সাইডরোল দিয়া কাভার থাইকা বাইর হইল, দুইটা গড়ান দিয়া বন্দুক তাক করা শুরু করল আমার দিকে, আমি ছিলাম একেবারে বন্দুক বাগায়া, সুতরাং এই শো ডাউনে আমার একটা টাইম আ্যাডভান্টেজ ছিল। সে গুলি করার আগেই আমি তারে ফালায়া দিলাম। বাংকারের বাকিটা দ্রুত পাড়ি দিলাম ক্রল কইরা, দেখি ওদের বেস ডিফেন্ড করতাছে দুইজন বস্তার আড়াল থাইকা। আমি কোনা দিয়া মাথা আর বন্দুক বাইর কইরা দিলাম, নিশানা কইরা একেবারে ম্যাগজিন খালি করলাম ওদের উপর। কোথা দিয়া গুলি আসতাছে বুঝার আগেই দুইজন শেষ। আমাদের মিডল আ্যাসল্ট টিম আবার বাগে পায়া ওদের রাইট আ্যাসল্ট টিমরে সাফা কইরা দিছে। তিনজনরে মাইরা তখন তো আমি আমার টিমের হিরু। সেমি ফাইনালে উইঠা গেল টিম রেচেল।

সেমিফাইনাল হবে উলভেরিনের সাথে। রেচেল আমার পিঠ চাপড়ায়া কইল, ওয়েল ডান। আমি তো তখন নিজেরে রেম্বু ভাবা শুরু করছি। যা হোক, লিডার রেচেল বলল আগের স্ট্র্যাটেজিতেই খেলা হবে। টনি আর আমি যথারীতি দৌড় দিলাম বাশিঁর সাথে, কিন্তু উলভেরিন হালারা ঘাগু মাল। ওদের টিম লিডার জ্যাসন হইল লিগ খেলা পেইন্টবল প্লেয়ার, ওদের ট্যাকটিক্সের সাথে কি আর আমরা পারি? ওরা বাংকারে পাঠাইছে তিন জনরে, একজন টনিরে কাভার দেয়া শুরু করল, আরেক জন আমারে, বাকিজন একেবারে খোলা জায়গায় পজিশন নিয়া নিশানা কইরা দূর থাইকা আমারে ফালায়া দিল। মরার আগে আমি ওর দিকে দু তিনটা গুলি ছুড়ঁছিলাম বটে, রেঞ্জ বেশি থাকায় লাগে নাই। টনিও মরল প্রায় আমার সাথে সাথেই, বাংকার দখল কইরা তারা আমাদের টিমের বাকি লোকজনরেও ফালায়া দিল কিছুক্ষনের মধ্যে। আমাদের আর ফাইনাল খেলা হইল না, তৃতীয় হইলাম আমরা। পরে শুনলাম, জ্যাসন আমারে মার্ক করছিল, আমারে প্রথমে ফালাইতে হবে এইটা ছিল ওদের স্ট্র্যাটেজির প্রথম কথা। আমার রেম্বুগিরি ছুইটা গেছে ততোক্ষনে, ট্যাকটিক্যাল গিয়ার থাকা সত্ত্বেও আমার হাতে গুলি লাইগা রক্ত জইমা গেছে। ফাইনালটা দর্শক হিসাবেই দেখলাম, কি আর করা।

এইবার হইল আসল মজা। হাতে টাইম থাকায় সবাই মিলে একটা ম্যাচ হবে এখন। আমার তখন জ্যাসনের উপর রোখ চাইপা গেছে। শালারে আমি শিক্ষা দিয়াই ছাড়মু একটা। লোকজন বেশি থাকায় আমি আরো দুইজনরে কইলাম কাভার দিতে। জানি জ্যাসনও বাংকার দখল করতেই আইব। দেখি যে জ্যাসনরা আগের বুদ্ধিই করতাছে, তিনজন পাঠাইছে। এইবার আমি আগের চেয়ে একটু কম আ্যাটাকিং থাকলাম, ওদের খোলা জায়গার শুটারকে ফালায়া দিলাম জায়গা থাইকাই, আমারে আর এখন ঠেকায় কে, আমি হাচড়ায়া পাচড়ায়া আগাইতাছি, এইসময় দেখি আমার ঠিক সামনেই বল ফাটল একটা, গড়ান দিয়া কাভার নিতে নিতে চোখের কোনা দিয়া যা দেখলাম তাতে বুঝছি, জ্যাসনই গুলি করতাছে। কাভার নিছি, এই সময় শত্রুপক্ষ মাঝখান থাইকা গুলি করা শুরু করল। আমি পইড়া গেলাম মাইঙ্কা চিপায়, আমার ডানে থাইকাও গুলি আসে, বামে হইল গিয়া লিগ খেলা জ্যাসন। বোকার মতো কাজ করলাম একটা, ডাইনে বায়ে হুদাই সিনেমা স্টাইলে গুলি করা শুরু করলাম, নিশানা ছাড়াই। যখন বুঝলাম কোন কামের কাম হইতাছে না এইভাবে, ততোক্ষনে আমার ম্যাগাজিন প্রায় খালি। লাস্ট ম্যাচ বইলা খেলা হইতাছিল না মরা অথবা গুলি শেষ হওয়া পর্যন্ত। গুলি শেষ হওয়া আর মরার মধ্যে যেহেতু কোন পার্থক্য নাই, আমি ভাবলাম শেষ একটা চান্স নিয়া দেখি, যা থাকে কপালে, ভাত খাইছি সকালে। বইলা দেই, গুলির ভেতরের রং তৈলাক্ত বইলা এরিনার মেঝে পুরাই পিছলা আছিল। আমি ডানের ফায়ার সাপ্রেস করার জন্য একটা মাপা ব্রাশ করলাম ওইদিকে, গুড়ি মাইরা বসা পজিশন থাইকা, তারপর পায়ের ধাক্কায় পিছলায়া দিলাম নিজেরে হাতের বায়ে। আমার প্রায় ৩০ ফুট দূরে জ্যাসন পজিশন নিয়া বইসা আছে, হাতে তার বন্দুক, আমারে দেখা মাত্র সে তাক করল আমার দিকে, এক সেকেন্ড আগেই ডানে গুলি করছি দেইখা সে ঠিক আশা করে নাই যে আমি এইভাবে চার্জ কইরা বসব। এইটাই আমারে বাঁচায়া দিল, গুলি করলাম ওর দিকে, ম্যাগজিন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত। দেখি, জ্যাসন মাথার উপর বন্দুক তুইলা এরিনা থাইকা বাইর হয়া যাইতাছে, মরছে সে আমার গুলিতে। আমিও তখন বাইর হইতাছি এরিনা থাইকা, গুলি শেষ, থাইকা লাভও নাই। তবে জ্যাসনের সাথে পার্থক্য হইল গিয়া, মাস্কের ভেতরে তখন আমার ৩২ পাটি দাঁত বাইর হয়া গেছে।

রাতে, পেইন্টবল টুর্নামেন্ট থাইকা ফেরার পরে বিরাট আড্ডাবাজি হইল বিটারস-এ। জ্যাসন যথারীতি বিয়ার খায়া টাল হইল। রাত প্রায় ১০ টা বাজে, তাই আমি বাইর হয়া হাটাঁ দিলাম আমার ল্যাবের দিকে। দশ কদমও যাই নাই, পেছন থাইকা ডাক দিল জ্যাসন…Rahman, Rahman!! আমি খাঁড়াইলাম। জ্যাসন কয়, Nobody could get me, but you, only you! I fucking hate you man, I hate you. বুঝলাম বিয়ার কথা কইতাছে এখন, আমি একটা মৃদু হাসি দিলাম। জ্যাসন তখন হাত বাড়ায়া দিছে আমার দিকে, হ্যান্ডশেক কইরা কয়, I was kidding, man. I don’t believe this was your first paintball game. Its not the first, is it? আমি আবার একটু হাসি দিলাম, মনে মনে কইলাম, তোর তো আর অবস্ট্যাকল কোর্স করা নাই, পারবি কেমনে আমার সাথে?

(ক্যাডেট কলেজের স্নৃতিচারণের মধ্যে এইটা আচার হিসাবে দিলাম। খাইতে মন্দ লাগলে আওয়াজ দিয়েন, আর দিমু না। ভালো লাগলেও দিয়েন, তাইলে মাঝেমধ্যে লিখুম এই রকম লেখা, আমার প্রবাস জীবন নিয়া।)

৪,২২৫ বার দেখা হয়েছে

৫৩ টি মন্তব্য : “অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতা”

  1. সিরাজ (৯৪-০০)

    এইটা আমাদের ব্লগ...।আমাদের জগ্যত......।আমরা সবাই এখানে পাঠক,সবাই লেখক.........।ভাল তো লাগছেই তুমি ভাই লিখে যাও......।।খুবই মজা পাইলাম লেখাটা পড়ে............।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    "আমার যে ক্যাডেট কলেজ ট্রেনিং আছে সে তা হিসাবে নেয় নাই, টনিরে মারতে গিয়া তার মনোযোগ ছিল ওইদিকে বেশি, আমার ক্রলিং-এর এতো স্পিড সে আশা করে নাই।"

    "মনে মনে কইলাম, তোর তো আর অবস্ট্যাকল কোর্স করা নাই, পারবি কেমনে আমার সাথে?"

    ...হাসতে আছি, হাসতেই আছি,খ্যাক খ্যাক খ্যাক... =)) :))

    জবাব দিন
  3. জিহাদ (৯৯-০৫)

    পুরাটাই সেরম জটিল হইসে বস। 😀 চলবো না মানে? পুরা দৌড়াইবো। এখানে খালি কলেজ নিয়াই লিখতে হবে এমন কোন নিয়ম কানুন নাই। আপনার যা ইচ্ছা তাই লিখবেন। 🙂

    টিমের নাম ঠিক করা হইল - টিম রেচেল। নামটা আমিই দিছিলাম, রেচেলরে তেল দেয়ার জন্য।

    =)) =))

    পেইন্টবলের কথা লিখা তিনগোয়েন্দার কথা মনে করায় দিলেন। একটা সময় ছিল বইগুলা যে ক্যামনে খাইতাম। আহা, ঐ দিনগুলা কই গেল 🙁


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  4. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    তৌফিক,
    অসাধারণ হয়েছে। তোমার লেখার মাঝে মিলিটারী টার্ম এবং ট্যাকটিকাল সেন্স গুলো বেশ প্রখড় । SSF থেকে USA তে VVIP Protection Course এ গেলে এই পেইন্টবল দিয়ে ট্রেনিং করায়।

    তোমার যুদ্ধের কাহিনী আমাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও নস্টালজিক করে তুলেছিল। কংগো তে এরকম অনেক দিন ছিলো আমার...। ভয়ংকর সব দিন। কমান্ডো হবার সুবাদে অলমোস্ট সব গুলা অপারেশন ই আমার করা লাগছিল। মাঝে মাঝে এখনো বিশ্বাস হয়না যে আমি বেঁচে ফিরে এসেছি।

    যাহোক, খুবই ভালো লেগেছে তোমার সালাদ। এরকম সালাদ হলে আমি মেইন ডিশ এর সমান গুরুত্ব দিয়েই সালাদ খাবো। চলো...আগে বাড়ো......।

    জবাব দিন
  5. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমি ৫০ করলাম। কোন হালা যে তৌফিক ভাইরে এই সাইটের খোঁজ দিছিল,উনার যেই কয়টা লিখা সব কয়টা হিট,আর আমরা যারা পাতি লেখক তাগো বেইল দিন দিন কমতেছে x-(

    জবাব দিন
  6. ইফতেখার (৯৯-০৫)

    < টিমের নাম ঠিক করা হইল – টিম রেচেল। নামটা আমিই দিছিলাম, রেচেলরে তেল দেয়ার জন্য।>

    ডায়লগটা জট্টিল লাগলো... 😛 😛 :thumbup:

    ভাইয়া, সুন্দর হইছে পুরো লেখাটা...। আরো লিখা চাই। 🙂 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।