অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতাঃ ২

আমার প্রিয় খেলার তালিকাটা মনে হয় এরকম হবেঃ বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল। দেখতে হলে এবং খেলতে হলেও। এই তালিকাটা কিছুদিন আগেও একটু ভিন্নরকম ছিল, কিন্তু আপাতত এইটাই সবচেয়ে কারেন্ট আর আপডেটেড লিস্ট। কিন্তু এইগুলা হইল কনভেনশনাল স্পোর্টস। তালিকায় চতুর্থ নামটা যোগ করতে হলে একটা আনকনভেনশানাল স্পোর্টের নাম লিখতে হয়- পেইন্টবল। পেইন্টবল খেলা সম্পর্কে যারা জানেন না, তার ঘুরে আসতে পারেন প্রাগৈতিহাসিক একটা পোস্ট থেকেঃ

অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতা

আগে পেইন্টবল খেলছি ইনডোরে। আউটডোরে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে সেই অভিজ্ঞতাটাও কয়েকদিন আগে হয়ে গেল। সেদিন সাইফান ফোন করল, তৌফিক ভাই, পেইন্টবল খেলতে যাব। যাবেন নাকি? আমি আবার খুব বৌ ভক্ত কিনা (আমার বৌ এই পোস্ট শিওর পড়বে, তাই একটু ইম্প্রেশন আপ করে রাখলাম আর কি 😉 ), বৌরে ছাড়া কোথাও যাই না। মিলারে জিগাইলাম, যাবা নাকি যুদ্ধ করতে? মিলা তো যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া। আমার মনে একটা রোমান্টিক চিন্তা আসল। জিন্দেগিতেও বৌরে টিপ পরাই নাই, এইবার পাওয়া যাবে একটা চান্স। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো তার সাথে আমার দেখা হবে, আমি আবার পেইন্টবল মার্কার থেকে এক রাউন্ড লাল পেইন্ট ফায়ার করব। প্রিয়ার কপালে এঁকে দেব আমার প্রেমের নিশান। 😡 আমিও সাইফানের সাথে কথা ফাইনাল করে ফেললাম। যথাদিনে দুইখানা এস ইউ ভি আর একখানা সেডানে করে আমরা আঠারোজন রওনা দিলাম। গন্তব্য শহরের বাইরেই ফ্রন্টলাইন পেইন্টবল। সেইটা আবার ট্রান্সকানাডা হাইওয়ের পাশে। এক্সিট ফর্টি ফাইভের মধ্য দিয়া গিয়া, বনের ভেতরের এক গুপ্ত পথে প্রবেশ করতে হয়। এই ক্যাঁচালে আমাদের দলের দুইখানা গাড়ি হারায়ে গেলেও আমরা হারাই নাই। অবশ্য মিনিট বিশেক পরে তারা হাজির হইলেন। আমরা গিয়া ওয়েইভার সাইন করে আসলাম, কানা-খোঁড়া হইয়া গেলে তাহারা দায়ী না এই মর্মে ঘোষনা দিয়া আসলাম আরকি। ড্রেসিং রুমে গিয়া পরলাম আধাভেজা এবং গন্ধযুক্ত কভারঅল। ক্যাডেট কলেজে গন্ধযুক্ত কম্বল গায়ে জড়ায়ে শীতের রাত কাটানোর ট্রেনিংটা কাজে আসল। নির্বিকারমুখে সেই কভারঅল পরলাম, সেইটা আবার বিভিন্ন জায়গায় টুঁটাফাটা। সেই টুঁটাফাটা বন্ধ করা হইল এডহেসিভ টেপ দিয়া। এরপর সবাইরে অস্ত্র দেয়া হইল। কেউ কেউ আপগ্রেড করে এম-১৬ লুক এলাইক নিল। টিম ভাগ করা হইল ৯ জন ৯ জন হিসাবে। দলের দুই নারী সদস্য ওয়েন্ডি ভাবী আর মিলাকে দেয়া হইল দুই দলে। ওয়েন্ডি ভাবী আমাদের দলেই পড়লেন।

দল ভাগ করার পর টিম মিটিং করা হইল। ৯ জনের টিমরে আমরা আবার ৩ জনের গ্রুপে ভাগ করলাম। আমি পড়লাম ডান ফ্ল্যাংকে। আমার দুই গ্রুপমেট ওয়েন্ডি ভাবী আর সাকিব। সাকিবের আবার হালকা মেলিটারি ট্রেনিংও আছে। সে বি এম এ-তে এক বছর ট্রেনিং করছে। ৫৬ লংকোর্স মনে হয়। সাকিব বলল আমাদের এডভান্স করতে একজন একজন করে যাতে বাকি দুইজন পিছন থেকে কাভার ফায়ার দিতে পারে। প্রথম ম্যাচ শুরু হইল। আমি দৌড় দিলাম, যতোদূর গ্রাউন্ড কাভার করা যায় আরকি। হঠাৎ পেছনে তাকায়ে দেখি আমার গ্রুপমেটরা পিছে পড়ে আছে। আমি নিজে বেশি জোশ দেখায়ে সামনে হাজির হয়ে গেছি। এই দিকে গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে, পেছাতে গেলেও বিপদ। তাই ভাবলাম, যা থাকে কপালে, দিজ ইজ হোয়ার নন্দঘোষ উইল মেইক হিজ স্ট্যান্ড :gulli2: । একটা উলটানো বড় বাক্সের পিছনে কাভার নিলাম। একটু পর পর মাথা তুলি আর গুলি করি। কোন টার্গেট নাই, স্রেফ সাপ্রেশন ফায়ার। আমার তেবরো গোলা বর্ষণে ওদের লেফট ফ্ল্যাংক সব কাভার নিয়া বইসা আছে। আমার সাহস বাইড়া গেল, কাভারের মায়েরে বাপ। একদম মাস্কেটযুগের যুদ্ধের মত mano o mano কায়দায় দাঁড়ায়ে গিয়া গুল্লি শুরু করলাম। হঠাৎ হলুদ রঙের একটা পেইন্টবল “আমার চুলে সিঁথি কেটে বেড়িয়ে গেল।” যাওয়ার সময় কিছুটা রঙও মেখে গেল আমার চুলে। গাজী হওয়া আর হইল না আমার, শহীদ হইয়া গেলাম। “আই এম আউট” বইলা শাউট করলাম। মাথার উপরে মার্কার তুলে বের হয়ে আসলাম ফিল্ড থেকে। তিন মিনিটেই বীরত্ব শেষ। গিয়ে বসলাম সেইফ এরিয়াতে, একটা পিকনিক বেঞ্চে। একে একে দুই অনেক প্লেয়ার বেরিয়ে আসল, মিলা বেগম তখনো যুদ্ধ চালায়ে যাইতেছে। একসময় আমাদের টিমের সবাই মইরা গেল। বিপক্ষ টিমের শেষ দুইজন বেরিয়ে আসল বিজয়ীর গরিমায়। সেই দুইজনের একজন হইলেন অপু ভাই, আরেকজন বেগম মিলা। আমার মনে তখন হিংসা আগুন, মিলা বেগমরে নেক্সট টাইম দেইখা নিব।

পরের ম্যাচের ভেনু আরেকটা ফিল্ড। সেইখানে তক্তা দিয়ে বনের গাছের মাঝে মাঝে কাভার বানানো হইছে। যথাসময়ে ম্যাচ শুরু হইল। আমি এইবার আর বোকামী করলাম না, আমার ডানপাশে ওয়েন্ডি ভাবী আর বামে সাকিব। তিনজনে মিলেই আগাইতে শুরু করলাম। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই একটা গুলি খাইল সাকিব। আমাদের গ্রুপে তখন দুইজন। সাকিবের প্রস্থানের পর আমরা সাবধান হয়ে গেলাম। ওয়েন্ডি ভাবী ক্রল করে কাভার নিলেন একটা কাটা গাছের পেছনে। আমি কাভার নিলাম একটা তক্তার পেছনে। তক্তার এক ফুকা দিয়া তাকায়ে দেখি ফুট ত্রিশেক দূরে বিপক্ষ টিমের একজন কাভার নিছে। কিন্তু আমার পজিশন থেকে তার আনকাভার্ড বাট ক্লোদড পশ্চাৎদেশ দেখা যাইতেছিল। কুইক সাকসেশনে দুইটা রাউন্ড পাঠায়ে দিলাম তার পাছায়। প্রতিপক্ষের কন্ঠে “আই এম আউট” কথাটা এত সুন্দর লাগল যে সেটা প্রকাশ করার ভাষা মানবজাতি এখনো আবিষ্কার করতে পারে নাই। আমার পজিশনটা বেশ ভালো ছিল। যখন গুলি খেয়ে নিজে আউট হইলাম তার আগে তিনটা কনফার্মড আর একটা প্রোবাবল কিল আমার মার্কারের কারণে হইছে। কিন্তু বিধি বাম, আবার আমাদের দল হারল। জয়ের নায়কদের মধ্যে বেগম মিলা আবারো একজন। লোকজন তারে জংগী ভাবী ডাকা শুরু করল। পাম খেয়ে সে তখন ফুলে ফুলে টুই টম্বুর। আমি মনে মনে সুনীল গাংগুলির মতো আউড়াইলাম, দেখিস একদিন আমরাও…

তিন নম্বর ম্যাচটার ভেনু একই থাকল। খালি দুই দল জায়গা বদল করলাম। এইবার আমরা অবশ্য একটা খুব ভালো প্ল্যান করলাম। এক ফ্ল্যাংক হেভি করে খেলার প্ল্যান। রাইট ফ্ল্যাংকে সাকিব, ওয়েন্ডি ভাবী আর আমার সাথে যোগ দিল আজরাফ। লেফট ফ্ল্যাংকের দুইজনের কাজ শুধু ডিফেন্স। খেলা শুরু হওয়ার পরে পুরা মিলিটারি কায়দায় আমরা একজন আরেকজনকে কাভার দিয়া এডভান্স করা শুরু করলাম। বেশ খানিকটা যাওয়ার পর ওয়েন্ডি ভাবী আর আজরাফ মরে গেল। বিপক্ষ লেফট ফ্ল্যাংককে আমরা আবার এর মধ্যে নাই করে দিয়ে ওদের পেছনে গিয়ে হাজির হয়েছি। সাকিব আর আমি এরপর শুরু করলাম ঠুসঠাস হত্যা যজ্ঞ। কিছুক্ষনের মধ্যে ওদের একজন বাদে বাকি সবাই মরে গেল। সেই একজন গুড়ি মেরে মাটিতে শুয়ে ছিল ফিল্ডের শেষ সীমানায়। ভাগ্য ভালো, আমি দেখে ফেললাম তারে। কমান্ডো স্টাইলে গাছের আড়ালে আড়ালে ক্রল করে পৌঁছে গেলাম তার ঘাড়ের উপর। রেফারি আমারে দেখে ফেলে চিৎকার করল একবার, ডোন্ট শুট ফ্রম ক্লোজ রেঞ্জ। অগত্যা গুলি না করে ব্যারেল তার পিঠে ঠেকায়ে বললাম, সারেন্ডার। সে সুবিধা হবে না বুঝতে পেরে হাত তুলল। আমরা জিতে গেলাম আমাদের প্রথম ম্যাচ। উত্তর কর্ণ হইতে দক্ষিণ কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত একখানা হাসি দিতে দিতে গিয়ে হাজির হইলাম সেইফ এরিয়ায়। গিয়ে দেখি জংগী ভাবীর জংগীগিরি খতম হয়েছে অনেক আগেই। তিনি প্রথমেই অক্কা পাইয়াছেন এবং অক্কা পাইবার পরেও কেন তাহাকে গুলি করা হইয়াছে সেই বিষয়ে কৈফিয়ত দাবী করিয়া চলিয়াছেন। 😀 মনে মনে ভাবিলাম, এক মাঘে শীত যায় না। B-)

শেষ ম্যাচের মিশন দেয়া হল একটা ফোর্ট ডিফেন্ড করতে হবে ১৫ মিনিটের জন্য। বিপক্ষ টিম সেইটা দখল করার চেষ্টা করবে। ফোর্ট মানে গাছের গুড়ি একটা আরেকটার উপর তুলে দেয়াল বানিয়ে একটা ঘেরা জায়গয়ার মতো করা হয়েছে। সেইটার ডিফেন্ড করতে হবে। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর কিছুক্ষণ ফোর্টে থাকলাম। এরপর নিজেই বেরিয়ে আসলাম। সাকিব বের হইল আমার সাথে। বুঝে গেছি, ১৫ মিনিট ডিফেন্ড করার মতো এমো আমাদের নাই। এটাক ইজ দ্য বেস্ট ফর্ম অব ডিফেন্স। একটা নালাতে পা ভিজিয়ে একটা ঢিবিমত জায়গার পেছনে গিয়ে পজিশন নিলাম। শত্রু সামনেই, শত্রুপক্ষের মুস্তাফিজ আমাকে দেখে ফেলেছে। সে থেমে থেমে গুলি করছে আমার দিকে। আমিও ফায়ার রিটার্ন করতেছি। কিন্তু ডেডলক সিচুয়েশান। আমিও পিনড ডাউন, মুস্তাফিজও। একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, আমি গুলি করা শুরু করলে মুস্তাফিজ মাথা নিচু করে নিজের এক্সপোজার কমায়। মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল, আমি যদি গুলি করতে করতে ওরে চার্জ করি তাইলে ও বোঝার আগেই হয়তো ওরে মেরে ফেলতে পারব। অপেক্ষায় থাকলাম ও কখন ফায়ার করায় গ্যাপ দেয়। সময় বুঝে লাফ দিয়ে আগে বাড়লাম। দৌড়াতে দৌড়াতে গুলি করছি। তিন-চার কদম যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম কি মারাত্নক ভুলটাই না করেছি। মুস্তাফিজ আসলে একা ছিল না, ওর পেছনেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ওদের টিমের আরো তিনজন। এতোবড় একটা মানুষ এভাবে তেড়ে আসতেছে, এই সহজ টার্গেট কেউ মিস করবে না। সবাই গুলি শুরু করল আমার দিকে, মিস হওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফর্মুলা ছবির ত্যাগী নায়কদের মতো আমি তখন বাতাসে নাচছি গুলি খেয়ে খেয়ে। চার-পাঁচ সেকেন্ডের সেই নরকবাস শেষ হল। ওদের অট্টহাস্যকে পেছনে ফেলে বেড়িয়ে এলাম। এইবারের কাজ ড্যামেজ এসেসমেন্ট। এতোগুলি গুলি খাওয়ার পরও শরীরে ফুলে নাই কোথাও, ভাগ্য ভালো আমার। কিন্তু মাথায় যে গুলিটা খেয়েছি সেইটা বড় একটা আলু বানিয়ে রেখে গেছে। কিছুক্ষণ পর ম্যাচ শেষ হল, রেফরি রায় দিলেন আমরা জিতেছি।

ওদের কভারঅল খুলে, অস্ত্র জমা দিয়ে সবাই তৈরী হলাম ফেরার জন্য। সিরিজ দুই – দুইয়ে ড্র। তবে মনে একটা দুঃখ রয়েই গেল, বউরে টিপ পরাইতে পারলাম না। :bash:

স্বামী-স্ত্রীর লড়াই

২,৩৪৪ বার দেখা হয়েছে

৫০ টি মন্তব্য : “অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতাঃ ২”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    তোরা জামাই বউ তো দেখি পুরা মিস্টার এন্ড মিসেস স্মিথ। 😀
    পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম। তয় বিশাল বিরিতিতে লেখার কারণে কী পাঙ্গা দেওয়া যায় সেইটা ভাবতেছি। :grr:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    সাকিবের আবার হালকা মেলিটারি ট্রেনিংও আছে। সে বি এম এ-তে এক বছর ট্রেনিং করছে। ৫৬ লংকোর্স মনে হয়। সাকিব বলল আমাদের এডভান্স করতে একজন একজন করে যাতে বাকি দুইজন পিছন থেকে কাভার ফায়ার দিতে পারে।

    হেতী দেখি আমার কেইস(আমার অবশ্য মাত্র তিন মাস)।লেখাটা পইড়া মনে হইলো গানস অফ নাভারোন মুভি দেখতেছি 🙂

    কামরুল ভাই,এত দীর্ঘ বিরতি দেওয়ার অফ্রাধে তৌফিক ভাইরে আচ্ছামত বানানি দ্যান,আমি অন্যদিকে তাকাই 😛

    জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        আমি ছিলাম অফিসার্স কোম্পানিতে-দি গ্রেট জাহাঙ্গীর কোম্পানি B-)
        আই এ্যাম স্টিল প্রাউড টু বি আ জাহাঙ্গিরিয়ান B-) B-)
        ৫৩ লং কোর্সের কোন গেটটুগেদার মিস দেইনা- এই সেইদিন আমার টার্ম কমান্ডার মেজর(এখন লেঃকর্নেল) মিজান স্যার আমারে নিয়া বাকিদের বললেন-হি ইজ দা অনলি পুলিশ অফিসার ফ্রম ৫৩ বিএমএ লং কোর্স! 😛

        ইয়ে,পাঙ্গা পালিশ একেবারে ফাও যায়নাই- সামনের মাসে সারদা ট্রেনিং শুরু হবে-পুলিশে যদিও বিএমএর মত পাঙ্গা নাই,তাও এই পাঙ্গার অভিজ্ঞতা ওইখানে কাজে লাগারই কথা 😀

        অফ টপিক-বস আপনের নামের পাশে ৯৬-৯৬ টা বুঝলাম না...কেলাস সেভেনেই চইলা আসছিলেন নাকি? 😕

        জবাব দিন
        • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

          মাসরুফ, শামসের পোস্ট থেকে দেইখা নিস।
          আমাদের ব্যাচে রি এডের ধুয়া তুলে শেষ মূহুর্তে বাদ দেয়া হয়েছিলো অনেকজনেকে। মোহসীন ইমরান সেই দুর্ভাগাদের একজন। যারা হতে পারতো ছয় বছরে আমাদের খুব কাছের কে.....অথচ তাদেরকে আমরা চিনি না...হয়তো কাউকেই চিনতাম না... সিসিবির সুবাদে একজনরে হইলেও চিনতেসি।

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            আমি এক আপুকে চিনি যিনি সমস্ত প্রিপারেশন নিয়ে কলেজে জয়েনিং এর দিন ওইখানে যাওয়ার পরে জানতে পারেন যে কে বা কারা তাঁর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেবার কথা জানিয়ে দিয়েছে।যাঁরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েছিলেন-পরীক্ষার সময় কিন্তু তাঁদেরকে জানানো হয়নাই এই নতুন নিয়মের কথা এবং সিস্টেম সম্ভবত এরকম ছিলো যে জয়েন করে ফেললে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবেনা।ওই আপুর অতি পরিচিত "শুভাকাঙ্খী" কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজটা করেছিলেন।

            আমি খালি চিন্তা করি ওই মুহূর্তে কলেজে গিয়ে এই খবর পাওয়ার পর তাঁদের মানসিক অবস্থা কি হয়েছিল।

            আমি মোটামুটি নিশ্চিত এই কাজটা করতে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দ্বিধা করবেনা।এই আমরাই কিনা আবার রাজনৈতিক নেতাদের গালি দেই 😀

            সুখের বিষয়,ক্যাডেটে পড়তে না পারলেও আপুর মন-মানসিকতা ছিলো ক্যাডেটদের মতই।এইচএসস্যার পরে বুয়েটে ইলেকট্রিকালে চান্স পেয়ে সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে জনৈক ক্যাডেটকে বিয়ে করে তিনি এখন দেশের বাইরে।

            আমার এরকম একটা পরিস্থিতি কল্পনা করতেও ভয় লাগে...সাবাস সেই আপুকে এবং তাঁর মত আর সবাইকে যাঁরা এরকম একটা আঘাতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন :boss:

            কে বলে এঁরা ক্যাডেট না! প্রতিকুল পরিস্থিতিকে জয় করার উদগ্র বাসনা যদি মাপকাঠি হয় সেই মাপকাঠিতে এঁরা আমার কাছে অবশ্যই ক্যাডেট!

            জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      হ... বইয়ের নাম যুদ্ধ ঘোষণা... আমার আসলে ঐ বই পড়েই খেলাটার সাথে পরিচয়। এই বিদেশে এসে সুযোগ হইল খেলার। একটু এক্সপেন্সিভ। না হইলে এইটা নিয়মিতই খেলা যায়। দৌড়াদৌড়ি আর লাফালাফিতে বেশ ভালো এক্সারসাইজ হয়। 🙂

      জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    দারুন মজা পাইসি :clap:
    তারকা ব্লগার তৌফিক এবং জঙ্গী ব্লগার মিলা, খবর কি তোদের
    দুইটার কোনটারই ছায়া দেখিনা সিসিবিতে ইদানিং, দুইটারেই গুল্লি করনের কাম :grr:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।