ওমের্তা

ইতালির সিসিলির মাফিয়াদের নিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস, চলচ্চিত্র হয়েছে। তবে মাফিয়া সাহিত্যের সবচেয়ে বড় শিল্পী আমার মতে মারিও পুজো। আমেরিকায় অভিবাসী ইতালীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের ছেলে তিনি। লিখেছেন উপন্যাস ও চিত্রনাট্য। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হলো ” দ্য গডফাদার”, সেবা প্রকাশনীর কল্যাণে এর অনুবাদ অনেকেই হয়তো পড়েছেন। তাঁর সেরা চিত্রনাট্য এই উপন্যাসেরই চিত্ররূপ, ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপোলা পরিচালিত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র “দ্য গডফাদার”। অনেকেই এই চলচ্চিত্রটিকে এ যাবৎকালের সেরা চলচ্চিত্র বলে গণ্য করে থাকেন। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিউটের ২০০৭ সালের তালিকায় এটি বিগত একশ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে ভুক্ত আছে। পুজোর উপন্যাস ও চিত্রনাট্য মাফিয়াদের ভেতরের জগতটার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়। দায়িত্ব, কর্তব্য ও সততার নিজস্ব সংজ্ঞা আছে তাদের। কি করা যাবে, কি করা যাবে না- এ রকম অনার কোডও আছে মাফিয়াদের। এই কোডগুলোর অন্যতম হলো ওমের্তা, যাকে খুব সাদামাটাভাবে বাংলায় নীরবতার শপথ বলা যায়। এর মানে হলো কখনোই আইন বা অথরিটির কাছে কিছুই বলা যাবে না, তাদের কোনরকম সহযোগিতাও করা যাবে না। এটা কিভাবে এল বলতে গেলে মাফিয়াদের জন্মের ইতিহাস ও সিসিলির রাজনৈতিক ইতিহাস টেনে আনতে হবে। ও পথে আর না যাই বরং। ক্যাডেটদের ব্যাপারেই বলি। আমাদের ক্যাডেটদের কাছে এই ওমের্তা খুব প্রাসংগিক একটা ব্যাপার। ক্যাডেট কলেজের পরিবেশে যে বিষয়গুলো ছেলে মেয়েগুলো আপনা আপনি শিখে যায়, তার মধ্যে ক্যাডেটীয় ওমের্তা প্রথম দিকেই থাকবে। ক্যাডেটীয় ওমের্তা হলো ক্যাডেট কলেজের এমন একটা অলিখিত নিয়ম যা বেশিরভাগ ক্যাডেটই মেনে চলে, সচেতন অথবা অবচেতনভাবে।

আগেই বলেছি, অলিখিত। সুতরাং কলেজভেদে এমনকি ব্যাচভেদে এর চর্চা ভিন্নরকম। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, ওমের্তা হলো, সিনিয়ার অথবা কলেজ অথরিটির কাছে ক্লাসমেটদের কুকীর্তির কথা কিছুই না বলা। শত পানিশমেন্টের মুখেও চুপচাপ থাকতে হবে। কেউ যদি এই কোড ভাঙে, তাহলে তাকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। বয়কট করা হয় এ ব্যাপারে নূন্যতম সন্দেহে। মাস কয়েক আগে কমল ছদ্মনামে এক বড়ভাইয়ের লেখার হাহাকারগুলো ছিল তার ক্লাসমেটদের সন্দেহের ফসল। তিনি ওমের্তা ভেঙেছিলেন বলে তার ক্লাসমেটরা সন্দেহ করেছিলেন, যার জের তার আজো টানতে হচ্ছে।

কিভাবে ক্যাডেটদের মাথায় একটা ইন্সটিংক্ট হিসাবে যে ওমের্তা ঢুকে যায়, আমার জানা নেই। তবে সবার মাথায়ই ঢুকে। একসময় এই কোড ভাঙা আর নিজের ভাইকে বিক্রি করে দেয়া সমার্থক হয়ে যায়। ক্লাস সেভেনের শুরুর দিকে যখন ক্যাডেটরা কলেজের হালচাল পুরোপুরি বুঝে উঠেনি, তখন মাঝে মাঝে ওমের্তা ভাঙে নবীন ক্যাডেটরা। দুই এক টার্ম পরেই যখন সবাই বুঝে যায়, এই বৈরী পরিবেশে ক্লাসমেটগুলোই সব, তখন থেকেই শুরু হয় ওমের্তার চর্চা। ক্লাসমেটদের নামে নালিশ বা তাদের ফাঁসিয়ে দেয়া জঘন্যতম অপরাধ হয়ে যায় সবার কাছে।

একটা ঘটনা দিয়ে লেখাটা শেষ করি। ওমের্তা ভাঙা যাবে না, তাই নায়কদের পরিচয় গোপন রাখলাম। ধরা যাক, তাদের নাম যদু ও মধু। যদু আর মধু ছিল এক ফর্মে। ক্লাস, প্রেপ সারাক্ষণ এদের মাঝে কথার যুদ্ধ লেগে থাকত। একদিন সান্ধ্য প্রেপে তাদের কথার যুদ্ধ সিরিয়াস হয়ে গেল। আমার চোখের সামনেই ঘটনাটা ঘটল, বাধা দেয়ার সু্যোগ পাই নি। যদু ডেস্ক থেকে তড়াক করে উঠে গিয়ে ধড়াম করে মারল মধুর মুখে একটা ঘুষি। মধু প্রস্তুত ছিল না, ঘুষির পুরো জোরটা গিয়ে লাগল ঠোঁটে আর সামনের পাটির দাঁতে। সাথে সাথে ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছে। যদু রাগের মাথায় কাজটা করে ফেলেছে, বুঝতেও পারেনি এত জোরে লেগে যাবে। মধু হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরল সাথে সাথে। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। আমি উঠে গিয়ে ধরলাম মধুকে, বাথরুমে নিয়ে যাব ওকে। সাথে সাথেই ফর্ম মাস্টার মনসুর স্যার ঢুকলেন। কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আরকি, ঐ দিনই তার প্রেপ ডিউটি। স্যার আমাদের তিনজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে এলেন। রক্ত দেখে তারও মাথা কিঞ্চিৎ খারাপ হলো। আমাদের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন-

কি হয়েছে? মারামারি করেছে কে?

আমি আর যদু তাকালাম মধুর দিকে। মধুর কোর্টে বল, ও যা করে এখন। রক্তমাখা হাত মুখ থেকে সরিয়ে, ফেটে যাওয়া ঠোঁট বাঁচিয়ে কথা বলার চেষ্টা করল মধু।

দরজার সাথে ধাক্কা খাইছি স্যার। বাথরুমে যাইতেছিলাম।

মধুর নির্বিকার মিথ্যা বলা দেখে অভিভূত আমি তখন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলাম ওকে। ফর্ম মাস্টার যেতে দিলেন না, বেয়ারা দিয়ে ওকে হাসপাতালে পাঠালেন। এতদিন পরে মনে নেই ওর সেলাই লেগেছিল কিনা। কিন্তু দাঁত নড়ে গিয়েছিল সামনের কয়েকটা। হাসপাতালে ভর্তিও ছিল কয়েকদিন।

আজ প্রায় ৯ বছর পর, যদু আর মধু- দুটোই জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছে। বলা ভালো, জীবনটাকে পালটে ফেলতে যাচ্ছে। যদু অর্ধেক করেছে আর মধু কয়েকদিন আগে করল। আমার প্রিয় দুটো মানুষ ভালো থাকুক, সফল হোক নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। কায়োমনোবাক্যে এই প্রার্থনাই করি।

৩,০৩৬ বার দেখা হয়েছে

৬৭ টি মন্তব্য : “ওমের্তা”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)
    জীবনটাকে পালটে ফেলতে যাচ্ছে। যদু অর্ধেক করেছে আর মধু কয়েকদিন আগে করল

    বিয়া কইরা ফেলতেছে নাকি দুই জনই।

    বন্ধুর ঘুসা ঘুসা নাকি, এইবার টের পাইব ঘুসাঘুসি কি জিনিস।

    চাইপা যাওনের বিষয়টারে ওমের্তা কয় নাকি? যান্তাম্না।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    মধু ভাইকে :salute: :salute: :salute:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    তৌফিক, তোমার লেখায় একটা সাবলীলতা আছে।

    একসময় এই কোড ভাঙা আর নিজের ভাইকে বিক্রি করে দেয়া সমার্থক হয়ে যায়।

    একদম ঠিক কথা। এইটা বিবেকবোধ থেকেই আসে বলে আমার ধারণা।

    জবাব দিন
  4. কাহিনীটা সব গুলো কলেজ়ের, সব গুলো ব্যাচের জন্যই প্রযোজ্য। ক্যাডেটদের এই গুণটাই তাদের সব চেয়ে সেরা গুণ। আর গুণটার উৎপত্তি ভয়ে নয় ভালবাসায়।

    জবাব দিন
  5. হায় হায় !!
    শেষ পর্যন্ত ক্যাডেটদেরকে মাফিয়াদের সাথে তুলনা!!! 😛

    তয় যদু-মধু'র ঘটনা শুইনা ভালো লাগলো। :clap: এইটা ঠিক কোড অফ কন্ডাক্ট না কিন্তু। একেবারে সহজাত বন্ধুত্ব থেকেই হয়েছে। :boss:

    ওমের্তা'র মতো কিছু ব্যপারতো অবশ্যই আছে। তবে সেটাও কিন্তু বন্ধুত্বের টান থেকেই ধীরে ধীরে তৈরী হয়। এমন না যে কেউ শিখিয়ে দেয় যে এটাই নিয়ম, তোমাকে এটাই মানতে হবে। 😀

    অনেক আগেও বলেছি তবু আবারো বলি, তৌফিক সব সময় আমার প্রিয় লেখকদের একজন। সহজ, সরল, সাবলীল। :hatsoff:

    জবাব দিন
  6. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আগে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে নেই, লিখাটা যে পড়সি এইজন্য :boss:

    লিখার নাম আর লিখার প্রারম্ভে ইটালীর নাম দেখে ভাবসিলাম এইটা আন্ডা খেলার কোন এক প্লেয়ারকে নিয়ে লিখা, আল্লাহর কসম। সঙ্গে সঙ্গেই ভাগতেসিলাম, জুনি ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে কি মনে করে পড়া শুরু করলাম। 😡
    ওমের্তা কে :salute: সকল ক্যাডেটকে :salute:
    ওমের্তা বোধ হয় ক্যাডেট হওয়ার পূর্বশর্ত তৌফিক ভাই, ক্যাডেটীয় ভালবাসারও পূর্ব শর্ত।

    জবাব দিন
  7. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    চমৎকার একটা লেখা।
    যে কয়টি অনন্য বৈশিষ্ট্য কলেজ থেকে বের হবার পরও ক্যাডেটদের বাকি সবার কাছে হিংসার পাত্র বানিয়ে রাখে এই ওমের্তা তার মধ্যে একটা। হয়তো পরে আর একজনের দোষ অন্যের কাছে চেপে যাওয়া বা একেবারেই আক্ষরিক অর্থে না, তবুও।
    বিবকেবোধ থেকেতো আসে, এইটা স্বাভাবিক, তবে আমাদেরকে সিনিয়ররাও একেবারে শুরুতে চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দেখিয়েছিলেন। --- সেভেনে ঢুকার ২য় বা ৩য় দিনে, নাইট প্রেপে।তখনও চার হাউজের সবাই সবাইকে সেভাবে চিনে উঠিনি। প্রেপগার্ডে ইলেভেনের ভয়ংকর চেহারার এক ভাই আসলেন। কি কারণে তিনি বাইরে যাবার সময় ফর্ম লিডারকেবলে গেলেন কেউ কথা বলে নাম লিখ রাখতে। কোনো নাম না দেখলে লিডারকেই পাঙ্গাবেন এটাও বলে গেলেন। ফর্ম লিডার বেচারা ভয়েই তখন কথাবলারত ৩/৪ জনের নাম লিখে ফেলল। পরে ঐ ভাই এসে বোর্ডে নাম দেখে বেচারা ফর্ম লিডারকেই দুটো চড় লাগিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধুদের নামে সিনিয়রের কথা মতো রিপোর্ট করার জন্য।

    এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যপারটা একেবারে নিজেদের মধ্যে থেকেই আসতে বাধ্য করে ক্যাডেট কলেজের পরিবেশ।
    তৌফিক আরেকটা সুন্দর লেখা দিলিরে। নস্টালজিক হয়ে গেলাম :boss:

    তৌফিকের সেই বন্ধুকে সহ সকল ক্যাডেটকে :salute:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  8. আন্দালিব (৯৬-০২)

    তৌফিক, পুরানা অনেক কথা মনে করায়া দিলি। কত শত ক্লাস ফাটানি এক খান কথা বাইর করার জন্যে সিনিয়ররা দিল! কিন্তু কেউ কিছু কইত না। অদ্ভুত ভ্রাতৃত্ব! এমন অমের্তা যুগ যুগ জিও ! :salute:

    জবাব দিন
  9. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    খুব ভালো লেখা :clap: :clap: ।
    আমিও ভালো গ্যাড়ায় পড়ছিলাম বোর্ডে নাম লেখা নিয়ে 😛 😛 ।
    তবে শিখতে দেরী হয়নি।

    এসএসসি'র আগে বাইশজন ক্লাসমেটরে "গডফাদার" পড়াইছিলাম 😛 🙂 😀 ।
    বিশাল নেশা।

    যদিও ব্যাপারটা সম্পূর্ণই লেখকের, তারপরও আমার মনে হয়েছে এমন একটা বিষয় এখানে আসছে যেখানে কোন গ্লানি নেই, হতাশা নেই, যন্ত্রণায় দ্গ্ধ হবার সম্ভাবনা নেই। আর ঠিক এই কারণেই দুইজনের আসল নাম প্রকাশে কোন সমস্যাও দেখি না। বরং এক অসাধারণ, অনন্য একটা ব্যাপারে উদাহরণ তৈরী করার গর্ব আছে। আমি তো এখনই ভাবছি যে এদের সাথে যেদিন পরিচিত হব সেদিন এই লেখাটার কথা তুলে ধরব। মনের মাঝে যেই শ্রদ্ধাবোধ জমেছে তার প্রকাশ ঘটাব।

    সেই দিনের প্রতীক্ষায়।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      ধন্যবাদ সায়েদ ভাই। আসলে আমি তাদের আসল পরিচয় প্রকাশে কোন সমস্যা দেখি নাই, ১৪-১৫ বছরের দুইটা ছেলে মারামারি করেছে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসল যদু মধুরা যদি খেপে যায় আমার উপর???

      যদুর সিনিয়ার অফিসার আপনি, তারে ঠেকাইতে পারবেন। কিন্তু মধুরে ঠেকাইবেন ক্যামনে? আমারে পিটায়া তক্তা বানায়ে ফেলতে পারে। 😕

      জবাব দিন
  10. রহমান (৯২-৯৮)

    লেখাটা ভাল লেগেছে তৌফিক। ইতালি আর সিসিলি দিয়ে লেকাটার শুরু দেখে আমি ভাবছিলাম কঠিন কোন বিষয় নিয়ে লিখেছ, পরে দেখি না, আমাদের ক্যাডেটদের একটা দারুন গুন নিয়ে লিখেছ। এ রকম অনেক ঘটনাই আমাদের সব কলেজে, সব ব্যাচে আছে বলে আমার বিশ্বাস। তোমার এই লেখার মাধ্যমে কলেজের অনেক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলে।
    ওয়েলডান :thumbup:

    জবাব দিন
  11. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    * সল্প পরিসরে লেখা মারাত্মক একটা বিষয়। আমাদের জীবনে এই ওমের্তা- আহারে কত ঘটনা, আনন্দ- বেদনা...

    * গ্যাংস্টার মুভির মধ্যে গডফাদার বেস্ট। আমার কাছে সমান পয়েন্ট নিয়ে আরেকটা মুভি আছে। once upon a time in america.

    * ঘটনাটা শুনে মনে হলোনা এইটা আপনার কাহিনী- আমার নিজের ফর্মে একবার এমন ঘুসাঘুসি হইছিল, এবং রক্তারক্তি।

    * এরচেয়েও কত বড় স্যাক্রিফাইস করছে ক্যাডেটের পোলাপান সেইটা তো সবাই জানে।

    দুনিয়ার সকল ক্যাডেট্রে :salute:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।