উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই, আমি যাতে কষ্ট না পাই সেজন্য, কিন্তু তার কথা সত্যি হয়ে যাবে কে জানতো?

ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফেরার পর মেডিক্যাল চেক আপ বলে যে জিনিসটা হতো ক্যাডেট কলেজে, তার সাথে মনে হয় না আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার আছে। গালভরা নাম হলে কি হবে, মেডিক্যাল চেক আপ মানে ছিল তিনটা জিনিস। উচ্চতা মাপা, ওজন মাপা আর বুকের মাপ নেয়া। তো সেই মেডিক্যাল চেক আপের সময় ক্লাস সেভেন আর এইটে একটা বাধাঁধরা নিয়ম ছিল আমার। প্রত্যেক চেক আপের সময় উচ্চতা এক ইঞ্চি আর ওজন এক কেজি বাড়া। আমার চার ফুটি দেহটা পাঁচ ফুটের দাগটা অতিক্রম করেছিল ক্লাস এইটে ওঠার সংগে সংগেই। তারপর আমার উপর কি যে ভর করল বলতে পারব না। যতোদূর মনে পড়ে, টার্মটা খুব লম্বা ছিল। আর সেই সাথে ছুটিটাও। লম্বা টার্ম আর ছুটির মাঝে সময় পেয়েছিলাম সাড়ে তিন মাসের মতো। পরের মেডিক্যাল চেক আপের সময় উচ্চতা নিচ্ছেন মেডিক্যাল এসিটেন্ট ক্ষীতিশ স্যার। আমার উচ্চতা মেপে লেজার বুকে লিখতে যাবেন, এমন সময় তার চেহারা হলো বজ্রাহত মানুষের মতো। তিনি যদি আমার উচ্চতা না মেপে এক্সরে বা ব্লাড রিপোর্ট দেখতে দেখতে এরকম চেহারা করতেন, নিশ্চিত ভেবে নিতাম আমার আয়ু আছে বড়জোড় তিন সপ্তাহ। যাই হোক, নিজেকে সামলে আমার উচ্চতা লিখলেন লেজার খাতায়। তারপর বললেন, তোমার উচ্চতা বেড়েছে গত টার্মে তিন ইঞ্চি। আমার খুশি দেখে কে, তিন ইঞ্চি!!!!!! সাড়ে পাঁচ ফুটের মাইল স্টোন আমার হাতের মুঠোয় তাহলে।

উচ্চতার এই আশীর্বাদ কিছুটা অভিশাপ হয়ে দেখা দিল এরপর। জামা কাপড় তো ক্যাডেট কলেজে কম লাগে না। সকাল বেলায় স্লিপিং ড্রেস থেকে পিটি ড্রেস। পিটি শেষে একাডেমিতে যাওয়ার জন্য ইউনিফর্ম, একাডেমি থেকে হাউসে ফিরে কোয়াইট আওয়ারের জন্য আবার স্লিপিং ড্রেস। ফার্স্ট প্রেপে যাওয়ার জন্য হাফ প্যন্ট হাফ শার্ট, তারপর হাফ শার্ট খুলে গেমসের জন্য ভেস্ট পরে রেডি হওয়া, গেমস শেষে পাজামা পাঞ্জাবী, নামাজ শেষে সাহেবী টাই, কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট। প্রেপ থেকে ফিরে আবার স্লিপিং ড্রেস পরে বৃত্তায়িত হয় ক্যাডেট কলেজের ড্রেস চক্র। ক’বার হলো তাহলে? ছ’বার। প্রত্যেকটা ড্রেসের অন্তত দুটো সেট থাকতে হবে। সুতরাং, পাটিগণিতের হিসাবে একজন গড়পড়তা ক্যাডেটের দরকার হয় বারো সেট জামা কাপড়। এই বারো সেট জামা কাপড় প্রতি টার্মেই পাল্টাতে হতো আমার। আমার সরকারী চাকুরে বাবা চোখে সর্ষে ফুল দেখা শুরু করলেন। আমার জামা কাপড়ের সাপ্লাই দিতে গিয়ে তিনি অল্পের জন্য দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন বলে দাবী করে থাকেন। এই বারো সেটের মাঝে বাবা অবশ্য কিনে দিতেন এগারো সেট। কলেজের ইউনিফর্মের কাপড় বাইরে পাওয়া যেত না, বাইরের খাকি কাপড় কোন কারণে ইউনিফর্মের সাথে ম্যাচ করতো না। অগত্যা আমাকে কলেজের ইউনিফর্মই পড়তে হতো। কলেজের ইউনিফর্ম আবার দিতো বছরে একবার। ক্লাস এইটের শেষের দিকে তাই মোল্লা টাইপের হয়ে গিয়েছিল আমার খাকি প্যান্ট। গোড়ালির অনেক উপরে। ক্লাস নাইনের প্রথম দিকে সেটা হয়ে গেল একেবারে থ্রি কোয়ার্টার। হাউস মাস্টার স্যার এক প্রিন্সিপাল প্যারেডের আগে আমার ইউনিফর্ম দেখে জমা দেয়া পুরোন ইউনিফর্ম দিয়েছিলেন একটা। এরপর বেশ ক’বছর এভাবেই ইউনিফর্ম পরেছি। সিনিয়ারদের জমা দেয়া পুরোন ইউনিফর্ম ধুয়ে মুছে আবার নিজের করে নিতাম।

ক্লাস টেনের দিকে হয়ে গেলাম প্রায় ছ’ফুট। জামা কাপড়ের বিভ্রাট কলেজের গন্ডি ছেড়ে বাইরে এসেও ধরা দিল। ময়মনসিংহের বাজারে আমার মাপের কোন জিন্স বা শার্ট পাই না। যা হয় সব ছোট। বানানো কাপড় পরে আর হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মেলানো হয় না। কি আর করা, একদিন ঢাকায় এসে বংগ থেকে কিনে নিয়ে গেলাম জিন্স আর টি শার্ট। সেই শুরু, বিদেশ আসার আগের কেনাকাটাও করেছি বংগ থেকে।

উচ্চতা নিয়ে বিড়ম্বনা কলেজেই শেষ হয়নি, এখনো সেটা আমার পিছু লেগে আছে। কলেজ থেকে বের হওয়ার পর চলে আসলাম ঢাকা, পাবলিক বাসে যাতায়াত করি। কিন্তু বাসের সিটগুলো এতো চাপা যে, কোনভাবেই বসতে পারতাম না। কয়েক দিন পর কায়দা বের করে ফেললাম, বাসের সিটের উপর পা তুলে বসি। খুব আরাম হয় যে তাতে, তা না। তবে আগের চেয়ে অবস্থা ভালো ছিল। একদিন তো পাশে বসা এক ভদ্রলোক বলেই বসলেন, এই ছেলে, ভদ্র হয়ে বসতে পারো না? আমি জবাব দেয়ার চেষ্টা করিনি, যার জ্বালা, সেই বোঝে। তবে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভালো একটা দিকও ছিল। ভীড় বাসে সবাই হ্যান্ডলে একটু ধরার চেষ্টা করে, যাতে ব্রেক করলে পড়ে না যায়। আমার কিন্তু তা করতে হতো না, বাসে দাঁড়ালে মাথাটা ছাদে ঠেকে একেবারে যাকে বলে লক হয়ে যেত। সুতরাং পড়ার কোন প্রশ্নই আসে না। ঘাড় মটকানোর একটা হালকা চান্স থাকত বটে, কিন্তু সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি – এই কথা কে কবে মেনেছে? আমার এই লক অবস্থা দেখে অনেক সহৃদয় যাত্রী তাদের সীটটা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে- এরকম ঘটনাও কম নাই। আর লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকার অপবাদ তো সবসময়ই ছিল।

উচ্চতার বিভ্রাট এখানেই শেষ না, আরও আছে। আই ইউ টি-তে থাকতাম হলে, সবাই থাকে। ক্যাডেট কলেজ থেকে একটা অভ্যাস ছিল, শর্টস পরে থাকা। এমনকি বংগ ঘুরেও আমার সাইজের শর্টস পাইনি, লম্বায় হয় তো, কোমরে বড়। উপায় না পেয়ে একটু ছোট শর্টস পরতাম, আরামের সাথে তো আর আপস করা যায় না। আই ইউ টি লাইফ শেষ করে নিকুঞ্জে এসে আস্তানা গাড়লাম। টিউশনি করাই আর প্রফেসরদের তেল দিয়ে মেইল দেই, যাতে আমাকে এডমিসন দেয়। আমার সাথে থাকত এ আই ইউ বি-র কিছু ছেলে পেলে। আমার বন্ধু ওদের সাথেই পড়তো, বন্ধুর সূত্রেই উঠেছিলাম ওই বাসায়। এক দিন আমার এক বাসা মেট এসে বললো বনানীতে নাকি আই ইউ টি-র এক ছেলের সাথে কথা হয়েছে। আমাদের এক ব্যাচ জুনিয়ার। আই ইউ টিতে খুব খোলসবদ্ধ জীবন কাটিয়েছি, লোকজন তেমন একটা চিনতো না। ছেলেটিও তাই নাম বলায় আমায় চেনেনি। যথারীতি আমার বাসা মেট আমার ট্রেড মার্ক উচ্চতার কথা বলতেই সে বলল, “ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”

ওই ব্যাটা আমার ছোট হাফপ্যান্টই খালি দেখলো, লম্বা হওয়ার কষ্টটা বুঝলো না।

৫,৬৯৫ বার দেখা হয়েছে

৬৭ টি মন্তব্য : “উচ্চতা বিভ্রাট”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    আহারে দোস্ত এইভাবে বলিস না কত দুঃখ নিয়ে যে থাকি লম্বা যদি আর একটু হইতাম... লোকে বলে লম্বা হইলেই নাকি স্মার্ট হয়ে যায় শালা লম্বাও হইতে পারলাম না স্মার্ট ও না। দুঃখ কই রাখি। কলেজে প্রথমে আমি মাঝারি সাইজের ছিলাম কিন্তু ১২ এ উঠে একেবারে পিচ্চি সাইজে চলে গেলাম। আমার সাথের সবাই লম্বা হয়ে গেল আমি হইলাম না। মাঝারি সাইজেই পড়ে থাকলাম।

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    “ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”

    =)) =)) =))
    ভাইয়া এখন আপনার উচ্চতা কতো??????


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    এই পোলা তুমি কি সারাদিন নেটেই থাক নাকি কাজ কাম নাই? সারা ব্লগে খালি ফার্স্ট লেইখা আস। আজকে অবশ্য পারনাই আমি আগে দিয়ে দিছি।
    খালি কমেন্ট কেন লেখালেখি কর কিছু।

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    “ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”

    ওই ব্যাটা আমার ছোট হাফপ্যান্টই খালি দেখলো, লম্বা হওয়ার কষ্টটা বুঝলো না।

    😀 খুব সুন্দর করে লেখছে তৌফিক।
    লম্বা হওয়ার কষ্ট 🙂 ছয় ফিট তিন ! বাপ্রে, ডরাইসি ।
    এক মাস্ফ্যুরে নিয়াই আমরা বিরাট ঝামেলায় আছি। তৌফিক দেখি অর চেয়েও লম্বা 😛

    লেখা আচার সিরিজটার মতো মজা নিয়াই পড়ছি। :salute:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. হাসনাইন (৯৯-০৫)

    বিশাল মজা পাইলাম। 😀
    কলেজে ঢুকার সময় ছিলাম ৫'২", বের হওয়ার সময় ৬'২"। গত দুই বছর ধরেই এই সাইজে আছি, আর মনে হয় বাড়মু না। 😀

    জামা কাপড় তো ক্যাডেট কলেজে কম লাগে না। সকাল বেলায় স্লিপিং ড্রেস থেকে পিটি ড্রেস।

    হে হে... আমারো সেইম কেস। 😛

    আমার এই লক অবস্থা দেখে অনেক সহৃদয় যাত্রী তাদের সীটটা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে- এরকম ঘটনাও কম নাই।

    আমারে-ত কেউ দিল না এই পর্যন্ত। 🙁

    “ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”

    :)) :))
    বস এর লাইজ্ঞা হাফপ্যান্ট বানানোর সময় থ্রি কোয়াটার বানাইতাম।

    জবাব দিন
  6. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকার অপবাদ তো সবসময়ই ছিল।
    :(( :(( :(( :(( :((
    বুদ্ধি হাঁটুতে মাইনা নিলেও খাদক অপবাদ মানি না মানব না
    x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-(

    জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    "লম্বা করে ভাইয়াটা"- বললে এখনও আপনাকে আইইউটি-তে অনেকেই চিনে। কিন্তু দুঃখ কইরেন না, আপনার ছোট ছোট হাফপ্যান্টের ব্যাপারটা আর অতোটা প্রচলিত নাই। সো নো টেনশুন..

    জবাব দিন
  8. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
    আর আমি তো এখন ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি হয়েও ৩০ পাউন্ড আন্ডারওয়েট

    'আন্ডারওয়েট' এর জায়গায় 'ওভারওয়েট' হইলেই পুরাপুরি কপি-পেস্ট কইরা নিজের কমেন্ট বইলা চালায় দিতে পারতাম... 😕


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  9. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    তৌফিক,
    হমমমম...। নিজেরে যাও একটু লম্বা ভাইবা ভাব নেয়ার চেষ্টা করতাম, এখন দেখি তাও শেষ। এইখানের অনেকেই তো দেখি আমার চাইতেও লম্বা...।
    আর্মি'র আন্ডারওয়েটের কথা জানতে চাইছোনা? শোন তাইলে বলি...
    সব সময়ই জানতাম যে আন্ডারওয়েট হওয়া ভালো। কিন্তু আমার ব্যাপারে হইল উলটা । আমি যখন ফরেইন কোর্সের ইন্টারভিউ দিতে গেলাম প্রথমবার, তখন জনেক জেনারেল আমাকে দেখে বললেন, আমাকে সিলেক্ট করা যাবেনা। কারণ আমি প্রচুর মাত্রায় আন্ডারওয়েট। এই শরীরে আমি এই কোর্সের লোড নিতে পারবোনা। তাছাড়াও বিদেশের লোকজন আমাকে দেখে ভাববে বাংলাদেশের সব অফিসাররাই হয়তো এরকম আমার মত অপুষ্টিতে ভোগে। কি আর করা। এর পরে আরো ৬ বার টেষ্ট দিয়েছিলাম। প্রতিবারই পিটি টেষ্ট এ প্রথম হই, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই, ভাইভাতে সব প্রশ্নের উত্তর পারি, কিন্তু আমি সিলেক্টেড হইনা। অতঃপর একদা ক্ষেপিয়া গিয়া উক্ত জেনারেল কে জিজ্ঞাসিয়াছিলাম, "আমি যখন ৪৫ পাউন্ড আন্ডারওয়েট নিয়া আর্মি কমান্ডো কোর্সের মত অমানবিক একটা কোর্স করিয়াছিলাম, তখন কোথায় ছিল এত সহানুভূতি? তখন কেন কেউ আমাকে বলেনাই, এই শরীর নিয়া তুমি এত কষ্ট করিতে পারিবেনা। আজ বৈদেশিক কোর্সের বেলায় কেন আমার প্রতি এত সহানুভূতি????"

    ফলাফল, আমাকে ৬ সপ্তাহের জন্য কম্ব্যাট ট্র্যাকিং'র নামে মালয়শিয়ার জঙ্গলে নির্বাসনে পাঠানো হইয়াছিল...।

    বারবার ইন্টারভিউ শেষে ফেরত যাইবার সময় ভাবিতাম, ইস, হাইটটা আরেকটু কম হইলেই হয়তো আন্ডারওয়েটের খড়্গটা আমাকে এইভাবে মারিতনা...।

    জবাব দিন
  10. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    আমার বাপ হইল ৬ ফুট... ভাবছিলাম সেই সুবাদে আমিও একটু লম্বা টম্বা হব...কিন্তু আম্মিজান একটানে নামাইয়া দিসেন (৪'১১'') এখন আমি ৫'৯'' এ আইসা আটকাইয়া গেসি... 😀 😀

    জবাব দিন
  11. জিহাদ (৯৯-০৫)

    এই পোস্ট এত লম্বা কেন? তার মধ্যে সামনে এতগুলা লম্বা মানুষের জ্বালায় কিছু দেখতে পারতেসিনা। 🙁

    খাড়ান, আর এফ এল এর একটা টুল নিয়া আসি। B-)


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  12. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    নিজের হাইট এর কথা চিন্তা করে এখানে কমেন্ট দিতেই সংকোচ হচ্ছে। anyways size doesn't matter....


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।