১।
প্রথম বিশ্ব হোক আর তৃতীয় বিশ্ব- সব বিশ্বের সরকারের অবস্থা একই। চরম রকমের ইনএফিসিয়েন্ট এরা। নিজের বাপ সরকারী চাকুরীজীবি, তারপরও এই কথা বললাম। বলার কারণ অবশ্য যথেষ্টই আছে, বিদেশে পড়তে আসার মাস দুয়েক আগে থেকে শুরু হইছে সরকারী অফিসে অফিসে কাগজপত্রের জন্য ধরনা দেওয়া। কানাডায় আইসাও তার ব্যতয় ঘটে নাই, এই কাগজ সেই কাগজের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হইছে গত দুইবছর। বাংলাদেশের সরকারী অফিস আর এই খানের সরকারী অফিসের মধ্যে পার্থক্য একটাই, ঘুষ দেওয়া লাগে না। এই বাদে সব এক। মুখ খারাপ করলাম না, রোজা-রমজানের দিন। এই এদের জন্যই আমার এই মাসের তিন তারিখে বাসায় ইফতারী করা হইল না। এখনও বিদেশ ছাড়তে পারি নাই, ঈদটাও পাবো কিনা সন্দেহ। মনটা এই কারণে বড়ই উচাটন, সিসিবিতে বেশি ঢুঁ মারা হয় নাই। জানতাম সিসিবি ইফতার নিয়ে ব্লগ আসবে, কিন্তু ওইগুলা পড়তে ইচ্ছা হয় নাই। কারণটা হিংসা। আজকে অবশ্য পড়েই ফেললাম কামরুল ভাই-এর লেখা আর তারিকের ছবি ব্লগ। অনেক মজা করছে সবাই। দেখে হিংসাও হইছে, আবার অনেক ভালোও লাগছে। আমাদের মিস করার কথা অনেকেই বলছেন। কিভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবো জানি না, তাই রবিগুরু কবিন্দ্রনাথের ভাষায় বলি- মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি সিসিবিরই লোক। সিসিবির প্রতি অধিকারবোধ জন্মে গেছে অনেক। সেন্স অব বিলংগিং মনে হয় এইটাকেই বলে।
২।
গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাইলাম কিছুদিন আগে। তৌফিক মিয়া গরীব মানুষ, তাহার নিজের গাড়ি নাই। অন্যের গাড়ি ভাড়া করিয়া চালায়। গাড়ি ভাড়া করার ইচ্ছা ছিল না দেশে যাওয়ার আগে। আমার বউটারে বিধবা করতে চাই না এই কথা বললে ভুল হবে। আসলে প্রেমিকা হিসাবে অনেকদিন জ্বালানোর টাইম পাইলেও, বউ হিসাবে সেই তুলনায় বেশি টাইম পাই নাই। বউরে মনের সাধ মিটায়ে না জ্বালায়ে মইরা গেলে আত্নাটা অতৃপ্ত থাইকা যাইত। যাহোক, প্রসংগে ফিরে আসি। এক বন্ধু পরীক্ষা দিবে লাইসেন্সের, প্র্যাকটিসের জন্য গাড়ি দরকার। আমারে দিয়ে সে গাড়ি রেন্ট করতে চায়, বললো রেন্টের টাকা নাকি সেইই দিবে। আমি ভাবলাম পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার এই সুযোগ। দৌড়ের উপর বললাম আমি রাজী। রেন্টাল কোম্পানি থেকে একটা মাজদা ৩ ভাড়া করে আনলাম, ২০০৮ মডেল। গাড়িটা ভালোই। সবচেয়ে বড় কথা হইল গিয়া, গাড়ি ভাড়া করার দুই দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও গাড়ির কিছু হয় নাই। ড্রাইভার হিসাবে এখন পর্যন্ত আমি সফল আছিই। হোসেন ভাইয়ের (আদনান ৯৪-০০) কথা মেনে চলব বলে ঠিক করছি। হাইওয়েতে আরো অভিজ্ঞ না হইলে যাব না। তবে গত দুইদিন বন্ধুর প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে আমি যে পরিমাণ গাড়ি চালাইলাম তাতে খরচের অর্ধেক শেয়ার না করলে হাক্কুল ইবাদের বড় রকমের বরখেলাপ হবে।
৩।
বাসায় নতুন দুই পোলা আসছে। একটা মার্ক, ক্যালগারির ছেলে। এখানে মাস্টার্স করতে আসছে ক্লাসিক হিস্ট্রির উপর। আরেকটা মিগুয়েল, হিস্পানিক আমেরিকান। এখানে আর্কিওলজিতে আন্ডারগ্র্যাড করতে আসছে। বড় মায়ের বড় পোলা, মা WHO-র ডাইরেক্টর বা এইরকম কেউকেটা কেউ। দুইটা ছেলেই ভালো। মার্ক পোলাটার সাথে কথা বলে আমি চমৎকৃত। ছেলেটার পড়াশোনা অনেক। বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানে। তবে সবচেয়ে মজা লাগছে যেটায় সেটা হল ওর আন্ডারগ্র্যাডের থিসিসের কথা শুনে। কলোনিয়াল ইউরোপের অধীনস্থ বিশ্ব ছিল শান্তিপূর্ণ বিশ্ব- এইটাই ছিল তার থিসিসের বিষয়। এটা সে বিভিন্ন ইতিহাসভিত্তিক রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে শুরু করে দুইটা ওয়ার্ল্ড ওয়ার- কিছুই বাদ রাখে নাই। ও যে ইউনিভার্সিটিতে এই থিসিসটা করছিল সেখানে থিসিস রিভিউ করে এক্সটার্নাল এক্সপার্টরা। তবু সে ১০০% মার্ক পাইছে থিসিসে। আমি কিছুটা অবাক হইছিলাম ওর থিসিসের মূল প্রতিপাদ্য শুনে। ওর সাথে কথা বলে আমার একদম মনে হয় নাই সে কলোনিয়ালিজম সমর্থন করে। কারণ প্রথম রাত্রেই খাওয়ার পর ঘন্টা দুয়েক সে আর আমি মিলে ব্রিটিশদের পিন্ডি চটকাইছি একসাথে। ব্যাটা মনে হয় আমার চোখ মুখ দেখে অবাক হওয়াটা টের পাইছিল। নিজে থেকেই বলল, থিসিস সে লিখলেও এর এক বিন্দুও সে বিশ্বাস করে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম তাইলে এই আর্গুমেন্টগুলা লিখলা ক্যান? সে বলে, পাবলিকে এই জিনিস খাবে এইটা সে নিশ্চিত ছিল। তাই লিখছে, আর ভালো গ্রেড পাওয়াটা দরকার ছিল। ফার্স্ট ইয়ার মাস্টার্সে রিসার্চ ইন্টেগ্রিটি আর এথিকস নিয়া একটা ওয়ার্কশপ টাইপ নন ক্রেডিট কোর্স করাইছিল। ওই কোর্সে যা যা শিখছিলাম, সেই বিদ্যায় মার্কের থিসিসটাকে কোনভাবেই আনএথিকাল বলে বিচার করতে পারলাম না। মার্কের ঘটনাটা থেকে বুঝলাম, মার্কেটেবিলিটি না থাকলে কোনকিছুরই দাম নাই।
৪।
কাইয়ূম ভাইরে অর্ডার দেওয়া ব্লগটা এই কিস্তিতে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কপাল খারাপ হওয়ায় সেইটা পারলাম না। কিছু ছবি তুলছিলাম আমার পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরাটায়। সেই ক্যামেরা খুঁজে পাইতেছি না, ক্যামেরা থেকে ছবিগুলা ল্যাপিতে নামানোও হয় নাই। ছবির অভাবহেতু সেই ব্লগটা দেওয়া গেল না। কাইয়ূম ভাইরে আরো অপেক্ষায় রাখার জন্য লুংগি পিরা লঙ্গাপ হয়ে থাকার ইচ্ছা ছিল। বিদেশ-বিভূইয়ে লুংগি নাই, তাই আর পারলাম না। দেশে গেলে সেইটা নিশ্চয় করতে হবে না। অনেকদিন পর দেশে যাইতেছি, আমার সেভেন মার্ডার পার্ডন হওয়ার কথা।
ল্যাপি উঁচা করলাম, আমার হাফ সেঞ্চুরি পুরা হইছে এই ব্লগ দিয়া।
🙂 😀
ফাঁকা মাঠ দেখতাসি।
@আমিনঃ
মাঠ ফাঁকা না, কোন মন্তব্যই দেখা যাইতেছে না। দিহান ভাবী আবারও প্রথম। ভাবী আপনারে ফোন দিব ভাবতেছিলাম কয়দিন ধরে। 🙂
ভাইয়া সময় করে দিও 🙂
ইনশাল্লাহ 🙂
তোমার আচারগুলো পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে তৌফিক। :thumbup:
তোমাকে ফেইসবুকে দেখেছি কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনের গোষ্ঠী উদ্ধার করে গালাগালি করতে, এখন ভালোভাবে বুঝতে পারছি কেন গালাগালি করেছিলা। 🙂
যাই হোক, সুস্থভাবে দেশে আস, আরেকটা গেট-টুগেদার তো হবেই ইনশাল্লাহ্। 🙂
অনেক ধন্যবাদ তানভীর ভাই। সবার সাথে দেখা করার অপেক্ষায় আছি আমিও। 🙂
বেরাদার, মন খারাপ কইরেন না। ইনশাল্লাহ দ্রুত পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
অফটপিকঃ কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনের *** **
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
*** মায়েরে বাপ
আমিন 🙂
(কলেজে বলতাম আমার আর আমিনের ট্যাগটিম পার্টনারশিপ। মসজিদে প্রায়ই আমাদের নাম একসাথে বলত কিনা... তৌফিক দান করুন, আমিন। 😛 )
তোর মেইল/ফোন নাম্বার টা আমারে মেইল করিস তো।
robin757@live.com
পাইছেন না? 🙂
:thumbup: :hatsoff: :hug:
সব ঝামেলা শেষ করে ইনশাল্লাহ ঠিক ঠাক মতন দেশে চলে আসতে পারবি এই আশা করি এখন।
তোদেরকে দেখতে মঞ্চায় 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনাদেরও দেখতে মন চায়। 🙂
চমৎকার লেখা, সুন্দর, চ্রম লাগলো এই ধরণের মন্তব্য করবো না ভাবছিলাম- পাছে মানুষ ভাবে না পইড়াই মন্তব্য করছি।
কিন্তু এই লেখাটা পড়ার পর বলতেই হচ্ছে জাস্ট চ্রম একটা লেখা হইছে। বিশেষ করে মার্কেটেবিলিটির পার্টটা।
চলে আসতেছি বাসা ছেড়ে, না হইলে এই ছেলেটার সাথে অনেক জমায়ে গল্প করা যাইত, অনেক কিছু শেখা যাইত। ওর পড়াশুনা আসলেই অনেক, গ্রিক আর ল্যাটিন- দুইটাই পারে। বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকগুলা কথা বলছে যেগুলা যেকোন কানাডিয়ানের কাছ থেকে আন এক্সপেক্টেড। 🙂
তোর একটা পোস্ট দেখে জোড়া পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম 😛
তোর আচার সবসময়ই টেস্টি... ভালয় ভালয় দেশে ফিরে আয়।
৫০ এর জন্য অভিনন্দন :clap: :clap: :clap:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এইবার আর জোড়া বাইর হইল না। লিখতে পারতাম আরেকটা... 😛
তোর কপালটা খ্রাপ রে দোস্ত ... আমার এখনো পর্যন্ত এদের সরকারি কাজকারবারের প্রতি বেশ সম্মানবোধ আছে ... কোন কাজ হইতে যত সময় লাগা স্বাভাবিক তারচেয়ে বেশি লাগে নাই ...
ভালোয় ভালোয় দেশে যা ... তোর বউরে আমার হয়ে আর আমার বউরে তোর হয়ে হাই বলিস 😀
=)) =))
আমার ব্যাডলাক আসলেই খারাপ যাইতেছে কয়মাস ধরে...... 🙁
বলমুনে... দোয়া করিস। 🙂
অভিনন্দন দোস্ত... :hatsoff: :hatsoff:
তাড়াতাড়ি দেশে আয়...... আর একটা পার্টি হোস্ট কর...
আমি দেশে আসতেছি অনেকদিন পর, তোরা না পার্টি দিবি... :dreamy:
ওহ তৌফিক তোমারে কংগ্রেচুলেশন জানাইতে ভুইলা গেছিলাম।
লেখাটা পড়ছি। আগে একটা মন্তব্য করছিলাম। হারায়া গেছে।
আবার ২য় বার কইবার মঞ্চাইতাসে না। দেশে আসো , কথা হবে।
ব্যাচমেট ব্যাচমেটরে তুমি কইরা বলে 😕
তুই এতোদিনে দেখলি?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বিরাট বিপদ দেখি
অনেক ধন্যবাদ... 🙂
কথা হবে, ঈদের পর মমুসিং আসো। 🙂
আহ :clap:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আহা!!! 🙁
ভুল ইমো পড়ে গেছে... 🙁
আসল ইমো হবে এইটা 🙂
অর্ধশতকের অভিনন্দন 🙂 দেশে আয় তাড়াতাড়ি, আইসা পার্টি দে 😀
অনেক ধন্যবাদ। পার্টি তো তোরা দিবি... 😛
তৌফিক,
তোমার লেখার আমি একজন মহা অনুরক্ত। ব্রাবরের মত এবারো ভালো লাগছে...। ইফতার পার্টিতে সানাউল্লাহ ভাইয়ের সাথে বলতেছিলাম তোমার লেখার ব্যাপারে। তোমারে অবশ্যই মিস করছি আমরা সবাই...। দেশে আসো, ইনশাল্লাহ আবার হবে...।
শরম্পাইতো...... আহসান ভাই... :shy:
দেশে যদি আসতে পারলে অতি অবশ্যি দেখা হবে। আপনি এখন কই আছেন? সিলেট না যশোর?? 🙂
অপেক্ষায় আছি। দেশে আইলে তো দেখাও পামু না জানি, তবু অগ্রীম স্বাগতম.....
😉 😉 😉
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কারওয়ান বাজারের সামনে দিয়াই সবসময় যাইতে হবে... আপনার সাথে দেখা না কইরা যামু কই? আপনার টিভি চ্যানেল থাকলে যাইতাম না দেখা করতে, আমার চেহারা ছবি তেমন ফটুজনিক না। রেডিও চ্যানেল বলে অবশ্যই যাবো, আমার কন্ঠ তো আর তেমন খারাপ না। আর আপনারে সিল দেওয়ার সম্ভাবিলিটি তো আছেই... 😀
লাবলু ভাইয়ের অফিসের পাশেই কিন্তু আমার অফিস। 😛
দাওয়াত দিতে হইবে? 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ঢাকা গেলে কাউরে বাদ রাখুম না। কাইয়ূম ভাইরে সিল দেওয়ার পরিকল্পনা মাথায় আছে। কি বলেন কাইয়ূম ভাই?? 😀
অপেক্ষায় আছি। দেশে আইলে তো দেখাও পামু না জানি, তবু অগ্রীম স্বাগতম….
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাইয়া শেষ পর্যন্ত দেশে যাচ্ছ তাহলে, আমরা যা কবে যাবো? ( দীর্ঘশ্বাসের ইমো )। :dreamy: :dreamy:
যাও গিয়া আরেকটা গেট টুগেদার করো, আমি আবার ফোন দিমু, তোমাদের লেখা পড়মু, আর হা-পিত্যেস করমু ... 🙁 🙁
হেভ আ সেইফ জার্নি 🙂
দোয়া কইরেন ভাবী। ফোনে বিস্তারিত কথা হবে। 🙂
তৌফিক, কেমন আছো?
তোমার লেখা পড়ে ভাল লাগল। কবে আসছো দেশে?
ভালো মাহমুদ ভাই। আপনি কি এস আই এন টি-তে আছেন নাকি এখন?? 🙂
হ্যা, এস আই এন্ড টি তে আসছি তিন মাসের জন্য। খুব দৌড়ের উপর আছি। কেন, ছবি দেখে বুঝতেছোনা?
তৌফিক একটা কাজের কাজ করছো লাইসেন্স পাইয়া গেছো। আমি পড়ছি গ্যাড়াকলে শালার ওন্টারিও তে ড্রাইভিং এক্সামিনাররা স্ট্রাইকে গেছে কবে কাজে ফিরবে খোদা মালুম। 🙁
লেখা সেরকম হয়েছে...দোয়া করি ঈদের দিন যেন মায়ের হাতের পোলাও আর বউয়ের হাতের পুডিং খেতে পারো।
আমারো ঐ দুইডা খাইতে মঞ্চায়। সামি ভাই কি লাইসেন্স নিচ্ছেন নাকি নিবেন?? স্ট্রাইক ভাঙ্গার অপেক্ষায় আছি- আইজুদ্দীন। x-(
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমি যা কবে নিমু? এইদিকে শীত চইলা আসতেসে 😕
অফটপিকঃ ছোট ভাইয়া, তোর খবর কিরে? তোকে দেখাই যাচ্ছেনা। 🙁
এইযে আমি, দেখা যায় না কেমনে!!!!!!!
আমার খবর মন্দ নয়, চলছে গাড়ি ঝমাঝম 😀 , পরশু থেকে ক্লাস শুরু, তাই মেজাজটা খিচড়ে আছে দিদি, আমার সামারটা গড়ের মাঠেই মারা পড়লো। x-( । এইদিকে জি ২ নেবার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম, এদিকে তারা দেখছি হরতাল ডেকে বসে আছেন। x-(
আপনি কেমন আছেন দিদি? ভাগ্নেরা ভালো তো?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দিদি কিরে? ম্যাশ পটেটো'র প্রভাব, বুঝা যাচ্ছে।
আমরা সবাই এইতো, আমাদেরও চলছে গাড়ি ঝমাঝম 😛
পারলে সময় করে একবার ফোন দিস 🙂
আসলে শরৎবাবুর বড়দিদি, মেঝদিদি পড়তে পড়তে দিদি শব্দটা খুব ভালো লেগে গিয়েছে, তার উপর আবার মাস্ফ্যুদার প্রভাব তো আছেই 😛
কাল সকালে কল দিবো, ওক্কে !!!! 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
যা, তাইলে দিদি'ই সই বেটা। B-)
ওক্কি !!! 😀
হ্যা রে ভাই জি টু দিব কিন্তু এখন তো হরতালে পড়ে গেলাম, কি ঝামেলা 🙁
অটোয়ার সমস্যাটা কি? কিছুদিন আগে বাসের লোকজন স্ট্রাইক করল এখন আবার লাইসেন্সের লোকেরা?? 😕
যা বলছো, মাঝে মাঝে এইসব দেখে মনে হয় কি শালার একটা আন্ডার ডেভেল্পড দেশে এসে পড়লাম।
বেশরম রকিব, দাড়ি-গোঁপ ঠিক মত উঠে নাই, বউয়ের হাতের পুডিং খাইতে চাস???? 😡
সামি ভাই দেখি মনে রাখছেন। :shy:
অনেক ধন্যবাদ।
৫০ এর অভিনন্দন।
দেশে যাচ্ছিস শুনেই হিংসা লাগছে। তুই যে এত প্ল্যান করছিস দেশে গিয়ে এই করবি ঐ করবি তুই কি জীবনে গাজীপুর থেকে ঢাকায় এসে ডেটিং ছাড়া কিছু করছিস? ডেটিং এর জন্য কোথাও আসতে পারতি না সবার কাছেই শুনতাম তুই ডেটিং এ ব্যস্ত। দেশে গিয়েও বউ এর সাথেই ব্যস্ত থাকবি তাই সবাইকে আগেই বলছি যারা তৌফিকের সাথে দেখা করার চিন্তায় আছে সবাই হতাশ হবে।
x-( x-( x-( x-(
তৌফিক ভাইয়ের ব্যঞ্চাই। :gulli: :gulli:
অফটপিকঃ আহা কবে যে আমরাও এমনে ব্যস্ত হবো। 😡
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটা বুদ্ধি শিখায়া দেই রকিব, ভাবীদের রঙ সাইডে কখোনই যাবি না। পেটে লাত্থি পড়ে যাবে, দাওয়াত পাবি না আর। এই যে আমার ব্যাঞ্চাইলি, আমার বউরে খেপাইতে চাস নাকি??? :grr: :grr: :grr:
ধন্যবাদ তপু। 🙂
তুই তো সেঞ্চুরী কইরা ফেলছস... আমরা চুনোপুঁটি... 😛
তোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার প্রেস রিলিজঃ 😀
আমার নামে এইরকম বানোয়াট এবং অসত্য অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ষড়যন্ত্র হাসিল করতে এই মিথ্যা প্রচার করছে।
বউয়ের মাস্টার্স পরীক্ষা সামনে, ওরে নিয়া ঘুরাঘুরি বাদ। 😀
লেখা খুব ভাল লাগল।
দেশে আসছ, সানাউল্লাহ ভাইয়ের বাসায় তোমার দাওয়াত...উনি নিজে দাওয়াত দিতে একটু বিব্রত বোধ করেন কিনা...