আয়াজ যখন এসে বলল আমি বাংলাদেশ স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশানের (বি এস এ) এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার নির্বাচিত হইছি, তখন আকাশ থেকে পড়তেই হইল। এমনিতে আমার আকাশ থেকে পড়তে ভালো লাগে না, অনেক উঁচা তো। কিন্তু নমিনেশন জমা না দিয়া জনসংযোগ না কইরা কিভাবে নির্বাচনে জিতা যায় সেইটা বুঝতে না পাইরা আয়াজরে জিগাইলাম ক্যামনে কি? আয়াজ বললো আমি বেশ জনপ্রিয় তো, তাই লোকজন আমারে নমিনেশন-ফমিনেশন ছাড়াই ভোট দিছে। আমি তো খুশিতে ডগোমগো, জীবনে কেউ কোনদিন নেতা হমু বইলা পুছে নাই। এই বিদেশ বিভূঁইয়ে আইসা নেতা হইলাম, একেবারে ইলেকশান করে জয়যুক্ত নেতা। আনন্দের সীমা নাই, বন্ধুবান্ধবের ফেসবুক থ্রেডে কইলাম আমি ইলেকশান জিতছি। লোকজন অভিনন্দন জানাইল। আমার সুখে বাগড়া দিল অবশ্য সাইফ, আই ইউ টির রুমমেট। সে বলে, লোকজন তোরে বোকা পাইয়া কাজ গছায়া দিছে। আমি ওর কথারে পাত্তা দিলাম না, হাজার হইলেও নির্বাচিত ছাত্রনেতা বইলা কথা। সমালোচনা আসবে, তাই বলে তো আর লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়া যাবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইফের কথা ফললো কয়দিন পরেই।
বি এস এ-র কাজ কামের মধ্যে বড়গুলা হইল হইল ঈদ-পার্বণ, একুশে ফেব্রুয়ারীতে গেট টুগেদারের আয়োজ়ন করা। বি এস এ এইখান সেইখান থেকে চেয়েচিন্তে টাকা-পয়সা আনে, সেইগুলা দিয়া বাজার করা হয়। মেম্বাররাও ইচ্ছা হইলে ডোনেট করেন কিছু, তখন পর্যন্ত ম্যান্ডেটরী ফি ছিল না। বাজার করার পর শুরু হয় ভাবী-ভাইয়াদের ধরে ধরে তৈল মর্দন, এই ডিশ- সেই ডিশ গছায়ে দেওয়ার জন্য। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর টাইম ভাবী-ভাইয়াদের না থাকলেও তারা অনেক বদান্যতা করেই আমাদের অনুরোধের ঢেঁকি গিলেন, রান্নাঘর কুরুক্ষেত্র বানায়ে বি এস এ-র গেট টুগেদারের জন্য মজাদার খাবার তৈরী করেন। বাজার করা, ভাবী ভাইয়াদের ম্যানেজ করা টপ ব্রাসের কাজ। টপ ব্রাস মানে বি এস এ-র প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী আর ট্রেজারার। এরপর শুরু হয় মিড লেভেল এক্সিকিউটিভদের কাজ। মিড লেভেল টপ আবার হইলাম আমি, গ্র্যাড রেপ। এই দলের কাজ হইল সভাস্থল পরিষ্কার করে চেয়ার টেবিল সাজানো। সেক্রেটারী আর ভাইস প্রেসিডেন্ট তাদের অন্য দায়িত্ব শেষ হইলে হাত লাগান এই কাজে। চেয়ার টেবিল সাজানোর পর শুরু হয় খাবার আনা। প্রেসিডেন্ট সাহেব তার গাড়ী দিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন। সেইগুলা আবার টেনে টেনে তুলতে হয় তিন তলার সভাস্থলে। এইটাও এক্সিকিউটিভদের কাজ। খাবার দাবার আনার পর লোকজন আসেন, তাদের সার্ভ করার জন্য আর ওয়েটারগিরি করার জন্য আবার ডাক পড়ে এক্সিকিউটিভদের। ফলাফল, এক্সিকিউটিভদের খেতে হয় সবার শেষে, যখন খাবার আর কিছুই থাকে না। আমার মতো যারা খেতে পছন্দ করে, তাদের জন্য বিষয়টা হৃদয়বিদারক। কিন্তু কিছু করার নাই। মনে মনে সাইফের চোদ্দ গুষ্ঠী উদ্ধার করি,আর নিজের বুদ্ধির তারিফ করি। এক্সিকিউটিভ না হয়ে সাধারণ মেম্বার থাকলে অন্তত ঈদে চান্দে তো একটু ভালো-মন্দ খাইতে পারতাম, সেইটাও গেল বন্ধ হয়া।
যাহোক, খুব দুঃখে দিনানিপাত করতেছিলাম, এমন সময় সেক্রেটারী মিটিং ডাকলেন। বি এস এ-র বাৎসরিক সবচেয়ে বড় ইভেন্ট পিকনিকের জন্য। কয়েকদিন দৌড়াদৌড়ি করার পর সবকিছু ঠিক হইল। লোকজনের ডলা খাইলাম টিকেটের দাম এতো বেশি কেন। আগে হইলে মুখের উপর বইলা দিতাম, ২ বেলা স্ন্যাক্স, এক বেলা খাওয়া এবং সেইসাথে আউটিং- ১৫ ডলারে আর কই পাইবা? কিন্তু এখন তো আবার ছাত্রনেতা, তাই কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সামলানোর ট্রাই করি, হাসি মুখে বলি, আরে আমরা আমরাই তো। তবু লোকজনের বাঁকা দৃষ্টি সোজা হয় না। বাস ঠিক করা হইল, বাজার করা হইল। দুর্দান্ত রাধুঁনী এবং পরোপকারী ভাবী-ভাইয়াদের ঘাড়ে রান্নার দায়িত্ব গছানো হইল। এবং পিকনিকের দিন সকালবেলা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আধাঘন্টা পরে যাত্রা শুরু হইল। গন্থব্য নর্দান বে স্যান্ডস। পাথুরে নিউফাউন্ডল্যান্ডের এক কোণায় একটুকরো বালির সৈকত। গান গাইতে গাইতে রওয়ানা দিলাম। পুরা বাংলাদেশের পিকনিক পার্টি মার্কা অবস্থা। বাসে কেক আর কলা বিতরণ করলাম আমরা বি এস এ এক্সিকিউটিভরা। প্রায় দেড় ঘন্টা পর গিয়া পৌঁছলাম নর্দান বে স্যান্ডসে।
দুর্দান্ত আবহাওয়া ছিল। ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নীল জলের আটলান্টিক সামনে। বাস থেকে খাবার দাবার সব নামাইলাম। বিচে সবার জন্য রাখা দুইটা টেবিল এক করে খাবার গুছায়ে রাখলাম। লোকজন সবাই গাছের আড়ালে টাওয়েল প্যাঁচ দিয়া চেঞ্জ করা শুরু করল, পানিতে নামবে। আমি কাজ শেষ করেই কাপড় চেঞ্জ করেই দৌড় দিলাম সমুদ্রের দিকে। সমুদ্রের পাড়ে থাকি এক বছর হইল, একদিনও নামা হয়নাই শীতের জ্বালায়, আজকে মনের সাধ মিটিয়ে সমুদ্রে সাঁতার কাটমু এই হইল ইচ্ছা। পানি ছোঁয়া মাত্রই টাইটানিক ছবির কথা মনে পড়ে গেল। রোজ আর জ্যাকের কাঁপাকাঁপির রহস্য তাইলে এই! আরও মনে পড়ে গেল যে টাইটানিকের ডিসট্রেস কল প্রথম নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকেই রিসিভ করা হয়। গরম আবহাওয়া সত্ত্ব্যেও পানি একেবার ফ্রিজের পানির মতো, সবকিছু জমায়ে দেওয়ার মতো ঠান্ডা। গাঁড়লের মতো তবু একটা ডুব দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে উঠে আসলাম। অল্পবয়েসী পোলাপান তখন এক জায়গায় জড়ো হইতাছে, হা-ডু-ডু খেলব। আমিও গিয়া যোগ দিলাম। মারাত্নক কম্পিটিটিভ খেলা হইল, একটা জিতলাম, একটা হারলাম। অবশ্য নিজের একটা কীর্তির কথা বলার লোভ সামলাইতে পারতেছি না, আমি একসাথে পাঁচজনরে মারছিলাম, থ্যাংকস টু মাই লম্বু লম্বু ঠ্যাং। নিজেরা যতো মজা পাইলাম, তার চেয়ে বেশি মজা পাইল কানাডিয়ানগুলা। সবাই মোটামুটি ঘিরে ধরে আমাদের খেলা দেখল। এক বুড়া বুড়িরে দেখলাম নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেছে, হা-ডু-ডু-র নিয়ম কানুন বোঝার জন্য। আমি মরা ছিলাম বলে ওদের গিয়ে খেলার নিয়ম বুঝায়ে দিলাম। তারা কইল ইন্টারেস্টিং কন্ট্যাক্ট স্পোর্ট। আমি মনে মনে হাসি দিলাম। দুইজন শহীদ হইল, একজনের মাসল পুল, আরেকজন হাত মচাকানো। এই বাদে খেলা ভালই হইল।
খেলার পর সবাই গেল বিচের এক মাথায়, সেখানে পাহাড়ী ঝর্ণা আর নদীর মাঝামাঝি কিছু একটা আছে। তীব্র পানির গতি, কিন্তু আমাকে ডুবানোর মতো গভীরতা বেশিরভাগ নাই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হইল এই না নদী-না ঝর্ণার পানি বেশ গরম। সুতরাং সবাই দল বেঁধে ঝাঁপায়ে পড়লাম পানিতে। মেয়েরা অবশ্য পাড়েই থাকল। গোসল শেষে হইল খাওয়া দাওয়া। খাওয়া শেষ করে বাংগালী স্টাইলে আন্তক্ষরী, দড়ি টানাটানি ইত্যাদি খেলা। এরপর ফিরে যাওয়ার পালা। কিন্তু ধর্মপ্রাণ ভাইয়ারা বললেন তারা আসরের নামাজ পড়ে তবে যাবেন। অন্য এক্সিকিউটিভরা সবকিছু গুছায়ে মাটি থেকে লজেঞ্জের ফেলে দেওয়া প্যাকেটটা পর্যন্ত তুলে ঝকঝকে করে ফেললেন পুরা জায়গাটা। আমি বা আমরা বাংলাদেশে থাকলে এই কাজ করতাম কিনা সন্দেহ, কিন্তু বিদেশের মাটিতে দেশের সম্মান আমাদের হাতে। সুতরাং এই কাজগুলা করতে হয় (বাংগালি জাতে মাতাল তালে ঠিক)। আমাকে রেখে গেলেন নামাজ পার্টি চলে আসার পর পিকনিকের জায়গাটা শেষ একটা চেক করে আসার জন্য। খোদাভক্ত ভাইয়ারা একদিকে নামাজ পড়েন, আরেকদিকে খোলা সমুদ্র আর সৈকত। ভাইয়াদের পেছনে বসে আমি ঘাসের ডাঁটি চিবাই। আর দেখি সমুদ্রের পাড়ে বিকিনিপরিহিত বালিকাদের জলকেলী। মুনি-ঋষিরা পর্যন্ত উর্বশীদের নৃত্যের সামনে ধ্যান ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু আমার খোদাভক্ত ভাইয়েরা মুনি-ঋষিদের চেয়েও চরম সংযম দেখিয়ে ঘাসের উপর নামাজ আদায় করে চলেছেন। পেছনে বসা আমার হাসি চেপে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল। ভাবলাম, জীবনে অনেক কিছু দেখলাম, কিন্তু এইরকম একটা জিনিস মনে হয় না আর কখনো দেখা যাবে।
(নোটঃ এই লেখাটার প্রথম অংশটুকু আগে ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল অল্প সময়ের জন্য। পুরোটা এক করে আবার প্রকাশ করলাম। আকাশ (৯৬-০২) ও রকিবের কমেন্ট খোয়া যাওয়াতে দুঃখিত। ছবি দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার কাছে ছবি নাই। থাকলে অবশ্যি আপ্লোডাইতাম। )
তৌফিক আইজকা বিশাল ফর্মে আছে :hug: :hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
😀
কাইয়ূম ভাই, থিসিস আক্ষরিক অর্থেই শেষ। করার কিছু নাই। খালি ব্লগাইতে মন চায়। 🙂
সাব্বাশ ব্যাটা :hug: :hug:
কিন্তু র্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিন কিন্তু স্টিল পেন্ডিং 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
গ্রেট মাইন্ডস থিংক এলাইক। আসতেছে। 🙂
:grr: 😀
কাইয়ূম ভাইয়ের কাছে হারছেন 🙂 :grr: 🙂
গাইডের কাছে হারলে কষ্ট নাই।
তৌফিক :clap:
কাইয়ূম ভাই আপনের গাইড ;;)
ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ ভাই। 🙂
আব্দুল্লাহ :hug: :hug: 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম চলো আমরা পিসিসি হয়ে যাই :hug: :hug: :hug: :grr:
লূত আর সামুদ জাতি ধ্বংস হয়া গেছিল......এ ওয়ার্ড অব কশন। 😉
=))
তৌফিক ত ভালই ব্লগাইতেছ। তোমার লাস্ট ৩ টাই বেষ্ট টার্ন আউটে ! 😮 😡 :thumbup:
ইয়ে তৌফিক ভাই,বিকিনি পরিহিতা উর্বশীরে দেখতে মঞ্চায় :shy: :shy:
টিন-এজ তো তোর বহুত আগেই চইলা গেছে, তারপরও টিনএজারদের মতো সবসময় এতো শিঙালো থাকস ক্যান? x-( 😡 😡 x-(
:)) :)) :))
😕 শিঙ্গালো কি??? 😕
horny :grr:
ব্যাপক ফর্মে আছিস দেখতেছি... সাব্বাশ :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂
দারুণ তৌফিক! ফর্ম ধইরা রাইখ্যো। :thumbup:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, ব্লগ হিসাবে তো এইটা নিম্নমানের হইছে। রকিব খালি খুঁচাইতেছিল দেইখা একটু মাজা ঘষা দিয়া ছাড়লাম। উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
প্রোফাইলের ছবিটা ওই সমুদ্রের নাকি, বালিকারা যেখানে জলকেলি করে?? B-) B-) B-)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জ্বি ভাইয়া 😀
কি ব্যাপার একটার পর একটা ... :clap:
ভাইয়া, আমারও একি অবস্থা। সমুদ্র পাড়ের মেয়েতো, পানি দেখলেই নামতে মন চায়।
এইখানে এসে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নামতে পারিনি। 🙁 এত ঠান্ডা !!! আর কোথায় আমাদের দেশের ঢেউ , এখানেতো কোন ঢেউ'ই চোখে পড়েনা।
ভাবী, আপনি কক্সবাজারের মেয়ে নাকি? আমার অনেক টাকা হইলে কক্সবাজারে একটা বাংলা বানাবো। :dreamy: :dreamy: :dreamy:
নারে ভাই, কাছাকাছি গেছে। চট্রগ্রাম ... 🙂
ওইটা আমি ১০ বছর আগে ইট ফালাইয়া রাখছি। বুড়া বয়সে ওইখানেই বনবাসে যাইতে মঞ্চায়!! ;;; ;;; ;;;
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
তাহলেতো ভাইয়া, দেখা হবে আবার চট্রগ্রামে 😀
অফটপিকঃ ভাইয়া, মইনুল এহসান নামে কাউকে চিনেন? উনিও ফৌজদারহাট।
ভাবি
মইনুল ইসলাম নামে নামে কাউরে চিনেন? উনি অবশ্য সিলেটের , তবে বিয়া করছেন চট্টগ্রামের মেয়ে ! :grr: :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভাইয়া ... চিনা চিনা লাগতেসে, আরেকটু ঝেড়ে কাশেনতো? ;;;
আজ যদি বাংলাদেশ তোর মত ফর্মে থাকতো......... তাইলে আজ :just: জিইতা যাইতো......।। :khekz: :khekz:
=)) =)) =))
কানাডায় আইসা সমুদ্রে নামার মজাটা আর পাওয়া হয় না .. আটলান্টিক টাচ করার ইচ্ছা ছিল, লুনেনবার্গ ঘুরতে গিয়ে তার পাশেই ব্লু রকস নামের এক জায়গায় গিয়ে সুযোগও পাইলাম, কিন্তু পানি এত ঠান্ডা যে শুধু হাত মিলায়েই ফিরতে হইলো ...
পরে গ্র্যড পুলাপানের সাথে বে অভ ফান্ডিতে গিয়ে দেখি এইটার পানি গরম, কারণ এইটা মেইনল্যন্ডের ভিতরে, সরাসরি নর্থ পোলের সাথে কানেক্টেড না ... সাথে কাপড়চোপড় ছিল না তাই নামা গেল না ... হাঁটু পানিতে নইমা বালিকাদের সাথে ছবি তুলেই ফিরে আসলাম ...
কিছুদিন আগে লেইক ইরির পানিতে নামলাম ... যদিও নামে লেইক, কিন্তু সাইজ দেখলে সমুদ্রই লাগে ... এইটায় গলা পর্যন্ত ডুবায়ে সেন্টমার্টিনের ঢেউ ছাড়া পানিতে নামার মত একটা ফিলিংস হইলো ...
কক্সবাজারে ঢেউয়ে একটা মজা আছে। সানিয়া মির্জার মতো ভাঙ্গে না এমন ঢেউটা কাছে এলে গলা ভাসিয়ে পা তুলে দিলে একটা দারুণ লাগে........ :grr: :grr: :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কক্সবাজারের ঢেউয়ের কোন তুলনা নাই, বেশি জোস ...
সেন্টমার্টিনের পানিতে কিন্তু ঢেউ নাই, একদম শান্ত সুইমিং পুলের মত ... কানাডার গ্রেট লেইকগুলিতে নামলে অনেকটা সেইরকম লাগে আরকি ...
ঢেউয়ের মজা নিতে আবার দেশেই আসতে হবে :-s
🙂 🙂
সানাউল্লাহ ভাই যারে ভয় পায়না, তারে লাইনটা একটু দেখাইলে কেমন হয় 😛 ????
দুইন্যায় কুনু ইনসাফ নাইক্যা। আকাশদা চলেন আমরা মামলা করি তৌফিক ভাইয়ের নামে। :grr: :grr:
অভিনন্দন রইলো ছাত্রনেতা নির্বাচিত হওয়ায় B-) ।
তৌফিক ভাই দেখি গত কয়েকদিন যাবত অর্ধবসন পরিধান করিয়া পাথরাইতেছেন। আমি পেইনে আছি। আম্মু আর ছুট ভাই বাংলাদেশে গিয়েছে। আমি আর আব্বু মিলে ঘরের কাজকর্ম করি। 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
নাহ... মামলার হাত থেকে এইবারের মত মাফ কইরা দিলাম...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
রকিব ভাইয়া, ঘরের কাজ শিখে রাখো, পরে কাজ দিবে। ;;;
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ।
মোটামুটি শিখে ফেলছি, খালি রান্না করতে গেলেই ভেজাল :bash: ।
একটা রাধুনী পেলে মন্দ হতো না 😛 😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই দূর দেশে রাধুনী কোথায় পাবে? 😕
তুমি বরং এইখানে চলে আসো ... 😛
একে তো মরার ক্লাশ চলতেছে, সামারে লিবারেল সাবজেক্ট নিয়ে এখন মাথা চাপড়াচ্ছি, নাহলে কবে দৌড় দিতাম P.E.I এ। আর আব্বুও আছেন আমার সাথে, আপাতত রান্নাবান্নার সেক্টরটা উনিই সামলাচ্ছেন, বাকী কাজ আমার। অবশ্য অনেকেই বলছে রান্না করে দিবে :shy: :shy: ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাল, ভাল ... তা অনেক জোগাড় করে ফেলেছো দেখি এর মধ্যে ... :grr:
হ্যা ভাবী, আমার বন্ধুর মা, আর এক প্রতিবেশী আন্টি বলেছেন নান্না করে দিবেন। 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হ,এইগুলা আমি বুঝি-আমি জিম থিকা ফিরার সময় আমাদের বাসার দুই তালার নিউজ রিডার আন্টিও আমারে কৈছিল রান্না কৈরা দিবে x-(
বুঝি বুঝি, আমরা সবি বুঝি ... :grr:
আমারে কেউ কইল না রান্না কইরা দিবে। নাহ, তোদেরই দিন পড়ছে। 😕
রান্না তো সহজ । শিখে ফেল কাজে লাগবে ।
আমি এখন অনেককিছু রাধতে পারি। এই যেমন: ভাত, শাক (পুড়ে গেলে আমার দোষ নাই), ডিম পোচ, ডিম সিদ্ধ, ডিম ভাজি, ঢেড়শ ভাজি, আলু ভর্তা, ফ্রোজেন পরাটা ভাজি, লাল চা, দুধ চা, সবুজ চা, পানি গরম ইত্যাদি
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বাহ!!!! আমরা আসছি খেতে ... B-)
খানা রেডী রেখো ... 😛
আমার রান্না খাইলে আপনাকে নিজের হাসপাতালেই ভর্তি হতে হবে।
:grr: :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অভিনন্দন ভাইয়া বিপুল ভোটে ছাত্রনেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
😛 😀 😛
তৌফিক ভাইয়া, অভিনন্দন জানাতে'ইতো ভুলে গেলাম, স্যরি। 🙁
বিপুল ভোটে ছাত্রনেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন ... 🙂
ধন্যবাদ ভাবী প্রথম হইতে দিছেন এইজন্য। বাইরে যাচ্ছি এখন, পরে কথা হবে। 🙂
ছবি বদলাইলেন কেন? 😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ফয়েজ ভাই আমারে নাঙ্গু বাবা বলছে 🙁
আর চার ইঞ্চি কাপড় দিয়া হাঁটুটা ঢাকতে পারলে নামাজ পর্যন্ত পড়তে পারতাম 😛
ক্যাডা......ছাত্রনেতা তৌফিক নাকি? :grr:
তুমি তো আজকে সমানে পাথরাইতেছ। 😀
উর্বশীদের নৃত্য দেখতে মঞ্চায়, সেই নৃত্য দেখে আমার ধ্যান ভাঙ্গাইতেও মঞ্চায়। 😀
ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর 😉
তৌফিককে ডিস্কোয়ালিফাই ঘোষনা করার তীব্র দাবী জানাচ্ছি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লেখা পাংখা হইছে। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যাংকু ফয়েজ ভাই। 🙂
তৌফিকতো ব্যাপক ফর্মে । আমারো একটা আউটিং দেয়া দরকার । পুরা বোর হয়ে গেছি । ছবি দিয়ে দিও যখন হাতে আসবে ।
বাইর হয়া পড়েন, একটা গাড়ি থাকলে আমিও যে কই কই যাইতাম :dreamy:
গাড়ি কিনার আগে আমিও ভাবতাম । মাঝে মাঝে বের হইছিও । গভীর রাতে ড্রাইভ করার যে কি মজা । একটাই দুঃখ বা পাশের সীট টা খালি থাকে । তোমাদের তো লেফট হ্যান্ড ড্রাইভিং :dreamy:
আমাদের পাশের সিট'টা খালি থাকার দুঃখ না থাকলেও আগের মত সময় করে বের হওয়া হয়ে উঠেনা। এখন'তো শুধু পাশের সিট না পিছনের সিট ও খালি নাই। 😀
অফটপিকঃ লিখতে ভুলে গেছিলাম, হ্যা আদনান ভাইয়া, আমাদের লেফট হ্যান্ড ড্রাইভিং। 🙂
তৌফিক,
বরাবরের মত গোগ্রাসে গিলছি তোমার লেখা... একদম একটানে ফিনিস করছি... জব্বর লাগছে... তয় কয়েকটা ব্যাপারে মন খারাপ লাগছে...
ইলেকশনে জেতার জন্য অভিন্দন...
সবশেষে,
আহা...আহা...
আহসান ভাই, মন খারাপের কিছু নাই। আইলসামি করে রান্না করা হয়না, এই যা। তবু মাঝে মাঝে জোশ আসলে করে ফেলি, কালকে রাত্রে যেমন করলাম মাংসের কিমা ভুনা আর সবজি খিচুরি (কপিরাইটঃ নকশা, প্রথম আলো) 🙂
আর পড়াশোনা করেন। :grr:
ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে বুঝলাম অনেক পড়াশোনা চলতেছে। 🙂
তৌফিক দোস্ত বহুত হিংসিত হইলাম তোর উপর।
কেন তুই কি ইলেকশনে জিততে চাস নাকি বালিকাদের জলকেলি দেখতে চাস? কোনটা?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দাদা আমি কলকাতার বিপাশাদির জল্কেলী দেখপো :(( :((
কি চাই আপাতত জানিনা তবে এইরকম লেখতাম চাই।
🙂 😛
সারাজীবন কম্পিউটারের মনিটরে দেইখা দেইখা কাটায়া দিতে হইলো। :(( :((
x-( ওই,দুই হাত সামনে কীবোর্ডে রাখ কইতাছি x-(
কত্ত দিন হাডুডু খেলি না, এসএসসির ছুটিতে আঙ্গুল মচকাইয়া খেলা বাদ দিছি। :((
খুব ভালো লেগেছে।
এ'মাসের শেষ লস এঞ্জেলসের বাংলাদেশী শ্রমিক ভাইদের পিকনিকে দাওয়াত পাইছি। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx