১।
মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। এস এস সি-র আগে অথবা ক্যাডেট কলেজে ইনটেক পরীক্ষার সময় এই বাক্যের ট্রান্সলেশান শিখছিলাম। Man proposes, God disposes. গত কয়েকমাস ধইরা আমার সাথে গড এই কামই করতাছে খালি। আমি প্রোপোজ করি, তিনি ডিসপোজ করেন। যা করতে চাই তার কোনকিছুই ঠিকমত হয় না। থিসিস শেষ করার ডেডলাইন মিস করতে করতে এখন ডেডলাইন সেট করাই বাদ দিছি। দাঁত খিচাঁইয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর মত মুখ কইরা পইড়া থাকুম ঠিক করছি, বাকি তাঁর ইচ্ছা। ডিসপোজ করলে করতে পারেন, ইচ্ছা হইলে এক্সেপ্ট করবেন। আমার কাম আমি কইরা যাই।
গড অবশ্য আমার বিশ্বাসীদের মতো মনোভাবে খুশি হইছেন কিনা জানা নাই, মনে হয় হন নাই। লেটেস্ট ঘটনা হইলো আমার এক্সপেরিমেন্টাল রিগের সাথে হুকড আপ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক গন। সাথে আরো গন ২০ গিগার মতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ডেটা। ভাগ্য ভালো যে অন্যান্য জিনিসের ব্যাক আপ ল্যাপিতে আছে। যে ডেটা গেছে, ওইটার জন্য ৩০ ঘন্টা রিগ চালাইতে হবে, ১৫ ঘন্টা প্রসেসিং। ভাবতেই জলে চোখ ভিজে যায়…… আ হা হা……এতো কষ্ট, এত ক-ও-ষ্ট…কেন? কেন?? কেন???
অধিক শোকে মানুষ নাকি পাথর হইয়া যায়, সত্যযুগে মানুষেরা হইতেনও বোধহয়। এখন আর সেই দিন নাই, ঘোর কলিকাল। এখন নিয়ম হইলো অধিক শোকে ব্লগ লিখা, আমি তাই করতেছি।
২।
কানাডায় আসার পর ইউনিভার্সিটি থেকে একটা আইডি দিছিল। ওইটাতে আবার বয়স উল্লেখ নাই। যেসব জায়গায় বয়স লাগে, ওইসব জায়গায় ওই আইডির বেইল নাই। পাসপোর্ট নিয়া যাইতে হয়। তো বিড়ি কিনতে গেলাম একদিন, তার আগেই শেভ কইরা চুল কাটাইয়া চেহারাটা মাশাল্লাহ ভদ্র বানায়া গেছিলাম। দোকানের ক্যশিয়ার আমারে বিড়ি বেচব না। মেজাজ সপ্তমে উইঠা গেল, কইলাম নিয়মিত কাস্টমার আমি, আমারে চেনে না? কিন্তু ক্যাশিয়ারের এক কথা, আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট স্যার। বাট ইট ইজ রিকোয়ার্ড বাই ল দ্যাট আই সি ইউর আই ডি। অন্য কোন উপায় না থাকায় পাসপোর্ট নিয়া বিড়ি কিনা আনলাম। এরপর ভাবলাম একটা আইডি নেওয়া দরকার যাতে এই ঝামেলায় আর না পড়তে হয়। এক্ষেত্রে বেস্ট অপশন হইলো ড্রাইভারস লাইসেন্স। কিন্তু আমি জিন্দেগিতে গাড়ি চালাই নাই, তাই ভর্তি হইলাম ড্রাইভিং স্কুলে। টাকা একটু বেশি লাগল বটে, কিন্তু কিছু করার ছিল না। নভিস ড্রাইভার গাড়ি চালাইতে গেলে একজন অভিজ্ঞ লাইসেন্সধারী ড্রাইভারকে ফ্রন্টসিটে থাকতে হবে- আইনে বলা আছে। এইখানে পরিচিত অনেক অভিজ্ঞ লাইসেন্সধারী ড্রাইভার আছেন, কিন্তু কার এতো টাইম আছে যে কাজ-কাম বাদ দিয়া আমার সাথে গাড়িতে বইসা থাকবেন। অগত্যা টাকার শ্রাদ্ধ কইরা ড্রাইভিং স্কুলেই ভর্তি হইতে হইল। কিন্তু স্কুলে বেশি টাইম দেয় না। সুতরং স্কুলের কোর্স শেষ করার পরও যে লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করুম- কনফিডেন্স ছিল না। আমার ভাগ্য ভালো, মানুষরুপী ফেরেশতা তালুকদার ভাই ঘটনা শুইনা বললেন গাড়ি ভাড়া করো, আমি তোমারে শিখামু। আমিও বগল বাজাইতে বাজাইতে রেন্ট-এ-কার কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়া গাড়ি বুকিং দিলাম।
এরপর গত উইকএন্ডে আমি আর তালুকদার ভাই গেলাম গাড়ি আনতে। দেখি আমারে দুই দরজার একটা লাল রঙের কুপ দিছে, পন্টিয়াক। দামী গাড়ি না, কিন্তু একটা টম ক্রুজ টম ক্রুজ ভাব আছে গাড়িটার মধ্যে। খুশিতে দাঁত মাড়ি সব সবাইরে প্রদর্শন করতে করতে গাড়ি নিলাম। পার্কিং লট থাইকা বাইর হমু বড় রাস্তায়, এমন সময় ব্রেক চাপতে গিয়া চাপলাম এক্সিলারেটর। বড় রাস্তায় দুরন্তবেগে চলা গাড়িগুলারে ঢুশা দেওয়ার আগেই তালুকদার ভাই হ্যান্ডব্রেক চাইপা সামলাইলেন। গাড়ি ভাড়া করার ২ মিনিটের মধ্যে বড় অঘটন ঘটানোর খুব কাছে চইলা গেলাম। তালুকদার ভাই ভালো মানুষ, আমারে কিছু কইলেন না। খালি বললেন গাড়ি চালায়ে বাসায় যাইতে পারব কিনা। আমিও রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানিস সাগীরা (যাত্রার দোয়া তো এইটাই, তাই না?) পইড়া রওয়ানা দিলাম। পরের দুই দিন কোন অঘটন ঘটানো ছাড়াই হাত মশকো করলাম, ভালোই লাগে। সোমবার বিকালে গাড়ি জমা, সকাল আর দুপুরে ট্যুর দিতে বাইর হইলাম তালুকদার ভাইরে নিয়া, গন্থব্য একশত পঞ্চাশ কিলো দূরের ফেরিল্যান্ড।
হাইওয়েতে উইঠা স্পিড লিমিটের ১০ কিলো নিচে গাড়ি চালানো শুরু করলাম। পেছনে ট্রাফিকের কনভয় লাইগা গেল। এক লেনের হাইওয়ে, পাসিং লেন নাই। এই দেশে আবার হুটহাট ক্রস করে না। তালুকদার ভাই কইল গাড়ি সাইড কইরা ওদের যাইতে দেও। আমি ডাইনে চাপার রিংকার দিয়া স্পিড না কমাইয়া গাড়ি চাপায়া দিলাম ডাইনে। ফলাফল, রাস্তার ধারের লুজ গ্র্যাভেল আমারে প্রয়োজনীয় ট্র্যাকশান দিতে পারল না। গাড়ি ডানসাইডে কাত হইয়া একটা নালার উপর ঝুলতে লাগল। ধামার ধাম সব গাড়ি থাইমা গেল, সবাই সাহায্য করতে আগায়া আসল। আমাদের + গাড়ির কিছু হয় নাই, কিন্তু গাড়ি আটকায়ে গেছে, টো ট্রাক ছাড়া তোলা যাবে না। এক ভদ্রলোক+ভদ্রমহিলার সহায়তায় খবর দিলাম টো ট্রাক কোম্পানিরে। তার ২০ মিনিটের মধ্যে হাজির। গাড়ি টান দিয়া তুইলা দিল। আমরাও ঘুরাঘুরির মায়েরে বাপ বইলা ফেরত চইলা আসলাম। একটা ফাড়া কাটল। আরো বুঝলাম ড্রাইভার হিসাবে স্পিড পারসেপ্সন ঠিক করতে হবে।
৩।
ফাড়ার পর ফাড়া যাইতেছে। নিজেরে এই বইলা সান্ত্বনা দিতেছি যে, মইরা তো আর যাই নাই। আল্লাহ অল্পের উপর দিয়া বাঁচাইছেন। যাউজ্ঞা, আরো কি কি কথা মনে কইরা কি বোর্ড টিপা শুরু করছিলাম ভুইলা গেছি। আজকের মতো বিদায়। ভালো থাকবেন সবাই।
১ম :awesome: :awesome:
ভাবী তো স্ট্রিকে আছেন দেখি। 🙂
সব ফাড়া ইনশাল্লাহ কাইটা যাইবো।
বেস্ট অফ লাক বাডি :hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
থ্যাংকু কাইয়ূম ভাই। আপনিও ঢাকা-চিটাগং হাইওয়েতে একটু সাবধানে চলাচল কইরেন। 🙂
ভাইয়ার নিউফাউন্ডল্যান্ডের কোথায় থাকা হয়? চলে আসেন, বসের (মঈণ) সাথে আমরা দুইজনেই গাড়ী চালানো শিখে নেব। আমাদের ভাবীসাব কি দেশে? তাহলেতো আপনার খুবি খারাপ অবস্থা। সামারে চইলা আসেন, একসাথে বিরিয়ানি খাওয়া হবে। 😀
ভাবী একটা আবদার আছে। তুমি কইরা বলবেন প্লিজ।
নিউফাউন্ডল্যান্ডে সেইন্ট জনসে থাকি। ইনশাল্লাহ সামনের সামারে ভাবী। এইখানের কাজ শেষ হইলেও সোজা দেশে থেকে ঘুরে আসব। আর আমার বউ দেশেই আছে। ব্যাপারটা অবশ্য একদিক থাইকা বেশ ভালো হইছে। এখন বুঝতাছে আমার কত দাম। এইটার দরকার ছিল। 😀
বিরিয়ানি খাওয়ার অফারটা শুনে মনে হইলো এক লম্ফে ক্যাবট স্ট্রেইট পাড়ি দিয়া পি ই আই-তে চইলা যাই।
আমাদের ভাতিজা দুইটা তো বিরাট কিউট। 🙂
যথা আজ্ঞা,
দেশে কবে যাচ্ছো?
আমাদের কান্না-কষ্টটা চোখে পড়লনা তোমাদের। 😕 হায় পুরুষ!!! 😛
সামনের সামারতো অনেক দেরী। মাঝে কোন একটা ছুটি ম্যানেজ কর প্লিজ।
সিসিবি পড়তে পড়তে তোমাদের সবাইকে এত কাছে থেকে দেখেছি, জেনেছি। খুব মিস করছি সবাইকে। বাকীদেরতো পাওয়ার আশা নাই এত তাড়াতাড়ি, তুমি একদম পাশেই থাকো,তাই বলছিলাম। কোন একটা উইকেন্ডে বা ছুটিতে ছলে আসো।
তোমার নাম্বার দিও, যোগাযোগ করব আমরা। রকিব ভাইয়ারটাও। প্লিজ। থ্যাঙ্কস।
আমার নাম্বার আছে দুইটা ভাবী, অফিস আর বাসা। কিন্তু কখন যে কই থাকি, ঠিক নাই। পাওয়ার চান্স কম। তবু অফিসেরটা দেই, বাসা কবে চেঞ্জ করি কে জানে।
১৭০৯৭৩৭৮৯২০
আমারে খোমাখাতায় এড দিতে পারেন, ওইখানে যোগাযোগ করলে মিস করার চান্স কম। আমার মেইল আই ডিঃ
taufiq_rasel এট yahoo ডট com
যেভাবে বললেন ভাবী, না গেলে আমার সপ্তম নরকেও জায়গা হবে না। ইনশাল্লাহ আসব, নিশ্চয়ই আসব। মৌরী আপাও দাওয়াত দিছে, অটোয়াতে যাওয়ার জন্য। রকিব দাওয়াত দিছে টরন্টোতে। আমি বিরাট জনপ্রিয় O:-)
ভাতিজাদের দেখতে চইল্যা আসেন। এইখানে কেউ আসেনাতো, কাউকে দেখলেই অয়োময় খুব খুশী হয়ে যায়।
আবার আপনি?? x-(
আমার একটা ভাগ্নে হইছে। এখন পর্যন্ত দেখি নাই। 🙁
ভাতিজাদের আদর দিয়েন। আমি আবার পিচ্চিপাচ্চা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। 🙁
মেরে সোজা করে দিব। x-(
কাকে, কেন, কিভাবে?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই মহিলা আমার ধর্মপত্নী... 😕 😕 😕
ভাবী বুঝি ভাইয়াকে বস বইলা ডাকেন?? 😛 😛
স্যু রুমান্টিক :frontroll: :frontroll:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তোর দিন সামনে আছে রে রকিব। জানটু-মানটু কত কিছু কয়া যে ডাকবি... 😛
=)) =))
:shy: :shy: :shy:
এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে... :dreamy: :dreamy: (কবে যে সেই দিন আসবে?? :-/ )
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
@রকিবঃ তুই তো খালি বলবি, চা খাবে "জান"?? :grr: :grr: :grr:
:shy: :shy: :shy: শরম পাইতাছি আপু :shy: :shy: :shy:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:shy:
রকিব ভাইয়ার নুম্বেরটা দিলেনা?
এইটা দেখি নাই আগে ভাবী, স্যুরি।
১-৬৪৭ ৬৫৪ ৯৮১৭
ভাবী আপনাদেরটা?
ভাতিজা দুজনের একজনের নাম তো অয়োময়, আরেকজনের নাম কি?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
যাভিয়ের 🙂
O:-) O:-) O:-)
🙂
মরতে তো এক দিন হইবই... :-B
আল্লাহ ভরসা... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আল্লাহ ভরসা O:-)
:khekz: :khekz: :khekz:
আপনেরে তাইলে পুলাপাইনের মতো লাগে 😛 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
শেভ করলে লাগে রে... 🙁
শেভ করলে অন্য কিছুর মত তো আবার লাগেনা? ;;;
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কিকইবারচাস? x-(
কিকৈবারচায় বুঝেন্নাই? :grr: :grr: 😉 😉
এতো ভেবো না। সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভ কামনা রইলো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
দোয়া রাইখেন বস 🙂
যাক, বাঁইচা আছেন তাইলে! 😀
কিছু মনে কইরেন না। আপনের ফাঁড়ার ধরণ পড়তে পড়তে ক্যান জানি খালি হাসি আসতেসে :khekz: :khekz:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
বিলাডি জিহাদ x-( 😡 x-(
তোর বিপদের পড়ার অপেক্ষায় আছি। তখন আমি :gulti: মাইরা :awesome: :guitar: করুম। :grr:
সাবধানে চালাইস খোকা। রাস্তাঘাটের কথা!
লেখা খুব চাচাছোলা হইছে। চাচারে (মতান্তরে বিধাতা) ছিল্যা হইছে। খুবভাল!
থ্যাংকু দোস্ত। 🙂
ইউনিভার্সিটি আইডিতে বার্থডেইট থাকলেও কাজ হয় না ... ঐটা গভর্নমেন্ট ইস্যুড না, কাজেই ইউনিভার্সিটির বাইরে ঐটার দেড় পয়সাও দাম নাই ... আমার ইউনি আইডিতে ডেইত অভ বার্থ আছে, কিন্তু তাও আমারে একবার বারে ঢুকতে দেয় নাই, সাথের বালিকারে দিছে, বেইজ্জতির একশেষ 🙁
ড্রাইভার্স লাইসেন্স পাইতে ভালো পয়সা লাগে, প্লাস টেস্ট দিতে হয় ... একাট সহজ বিকল্প হচ্ছে পাস্পোর্ট, ইউনি আইডি আর ব্যাংক কার্ড নিয়ে একসেস কানাডার কোন অফিসে চলে যাওয়া [সব মাঝারি সাইজ টাউনেও এই অফিস থাকে, গুগোল করলেই পাওয়া যায়] ... গিয়া এই তিনটা কার্ড আর পনের ডলার দিলে সাথে সাথে একটা গভার্নমেন্ট ইস্যুড ফটো আইডি দেয়া যেটা কানাডার মধ্যে যে কোন জায়গায় এক্সেপ্টেড, এয়ারপোর্ট শুদ্ধ ...
লেখা ভালৈছে 😀
ধুর, একগাদা টাইপো দেখতেসি কিন্তু এডিট করতে পারতেসি না x-(
ব্যাপার না কিংকু, আমরা আমরাই তো। 🙂
কিংকং ভাইয়া, একখান গেট টুগেদারের আয়োজান করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো যায়। এবিসিতে নিয়মিত গেট টুগেদার দেখে মনটা কেমন আনচান করে। 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কোথায় আছো তুমি? আমি সেপ্টেম্বর থেকে নোভা স্কশিয়ায় থাকবো, তার আগে পর্যন্ত ওয়াটারলুতে আছি ... কাছাকাছি তাহকলে তো দেখা করাই যায় ...
আমি এই উইকেন্ডেই উইন্ডজরে সচলায়তনের একটা গেট-টুগেদারে এটেন্ড করে আসলাম 😀
আমি টরন্টোতে, ওয়াটার লু, খুব বেশি দূর হবে না, এক্সাম দিয়ে একটা ঢু মারার চেষ্টা করবো ভাইয়া।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কিংকং সচল গেটটুগেদার করে। সামী ভাইয়ের শ্বশুরের সাথে কই থাইকা জানি ঘুইরা আসছে। 🙂
শুধু সামী ভাইয়ের শ্বশুর না, সামি ভাইও ছিল ... আমরা লিভারপুল বার্সেলোনা নিয়া অনেকক্ষণ চাপা পিটাইসিলাম 😀
একসেস কানাডার কথা জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ দোস্ত।
একসেস কানাডার কথাটা প্রায় কেউই জানে না ... পারলে নতুন পোলাপানরে জানায়ে দিস, ভালো একটা জিনিস ...
তথাস্তু। 🙂
য়ু গো বার ড্যুড?
সামীর প্রোফাইল পিক দিখা হাহাপিগে =)) =)) =))
দুর্দিনে আপনাকে একচিলতে হাসি উপহার দিতে পেরে যারপরনাই আনন্দিত 😀
সামি ডাকার কারণে পরবর্তীতে ডিসপ্লে পিকচারের জন্য আপনাকে মনোনীত করা হলো। 😡 😡
না ভাই, আপনারা কোটিপতি, ভোলেভালা নাদান লোকদের ব্যান করার দাবী তুলেন। তাও একলা না, আরেকজনরে সাথে নিয়া। 😉
রায়হান ভাইয়া, এই " সামি " কেইস টা কি? 😕 ( মাথা চুলকানোর ইমো থাকলে ভাল হত )। মডুরা একটু দেইখোতো। 😀
রায়হানারে জিগান ভাবী। 😀
রায়হান ভাইয়া ব্যাপার কি? ভাবি জানতে চায়। 😉
ভাবি একজন রায়হান আর আরেকজন রায়হানা... একটু খিয়াল কইরা...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাবির জন্য হিন্টস 😀
তৌফিক সাবধান... তোর বিরুদ্ধে এক দিকে সামাজিক ( প্রোফাইল পিক) অন্য দিকে... বৈপ্লবিক ( বোমা হামলা ) শুরু হয়ে যাবে মনে হচ্ছে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বাঁচানোর মালিক আল্লাহ O:-)
থ্যাঙ্কু ভাইয়া ... 😛
আশাকরি ভাবী এখনও কিছুই বুঝেন্নাই। :grr: :grr:
তাও অড্রেকে সাথে নিয়া, বুঝ B-) :grr:
তাই নাকি?? অড্রে মাইয়াটা বড়ই সৌন্দর্য্য আছিল। :dreamy: :dreamy: :dreamy:
খাইছামারে। নারী, নেশা আর কী বাকি থাকলো উচ্ছন্নে যাবার? 😮 😮
রায়হান ভাইয়া দারাও, তোমারে পাইসি আমি। ভুজুং-ভাজং করে আমারে দলে টানছো।
আমি প্রথম থেকেই আমার ননদের দলে ছিলাম। ছি!!! ছি!!! রায়হানা শুনলে আমার সাথে আড়ি দিবে। 😛
একরাতেই পোলটি। এখন কে আমাকে আশা কে দেবে ভরসা? 🙁
তোমার কাছে পোলটি আর কোথায় খেলাম? একজনের সাথে ভাব থাকলেইতো হল।
তারপরঅ তোমার গোমড়া মুখ দেখে চিন্তা করতেছি, দুই পক্ষের'ই থাকা যায়। 😀
কিরে, আছিস কেমন? সব ফাড়া কেটে যাবে আশা করি...
মনে তো হয় না... এইটা হলো পিতা মাতার জন্য দোয়া ( তাইতো, না কি ? )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আছি ভালোই। তোর দিন কাল কেমন যায়? কাইয়ূম ভাইয়ের সাথে চিটাগং-এ দেখা সাক্ষাৎ হয় নাকি? 😛
বাসে পড়ার দোয়া হইলো - বিসমিল্লাহি মাযরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রাহীম। (স্কুলে যাবার আগে থেকেই বাস এ পড়তে পড়তে পুরা মুখস্থ হয়া গেসে :grr: )
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নেক্সট টাইমের জন্য মনে রাখব। থ্যাংকু জিহাদ। 🙂
আল্লাহ ভরসা। 🙂
আরেকটা দোয়া আছে মিয়া ট্রাকের গায়ে লেখা থাকে -
লা ইলাহা ইল্লাহ আন্তা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমিন
তৌফিক, অটোমেটিক গাড়ী চালানো তো সোজা, খালী ড্রাইভে দিবা গিয়ার তারপর এক্সেলেটর অথবা ব্রেক এ দিবা পা। 😀 আর মনে হিম্মত রাখবা ব্যাস।
ইনশাল্লাহ তোমার কোন আর বিপদ হবে না।
ধন্যবাদ সামি ভাই। এখন থেকে দোয়া পড়া ছাড়া স্টিয়ারিং-এর পেছনে আর বসবই না। 🙂
আর বলিস না... পড়াশুনা করতে করতে জান শ্যাষ 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমার এক দোস্ত, আই ইউ টি-র রুমমেট, অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্সের শেষ পরীক্ষা দিয়া বগল বাজাইতেছে, ২০ বছরের স্টুডেন্ট লাইফ শেষ। আমি মনে মনে কইলাম, চাকুরীতে ঢুইকা নে, পড়াশুনার দেখসসটা কি? :grr:
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পুরাটা পড়ি নাই । অর্ধেক পড়ছি। খাইতে যাচ্ছি। কারেন্টের দয়া হইলে আজকে আবার কথা হইতএ পারে।
তৌফিক খবর কী?
এইতো। তোমারে ফোন দিমু ভাবতেছিলাম। বাকিটা পইড়ো। 🙂
তোমার কি খবর?
আপনাদের দুইজনেরই ব্যাঞ্চাই। ক্লাসমেটরে তুমি তুমি করেন
আরে মিয়া শার্লী, আমি তুই কইরা কইছিলাম দেইখা ক্লাস সেভেনে আমারে এই রকম ঝাড়ি দিছিল যে আর তুই কইরা কওয়া হয় নাই। আমি আর আমিন ক্যাডেট জীবন পাশাপাশি বেডে শুরু করছিলাম। 🙂
আরে আমিন ভাই দেখি ঝাড়িও দেয়। ভাইরে তো ভালো মনে করছিলাম।
এই খানে দেখি আমার নামে বিষেদাগার চলছে x-( x-(
আজকে দেখি খেলাপী সবাই ব্লগ দিচ্ছে 😛
আর লেখার জন্য আপনার স্টাইলে- আহ 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তোমার মন্তব্য পইড়া মনে হইল-
আহা!
এইটা কেম্নে করে? এত্ত বড় কইরা কেম্নে লিখে? শিখায় দে।
নভিসেস ড্রিলের ফরম্যাটিং সেকশনে দেখ। 🙂
কি সোন্দর্য
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বানান ভুল হইছে রকিব! x-( x-(
সৌন্দর্য
আঃ কি চমৎকার! পার্লামদেখি! :clap:
নে এইবার :teacup: খা। :-*
ঐটা শুদ্ধ ভাষা, আমি তো লেখছি চা-ওয়ালাদের ভাষায়। B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মাঝে মাঝে টিম হর্টনসের চা-ওয়ালীরা দিল মে চাক্কু মারে... :dreamy:
এই কমেন্ট ভাবি দেখলে দিল মে আসলেই চাক্কু মারবে :grr: :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাবি কমেন্ট না, শুধু পোস্ট দেখলেই আমার বারোটা বাজায়ে দিবে। লাইং বাই অমিশন বলে একটা কথা আছে না? আমি সেই পাপের পাপী। 🙁
দূর্দান্ত লেখা তৌফিক!! তোমার কষ্টের বর্ণনা পিড়া হাহাপিগে.......... :khekz: :khekz: :khekz:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আপনে প্রিন্সিপাল।আমার দুর্দশা পইড়া আপনিও হাসি দেন? :((
এই দুইন্যায় আর জাস্টিস নাইকা। :((
অনেক ধন্যবাদ লাবলু ভাই। 🙂
তৌফিক ভাই..... :hug: :hug: :hug: :hug:
কত্তদিন পর :awesome: :awesome: :awesome:
হ্যাপি ড্রাইভিং... :tuski: :tuski: :tuski:
ফাড়াফোড়া সব যাইবগা..ব্যাপার না... :guitar: :guitar: :guitar:
বন্য :hug: :hug: :hug: :hug:
তুমিও তো কত্তদিন পর। তোমার সেইরকম লেখাগুলা কই? ;;;
তৌফিক ভাই মানুষ ভালো না। কয়েকদিন পর পর কই যান আপনি? এত ভালো লেখেন অথচ আপনি অনিয়মিত। এটা ঠিক না। নিয়মিত না হইলে চিন্তা করছি আপনার লেখার প্রশংসা করুম না।
🙂
ভাইরে দুনিয়া অন্ধকার। কাজ শেষ না হইলে দেশে যাইতে পারতেছি না, মরার কাজও শেষ হয় না। তোমার পায়ের কি অবস্থা?
Mia shabdhane gari chalan.
তুই ব্যাটা সাবধানে থাকিস। আল্লাহর রহমতে তো আমার কিছুই হয় নাই। শরীরের কি অবস্থা এখন?
দোস্ত তুই এত ভালো লেখস জানতাম না। :clap: লেখার স্টাইলটা পুরাই :gulli2:
:shy:
আরে......তৌফিক নাকি? কেমন আছ?
লেখা পুরা মারদাঙ্গা হইছে! :gulli2: :gulli2:
ব্যাপার না......ফাড়া তো থাকবেই, সেই ফাড়া আবার কাইট্যাও যাবে। 🙂
তানভীর ভাই, ভালো আছেন? 🙂
আপনের কমেন্ট না পড়লে আমার পোস্ট অসম্পূর্ণ থাকে। আপনার লেখা নাই ক্যান? 🙂
আমি আছি মোটামুটি ভালই। মাঝে মধ্যে অবশ্য খারাপ আছি ভাবতে ভাল লাগে। 😀
আমার লেখার কোন খবর নাই রে ভাই, লিখতে যদি খুব ইচ্ছা করে তাইলে লিখি। 🙂
ঐ তোর ফোন নাম্বার দিছস কোন সময়ে ফ্রি থাকস একটু জানাইস দেখি একদিন ফোন দিব নে।
তোর রোজনামচা বড়ই ভাল লাগেরে। কিন্তু তোর খালি ডাটা হারায় কেন? রেইড ড্রাইভ ইউজ কর।
এখন থেইকা রেইড ড্রাইভ। আর হাংকি পাংকি নাই। সুপারকে কমু আরেকটা ড্রাইভ কিনে দিতে। নষ্ট হওয়াটা ওয়ারেন্টি কভার করবে মনে হয়।
তোর ফোন নাম্বার বরং আমারে দে। আমি কল দিমুনে। আমার কোন ঠিক ঠিকানা নাই, কই থাকি। বাসা-অফিস-ল্যাব, কখন কোথায় থাকি কোন শিডিউল নাই। 😛
বাসা-অফিস-ল্যাব এর বাইরেও কোথায় কোথায় থাকার একটা সূক্ষ্ণ আভাস পাচ্ছি। 😛 😛
সত্যি তানভীর ভাই, এর বাইরে যাই না। 🙂
যাক, তুমি তাইলে ভালু পুলা। 😀 😀
🙂 🙂 🙂
আরে ব্যাপার না, লাইনে যখন আসবো তখন দেখবা ফাটাফাট সব কাজ হই যাইতেছে।
যাত্রার দোয়াটা হয় নাই। ভজঘট লাগায় ফেলছো। এইটা হইতেছে বাবা মায়ের জন্য করা সন্তানের দোয়া। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তাইলে তো ঠিকই আছে ফয়েজ ভাই। আমি মইরা গেলে বাপ-মায়ে কানবো, তাই বাপ-মায়ের জন্যই দোয়া করছি, নিজের জন্য করি নাই। 😛
আমি একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভার। আমারে নিয়া যাইতে পারো।
খুবই সুন্দর লেখা। এক টানে পড়ে ফেললাম।
অনেক ধন্যবাদ শওকত ভাই। 🙂
এই ভুলটা একদম সবাই করে, শুরুর দু একদিনের মধ্যেই। আমিও ব্রেকের বদলে এক্সিলেটরে চাপ দিয়ে দিসলাম, বেশি কিছু হয় নাই, রোড ডিভাইডারের ওপরে উঠে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। 😀
যাকগে, ভয় পাইওনা, হ্যাপি ড্রাইভিং।
www.tareqnurulhasan.com
বাঁচাইলেন তারেক ভাই, আমি একলা তাইলে লেজ কাটা শেয়াল না। আরো লোকজন আছে দেখা যায় :hug:
তোরে ধরে থাবড়া দিতে হবে । এমনে ভুলভাল চালাস । কিছু হয়নাই বাবা মা এর দোআ ছিল । হাত ক্লিয়ার না করে আর হাইওয়ে তে উঠবিনা । আগে সাবার্বে চালিয়ে হাত ক্লিয়ার কর, আর পা সবসময় ব্রেক এর কাছে, কনফিউজ হলেই ব্রেক করবি । সাবধানে থাকিস ভাই, চারিদিকে খালি দূর্ঘটনা ।
মনে থাকবে হোসেন ভাই। হাত না পাকায়ে আর যাইতেছি না কোথাও, বহুত শিক্ষা হইছে। 🙂