মাতু রোগ

হোসেন ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখে এক কাহিনী মনে পড়ে গেল। তাঁর ব্লগেই কমেন্ট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল, কিন্তু বেশী প্রচারের লোভ মৃত্তিকার তৈরী আমি সামলাইতে পারলাম না।

গ্রোয়েন স্ক্র্যাচিং ডিজিজ (ভালো নাম জানি না 😛 ) ক্যাডেট কলেজে অল্পবিস্তর সবারই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাচে সবার প্রথম হইছিল যার, তার নাম ধরা যাক মধু। ঢুলুঢুলু চোখে জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলত বলে তার নিকনেম ছিল মাতাল। আমরা আদর করে ডাকতাম মাতু। আমাদের ব্যাচের মাতুরই প্রথম স্ক্র্যাচিং রোগ হয়। বেচারার রোগের প্রোকোপ এতই বেশি ছিল যে তার হাসপাতালে থাকতে হয় দিন দুয়েক। এদিকে আমরাও যেহেতু অল্প বিস্তর এই রোগে ভুগতাম এবং রোগটার ভালো নাম জানতাম না, সেহেতু কোন এক বুদ্ধিমান এই সুযোগ ছাড়ল না। সে এই রোগকে মাতু রোগ নামে ডাকা শুরু করল এবং ব্যাচে এইটা চরম জনপ্রিয়তা পাইল। ছয় বছর এবং এখনো আমরা এই রোগকে মাতু রোগ বইলা ডাকি।

কম কথা না। একটা রোগের নাম আমাদের মাতুর নামে। অমরত্বের এই সুযোগে মাতু খুশি কিনা আজো জানতে পারি নাই। 😀

১,৮৯০ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “মাতু রোগ”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)
    বেচারার রোগের প্রোকোপ এতই বেশি ছিল যে তার হাসপাতালে থাকতে হয় দিন দুয়েক

    :khekz: :khekz: :khekz:

    যত যাই বলিস, স্ক্র্যাচিং-এ আমার কাছে 'মান্নান'ই অগ্রগন্ন। তিনি বস, তিনি এই শিল্পের স্রষ্টা।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  2. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    আমরা ধারনা করতাম ম্যাথের মান্নান স্যারের পকেট সিওর ছেড়া থাকে অলটাইম......পকেটে হাত ঢুকায়ে ভিতর দিয়ে যে চুল্কাইতেছে সেইতা সবসময় বোঝা যাইত!!! =))

    জবাব দিন
  3. তৌফিক (৯৬-০২)

    মান্নান স্যার ক্লাসে একবার বলছিলেন, দামী জুতার চেয়ে ছেড়াঁ কালি করা জুতা ভালো। প্রসংগ ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। আজো বুঝতে পারি না, যে ব্যাটার নতুন জুতা কেনার পয়সা নাই ওই ব্যআটা কালি পাইব কই থাইকা??

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আশিক (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।