বাবাকে..

খুব ছোটোবেলায় আবছা আবছা ধোঁয়ায়
মনে পড়ে বলেছিলে-”শুনিস নি তুই
বলো বীর, চির উন্নত মম শির?
তবে খাঁড়া হয়ে দাঁড়া, বীরের মত।”
হইতোবা বুঝি নি তখন, হইতোবা বুঝেছি,
জানি না কোন মন্ত্রে অন্তর হয়েছিল দগ্ধ,
মনে পরে সেই তন্ত্রে হৃদয় হয়েছিল মুগ্ধ,
তারপর মনে মনে গড়েছিলাম এক সঙ্কল্প,
নোয়াব না মাথা, সইবো সব ব্যথা,
শত দুঃখেও জাগ্রত রবে এই কথা।
অনেক বছর পরে অস্রুসজল চোখে
দেখি যখন তুমি মাথা নত করে
শুধু আমারই কারনে, তখন যেন
মাটির সাথে মিশে যাই শরীর,
হৃদয়ে জাগে আত্মহত্তার অশুভ বীজ,
তারপর যখন ক্ষমা করো মোরে আম্লান বদনে,
মনে হই যেন জল দিল কেউ আমার শিয়রে,
আজ তবে , সব কিছু বুঝে, শিক্ষা নিয়ে ধরনিতে,
করি আমি পণ, আর কিছুতেই দেব না হতে,
তোমার চোখ থেকে আর এক ফোটা অস্রু ঝরতে,
তাই তোমার অই চোখে তাকিয়ে বলি চিরসত্য
আমার হৃদয় নিংরানো কোনো মহামন্ত্র,
জানিয়ে দেই সমস্ত অস্থি-মজ্জা-রক্তকে,
কিছু করতে হবে আমায়, দেখাতে হবে
গোটা দুনিয়াকে, আমি তোমার সন্তান,
তোমারই আদর্শে চির উন্নত মমশির আমার।

১,০০৮ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “বাবাকে..”

মওন্তব্য করুন : রাজী (১৯৯৯ - ২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।