বোবার অসহায় গোঙানী শোনা যাচ্ছে,
কি যেন বলার তীব্র প্রচেষ্টা।
মাঝে মাঝে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
এদিক থেকে ওদিক।
সবাই বলে পাগল,
ওকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
মাঝে মাঝে ধাক্কা দিচ্ছে
দরজায়, দেওয়ালে, গ্রীলে, মাটিতে।
সে দেখছে, একটি কিশোর ডুবে যাচ্ছে ঐ পুকুরটায়।
সে ভাবে, কেউ কি নেই এই দৃশ্য দেখার, আমি বোবা ছাড়া।
ছেলেটাকে দেখেছে সে,
সেই শিশু থেকে কিশোরে বেড়ে উঠতে।
কত দরদ আর ভালবাসা
ছেলেটাকে ঘিরে, আজন্ম পরিচয়টা খোঁচায়।
কেউ কি নেই দেখবার?
কেউ কি নাই বাঁচাবার?
আসলেই কত মানুষের স্বপ্নের এদেশ
কত আশা, কত স্বপ্ন, কত ভরসা…আরও কতও কি…
দিনের পর দিন দেখছে ডুবে যেতে
সেই কষ্ট করেছে মোরে বোবা।
কবে যে সে চীৎকার করে
ডেকে উঠতে পারব?
ছুটে এসে বাকী সব মানুষ বাঁচাবে
এই কিশোর আমার দেশকে…
বাশার ভাই, চমৎকার একটা কবিতা। :boss: :boss:
আমরা আসলেই বোবা হয়ে গেছি। 🙁
(অফটপিকঃ আপনি বুয়েটের সোহরাওয়ার্দী হলের হকি টিমের বিখ্যাত বাশার ভাই না? তাইলে আমি কিন্তু আপনার সাথে একই টিমে ছিলাম 🙂 B-) )
খুব চমৎকার কবিতা বাশার।
সুন্দর :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!