স্মৃতির পাতা হাতড়ে লিখছি, তাই ঘটনা তে কিছু বিবর্তন আসতে পারে।
একই সাথে ৭,৯,১০ এবং ১২শ এ একই রুম এ থাকতাম। তাই সম্পর্ক টা ঠিক বন্ধুত্ব না বলে ভাতৃত্ব বলা সহজ। তার সকল কথা আমার অজানা এমনটি হয়নি। স্বভাবে চঞ্চল এক কথায় দুষ্টদের সরদারদের একজন।
ক্যাডেটরা শিক্ষকদের সাথে যা করে তেমনি করত, তবে মাঝেমাঝে হঠাৎ যে বেশি হত না তার গ্যারান্টি ছিল না। বোধ করি এই ব্লগে সবাই কম বেশি এইসব টুকিটাকি ঘটনার নিত্যনৈমিত্তিক সাক্ষী। তবে বুকে হাত দিয়ে বলা যায়, বেয়াদবির উছিলায় কেউ তা করত না।
কোন কারণে সে তখনকার প্রিন্সিপাল মহোদয় এর চরম অপছন্দের পাত্র। ১২শ শ্রেনীতে একটু বেশি গা ছাড়া ভাব সবারই, আর এরকম চরিত্র গুলো সম্বন্ধে না বললেও সকলে ওয়াকিফহাল। কথায় কথায় এক্সট্রা ড্রিল, ড্রেস ড্রিল, ওয়ার্নিং; শুধু কলেজ আউট টা হয় নাই। সবাই খুশি যে এই জীবন শেষ, পরবর্তী জীবনটা শুরু। সে কিছুদিন এর মাঝে ISSB তে ডাক পেল বাংলাদেশ নেভী এর জন্য এবং যথেষ্ট পরিমাণ qualified হওয়ায় চূড়ান্ত তালিকাতেও নাম উঠে গেল। কিন্তু জনৈক প্রিন্সিপাল মহোদয় নাড়লেন শেষ ঘুটি। naval head quarter এ character certificate টা বিষাদাগার ভরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর শুধু সেজন্য তাকে চুড়ান্ত তালিকাতে থাকা সত্বেও বাদ দেওয়া হয়।
আজ, তার অবস্থা আমার কাছে প্রায় ইতিহাস পর্যায়ে। যদিও সে একটা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ ঐ ঘটনা আত্ববিশ্বাস এ ভাটা ফেলেছিল। যার উদ্ধার সে আর করতে পারেনি। তার বর্তমান জীবন দেখে, সেই প্রিন্সিপাল এর জন্য বদ-দোয়া বের না হোক, মনের ভুলেও দোয়া আসে না।
প্রথম 😀 :awesome:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:chup: রিরিয়াস পোস্টে ফাইজলামি 😡
স্যরি আগের বার পোষ্ট না পড়েই মন্তব্য করছিলাম 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রথম লেখার শুভচ্ছা ভাইয়া 🙂 সাথে নববর্ষের ও 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বাশার,
ব্লগে স্বাগতম।
তোমার লেখা পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম। মানুষ যে এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে পারে তা আমার জানা ছিলনা।
সম্ভব হলে তোমার ভাতৃতুল্য রুমমেটটির বর্তমান অবস্থা জানিও।
দোয়া রইল নাম না জানা সেই ছোট ভাইটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।
ভাই, তিনি যেখানেই আছেন সাফল্যের শিখরে যেন উঠতে পারেন এই কামনা রইল :boss:
আমারো একি কামনা রইল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঐ
আমার একটা ঘটনা আছে ঠিক এরকম। মনোবল হারিয়ে ফেলার মানে প্রিন্সিপালের জয়। আমাদের উচিৎ সবার চেষ্টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে যাওয়া, তাই না ভাই? আপনার বন্ধুটির জন্য শুভকামনা।
আর ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
সবাই তো বুড়ো আংগুল দেখাতে জানে না
বাশার ভাই, ব্লগে স্বাগতম। নিয়মিত লিখতে থাকুন।
এরকম শয়তান প্রিন্সিপালের জন্য :gulli2: দরকার।
ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া। আপনার বন্ধুটির জন্য মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছুই হয়তো দিতে পারবোনা, তবে মন থেকে তার মঙ্গল কামনা করি, যাতে তিনি আবার তার হারানো আত্ববিশ্বাস খুজে পান।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমার এক ব্যাচমেট এর সাথেও এক স্যার একই কাজ করছিল...
কিন্তু উনার জন্যে দুঃখের ব্যাপার হল সে আমার ফ্রেন্ডের আর্মিতে যাওয়া ঠেকাতে পারেনাই...তার দেয়া টেস্টিমোনিয়াল কোনই f***ing কাজে আসেনাই....
আল্লাহর ইচ্ছার আমার ফ্রেন্ডটার পোস্টিং সেই টিচারের গ্রামের বাড়ির এলাকাতে যৌথ বাহিনীর প্রধান হিসেবে হয় এবং তখন সেই টিচার ( যিনি একদিন ওর আর্মিতে যাওয়া ঠেকাতে চেয়েছিলেন) তার নিজের জমি নিয়ে সমস্যার জন্যে ওর কাছে আসছিলেন.....
বাহ, মজার ব্যাপার তো। :clap:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:grr: :clap: :awesome: :tuski: :thumbup:
সিসিবিতে স্বাগতম বাশার, মনে হয় বুঝতে পারতাছি কার ঘটনা 🙁 এখন কি অবস্থা ওর?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ঐ যে বলা হইল, উহা ইতিহাস।
হুম
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সিসিবিতে স্বাগতম বাশার।
তোমার রুমমেটের জন্যে
একটু মনখারাপ হচ্ছে।
এরকম ঘটনা সব ব্যাচেই
থাকে কিছু না কিছু,
মনকে বিষিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
আরো বলো তোমাদের জেনারেশানের
ক্যাডেট কলেজ জীবনের কথা।
কোন হাউসে ছিলা?
নুপুর ভাই -এর সব পোস্ট-ই কেমন কবিতা কবিতা মার্কা। 😀
নুপুর ভাই, ধন্যবাদ।
ব্লগে লেখা চালায়ে যাওয়াটা ধৈর্যের কাজ। তাও মাঝে মাঝে টুকিটাকি চেষ্টা করব।
ছিলাম শহীদুল্লীয়ান।
প্রতিহিংসার চুড়ান্ত উদাহরন রেখেছেন আমাদের কলেজের ডাক্তার স্যার । চশমাওয়ালা কাউকেই ISSBর ছাড়পত্র দেন নাই ।
ভাইয়ার জন্য শুভকামনা থাকল ।
দুনিয়ার গান্ধা আর ফাজিল লোক গুলার মধ্যে এই প্রিন্সিপাল একটা।
কিছু হয় নাই, তোমার বন্ধুরে কও কোমড় সিধা কইরা থাকতে। ডিফেন্সে চাকুরী না কইরা অনেক লোক ভালো মতই বাইচা আছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সেটাই
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সব কলেজেই কিছু এক্সট্রা সিরিয়াস পোলাপাইন থাকে আর্মিতে যাওয়ার জন্য। কয়েকজন খুব দুঃখ পেয়েছিল ।
i used to say that, but some people r really very emotional...সেজন্য পস্তাচ্ছে
আর্মিতে না যাইতে পেরে আমিও ব্যাপক দুঃখ পাইসিলাম। এখন আর দুক্কু নাই।
শুধু দুঃখ পাওয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে কোন ক্ষোভ থাকত না, কিন্তু এই বিষয়টা ছিল key turning point of life..অনেক alive character এখন মৃতপ্রায়, সেজন্যই...
বাশার ভাই, ব্লগে স্বাগতম... :salute:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ
বাশার,
তোর এই ভাতৃতুল্য রোমমেট ক্লাসে আমার ফর্মে ছিল এবং আমরা প্রায় সব ক্লাশেই পাশাপাশি/আগে পিছে থাকতাম।ক্লাশে আমাদের মাঝে পারসনাল কিছু ডিলিংস ছিল।আমাদের দুইজনের কাছে দুইজনের আলাদা নিকনেমও ছিল।চুড়ান্ত ট্যালেন্টেড এবং পাগলা একটা পোলা।লাড্ডু থেকে শুরু করে আরো অনেক গানের জনক আর আমাদের সংকলন ফৌ**ন এর একটিভ কবি।সবই ইতিহাস রে দোস্ত।কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় ডায়েরীতে লেখা নিয়ে পাগলা ক্রিয়েটিভিটি।কলেজ থেকে বের হওয়ার পর পূর্ব রাজাবাজার আমরা যে বাসা নিয়েছিলাম কোচিং এর সময়।সেখানেও আমরা একসাথেই থাকতাম।তখন ওর সাথে অনেক জায়গায় গিয়েছি।আমি অনেক ট্রাই করেছি পোলাডারে শান্ত করে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য।তার ভার্সিটিতে একদিন গেলাম এবং ছিলাম ঐদিন ওর হলে।অনেক কথা হল,অনেককিছুর খোজ খবর নিলাম।এই ছেলেটা মাঝে মাঝেই সবার থেকে হারিয়ে যায়।আবার হয়ত কোন এক রিইউনিয়নে দেখা।আবার ডুব।কয়েকমাস আগে আমি রাপা প্লাজার কাছাকাছি মেইন রোডে।কে যেন চলন্ত বাস থেকে আমাকে চিৎকার করে ডাকছে।তারপর বাস থেকে নেমে রীতিমত দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। :hug:
শার্ট প্যান্ট ইন করা কিন্তু দুই কাধে ঝুলানো স্টুডেন্ট ব্যাগ।ফরমালী ক্যাজুয়াল। আসলে সে বাসে করে যাচ্ছিল,আমাকে দেখে নেমে এসেছে।তার কন্ঠে উচ্ছাস-'দোস্ত তোকে অনেকদিন পর দেখলাম'।তারপর তার অনবরত কথাবলা।ফোন নাম্বার আদান প্রদান হল। এই ছেলেটার ভালবাসায় কোন কৃত্রিমতা নেই।কয়েকদিন আগে দেখি আমাদে ফেসবুকে এড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে-খুব ভাল লাগল আমার, অন্তঃত এখন আমাদের টাচে আছে এন্ড হি ইজ ট্রাইং টু ডু সামথিং।
অনেককিছু মনে হয়ে অনেক খারাপ লাগছে কিন্তু তার কথা শুনে একটু ভাল লেগেছে স্টীল হি ইজ প্রাউড টু বি এ ফৌজিয়ান।তার যে কথাটি আমার মনে ধরেছে 'উই আর ক্যাডেট,উই ক্যান কাম ব্যাক এনিটাইম'।বুঝা গেল তার আত্নবিশ্বাস একেবারে শেষ হয়ে যায়নি।
আমিও স্পিরিট দিয়েছি 'ফর্ম ইজ টেম্পোরারী বাট ক্লাস ইজ পারমানেন্ট'।