ক্লাস ১২ এর এক্সকারশানটা হয়েছিল মঙ্গলবার এ কিন্তু কোন দিন সেটা মনে নেই। আমি সব কিছু ডাইরী তে লিখতাম কিন্তু কলেজ থেকে বের হয়ে এসে সব গুলো ডাইরী ফেলে দেই। বিসিসির ইতিহাসে বোধহয় ওই প্রথম আমরা কুয়াকাটা যাই। গিয়ে সওজ এর রেষ্ট হাউজে উঠি। তো আসল কথায় আসি এক্সকারশান এর কথা পরে বলবো অন্য পোষ্টে। তো সেবার এক্সকারশান এ আমরা অনেক মজা করসি. চীকেন গ্রীল খাইসি বাট এটা সত্য ভাই এতো মজার চীকেন গ্রীল আই আর কোথাও খাইনাই।
তো কলেজে আসার পর ডিনার করে হাউজে গিয়ে বোতলে করে যে গোপন জিনিসটা নিয়ে আসছিলাম সেটা খেয়ে ফেললাম। তারপর ঘুম দিলাম। তারপরের দিন গেলো ঘুমের উপর দিয়ে আর সিগেরেটের এতো গুলো প্যাকেট লুকানোর কাজে তার পরের দিন বৃহস্পতিবার আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। ব্যাপারটা ঘটলো ডিনার এর সময় হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেলো কিন্তু ৫/১০ মিনিটেও আর আসেনা সন্দেহ হলো কি ব্যাপার??? কষ্ট করে ডিনার করলাম কিন্তু খুব মজার সাথে। তারপর আমরা সবাই শেরে বাংলা(এই হাউজে সাধারণত কোনো গ্রুপ মজা করা হয়না কারণ ডিউটি মাষ্টাররা থাকেন) হাউজে গিয়ে সবাই কন্সার্ট শুরু করে দিলাম, আমার মতো যাদের গলা কাকের মতো তারাও রিতিমতো গান গাওয়া শুরু করলো।
একটু পর ডিউটি মাষ্টার এসে আমদের যার যার হাউজে পাঠিয়ে দিলেন। আমরা হাউজে গিয়ে অন্ধকারে হাউজ রাউন্ড দেয়া শুরু করলাম। একটু পর হালকা হালকা বৃষ্টি পরা শুরু করলো কিন্তু দমকা হাওয়া শুরু হলো। আমাদের তো সিরিয়াস মজা। উফফফফফ আজকে ছাদে যাবো কখন সেই উৎসাহে অন্য হাউজের বেশ কিছু পোলাপান আমাদের রুমে চলে আসলো আমাদের রুম আবার এই দিক থেকে খুব বিখ্যাত(রুমের বাসিন্দা আমি এবং মুস্তো)। কোনো ফল চুরি, ছাদে ওঠা, লাইটস অফের পর কমন রুমে যাওয়া এইসব কিছুর প্ল্যান কেন জেনো আমাদের রুমে করা হতো। আর আমাদের রুম ছিল ছাদে ওঠার আগের ষ্টপেজ ছাদে ওঠার আগে সবাই আমাদের রুমে আসতো সেখান থেকে ছাদে জেতো। তো সেদিন ও অন্য দিনের মতো রব্বানি, নিলয়, আশিক, তুষার সহ আরো বেশ কয়েকজন আমাদের রুমে আসলো।
অপেক্ষা করতে লাগলো ছাদে যাবার জন্য। কিন্তু এতো শব্দ করে বাতাস আসা শুরু করলো যে কি আর বলবো। সবাই ভয়ে অবস্থা খারাপ। টয়লেটে কেউ একা যায়না সাথে ২/৩ জন নিয়ে যায়। একটু পর শুরু হলো ডাল ভাঙ্গার শব্দ। তারপর শুরু হলো হাউজের গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ। আমাদের ৩ হাউজের সামনে একটা বা ২টা করে ঝাড়বাতি আছে সেগুলা ভেঙ্গে পরতে থাকলো রুমের সামনের পানির ফিল্টার কই গিয়ে পরলো আল্লাহ জানে, আমরা তাড়াতাড়ি টয়লেট থেকে এসে নিচে বেড বিছিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম( মানে শুয়ে পরলাম) তখন আমাদের ২ জনের রুমে ৭ জন(আমাদের কলেজের রুম গুলা খুব সুন্দর আর বড় ফ্লোরিং করলে খুব ভালো ভাবে ১৫ জন থাকতে পারবে)। আমি ছিলাম ডান পাশের লাস্ট ম্যান। বিশ্বাস করবেননা জানালার কাচ মনে হচ্ছে এখুনি খুলে আমার চোখে পরবে এরকম শব্দ হচ্ছিলো। আমি ভয়ে চোখ ঢেকে ফেললাম। আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে প্রায় কয়েকবার ঘুমিয়ে পরলাম কিন্ত বার বার ঘুম ভেঙ্গে যায় ডাল পালা ভাঙ্গার শব্দে। পরে কখন ঘুমিয়ে পড়ি জানিনা কিন্তু যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন চারেদিকে এতো আলো যে বিশ্বাস করার মতোনা। আর সারা রুমে গাছের পাতা। বাকি ৬ টাকে ডাক দিলাম ব্রাশ নিয়ে বাইরে গিয়ে দেখি এ কী অবস্থা এটা কী আমার কলেজ???!!!
একটা গাছ ও নাই। সব ভেঙ্গে নিচে পরে আছে পাসের টেনিস কোর্টের পিছনের লোহার নেট গুলো ভাঙ্গা। জানালা দিয়ে ওই পাশে তাকিয়ে দেখি ক্যাডেটরা পিকনিক করতেসে, বাস্কেট বল গ্রাউন্ডে আমাদের পোলাপান ছবি তুলতেসে, জুনিয়র গুলা গাছের উপর উঠে(ভাঙ্গা গাছের উপর), মরা কাক হাতে নিয়ে, ২ হাতে ২ ডাব নিয়ে সেকি তাদের ছবি তোলা। আমরাও বের হলাম। তখন হাল্কা ঠান্ডা ছিলো আমরা কেউ তাওয়াল গায়ে দিয়ে, কেউ কম্বল গায়ে দিয়ে, কেউ এক্সকারশানে কেনা কুয়াকাটা লিখা গেঞ্জী গায়ে দিয়ে ছবি তোলা শুরু করে দিলো……………………………………………………………………।।
(চলবে)
এই ১ম বারের মত ১ম হইছি...... :tuski: :awesome: :thumbup:
আজ আমার দোয়া পাইছিস বইলাই ১ম হইতে পারলি। নাইলে :grr: :grr: x-(
আসলেও রে দোস!!!
আরে AMLO Chief আমার পোষ্টে প্রথম 😮
আমি তো গর্বিত অনুভব করতেসি 😀 😀
ধন্যবাদ......লুমজান
😛
সিডরের দিনে কমান্ডো কোর্সে ৪০ কিমি স্পিড মার্চ ছিল... আমার লাইফের সবচেয়ে পেইনফুল (শারীরিক+মানসিক) ইভেন্ট 🙁 🙁 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙁
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
:(( আমিও কমান্ডো কোর্স করপো :((
আহসান হাবিব ভাইজানের লগে যোগাযোগ করেন।
আপনার গায়ে গতরের মাংস উনি কমায়া দিবেন নে। :grr:
😛
তারপর......???
পরেরটা তাড়াতাড়ি ছাড়ো.........।।
:bash: :bash:
:salute:
"বিসিসির ইতিহাসে বোধহয় ওই প্রথম আমরা কুয়াকাটা যাই।" ................. ঠিক না কথাটা 🙂 ।
😛 আরে ভাই মাফ করে দেন আমি জানতামনা আগে কেউ এক্সকারশানে কুয়াকাটা গেছে। 🙁
আপনাদের কাহিনী লিখে দেন কুয়াকাটাতে তো রগরগে ব্যাপার আছে 😛
নাজমুল, মজা লাগছে পড়তে। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিয়ে দাও।
ভাই, তুমি তো দেখতে হালকা পাতলা, তুমি উড়ে যাওনিতো 😛
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমি হালকা পাতলা ??? কী বলেন এইসব মুতো হালকা পাতলা আমি না 😀
পরের পর্ব কাল দিব আজকে একটু .........।। না থাক এইসব কথা বলা উচিত না 😛
সরি মুস্তো হবে 🙁