কলেজ লাইফ-ক্লাস নাইন(১ম পর্ব)

কলেজ লাইফ-ক্লাস এইট
ক্লাস এইটের পোষ্ট ছোটো হওয়ার কারণে আমি সরি। আসলে আমার ক্লাস এইট এর কাহিনী ভালোভাবে মনে নাই।
ক্লাস নাইন এ ওঠার পর পরই ভাব একটু অকারণে বেড়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়া জে.পি দের সাথে ঘাড় ত্যাড়ামি করতাম সাথে ক্লাস মেইটরাও। কিন্তু ভাইদের মাইর খাইয়া সব শেষ হই গেছে ভাব সাব।
এর মাঝে আবার হাউজএ জয়নাল ভাই নামে নতুন সুইপার আসলো। ওরে বস আইসাই রুমে ঢুইকা যাত্রা নাচ দেখাইলো আর যাওয়ার সময় বললো কিছু লাগলে বইলো। কিছু লাগবেনা মানে??? প্রথমেই কার্ড আনাইলাম তারপর, সোনালী পাতা। জীবনের প্রথম খাইলাম পারতাম না খালি নিতাম আর বের করতাম। কিন্তু সোনালী পাতা তো। বলদের মতো প্রথম বার রুমে খাইলাম কিন্তু পরের বার থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাথরুমে রাত ২/৩ টার সময় আমার দুষ্ট রুমমেইট মুস্তাকীম এবং মাহমুদ সহ খেতে জেতাম। সে কী লাইফ রে ভাই প্রতিদিন খালি এই সময়টার জন্য ওয়েট করতাম। এর মাঝে আবার আমরা জুনিয়র টয়লেট(একাডেমীর) এর লিডিং পেয়ে গেলাম। অধিকাংশ ক্লাস টাইম এ ছিলাম টয়লেট এ। বিশেষ করে মোল্লা স্যার এর। ওনার ক্লাস এ হস্পিটাল লিখে টয়লেট এ থাকতাম। কার্ড কম্পিটিশন শুরু হই গেলো এই সময় দারুণ দারুণ সব প্লেয়ার বের হয়ে এলো যারা শাফ্লিং করতে করতে কার্ড চুরি করতো। কেউ কেউ বাইরে গিয়ে সাত মাইল ঘুরে আসতো।
আমার দুষ্ট রুমমেইট মুস্তাকীম সাত মাইল গিয়ে চকলেট কিনে আনলো সবার জন্য(লাভ কেন্ডী)।
তারপর তো সবার উৎসাহ বেরে গেলো সবাই চিন্তা করলো কাঠাল পেড়ে খাবে। টয়লেট দিয়ে বের হয়ে লাইমুন গেলো কাঠাল আনতে গাছে ওঠার পর মনে পড়লো এন্টীকাটার তো আনা হয়নাই পরে লাইমুন কীভাবে জানিনা হাত দিয়ে ছিড়ে আনলো কাঠাল নিচে পড়ার পর আমরা ওইটা ধরা ধরি করে নিয়ে আসলাম। আনার পর দেখি এখনো পাকেনাই। ডিনার এর পর লবণ আর এন্টীকাটার যোগাড় করলাম এবং কাঠাল এর মুখের দিকে কেটে লবণ দিয়ে কাগজ দিয়ে পেচালাম। তারপর টয়লেট এর উপরে ফাকা জায়গা দিয়ে ওতা উঠিয়ে লুকাই রাখলাম পাকার জন্য। প্রত্যেক মীল এর পর এসে চেক করতাম ঠীক আছে কিনা?? সবার কী উৎসাহ নিচে কার্ড খেলতেসে আর উপরে কাঠাল। কোনো জুনিয়র ঢুকতে পারতোনা ওইটা তে। কিন্তু তার কিছুদিন পরই মুস্তাকীম আবার হিষাম কে নিয়ে সাত মাইল এ গেলো আমরা সবাই উদ্গ্রীব হয়ে দাড়াই আছি ওদের টাকা দিলাম কিছু জিনিস আনতে দেয়ার জন্য। কীন্তু অনেক্ষণ হয়ে গেলো ওরা কেউ আর আসেনা। আমাদের খুব টেনশন কী ব্যাপার ওরা আসেনা কেন??? অনেক্ষণ পর দেখি হিশাম ডাবল আপ করে অন্য রাস্তা দিয়ে আসতেসে, ওর কাছ থেকে যা শুনলাম এবং পরে মুস্তাকীম এর কাছ থেকে শুনে যা জানলাম তা হলো???
“”””ওরা সাত মাইল ঘুরে কেনা কাটা করে ফিরে আসার সময় রাস্তায় একটা টেম্পু এসে থামলো সেখান থেকে সফিক স্যার এসে নামলো। সে হঠাৎ মুস্তাকীমকে দেখে চিনে ফেললো কারণ মুস্তাকীম এর মতো চিকন কলেজ এ কেউ ছিলনা আর ওকে দেখলে যে কেউ চিনবে।। তো স্যার ও চিনে ওকে ডাকলো্‌, এই ছেলে তুমি ক্যাডেট না???? ও বলে জ্বী না স্যার। ক্যাডেট না হলে কীভাবে বুঝলা আমি স্যার??? এইতো মুস্তাকীম খাইলো ধরা আর পাশ দিয়া হিশাম কে উৎসুক জনতা পালাতে সাহায্য করলো। মুস্তাকীম স্যার কে অনুরোধ করে ঠিক করলো যে স্যার কাউকে জানাবে না এবং উনি মুস্তো কে কলেজ এ ঢুকতে সাহায্য করবে, কিন্তু পথিমধ্যে একটা বেয়াদপ ষ্টোর কীপার এর সাথে দেখা উনি মুস্তো রে দেইখাই নতুন এ্যাডজুটেন্ট কে ফোন করে সব জানাই দিল মেজর নুরুল আলম এসে ওদের কাছ থেকে statement নিলো ………………………

চলবে..

২,২১৭ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “কলেজ লাইফ-ক্লাস নাইন(১ম পর্ব)”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    নাজমুল, তোর লেখার স্টাইল তো ব্যাপক ইম্প্রুভ করছে... :thumbup:
    সিসিবিরে বিশাল কইরা থ্যাংক্‌স দিয়া দিস...

    লেখা ভাল লাগছে... :hug:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    মাস খানিক আগে থেকে সিরিজটা ঝুলায় রাখছো, তোমারে কি করা উচিত ভাইবা পাইতেছি না। :gulli2: :gulli2: :gulli2:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাশেদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।