ধর্মীয় দাওয়াত

ধর্মের প্রতি ভালবাসা আমার মনে হয় মুসলমানদের চাইতে বেশি অন্যকোনো ধর্মে নাই। থাকলেও তা চরম পর্যায়ে পোঁছায় না। দেশে-বিদেশে, হাটে-ঘাটে, স্কুল-কলেজে সব জায়গায় মোটামুটি ধর্ম প্রচারের কাজে নেমে পড়েন কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমান। যা অনেকের মাঝে বিরক্ত ঘটায়, কারণ হয় কথা কাটাকাটি এবং মাঝে মাঝে মারামারিতে গিয়েও পোঁছায়।
ইংল্যান্ড এর অবস্থা আরও বেগতিক, এ দিকে বিশ্ব শান্তির জন্য আফগান, ইরাক, ইরান এ তাদের আর্মি পাঠিয়ে সাধারণ মুসলিমদের সাহায্য করার নামে করছে সন্ত্রাস।
গডফাদার ছবিটা দেখে থাকলে সেখানের একটা কাহিনী সবার মনে থাকার কথা। ডন কর্লিয়নী যখন পুলিশ অফিসারকে গুলি করে মেরে ফেলে তখন ব্যাপারটা হালকা করার জন্য কর্লিয়নী পরিবার তাদের পোষা সাংবাদিকের সাহায্যে সেই অফিসার কত খারাপ তা ছাপা শুরু করেছিল পত্রিকায়।
খেয়াল করে দেখেন, ঠিক এমন কাজ করেছিল যারা রাজীব (ব্লগার থাবা বাবা) কে হত্যা করেছিল। তাকে হত্যার পর বেড়িয়ে আসে তার বিভিন্ন ব্লগ। লোকজনের মরে যাওয়া রাজিবের জন্য দুঃখ করতে দেখা গেলনা বরং বেড়েছিল তাদের ক্ষোভ। হত্যাকারীদের পরিকল্পনা বেশ কাজে দিয়েছিল।

ঠিক একই ভাবে ব্রিটিশ কিংবা মার্কিন মিডিয়ার কারণে সেদেশের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে মুসলমান মানেই টেররিস্ট। আবার এই ইংল্যান্ডই লক্ষ্য করবেন বিভিন্ন ভাবে মুসলিমদের সুযোগ দিতে গিয়ে অন্যান্য ধর্ম কিংবা নি-ধর্মের মানুষের কাছে তারা যত না বিতর্কিত হচ্ছেন তার চাইতে মুসলমানদের প্রতি বাকিদের রাগ বাড়িয়ে দিচ্ছেন বেশি।
যেমন কিছুদিন আগে, বিখ্যাত সুপারমার্কেট ”এম এন এস”(মার্ক্স এন স্পেন্সার) এর কিছু শাখায় মুসলিম যারা ক্যাশ-ডেস্ক এ কাজ করেন তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল যে, কেউ শুকরের মাংস কিনতে চাইলে মুসলিম ক্যাশিয়ার চাইলে সেটা প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
তারপর কিছুদিন আগে এক অঞ্চলের, বাচ্চাদের স্কুলে লাঞ্চে শুকোর দেয়া বন্ধ হয়ে গেল, মুসলিম বাচ্চারা ভুলে শুকোর খেয়ে ফেলে সে কারণে। এবং এর কারণে শুয়োর-খেকো বাকি বাচ্চাদের আব্বা আম্মারা খুব ক্ষেপে গেলেন। বিভিন্ন জায়গায় শুরু করলেন লেখালেখি।
এরকম আরও বেশ কিছু কাহিনী কিছুদিন পর পরই দেখা যায়, যাইহোক যা নিয়ে কথা হচ্ছিল, ধর্মপ্রচার।
আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, ২য় কিংবা ৩য় শ্রেণীর ছাত্র তখন নিয়মিত নামাজ পড়তাম, তাও আব্বার সাথে মসজিদে গিয়ে। কোনোদিন যদি কোনো কারণে যেতে না চাইতাম তাহলে আব্বা কখনো জোরাজুরি করতেননা কিংবা আম্মা বলতো তুমি যাও ও পরের ওয়াক্তে যাবে। কিন্তু আমি যত বড় হওয়া শুরু করলাম তখন দেখলাম আস্তে আস্তে নামাজের ব্যাপারে পরামর্শ এবং এর দাওয়াত বাড়া শুরু করলো। চকলেট কিনতে গেলে নাসির ভাই জিজ্ঞাসা করতেন নামাজ পড়ি কিনা, যদি না পড়ি তাহলে যেন সব সময় পড়ি। ডাক্তার আংকেল জানালেন নামাজ পড়লে আমাকে ভিটামিন সি দিবেন, মসজিদ এর হুজুর বললেন তুমি একা নামাজ পড়লেই হবেনা, তোমার আম্মাকেও পড়তে বলবা। আর তোমার আব্বা ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে আর তোমার আম্মা বোরকা পরিধান করেনা (এটা কি আমাকে জানানো খুব প্রয়োজন ছিল!!!!)। এই নামাজ এবং ইসলামের দাওয়াত আমি এত পেতে লাগলাম যা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
আগে গ্রামের বাড়ি যাওয়া ছিল আমার সেই ছোট্ট জীবনের সবচাইতে আনন্দের ব্যাপার, সেখানেও সমস্যা শুরু হল। যেই মামাতো ভাইরা আগে লুকিয়ে বিড়ি সিগারেট খেতেন তারা এখন কয় ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়লেন তা একটা কাগজে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখেন, দিনে ৩/৪ টা সহি হাদিস মুখস্থ করতেন। যার সাথে আমি আগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যেতাম, কিংবা গুলটি দিয়ে পাখি মারতে যেতাম সে এখন আমাকে মসজিদে নেয়ার জন্য দরকার হলে আমাকে কাঁধে করে নিয়ে যায়। এত এত হাদিস মুখস্থ করতে করতে, ডিগ্রীতে করে বসলো ফেল।
ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর যেটা জানলাম বা যে জানা বাংলা শব্দের অর্থ খুব ভালোভাবে বুঝলাম সেটা হল সংখ্যালঘু ব্যাপারটা। প্রত্যেক ক্যাডেটদের আলাদা টিজ নাম থাকলেও হিন্দু ক্যাডেটদের সবারই ছিল একই টিজ-নাম। কিন্তু ক্যাডেট কলেজে ক্লাস-ম্যাট কিংবা ব্যাচ-মেটের সাথে ভাই এর মত সম্পর্ক থাকার কারণে ব্যাপারটা কখনো তীব্র পর্যায়ে যায়না। ক্যাডেট কলেজের মত প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ঢোকা প্রায় না বরং পুরো অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু জামাত কিংবা শিবিরের জন্য ব্যাপারটা অন্যদের থেকে আলাদা এবং সোজা। কালেমা, ঈমান, নামাজ এর মত ব্যাপার গুলো দিয়ে তারা প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায়, খুব চালাক না হলে যা ধরা সম্ভব নয়। ক্যাডেট কলেজের ১২-১৮ বছরের ছেলেদের মাথায় ঢোকাতে কষ্ট হয়নি ব্যাপারটা। যদিও সেই গ্রুপের সদস্য ছিলাম আমিও কিন্তু আমি এখনো পরিষ্কার ভাবে এটাকে শিবির বলতে পারিনা সরাসরি তাদের কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে। তবে ধর্মের দাওয়াত থেমে থাকেনি। ক্লাস সেভেন যেমন সবার আগে পিটি, গেমস থেকে শুরু করে সব ফল ইন এ আগে নামে, হাউজ মস্কেও সবার আগে তারা থাকে। যত উপরের ক্লাসে তারা উঠে তত তাদের মাঝে থেমে নামাজি ঝরে পড়ে। এমনকি বাধ্যতামূলক মাগরিবের নামাজেও প্রায় বিভিন্ন ক্যাডেট এর অনুপস্থিতির কারণে শাস্তি পেতে দেখা যেত।
ক্লাস এইট এবং নাইন এর ক্যাডেটদের জন্য একটা ঝামেলা থাকে পাঞ্জাবী পরা কিছু সিনিয়র, যারা এসে আপনাকে জোর করে নামাজে নিয়ে যাবে। এতে যে সদকায়ে জারিয়াতে সওয়াব হবে। আমি নিজেও নামাজি ক্যাডেট ছিলাম একটা পর্যায় পর্যন্ত, যেহেতু আমার ডাকে কেউ নামাজ পড়লে তার ভাগীদার আমিও হব সে কারণে আমিও মসজিদে যাওয়ার আগে অনেক রুমের জানালায় টোকা দিয়ে যেতাম। সওয়াব লোভ কিন্তু কম না।
আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল আমার কলেজ থেকে বের হওয়ার পর, চাচার বাসায় গিয়ে। যেই চাচাতো-ফুফাতো বোনদের কাছে আমি সাইকেল চালানো শিখেছিলাম, শিখেছিলাম ব্যাডমিন্টন খেলা, তারা আমার সামনে আসেনা। আসলেও মুখ ঢাকা এমনভাবে যে চোখ ছাড়া কিছু দেখা যায়না। একসাথে খাওয়াও নিষেধ। তারা ইসলামের সাথি হয়েছে, ঘরে ঘরে দাওয়াত দেয়, ঘরে ঘরে গিয়ে বিরক্ত করে, জোড় করে বাচ্চাদের নিয়ে যায় মাদ্রাসায়। আমাকে ঢাকা থেকে কুমার বিশ্বজিৎ এর গান আনতে বলেনা, তাদের বাসায় এখন গোলাম আজমের বিভিন্ন ভিডিও সিডি আছে। সেটা দেখে এবং সরকারকে ধিক্কার দেয়।
আমাদের দেশে প্রায় দেখা যায় মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ি-ঘর পুড়ে ফেলে যে কোনো ইস্যুতে। আবার ইন্ডিয়াতে হয় এর উল্টো। এ নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এর একটা লেখা কোট করা যায়,
“মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকেরা,মন্দির ভাঙ্গে ধার্মিকেরা।আর যারা ভাঙ্গা ভাঙ্গিতে নাই তারা অধার্মিক,অর্থাৎ নাস্তিক/ নিরীশ্বর।”
এই হুমায়ুন আজাদকে যারা কুপিয়েছিল তারা ছিলেন ধার্মিক এবং ৮৫% মুসলমানের দেশের মুসলমান। ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম কিন্তু তারা একজন লোককে কোপালেন লেখালেখির কারণে। কিন্তু এই নাস্তিক লেখক কিন্তু কুরান হাদিস প্রচার করা কোনো লোককে সেই কারণে চড় দিয়েছেন এমন নজির পাওয়া যায়নি। সে কিন্তু যায়নি বায়তুল মুকাররমের খতিবকে মারতে, কিংবা তার বইতে কখনো লিখেন নাই এদের বিরুদ্ধে কোনো মারামারি করতে;
বরং বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও খতিব নিয়ে নোংরা রাজনীতির কারণে মসজিদের ভেতরেই হয়েছিল জুতা মারামারি। এক খতিবের ভক্তরা অন্য খতিবের পেছনে নামাজ পড়বেননা। দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এর কারণে খুব সুন্দর করেই মজা নিয়েছিলাম আমরা তা দেখতে দেখতে।
তারপর চলে আসলাম একেবারে ইহুদি নাসারাদের দেশে। তখন মনে হইলো এ আমি কি মুসলিম পরিবারে জন্মালাম, আমাকে যে কিছুই শেখানো হয়নি। না পারি উর্দু না পারি ”জাজাকাল্লাহ। শুকরান” এসব শব্দের ব্যাবহার। আমাকে কখনো বলা হয়নাই, মুরগী কিংবা গরুও হারাম হতে পারে। ম্যাকডোনালস কিং ক্যান্টাকি খেতে গেলে দেখবেন অধিকাংশ ক্যাশিয়াররা এশিয়ান। আমাকে তারা খাবার অর্ডার দিলে জানাতেন খাবার কিন্তু হালাল না। আমি বুঝতামনা হালাল হারাম কি আবার মুরগীর গোসতে। আমি সমস্যা নাই বললে তারা কষ্ট পেতেন কিংবা নাম জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হতে চাইতেন আমি হিন্দু কিনা। আর ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হতে গেলেও বিভিন্ন লিফলেট থেকে শুরু করে বয়ানের ঝামেলায় পড়তে হবে আপনাকে। আপনি কাজের জায়গা থেকে ক্রিসমাস পার্টিতে গেলে মুসলিম কলিগদের মুখ থেকে শুনতে হবে এটা আমাদের পার্টিনা।
লন্ডনের এত মানুষের হাত থেকে বাচার জন্য গেলাম নিউবারিতে। লন্ডন থেকে ১০০ মাইল দুরে। ভাবলাম এখানে হয়তোবা এসব সমস্যা নাই। আসলেই ছিলনা, খুব সুন্দর একটা টাউন। মানুষজন খুব ভালো। কিন্তু ঘটনা ভালো রই-লোনা যখন নিউবারি মসজিদের সামনে শুকরের মাথা রেখে দেয়া হইলো। মুসলিমদের গোসত খাওয়া রক্ত জেগে ওঠার আগেই লোকাল কাউন্সিল এর ব্যবস্থা নিলেন। মুসলিম কমিউনিটির কাছে কথা দেয়া হল তারা এর অপরাধীদের বের করবেন। বের করেছেন, ৩ বছরের জেল ও হয়েছে। কিন্তু মসজিদের হুজুরের কোনো কথাও শুনতে হয়নি, যিনি প্রায় শুক্রবারে খুতবা দেয়ার সময় ইহুদি-নাসারা-কাফেরদের গুষ্ঠি উদ্ধার করেছিলেন। মসজিদে না যাওয়ার কারণে ব্যাপার গুলা আমি জানতাম-না, শুনেছিলাম আরেক মুসলিমের কাছ থেকেই। তারপর শুরু হল হুজুরের বাসায় আনাগোনা। কয়েকদিন পর পর পাকি-সাকি ধরে নিয়ে আসতেন। সময় নিয়ে দরাদরি করতেন নিউমার্কেট এর হকারদের মতন। যদি বলি সময় নাই, তাহলে বলতেন কেন আধঘণ্টা সময় নাই হাতে!! আমি বলতাম না এখন বের হতে হবে। তাহলে ১৫ মিনিট সময় দেন। সময় যখন ২ মিনিটে আনলেও আমার সময় নাই বুঝতে পারেন তখন চলে যায় পরের ব্যক্তির কাছে।
এগুলো-তো গেলো আপনার আশেপাশের মানুষজন, এখনো বড় একটা জায়গা বাদ পরে গেলো। ইন্টারনেট, বিশেষ করে ফেসবুক। ফেসবুকে সবার ফ্রেন্ড-লিস্টেই বেশকিছু-জন থাকে তারা প্রত্যেকদিন সকালে উঠে, ”Narrated by” দিয়ে একটা হাদিস বর্ণনা করে, কিন্তু আপনি যদি হুমায়ুন আজাদ কিংবা আরজ আলী মাতাব্বুর এর একটা লেখা কোট করেন তাহলেই শেষ আপনি ফ্রেন্ড-লিস্ট চেক করলে দেখবেন বেশ কিছু সংখ্যা কমে গেছে। প্রত্যেক জুমাবারে ”জুম্মা মুবারক” কিন্তু আপনি শুধু ভালোবাসা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিলেই ইন-বক্সে কোনো মেয়ে নক না করে আপনার পরিচিত বন্ধু আপনাকে জানালো ভালোবাসা দিবস’ নিয়ে জাকির নায়েকের বাণী।
আমার কোনো সমস্যা নাই কোনো ধর্ম নিয়ে। ধর্ম প্রচার করুন, কিন্তু কাউকে বিরক্ত না করে, মারামারি না করে, গালাগালি না করে, রক্তারক্তি না করে।
কিন্তু এটা হচ্ছেনা, সারা বিশ্বে দেখেন ধর্ম নিয়ে কত মারামারি, কত খুনাখুনি, কত রক্তারক্তি। কিছু বললে বাকিরা এটাকে সাপোর্ট করবেনা কিন্তু এটার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিরোধ ও করবেনা। একটা কমন ডায়লগ আছে। ওরা মুসলিম না। কোরানে এভাবে বলা নাই।
কিন্তু ভেবে দেখেন, আমাদের সংবিধানে কি লেখা আছে কোথাও বি এনপি আর লীগ মারামারি করবে, দেশের লোকজন চুরি করবে কিংবা করবে দুর্নীতি!! কিন্তু তারপরও কেন আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলাম, কেউ ওই দেশের সংবিধানে কি বলা আছে সেটা দিয়ে ওই দেশকে বিচার করেনা, করে তাদের কাজ কর্মতে। সেইরকম কোরানে কিংবা বাইবেলে কি লেখা আছে সেটা দিয়ে মানুষ এখন আর ধর্ম বিচার করেনা করে ওই ধর্মের মানুষের কাজ কর্মে।
আসুন এসব নিয়ে মারামারি কাটাকাটি না করে সুখে শান্তিতে বসবাস করি।
সুন্দর করি থাকি এই সুন্দর পৃথিবীতে।

৯৭৯ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “ধর্মীয় দাওয়াত”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    আর তোমার আব্বা ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে আর তোমার আম্মা বোরকা পরিধান করেনা

    =))


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    প্রত্যেক ক্যাডেটদের আলাদা টিজ নাম থাকলেও হিন্দু ক্যাডেটদের সবারই ছিল একই টিজ-নাম।

    😀


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    মানুষ এখন আর ধর্ম বিচার করেনা করে ওই ধর্মের মানুষের কাজ কর্মে।
    আসুন এসব নিয়ে মারামারি কাটাকাটি না করে সুখে শান্তিতে বসবাস করি।
    সুন্দর করি থাকি এই সুন্দর পৃথিবীতে।

    :clap: :clap: :clap:


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    অনেকবার অনাবশ্যক ভাবে

    রাজীব

    এসেছে।
    আবার পড়ে দেখ।
    লেখা ভালো হয়েছে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. শাহরিয়ার (০৬-১২)
    এবং এর কারণে শুয়োর-খেকো বাকি বাচ্চাদের আব্বা আম্মারা খুব ক্ষেপে গেলেন।

    =)) =)) =))


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
  6. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আমি এখন জুম্মা মোবারক দিই।
    দেখি পাবলিককে খুশি করাতে পারি কিনা।

    আজই আমার লোকাল এমপির একটা পোস্ট দেখলাম।

    কমেন্টে ছবি পোষ্ট করা নিয়ে ঝামেলায় আছি।
    দেখি আবার ট্রাই করে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  7. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    অসাধারন পোষ্ট। এমন ঝামেলায় বহুবার পড়েছি।

    কেন আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলাম, কেউ ওই দেশের সংবিধানে কি বলা আছে সেটা দিয়ে ওই দেশকে বিচার করেনা, করে তাদের কাজ কর্মতে। সেইরকম কোরানে কিংবা বাইবেলে কি লেখা আছে সেটা দিয়ে মানুষ এখন আর ধর্ম বিচার করেনা করে ওই ধর্মের মানুষের কাজ কর্মে।

    :boss: :boss: :boss:


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
  8. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে এটা:
    "কোরানে কিংবা বাইবেলে কি লেখা আছে সেটা দিয়ে মানুষ এখন আর ধর্ম বিচার করেনা করে ওই ধর্মের মানুষের কাজ কর্মে।"
    খুবই সহমত


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জাহিদ (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।