গরিব ব্লগারের কথা

প্রথম কিভাবে ব্লগের ঠিকানা পেলাম মনে নেই, বোধহয় গুগলে সার্চ দিয়ে কিংবা ফেসবুকে কোন লিংক পেয়ে। তখন মাত্র কলেজ থেকে বের হইসি। সবকিছুতেই চরম মজা পাই।
কম্পিউটার ঝকঝকে বাংলা দেখা শুরু করলাম সব যায়গায়। অভ্র নিয়ে গুতাগুতি শুরু করলাম। অনেক কিছু পারতাম না। তারপরো ব্লগ লেখার চেষ্টা করতাম। আমি এখন পর্যন্ত আমি অন্য কোনো ব্লগে লিখার সুযোগ পাইনাই 🙁
আমাদের ব্যাচের অনেকেই ভাবতো তখন আমি বোধহয় ব্লগের এডমিন বা কিছু একটা কোনো সমস্যা হইলেই আমারে ফোন কিংবা মেসেজ। আমি সুন্দর করে কামরুল ভাইকে একটা ইমেইল পাঠাই দিতাম তার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যে এর আইডিটা ঠিক করে দেন। পরে আমি নিজে ট্রাই করে ঢুকতে পারলে ওই ফ্রেন্ড্রে মেসেজ পাঠাই দিতাম ঠিক করে দিসি 😀
কিন্তু তারা ব্লগে আসার পরই দেখে আমার প্রত্যেকটা ব্লগেই মডু স্যারের কড়া ভাষায় ২/৩ টা কমেন্টস করা। কি আর করবে তারা আমাকে স্বান্তনা দিত 😛

বিদেশে আসলেও আমি প্রচুর ক্যাডেট ভাইয়াদের কিংবা ব্যাচমেট দের সাথে থাকি, একা একা বিদেশে থাকার সমস্যাটা হয়নাই। কিন্তু এই ক্যাডেট কলেজ ব্লগের কারণে যারা একা একা থাকে বিদেশে থাকার সমস্যা ফেইস করে তাদের আর সেই সমস্যা নাই।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সব ভাইয়াদের
আর অনুরোধ সবাই ফিরে আসুন 😀
আমরা আবার মজা করবো, আবার মিষ্টি খাবো।

শুভ জন্মদিন ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।
আরো অনেক দূরে যাবে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, ক্যাডেটদের জন্য অনেক বড় একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে সেই আশারাখি।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বরিশাল ক্যাডেট জিন্দাবাদ, ক্যাডেট ক্লেজ জিন্দাবাদ 😀 ::salute::

১,০১৩ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “গরিব ব্লগারের কথা”

  1. দিবস (২০০২-২০০৮)

    নাজমুলের দেখা পাওয়া গেলো। শুনছিলাম,কার ফেইসবুক স্ট্যাটাস আর ছবিতে লাইক দিতে দিতে এখন আর ব্লগ লেখার সময় পাও না।কাহিনি কি সত্য নাকি? 😉

    সুন্দর লেখা। 🙂


    হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি

    জবাব দিন
  2. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    যা দেবার বড় ভাই রা দিয়া দিছে। তুই পরে অনলাইন এ আইসা আমার সাথে সুখ দুক্ষের গল্প কইরা জাইস।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    রাজীব,

    নাজমুলরে তোর বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে হালকা ডলা দিস ত। পুলাটা ব্যাপক ফাঁকিবাজ হয়ে গেছে। এতোদিন পরে এইটুকু একটা ব্লগ লিখছে, তাও আবার কতগুলা বানা ভুল!


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  4. আছিব (২০০০-২০০৬)

    লুমজানকে আমি অনেকদিন কপি পেস্ট করতে দেখি না। শুনলাম লাইক দিতে দিতেই ছেলেটার দিন চলে যায়। তা ভাই ব্লগটা লেখার সময়ও কি লাইক দিচ্ছিলা? বানান ঠিক করতে মনে ছিল না? ;))

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজওয়ান (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।