গরুর কথা

কলেজ থেকে বের হলাম প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল…। কলেজ থেকে বের হবার আগে ক্লাসমেটরা কলেজ থেকে বের হওয়ার পর কি আমরা কলেজ কে মনে রাখবো কিনা বা কতদিন মনে থাকবে এই নিয়া অনেক কথা হতো। যেমন অনেকে বলতো কলেজ থেকে বের হবার ২/১ মাস পরই সব খতম। আমরা সব ভুলে যাবো।
আজকে ১.৫ বছর হয়ে গেল, কেউ ভুলতে পারেনাই বরং আরো বেশি করে কাহিনী মনে পড়ে। প্রত্যেক আড্ডার টপিক থাকে সেইম। কিন্তু তারপরও খারাপ লাগেনা ভালো লাগা বাড়তে থাকে।। অনেকের মতে এই স্মৃতিটুকুই নাকি তাদের সবচেয়ে বড় সম্বল। সব ব্যাচ এর কথা আমি জানিনা আমি আমাদের ব্যাচ এর কথা বলি..।
আমাদের ব্যাচ এর অধিকাংশ ক্যাডেট এর নন ক্যাডেট ফ্রেন্ড বলতে গেলে নাই…। কারণ আমরা নিজেরা নিজেরাই বেশিখণ সময় কাটাই নতুন বন্ধু বানানোর সুযোগ পাইনাই। অনেকে আবার বানানোর চেষ্টাও করেনাই। আমাদের কোথাও আড্ডা দিতে গেলেই দেখা যায় আমরা ৭/৮ টা কলেজের পোলাপান এসে যায় গল্প করতে করতে একজন কে টিজ করতে করতে টিজ পাইতে পাইতে সময় খুব ভালই চলে যায়। আড্ডার খুব ভাল জায়গা গুলো হলো টি এস সি, আমাদের কলেজের ৩য় ব্যাচের শাহীন ভাইয়ের অফিস, ১৪তম ব্যাচের মিনহাজ ভাইয়ের মিরপুরের চেম্বার(ডেন্টাল) আমাদের বাসার পাশের আনিকা হোটেল…আর বি এম এ পার্টি আসলে তো কথাই নাই প্রায় প্রতিদিন গেট টু গেদার…।
প্রত্যেকটা ঈদ বসুন্ধরায় আড্ডা শুধু ঈদের দিন না যতদিন ওরা থাকে ততদিন।.।।…।।…আজকে লন্ডণে ঈদ। আমার ক্লাস ছিল ৫ টা পর্যন্ত। যাইনাই বাসায় বসে আছি পাভেল এর জন্য (এস সি সি) একটু আগে ফোন করে জানলাম বেচারা ওর কাজিন কে নিয়ে হসপিটালে।। মামুন আসার কথা ও আসতে পারলোনা… আমি এখানে এসে আমাদের কলেজের ১৩তম ব্যাচের রাজিব ভাইয়ার এখানে থাকি আমাদের ব্যাচের সামনে যারা আসবে তারাও এখানে থাকবে… এখানে আসার প্রথম দিন থেকেই রাজিব ভাইয়া কলেজের গল্প শুরূ করসে। কলেজে কোন স্যার কি করসে কিভাবে ডাব পারতো এইসব। টুই ভাবির একটা কমেন্টস এ পড়েছিলাম যে ওনাদের বসায় গেলে সবাই রুম ক্রিকেট শুরু করে সেটা ভাবিকে বলার পর ভাবি খুব ভয়ে আছে আমাদের পোলাপান আসার পর আবার এই খেলা যদি তাদের বাসায় শুরু করে
লন্ডনে আসার আগে আমাদের বেক্সকার প্রেসিডেন্ট ফখরুল ভাই বলেছিলেন লন্ডনে এসে যেন বেক্সকার একটা চাপটার খুলি আমি চিন্তা করলাম একটা এক্সক্যাডেট এসোসিয়েশান খোলার চেষ্টা করতে পারি।
লন্ডনে কিংবা ইউ কে তে যেসব ভাইয়ারা আছেন তারা যদি একটু চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ার ভাইয়াদের মতো আমাদের এখানেও একটা খোলা সম্ভব। আমার শুধু তিন দিন ক্লাস বাকি ৪ দিন বাসায় বসে মুভি দেখি ভাইয়ারা যদি চান তাহলে আমি আর্থিক সাহায্য বাদে বাকি কাজ গুলা করতে পারি।
আর কিছু লিখলাম না অনেকদিন পর হালকা লেখা দিলাম এই আর কি।

৩,৫০৫ বার দেখা হয়েছে

৬২ টি মন্তব্য : “গরুর কথা”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    বাই দা ওয়ে-জুনিয়র আসা পর্যন্ত আইজকা থিকা এই ব্লগে তোর পার্মানেন্ট নাম গরু দেওন যায় কিনা এই ব্যাপারে সংসদে একটা বিল উত্থাপন করার ধান্ধায় আছি :goragori:

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    এই গরুর ঈদে এক গরুর আত্মকথন শুনে দারুন পুলকিত হলাম। ঈদ মোবারক গরু... ( এই পোলা বিদেশ গেল কবে :-/ )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাব্বির (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।