অছাত্র বনাম আমরা

আমার কাজিন রায়হান ভাই একটা বেসরকারি ভার্সিটিতে বিবিএ পরেন। বাসায় আসা যাওয়ার পথেই পরে ঢাকা ভার্সিটির এস এম হল। হলটা খুব ভালো লাগে বলে মাঝে মাঝেই আসা যাওয়ার পথে হলের মসজিদে নামাজ পরতে যান। বলে রাখা ভালো, বেশ ধার্মিক লোক সে, মুখে দাড়িও আছে। সে দিন ছিল শুক্র বার (২৩ অক্টোবর)। এশার নামাজ এর সময় এক বন্ধুকে নিয়ে হলের পাশ দিয়ে বাইকে করে যাছিলেন। ভাবলেন নামাজটা পরে নেই। বাইক টা রেখে নামাজ পরতে গেলেন। যাওয়ার পথে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখলেন, নামাজ পরার দাওয়াত ও দিলেন। কিন্ত আজকের দিনটা অন্য দিনের মতো ছিল না। যারা বসেছিলেন, তারা ছিলেন ঐ হলের ছাত্রলীগের নেতাগোছের কেউ। তাদের সাথে আগেও দেখা হয়েছিল। আজ তাদের দাওয়াত দিতেই তারা কেন যেন খেপে গেলেন, এদের মধ্যে কয়েকজন মদ্যপ ও ছিলেন। ওরা বলল, তুই আমাদের সালাম দেস না কেন, আমাদের হলে ঢুইকা আমাদের সালাম দেস না, মাস্তান হইয়া গেসছ?…বাইক নিয়া আমাগো সাথে মাস্তানি মারস…এই টাইপের কথা বলে ওরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরল। ভাইয়া প্রথমে বুঝতে পারে নাই এরা আসলে কারা। তাই বলল, আমি কি করছি যে আপনারা আমার সাথে এমন শুরু করছেন? ভাইরার সাথের বন্ধুটাও একি কথা বলল।

কথা গুলু বলাই মনে হয় পাপ হইয়া গেল, চিল্লাচিল্লি করতে করতে চারদিক থেকে আরো ভালো ভাবে ঘিরে ধরলো তারা এই ২ জনকে। ওদের ২/১ জন এই ফাকে কিল ঘুসি ও শুরু কইরা দিল। এসব ঘটনা দেখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ছাত্র জড়ো হয়েছিল। এখন ছাত্রদের নেতারা ২ জনকে মারতে মারতে আওয়াজ তুলে দিল “ শিবির…শিবির…ধর, ধর”। এই আওয়াজ তুলতেই হলের ছাত্রলীগের বাকি ছেলেরাও যোগ দিল। ভাইয়ার বন্ধু এক ফাকে বের হইতে পারল, কিন্ত ভাইয়া ওদের মাঝেই আটকা পরে গেল আর আমাদের দেশের সবচেয়ে ভালো বিদ্যাপীটের ছাত্রদের হাতে মার খাচ্ছে…শুধু মার হইলে কথা ছিল, ওরা বলছিল একে মেরে ফেল…একে মেরে ফেল। এবং মারা ও হচ্ছিল মেরে ফেলার মত। ভাগ্যটা ভাল ছিল আমার ভাইয়ার, বন্ধুটি বের হয়ে পরিচিত একজনকে কল দিল যিনি হলের একভাই কে বলে দিল ওকে বাচানোর জন্য। এতক্ষন ধরে হলের বাকি ছেলেরা এই তামাশা দেখছিল। কেউ যে এর প্রতিবাদ করবে, সেই সাহস ও পাচ্ছিল না। যাই হোক, আমার ভাই শেষ মেষ উদ্ধার পেল ওই ছেলেটির কল্যান এ ( এই মহত মানুষটিকে ও পরে হল ছাড়তে হয়েছে এই ভালো কাজের প্রতিদান সরূপ, ছাত্রদের নেতারা ওনার ভালো কাজ ওনাদের জন্য বিপদের কারন ই মনে করলেন)। ঢাকা মেডিকেল হয়ে, প্রাইভেট এক হাসপাতাল হয়ে এখন ভাইয়া বাসায় শয্যাশায়ী। মরনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছেন…বলেন, আমি সবাইকে মাফ করে দিয়েছি বেচে থাকার খুশিতে।

ওনার সুন্দর বাইকটাই ওনার জন্য কাল হয়ে দাড়াল, হলের একজনের কাছ থেকে শুনেছি। প্রথমে হয়ত ভেবেছিল ছিন্তাইকারি হিসেবে চালাবে, পরে হয়ত মত পালটায় যেহেতু দাড়ি আছে শিবিরটাই ভাল খাবে…এখানে একটা আয়রনি আছে, আমার ভাইয়ার পরিবারের কেউ শিবির দেখতে পারে না। ব্যক্তিগত ভাবে ভাইয়া তাবলীগ জামাতে সময় দেন। ভাইয়া যদি মারা যেত, তাইলে হয়ত এই সত্যি কথাটা জানতে পারতাম না, হয়ত নিউজে দেখতাম আমার ভাই ছিন্তাইকারি হিসেবে গনধোলাই খেয়ে মারা গেছেন…কি অদ্ভুত, তাই না। পরে অবশ্য বাইকটা ফেরত পেয়েছি। মামার পরিচিত লীগের এক নেতা আছে, তাকে বলাতে তিনি বাইকটা রক্ষার তড়িত ব্যবস্থা নেন। পরদিন কেউ একজন এসে শাহবাগ থানায় বাইকটা দিয়ে যায়। নিয়ে আসার সময় ওসি বলছিলেন, আপনার ভাই খুব লাকি, এই ধরনের কেইসে খুব কম ই বাচতে পারে। এর আগে সামান্য একটা মোবাইলের জন্য একজনকে খুন করে থানায় ফোন করে বলেছিল ছিনতাইকারি…গনধোলাই এ মারা গেছে!! কি অদ্ভুত! ছিনতাইকারি হলে কি আর ভার্সিটি ঢুকত?…ওসির সগোকতি, ওদের ধরা যায় না, কিছু বলাও যায় না।

আমাদের দেশে খারাপ সংঘ গুলুর তুলনায় ভালোরা তেমন সংগঠিত না। আমি বলি না যে, ওই দিন যারা ঘটনা টা দেখছিলেন, সবাই খারাপ বা ভিতু। কিন্ত কয়েকজন সাহসী ছাত্র ও যদি এটার প্রতিবাদ করত, তাহলে হয়ত খারাপ্রা আমাদের উপর এমন করতে পারত না। ঢাকা ভার্সিটতে অনেক ভালো ভালো সংগঠন আছে…কিন্ত অন্যায়ের বিপক্ষে বলে কয়জন, বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতির অন্ধকার দিক টির ব্যাপারে? ঘটনাটি আমাকে খুব লজ্জা দেয়। কারন আমার বন্ধুরাই এখানকার ছাত্র। আজ আমারো ভার্সিটির ভিত্র দিয়ে যেতে ভয় করে।

আমাদের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস অনেক গরবের, কিন্ত আজ ভাবার সময় হয়েছে, আমরা কি গ্যাংগ্রিন ওয়ালা হাত নিয়েই চলবো, নাকি সেটা কেটে ফেলবো?

২২ টি মন্তব্য : “অছাত্র বনাম আমরা”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তোমার ভাই সূস্থ আছেন এটা সবচেয়ে ভালো খবর এই পোস্টে।

    আওয়ামী-বিএনপি এর মূল নেতা-নেত্রীদের ছাত্র নির্ভরশীলতা না কমানো পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান নেই বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে।

    সাধারন ছাত্রদের কাছে এর থেকে বেশি কিছু (তাকিয়ে থেকে গা বাচিয়ে চলা) আশা করাটা অনুচিত হবে কারন, প্রতিবাদের পরিনাম খুব একটা ভালো ফল বয়ে আনেনি এর আগে, এটা ছাত্ররা জানে ভালো করেই।

    এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা, ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. শোভন (২০০২-২০০৮)

    আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি ক্রমেই দেশের বিদ্যাপীঠগুলোকে আরো কলুষিত করে তুলছে । ছাত্রদের হাতে বই খাতা না তুলে দিয়ে তুলে দেয়া হচ্ছে অস্ত্র এবং টাকা । জানিনা আমরা কবে এই লজ্জাগুলো থেকে মুক্তি পাব । অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয় একসময় প্রাচ্যেরঅক্সফোর্ড নামে খ্যাত ছিল ।

    জবাব দিন
  3. কামরুল হাসান (৯৪-০০)
    ঢাকা ভার্সিটতে অনেক ভালো ভালো সংগঠন আছে…কিন্ত অন্যায়ের বিপক্ষে বলে কয়জন, বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতির অন্ধকার দিক টির ব্যাপারে?

    কেউ বলে না। বলে কী লাভ ?
    পরদিন নালায়/খালে লাশ পাওয়া যাবে।

    তুই কেমন আছিস দোস্ত? ফোন দিস।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • সাইফ (৯৪-০০)

      কেম,বিধাতার রাজ্যে ভালো জিনিস কম বলেই নাকি তা ভালো,তবে আমাদের সোনার রাজ্যে সেই কম জিনিসো কমে গেছে।হিটলার এর বায়োগ্রাফি নিয়ে মুভি দেখছিলাম,মুভির শুরুতে এইরকম একটা লাইন আছে,evil will triumph only when good people are doing notnhing...........
      যে ভালো মানুষদের দ্বারা সমাজ উপকৃত হয় না ,অইসব ভালোমানুষেরো দরকার নাই,

      নাইম,স্বাগতম।

      জবাব দিন
  4. তারেক (৯৪ - ০০)

    নামস,
    সিসিবিতে স্বাগতম, তোরে এখানে দেখে খুব ভাল লাগলো। নিয়মিত লিখিস মামা।
    *
    লেখার প্রসঙ্গে দুইটা কথা।
    হলে এরকম ঘটনা একবার আমাদের একুশে হলেও হয়েছিলো। (কামরুল তোর মনে আছে?) একটা ছেলেকে ধরে রেখে বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলা হইছিলো। মোবাইল চুরি করতে নাকি ঢুকেছিলো হলে। মানুষ মেরে ফেলা যে এত সহজ, সেবারই প্রথম টের পেয়েছিলাম। পুলিশ কিছু করেনি, গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে, সেরকমই রিপোর্ট হয়েছিলো জানি।
    তোর ভাই খুবই ভাগ্যবান। সত্যিই। কিন্তু, আমি বলবো, হয়তো বুদ্ধিমান নয়, বুদ্ধিমান হলে রাস্তার পাশে বসে আড্ডা মারতে থাকা ছেলেদের নামাজে ডাকাডাকি করতে যেতো না। যারা নামাজী, তাদের জন্যে ঠিকাছে, যারা নামাজী না, তাদের জন্যে ব্যাপারটা হয়তো বিরক্তিকর।


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
    • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

      মনে আছে।
      মানুষের ভেতরে যে পশু আছে সেটা আমিও সেদিনই বুঝেছিলাম।

      তারেকের শেষ কথাটা খুব সত্য।
      সবারই এটা মনে রেখে দীনের দাওয়াত দেয়া উচিত।


      ---------------------------------------------------------------------------
      বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
      ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

      জবাব দিন
  5. নাঈম (৯৪-০০)

    কামরুল দোস্ত, আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

    তারেক, আজ চুপচাপ থাকবো, কাল আমার উপর ই যে হবে না কে জানে, আমি একক প্রতিবাদের কথা বলিনি, বলেছিলাম সবাই যদি এক হতে পারতাম?

    নামাজ এর দাওয়াতের ব্যাপারে আমি তোর সাথে একমত নই। নামাজি না হলেও দাওয়াত দেয়া যায়, কিন্ত জোরাজুরি করা ঠিক না। যে দাওয়াত দেয়, সে দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম কাজটাই করে, যাকে দাওয়াত দেয় তার ব্যাপারটাকে ভালো ভাবেই নেয়া উত্তম। একজন মুসলমানকে নামআজ এর দাওয়াত দেয়া যাবে না...অদ্ভুত শোনায় কথাটা আমার কাছে।

    তানভীর, দোস্ত লিখতে ইচ্ছে করে অনেক কিছুই, কিন্ত আমি যে অনেক অলস এই ব্যাপারে সেটাতো জানিস ই, তবু চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

    সবাইকে উতসাহ দেয়ার জন্য এবং সমবেদনার জন্য অশেষ ধণ্যবাদ।

    জবাব দিন
    • তারেক (৯৪ - ০০)

      উত্তম কাজ নাকি অধম, সেই ব্যাপারটা আপেক্ষিক দোস্ত। কথাগুলা একটু কঠিন শোনাবে, তবু না বলে পারতেছি না, তাবলিগি লোকজনকে আমার চরম বিরক্তিকর লাগতো, এখনও লাগে।
      হলে থাকতে ঠিক টিউশানির আগে আগে কেমন করে জানি হাজির হতো রুমে। এসেই হ্যান্ডশেকের উসিলায় হাত চেপে ধরতো, মাগরিবের নামাজের পর তাদের সাথে যাবো, এরকম কথা আদায় না করা পর্যন্ত ছাড়ন নাই। এর মাঝখানে দেখা যেত আমি বাস মিস্করেছি টিউশানির। আমি মহাবিরক্ত হতাম, লোকজনকে বিরক্ত করার সব রকম পন্থা তাদের জানা।

      আশ্চর্য হলো, এই দেশে আসার পরেও দেখি তাবলিগিদের উৎপাত কমে নাই। প্রতি সোমবারে কাজ শেষে বিকেলে একটু আরাম করে হয়তো বিশ্রাম নিচ্ছি, তখুনি এসে স্লামালেকুম বলে দরজা ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম করতো, না খোলা পর্যন্ত দুমদুম করে ধাক্কা চলতোই চলতোই। দরজা খুললে কমপক্ষে আধাঘন্টা ধরে সেই একই বিরক্তিকর ঘ্যান ঘ্যান। শেষমেষ মুখ ফুটে একবার কঠিন কিছু কথা বলে নিস্তার পেয়েছি।

      তুই ঐ ছাত্রদের অছাত্র বলেছিস, ধরেই নিয়েছিস তারা সবাই আওয়ামি লীগ করে, আবার এটাও তুই নিশ্চিত যে সবাইই মুসলিম ছিল! ঠিকাছে, আমি মানা করছি না। তোর ভাইয়ের জন্যেও আমার সমবেদনা আছে পুরো মাত্রায়, তাকে ওভাবে মারাটা আমি সমর্থন করি না, সেটাও বলেছি আগের মন্তব্যে। কিন্তু ঐ ভাবে অসময়ে ডাকাডাকির ফলে যে আসলেই বিরক্তি আসে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি সেটাই জানাতে চাইছি শুধু।


      www.tareqnurulhasan.com

      জবাব দিন
      • নাঈম (৯৪-০০)

        তোর কথাটা ঠিক, এভাবে বিরক্ত করা ঠিক না। আমার ভাইটা যাওয়ার পথে বলছিল, তোকে যেভাবে বিরক্ত করা হইছে এই ব্যাপারটা এমন ছিল না। আমি বলতে চাচ্ছি, এই নামাজ এ ডাকার জন্য নিশ্চয়ই এই জঘন্য কাজটা করে নাই ওরা? যারা মোবাইলের জন্য মানুষ মারতে পারে তাদের কাছে বাইক অনেক বড় ব্যাপার।

        জবাব দিন
  6. আশহাব (২০০২-০৮)

    নাঈম ভাই, আপনার ভাইয়া দীর্ঘায়ূ হোন এই দোয়া করি| 🙂
    আওয়ামী-বিএনপি এর মূল নেতা-নেত্রীদের ছাত্র নির্ভরশীলতা না কমানো পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান নেই বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে।
    আমিও এই ব্যাপারে ফয়েজ ভাইয়ের সাথে সহমত, কেননা প্রতিবাদের পরিনাম খুব একটা ভালো হবে না, এটা ছাত্ররা বেশ ভালো করেই জানে| তারপরেও ভার্সিটির হলে থাকার প্রথম এবং প্রধান নিয়মঃ পার্টির প্রতি ভালবাসা| অর্থাৎ যাই হোক না কেনো বড় ভাই (গ্রুপের লিডার) যাই বলবেন তাই করতে হবে| এখানে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে মাইর দিতে পারে আপনার ভাইয়াকে কিন্তু বেশীর ভাগই পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে সামীল ছিলো, যেটা ফয়েজ ভাই বললেন তাকিয়ে থেকে গা বাঁচিয়ে চলা আরকি| সে যাই হোক না কেনো, এটা এখন প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাও আর নেই, ব্যক্তিকেন্দ্রিকও নেই, সমস্যাটা এখন জাতিগত হয়ে গেছে|


    "Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
    - A Concerto Is a Conversation

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়সাল

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।