আমেরিকার পথে পথে – ১

প্রথম ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়েছিল গত জুন মাসে। কোনো এক মধ্যরাতে  Into the wild মুভিটা দেখে বিমোহিত হয়ে গেছিলাম। অন্য কোন মুভি দেখে আমি এতোটা প্রভাবিত হয়েছিলাম কিনা মনে পরে না.. মুভির নায়ক জীবনের প্রতি ব্রীতশ্রদ্ধ হয়ে একদম কপর্দকহীন অবস্থায় বেড়িয়ে পরে আমেরিকার পথে পথে.. ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ফেসিনেটিং মনে হয়েছিল। এতই বেশি রকম ভাবে যে , বিষয়টা একদম মাথায় খুটি গেড়ে বসেছিল। অবশ্যই সব কিছু ছেড়ে ফুড়ে একেবারে পথে বেড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না.. বাস্তব আর চলচ্চিত্র এর পর্দার মাঝে অনেক ফারাক। তবুও এই অচেনা দেশটা ঘুরে ফিরে দেখার একটা সুপ্ত ইচ্ছে তখন থেকেই মনের মাঝে পুষে রাখলাম ।  এরপর দু এক মাস পরের ঘটনা। ফেসবুক আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে বন্ধু শাফকাত একদিন বলে উঠল যে আমাদের একটা রোড ট্রিপে বের হওয়া উচিত। ওর  আবার একটা হিমুর উপন্যাস পড়ে চাঁদ দেখার খায়েশ হয়েছে। তাই বেড়িয়ে পড়তে চায় রাস্তায়। আর বলে রাখা ভালো যে আমাদের বলতে ও বুঝিয়েছে , আমি, শাফকাত আর রাফি। তিন প্রাক্তন মির্জাপুরিয়ান ৪২ তম ব্যাচ। যাই হোক, কিছু না ভেবেই দুম করে আমরা ঠিক করে ফেললাম যে এই ডিসেম্বরেই আমরা টেক্সাস থেকে শুরু করবো আমাদের ট্রিপ। কোথায় যাবো, কি করবো কিছুই জানিনা। শুধু একটা জিনিস আমরা জানি যে আমাদের বেড়িয়ে পড়তে হবে রাস্তায়।

 

দিন যেতে থাকলো। পড়াশুনা ও বিভিন্ন কাজে এ বিষয়ে আর তেমন কোনো কথা বার্তা হলো না। আস্তে আস্তে সেমিস্টার ও শেষ হয়ে এল। পরীক্ষা শেষ করে পরদিন ই আমি এনাপোলিস থেকে উড়াল দিয়ে চলে এলাম ডালাস আর্লিংটনে আর শাফকাত ওর গাড়ি নিয়ে চলে এল আটলান্টা থেকে। রাফির ডালাসের বাসায় শাফকাত ওর গাড়ি রেখে আসলো। ১৮ তারিখ রাত টা আমরা কাটালাম রাফির এপার্টমেন্ট এই.. ওর ক্যাম্পাসের ভেতরেই। সন্ধ্যার পর একটু ঘুরে ঘুরে দেখলাম ক্যাম্পাসটা।  এরপর গেলাম ডাওনটাউন এ ।  শাফকাত ইচ্ছে হলো স্টেক খাওয়ার। তো এক স্টেকহাউজে ঢুকে পেট পুজো সারা হলো। এরপর গাড়ি নিয়ে কিচ্ছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর ফিরে এলাম এপার্টমেন্ট এ ।  রাত টা কাটিয়ে সকালে রেডি হয়ে গেলাম আমাদের আসল ট্রিপের জন্য। গাড়িতে জিনিসপত্র লোড করে চড়ে বসলাম। এর আগে ওয়াফল হাউজে গিয়ে একটা মারদাঙ্গা রকমের ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। এরপর শুরু হলো আমাদের যাত্রা। আপাতত গন্তব্য মেক্সিকো সীমান্তের নিকটবর্তী শহর এল পাসো। আর্লিংটন থেকে প্রায় ৫০০ মাইল দূরে। বেশ লম্বা ড্রাইভ। হাইওয়ে তে উঠেই চারপাশ দেখা শুরু করলাম। এই সেই টিপিকাল টেক্সাস ! রাস্তার দু পাশে বিশাল এলাকা। নেই কোন লোকবসতি। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে অদ্ভুত এক ধরণের অনুভূতি জাগে মনে। কিছু দূর যাওয়ার পর ই টের পেলাম যে একটা পুলিশের গাড়ি আমাদের ফলো করছে। ছ্যাত করে উঠলো আত্মা ! হায় , হায় ! শুরুতেই বিপত্তি ! যাই হোক, গাড়ি থামালাম আমরা।  স্পিড লিমিট অতিক্রম করার জন্য একটা লিখিত ওয়ার্নিং খেলাম। বলতে গেলে অল্পের উপরই ফাড়া কেটে গেল। এরপর আবার শুরু হলো যাত্রা। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছিল রাস্তার চারপাশের দৃশ্য। এরমাঝে হুট করে হাজির হলো এই রংধনু।

1509438_3784637751933_856955184_o

এল পাসো তে যখন পৌছালাম তখন বাজে প্রায় রাত ৯ টা.. মোটেলের রুমে জিনিস পত্র রেখে বেড়িয়ে পরলাম ডিনার করতে। একদম মেক্সিকান সীমান্তের কাছের শহর.. রাস্তা থেকেই মেক্সিকোর নিকটবর্তী শহরের আলো দেখা যায়।  সিদ্ধান্ত নিলাম আজ রাতে আমরা মেক্সিকান খাবারই খাবো। রাত বাজে প্রায় ১০ টা।  সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে একটা রেস্টুরেন্ট খুঁজে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। রাতে মোটেলে ফিরে “প্রিজনার” মুভিটা দেখলাম। মোটেলের লবিতে দাড়িয়ে আলো ঝলমলে মেক্সিকো কে দেখা যায়। সেই দৃশ্য ও দেখলাম অনেকক্ষণ। এরপরই ঘুম।

 

সকালে আবার বেড়িয়ে পরলাম। এবারে যাত্রা আরো লম্বা। আজ রাতের মাঝে আমাদের পৌছাতে হবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে। প্রায় ১১/১২ ঘন্টার ড্রাইভ। শুরু হলো যাত্রা। নিউ মেক্সিকো তে ঢুকে পরলাম কিছুক্ষণের মাঝেই। রাস্তার দু ধারের দৃশ্য অনেকটা টেক্সাসের মতোই। সেলফোনের সিগন্যাল উঠা নামা শুরু করল।  বোঝা যাচ্ছে যে আমরা ধীরে ধীরে দুর্গম এলাকার দিকে যাচ্ছি। নিউ মেক্সিকো মোটামুটি ছোট একটা অঙ্গরাজ্য।নিউ মেক্সিকো তে আবার বেশ কড়া চেকিং। একদম মেক্সিকান বর্ডারের কাছে , তাই ঐখানে আইডি ও ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র বেশ ভালোভাবে চেক করা হয়.. গাড়ি থামাতে হলো একটা চেকপোস্টে। এক অফিসার এসে আমাদের কাগজপত্র দেখতে চাইলেন। আবার মাথায় বাজ পরলো ! পাসপোর্ট ভিসা তো রেখে এসেছি সেই মেরিল্যান্ড এ.. আমার দেখাদেখি রাফিও আর্লিংটনে ওর কাগজপত্র রেখে এসেছে। যাই হোক, মিলিটারী আইডি টা সেই মুহুর্তে বেশ কাজে লাগলো। আমাদের আইডি ভেরিফাই করে , কিছু হালকা জোকস টক্স করে আমাদের আবার যাত্রা শুরু করার পারমিশন দেওয়া হলো..  ধীরে ধীরে নিউ মেক্সিকো পেড়িয়ে  আমরা ঢুকে পরলাম এরিজনা তে।  রাস্তার দু ধারের দৃশ্য ও ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করলো। মাটির রং হতে শুরু করলো লালচে রঙের। পাথুড়ে এলাকা। এখানেও নেই কোনো জনবসতি। মরুভূমির মতোই নির্জন। অনেক সময় ড্রাইভ করার পর একটা দুইটা ছোট শহর চোখে পরে।  শহর গুলোর নামও বেশ মজার। একটা শহরের নাম এলিফেন্টস বাট… আরেকটা শহর এর নাম ছিল ট্রুথ ওর কনসিকুয়েন্স। বুঝলাম না এরা আর কোনো নাম কেন খুঁজে পেল না ! আরিজোনার মাঝ দিয়ে চলার সময় একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম। পেট্রিফাইড ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে যখন আমরা পৌছি, তখন হুট করে বৃষ্টি নামে.. সে এক তুমুল বৃষ্টি। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো গাড়ির সামনের কাঁচে একদম ক্লিয়ার ! এক ফোটা পানি পর্যন্ত নেই.. বাতাসের বেগ স্বাভাবিক। রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে ক্ষান্ত দিলাম। হু কেয়ারস? দিস ইজ এরিজোনা !  যাই হোক , আমরা পৌছে গেলাম ফ্ল্যাগস্টাফ শহরে। ওখানে পৌছে একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলাম গুগল করে.. হই হই করে ঢুকে পরলাম রেস্টুরেন্ট টায়। চিলি ল্যাম্ব আর দুই প্লেট বাসমতি চালের ভাত দিয়ে কঠিন একটা ডিনার করলাম। রাফি আর শাফকাত কে দেখেও মনে হলো খাওয়া দাওয়া একটু বেশি হয়ে গেছে। এরপর পাশের ওয়ালমার্টে ঢুকে কিছু ক্যাম্পিং এর জিনিসপত্র কিনে নিলাম। লক্ষ্য হলো রাত ১২ টার মাঝে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে পৌছে রাতটা খোলা আকাশের নিচে কাটানো। ওয়েদার রিপোর্ট দেখলাম। তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। রাস্তায় স্নো থাকার সম্ভাবনা আছে।  রাস্তাটাও নাকি বেশ দুর্গম। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে দিলাম যাত্রা ! পরাজয়ে ডরে না বীর ! আমাদের লক্ষ্য একটাই, রাতের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখা। আবার চালু হলো ইঞ্জিন। রাস্তা টা ছিল অদ্ভুত। এই তীব্র শীতের রাতে সেই রাস্তায় আমরা আর কোনো কাক পক্ষীর দেখাও পেলাম না.. রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শেষ করে রাত ১২ টার দিকে পৌছে গেলাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পার্কে। এই রাতে গেটেও কেউ নেই.. ফ্রি ঢুকে পরলাম পার্কে। চলে গেলাম ভিজিটর সেন্টারে। আবিষ্কার করলাম কেউ নেই ওখানে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে। কোন পাগলেও মনে হয় এই শীতে ক্যাম্পিং করবে না ! কোনো একজন মানুষকেও খুঁজে পেলাম না কোথাও ! হুট করে মনে হলো এই মুহুর্তে হয়তো এই পুরো এলাকায় আমরা তিন জন বাদে আর কেউ নেই ! অদ্ভুত এক নীরবতা চারপাশে। পার্কিং করার একটা জায়গা পেয়ে গাড়িটা পার্ক করলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়া এই দুর্গম এলাকায় এই মধ্যরাতে গাড়ি নিয়ে আশ্রয় খোঁজার কোনো মানে নেই.. তারচেয়ে গাড়িতে রাত কাটানোই ভালো মনে হলো । গাড়ি পার্ক করে , পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতের কাপড় পরে আমরা বেড়িয়ে পরলাম রাতের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে। ইয়াভা পয়েন্ট নামক একটা জায়গায় গেলাম। দাড়ালাম একটা সুবিধাজনক স্থানে। চোখ মেলে তাকালাম সামনে। এই সেই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ! চাঁদের আলো তে ঝাপসা একটা অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তুমুল ঠান্ডা বাতাস। অদ্ভুত এক নীরবতা। নিজেদের কেন জানি ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল অনেক। এই অন্ধকারের মাঝেও বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম।

1493583_10202852582502402_2018286227_o

 

বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম ওখানে। আমাদের ঘোর কাটলো যখন আমরা টের পেলাম যে ঠান্ডায় আমাদের হাত-পা জমে প্রায় অনুভূতিহীন হয়ে গেছে। গাড়িতে ফিরে এলাম। বাইরে রাত কাটানো অসম্ভব। গাড়িতে ঢুকে তিন জন ই ঘুমানোর চেষ্টা চালালাম। কিছুক্ষণের মাঝেই বুঝতে পারলাম যে আমরা বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছি। বের হয়ে এলাম বাইরে। গাড়ির ছাদে চড়ে বসলাম। যে মুভি দেখে এই ট্রিপ এ বের হওয়া , সেই মুভির পোস্টারের অনুকরণ করে আমরা ফটোসেশন করলাম।

1490852_669572486397296_718254656_o

1548225_3804365645118_860300996_o

গাড়িতে চলে এলাম আবার। আমি সারারাত ঘুমাইনি। শেষ রাতের দিকে টের পেলাম যে আস্তে আস্তে আরো অনেক গাড়ি আমাদের চারপাশে পার্ক করা শুরু করেছে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে সূর্যোদয় দেখতে এসেছে বোধহয়। যাই হোক, একটু আলো ফোটার সাথে সাথে আমরাও বেড়িয়ে পরলাম। দু চোখ ভরে দেখলাম ভোরের আলোয় সামনের এই বিশাল বিস্ময়কে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে আমরা বিভিন্ন পয়েন্ট দেখতে বেড়িয়ে পরলাম। ততক্ষণে সূর্যের আলো পৌছাতে শুরু করেছে। সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য। বেলা ১০ টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করলাম। আরো কয়েকটা ছবিও তুললাম দিনের আলো তে..  সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য !

965859_669586516395893_1697134022_o

চলে আসার আগে দিয়ে আসলাম একটা ক্যাডেটিয় স্যালুট !

1537992_3808894638340_537678287_o

 

এরপর বেড়িয়ে পরলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দিয়ে একটু আয়েশ করে বসলাম। চোখ জুড়ে নির্ঘুম রাতের ক্লান্তির একটা রেশ.. তবুও সামনের কয়েকটা দিনের উত্তেজনা  সব কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। রোদটা  বড্ড জালাচ্ছে।সানগ্লাসটা  চোখে লাগিয়ে সিট টা একটু পিছিয়ে দিলাম..অনেক  দিন পর বাংলা গান শোনা হচ্ছে। ফুল ভলিউম দিয়ে দিলাম। অর্থহীনের “রাতের ট্রেন” !  লিরিক টা আমরা তিন জনই মনে হয় একদম ভালোভাবে ফিল করছিলাম।আস্তে আস্তে চারপাশে পার্বত্য এলাকার উপস্থিতি টের পাওয়া শুরু করলাম। গাড়ি ছুটে চললো দূরের অজানা গন্তব্যে । সরি, ভুল বললাম। গন্তব্য টা ঠিক অজানা না..  আমাদের খুব ভালো করে জানা আছে যে নেক্সট আমরা কোথায় যাচ্ছি। গন্তব্য এবার , সিনসিটি ! লাস ভেগাস !!

 

 

বি দ্র : সমস্ত ছবি তুলেছেন গুণধর ফটোগ্রাফার বন্ধু রাফি আলম

৫,৩৯৬ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “আমেরিকার পথে পথে – ১”

  1. পাবন (২০০৪-২০১০)
    স্পিড লিমিট অতিক্রম করার জন্য একটা লিখিত ওয়ার্নিং খেলাম।

    :pira: :pira: :pira:

    বি দ্র : সমস্ত ছবি তুলেছেন গুণধর ফটোগ্রাফার বন্ধু রাফি আলম..

    ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute::


    Proud to be a Cadet,
    Proud to be a Faujian.

    জবাব দিন
  2. টিটো মোস্তাফিজ

    ছবিগুলো ভাল লাগলো, বর্ণনাও । রংধনুর ছবি তোলার শখ অনেক দিনের কিন্তু ভাল ক্যামেরা হাতে পাবার পর ও জিনিসটা আর দেখতেই পাইনা । 🙁


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  3. রিফাত আনজুম পিয়া (২০০৪-২০১০)

    তোদের তিনটাকে খুব হিংসা হচ্ছে 🙁 !মাথায় এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দু'টো ইচ্ছা- ইনটু দ্য ওয়াইল্ড দেখতে হবে... আর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যেতে হবে কোন এক পূর্ণিমা রাতে।

    জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    চমৎকার লেখা হয়েছে। তিন সুহৃদের আনন্দ ভ্রমণে এই লেখার মাধ্যমে অংশীদার হতে পেরে খুব ভালো লাগলো। দু'বছর আগে দু'মাস ধরে আমেরিকা বেড়িয়ে এসেছি। সে স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নাফিস (২০০৪-১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।