আরগো, ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস ও কিছু অসঙ্গতি

Argo দেখলাম। যদিও একটু দেরি হয়ে গেল। বিভিন্ন কারনে মুভিটা দেখা হচ্ছিল না। অবশেষে সময় করে দেখে ফেললাম। আমি অভিনেতা বেন এফ্লেক এর তেমন একটা ভক্ত না, কিন্তু ডিরেক্টর বেন এফ্লেকের বিশাল ভক্ত। অসাধারণ একজন  ট্যালেন্ট। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে Good Will Huntingএর জন্য ম্যাট ডেমনের সাথে বেস্ট স্ক্রিন প্লে ক্যাটাগরিতে অস্কার পেয়েছিলেন সেই ১৯৯৭ সালে। আর্গো র জন্য এবার বেস্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড পেলেন গোল্ডেন গ্লোব এ। অস্কারে মোট নমিনেশন ছিল ৭টি।  শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা আর শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের শাখায় পুরস্কার জয় করে নেয় মুভিটি। ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস নিয়ে মুভি টা বানানো। কাহিনী সেই আশির দশকের জিম্মি সংকট কে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়। শাহ পাহলাভি ক্ষমতাচুত্য হওয়ার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দেয়। সেটা নিয়ে ইরানে বিশাল বিক্ষোভ চলতে থাকে। একদল বিক্ষোভকারী ইরানের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে এবং ভিতরে আক্রমন চালায়। তারা ৫০ জনকে জিম্মি করে। কিন্তু ঘটনা চক্রে ৬ জন দূতাবাস কর্মী সেখান  থেকে পালিয়ে কানাডিয়ান এক কুটনৈতিক কমকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে সিআইএ এর গোপন মিশন ই এই মুভির মূল উপজীব্য বিষয়। বেন এফ্লেক সিআইএ র একজন স্পেশাল  এজেন্ট। তার মাথা থেকে অদ্ভুত এক আইডিয়া আসে। কানাডিয়ান এক ফিল্ম প্রডিউসারের ছদ্মবেশে ইরানে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় সে। সেখানে সবাই জানবে যে তারা ” আর্গো ” নামক একটা সায়েন্স ফিকশন মুভির লোকেশন সিলেকশনে এসেছেন। কিন্তু আসল মিশন হলো ওই ৬ জন কে মুক্ত করে নিয়ে যাওয়া। এরপর এর ঘটনা না বলাই ভালো। মুভির কাহিনী বলা খুব বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।অন্য আলোচনায় যাই।

 

এই মুভির বেস্ট পার্ট হলো ডিরেকশন আর সিনেমাটোগ্রাফি। প্রত্যেকটা দৃশ্যই অত্যন্ত যত্ন নিয়ে বানানো। ডিরেক্টর এর মুন্সিয়ানা এখানেই। পুরো মুভি জুড়ে একদম পারফেক্ট আশির দশকের ইমেজ এবং ফ্লেভার। ন্যারেটিভ স্টাইল আর গতিশীল একটা কাহিনীর অসাধারণ একটা মেলবন্ধন মুভিটি। মুভিটা একটা মানবিক আবেগ ফুটিয়ে তুলে। বেন এফ্লেক মুভিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। ঘটনাটি অবসরপ্রাপ্ত সিআইএ এজেন্ট টনি মেন্দেজ এর জীবনের একটি সত্যি অধ্যায় নিয়ে বানানো। বেন এফ্লেক এক্ষেত্রে টনি মেন্দেজের লেখা “দি মাস্টার অফ ডিসগাইজ” বইটি কে অনুসরণ করেছেন। বেন এফ্লেক যে বেশ ভালোই অভিনয় করেছেন, এতে কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু কাস্টিং দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছেন। বাস্তব জীবনে টনি মেন্দেজ একজন হিস্পানিক আমেরিকান। সুতরাং এক্ষেত্রে বেন এফ্লেকের এই চরিত্রে অভিনয় করা কতোটা যৌক্তিক ছিল তা নিয়ে বেশ প্রশ্নের অবকাশ আছে।স্টোরিটেলিং টা বেশ ভালো লেগেছে।

সত্যি কথা বলতে কি এসব তাত্ত্বিক বিষয় কপচাতে আজ লিখতে বসিনি। মুভিটি দেখতে বসে বেশ কিছু বিষয়ে আমার একটু কনফিউশন জেগেছিল। এরপর একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই আজ লিখছি।প্রথমেই ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস নিয়ে একটু ফ্ল্যাশব্যাক করে আসি। এই জিম্মি সংকটটি ৪৪৪ দিন ব্যাপী স্থায়ী ছিল। ঘটনার সূত্রপাত ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর। ইরানিয়ান রেভুলেশন এর একদল সদস্য তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়।জিমি কার্টার ছিলেন তখন প্রেসিডেন্ট। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত মোহাম্মাদ রেযা পাহলাভি কে তখন যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিয়েছিল। এ নিয়ে ইরানে মার্কিন বিদ্বেষ  তখন ছিল তুঙ্গে। বেশ কয়েকবার আলোচনার প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে। যা অপারেশন ঈগল ক্ল নামে পরিচিত। বেশ কিছু কারনে এই অপারেশন টি সফল হয়নি।এর মাঝে ইরাক  ইরানের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালালে ইরান আলজেরিয়ার মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪৪৪ দিন পর জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ায় হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিমি কার্টারের পরাজয়ের অন্যতম বড় কারন হিসেবে ধরা হয় এই সংকট কে। আরগো র কাহিনী মূলত এই সংকটের মাঝখানে র একটি বিষয় নিয়ে করা। মুভিতে দেখানো হয়েছে যে ঐ ৬ জন জিম্মিকে উদ্ধারের কৃতিত্ব পুরোটায় সিআইএ এর। সব প্ল্যান তাদের। শুধু কানাডিয়ান দূতাবাস তাদের কিছুটা সাহায্য করেছে। যা একদম নির্জলা একটি মিথ্যা। বাস্তবে কিন্তু ঘটনা পুরো উল্টো। এমনকি তৎকালীন সময়ে একটি ভাষণে জিমি কার্টার পর্যন্ত এই রেস্কিউ অভিযানের মূল নায়ক হিসেবে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি স্বীকার করে নেন যে এই অভিযানের ৯০ শতাংশ কৃতিত্ব কানাডিয়ান সরকারের। সিআইএ শুধু নামে মাত্র এই অভিযানে ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে মুভিতে সিআইএ  কে মহান একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখাতে গিয়ে কানাডিয়ান দের ভূমিকাকে ইচ্ছে করে গৌণ করা হয়েছে। মুভিতে আরও দেখানো হয়েছে যে কানাডিয়ান কূটনৈতিক এর বাসায় ঐ ৬ জন জিম্মিকে আশ্রয় দেওয়ার আগে ব্রিটিশ ও নিউজিল্যান্ড দূতাবাসে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। দুটো দেশই এ ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে। যা আরেকটি ভুল তথ্য। বরং এই দেশ দুটোই সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিল জিম্মি উদ্ধারের এই মিশনে। এমনকি জিম্মিরা যখন এয়ারপোর্টে যাচ্ছিল তখন নিউজিল্যান্ড এর রাষ্ট্রদূত ই তাদের গাড়ী চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কোন কারনে কানাডিয়ান আশ্রয়ে বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিলে বিকল্প হিসেবে ব্রিটিশ দূতাবাস কে ঠিক করে রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে দূতাবাস ছেড়ে পালানোর ঘটনাতেও ব্রিটিশ দূতাবাসের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছিল।  মুভিতে ঠিক কি কারনে এ দুটো দেশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়। মুভিটিতে ইরানের যে চিত্র দেখানো হয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক নয়। মুভিতে যা দেখানো হয়েছে , আসলে তৎকালীন পরিস্থিতি ঠিক এরকম ছিল না। এছাড়া বেশ কিছু ইরানিয়ান চরিত্র গুলোকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেকে মুভিটিকে এথনিক স্টেরিওটাইপ দোষে দুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন।

আরও খুঁটিনাটি অনেক ঐতিহাসিক মিথ্যার খোঁজ পেলাম যেগুলো এই মুভিতে ব্যাবহার করা হয়েছে। সেই আলোচনায় আর গেলাম না !লেখা বেশি লম্বা করতে চাচ্ছিনা। লম্বা ব্লগে পাঠকদের  এলার্জি আছে। তাই আলোচনা ছোট করছি। ইতিহাস জানতে আমরা চলচ্চিত্র দেখিনা এটা যেমন ঠিক, তেমনি ইতিহাস বিকৃত করে কাউকে মহান করার অধিকার ও কোন চলচ্চিত্রকে দেওয়া হয়নি। কারিগরি ও নির্মাণশৈলীর কথা ধরলে আরগো যে একটি বেশ ভালো মুভি এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু মুভিটা নিয়ে যেরকম হাইপ শুনেছিলাম , তা একটু বেশি ই মনে হল। কারনটা বুঝতে পারছি। এই রকমের বিষয়বস্তু নিয়ে মুভি বানালে তা অনেক মহল থেকেই আলাদা একটা সুবিধা পায়। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে বলে হয়।

তথ্যসূত্র:”টেকেন হোস্টেজ” – ডেভিড ফারবার।

৩,২৫৩ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “আরগো, ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস ও কিছু অসঙ্গতি”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    এই চলচিত্র মুক্তি পাবার পরে সি,এন,এন জিমি কার্টারের সাক্ষাতকার নিয়েছিল। সেখানে কার্টার সাহেব নিজেই এইসব ব্যাপার তুলে ধরেন। তিনি অারেকটি ব্যাপার বলেন সেটা হলো পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম কোন দেশ অফিশিয়ালি অারেকটি দেশকে ৬টি ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছিল কাজ উদ্ধারের জন্য।

    লেখাটা ভাল লাগলো। :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার মতামতও অনেকটা এরকম: সিনেমাটা বেশ ভালভাবে বানানো হলেও হলিউডের খুব সাধারণ অনেকগুলো দোষে দুষ্ট, যেমন:
    - মার্কিনীরা (সব ইউরোপীয়রা-ও) কখনই প্রাচ্যের কোন চরিত্রকে স্টেরিওটাইপিং না করে দেখাতে পারে না, এটা অবশ্য আর্গোর দোষ নয়, হলিউডের সব সিনেমাই এমন। স্বয়ং ডেভিড লিন (A Passage to India) বা জঁ রেনোয়ার (The River) যেটা পারেননি সেটা বেন অ্যাফ্লেকের পারার কোন কারণ নেই।
    - যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে সিনেমা বানাতে গেলে সাধারণ নির্মাতারা সবসময়ই জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যায়, হয়তো পয়সার কথা মাথায় রেখেই। অবশ্য এটা সব দেশের ক্ষেত্রেই সত্য। তবে এরকম জাতীয়তাবাদী কোন সিনেমা একটা নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে ভাল হতে পারে না। আর্গো ঠিক ততটুকুই ভাল।
    - সি-আই-এ কে যত বড়ভাবে দেখানো হয়েছে, আমার মতে তার চেয়েও বড়ভাবে দেখানো হয়েছে নায়ক চরিত্রটিকে। এভাবে দেশ ও প্রতিষ্ঠানের অবদান ছোট করে একজন ব্যক্তির অবদান বড় করার কারণও সম্ভবত বাণিজ্যিক, মানুষ এরকম হিরো দেখতে পছন্দ করে। তবে এর আরেকটা কারণ হতে পারতো প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বা প্রথাবিরোধিতা, যা ভাল, কিন্তু সিনেমায় সেটা ঠিক ফুটে উঠেছে বলে মনে হয় না। সব মিলিয়ে তাই এটা বাণিজ্যিক থ্রিলারই হয়েছে। ইতিহাস নিয়ে "বাণিজ্যিক জাতীয়তাবাদী থ্রিলার" বানানো ভাল কথা নয়।

    লেখা প্রসঙ্গে: আমার মনে হয় ইংরেজি শব্দ একটু কম থাকলে পড়তে আরও ভাল লাগতো, কিছু ইংরেজি শব্দের বেশ প্রচলিত বাংলা রয়েছে। 🙂

    জবাব দিন
  3. মুভিটা দেখার আগেই বইটা পড়েছি যেখানে এটা নিয়ে কিছু কথা আছে।

    ভুলে যাবেন না, তখনো ইরানীদের হাতে বাকিরা জিম্মি। তখন যদি CIA /USA ক্রেডিট নিতে চাইতো তাহলে জিম্মিদের জীবন সংকট হতে পারতো। তাই ঘটনার সময় সব ক্রেডিট কানাডা কে দেয়া হয়েছিল।

    টোনি মেন্ডেজ তার বই তে লিখেছেন যে এটা নিশ্চয় কার্টারের জন্য একটা খুব দুঃখের ব্যাপার ছিল যে তিনি CIA /USA কে কোনো ক্রেডিট দিতে পারেন নি, নিজেও কোনো ক্রেডিট নিতে পারেন নি (উপরুক্ত কারণে) অথচ এটা করতে পারলে পরবর্তী ইলেকশন এর ফলাফল তার দিকে যেতে পারতো -- রেগানের কাছে পরাজিত হয়ে তাকে যেতে হতো না।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ধরে নিলাম সেই সময়ে এই ব্যাপারে সত্য প্রকাশের ফলে জিম্মিদের জীবন বিপন্ন হতে পারতো কিন্তু জিমি কার্টার এই চলচিত্র মুক্তি পাবার পরে সি,এন,এন এর পিয়ার্স মরগানকে দেয়া সাক্ষাতকারেও কেন একই কথা বললেন? এখন সত্য উদঘাটনে অাশা করি এখন কোন বাধা ছিলনা। একটু ভিন্ন পয়েন্টে অাসি। ইরান ক্রাইসিস প্রেসিডেন্ট কার্টারের ৮০র নির্বাচনের পরাজয়ের প্রধান কারণ ছিল না। বলা যেতে পারে তার পরাজয় নিশ্চিত করতে ইরান ক্রাইসিস ফিনিশিং টাচ হিসেবে কাজ করেছে।

      অামদানিকৃত তেল নির্ভর অামেরিকা ১৯৭৩ সালে প্রথম ধাক্কা পেল ওপেক এর মাধ্যমে। বছর গড়াতে অামেরিকান প্রাইড বড়সড় ধাক্কা পেল ভিয়েতনাম যুদ্ধের অাসন্ন পরাজয়ে। '৭৭ কার্টার যখন ক্ষমতায় ততদিনে খুচরা বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন সরকার (একের পর এক ভুলের তালিকাও কম নয় এই ক্ষেত্রে), ঠিক দুই বছর পরেই ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে ঘটলো থ্রী মাইল অাইল্যান্ড নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনা। জ্বালানী অর্থনীতিবিদরা এই দুর্ঘটনাকে ব্যাখ্যা দেন "straw that broke the camel's back" প্রবাদ দিয়ে। এই পর্যন্ত ঘটার পরে একজন প্রেসিডেন্টের পুনরায় নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ হয়ে অাসে অার তাতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে লাগে ১৯৭৯ এর ইরানী গণজাগরণ। কিভাবে? মার্কিনিদের বেশ নির্ভরয়োগ্য তেলের উৎস হিসেবে ইরান ছিটকে পরে অান্তর্জাতিক বাজার থেকে। শুরু হয় তেল সঙ্কট। গ্যাস স্টেশান গুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে তেল না পেয়ে বাড়ি ফেরত গিয়ে অাগামী নির্বাচনে নতুন প্রেসিডেন্ট দেখার সিদ্ধান্ত নিতে মার্কিন জনগণের বেশী সময় ব্যয় করতে হয়নি। এই ব্যর্থতার তালিকায় ইরানি হোস্টেজ ক্রাইসিস ছিল কেকের অাইসিং বা চেরী অন দ্য টপ। But the delicious cake was already been baked! 🙂


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    আরগো দেখেছিলাম বেশ আগ্রহ নিয়ে। দেখার আগে ক্রিটিক রিভিউ পড়ার ফলাফল যেটা হয়েছিল যে প্রথম থেকেই ধরা পড়ে যাচ্ছিল যে এটা বেশি করে হলিউডি এ্যামেরিকান হিরোইজম ফরম্যাটের ফাঁদে পড়ে গেছে। ঘটনার ডিসটর্শনের কথা বাদ দিলাম। মুহাম্মদ বিষয়গুলা আরো ভাল করে লিখেছে।

    তোমার লেখার ধরণ ভাল লাগছে!


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নাফিস (২০০৪-১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।