ব্যান্ড সঙ্গীত ও আন্ত ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

ইদানিং কেন জানি আইসিসিএলএম  গুলোর কথা ভাবছিলাম। এমনিতেই, কোন কারন ছাড়াই। ভাবতে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করে বেশ অবাক হলাম। আমি আসলে আমার ক্যাডেট লাইফের ৬ টি আন্ত ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা  মনে রেখেছি ঐ ৬ টি বছরে গাওয়া ব্যান্ডের গানের মাধ্যমে। এক একটা বছরের মিট এর কথা মনে করতে গেলে শুধু দেখি ঐ বছরের লিডিং ব্যাচের গাওয়া ব্যান্ডের গানটির কথা মনে পড়ে যায়। কি অদ্ভুত ব্যাপার! একটু ফ্ল্যাশব্যাক করে দেখা যাক।

২০০৩ সালঃ দেখিনি কিছু ঐ বছরের আমরা ! ক্যাডেট ই হয়নি আমরা তখন। তবে শুনেছি অনেক কাহিনী ! মোকাব্বির  ভাই, সানিয়াত ভাই, মহসিন ভাই দের ব্যান্ড টিম ছিল এটা । তারা গেয়েছিলেন সোলসের কেন এই নিঃসঙ্গতা গানটি । মোকাব্বির  ভাই নাকি খুব সুন্দর করে গানটার শিস বাজাতেন।

২০০৪ সালঃ ক্লাস সেভেনের ক্ষুদে বালক তখন আমরা। পুরো কলেজ টাই তখন আমাদের জন্য একটা বিস্ময় ! যা দেখি তাতেই অবাক হই। আমাদের আরো হতবাক করে দিলো আইসিসি প্র্যাকটিসে লিডিং ব্যাচের গাওয়া ঘুম ভাঙ্গা শহরে গানটি। ভোকাল ছিলেন আহমেদ ভাই, লিড গিটারিস্ট ফারশাদ ভাই,বেজ গিটারে স্বাগত ভাই, ড্রামার ফেরদৌস ভাই । প্র্যাকটিসে তাদের পারফরমেন্স মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখতাম। আমি এর আগে কখনো কাউকে সামনাসামনি ব্যান্ডের গান গাইতে দেখিনি। আমার মুগ্ধতার রেশ ছিল একটু বেশিই।

২০০৫ সালঃ এবার গাওয়া হলো এলআরবির চলো বদলে যাই গানটি। ভোকাল আশজাদ ভাই, লিডে শাহরিয়ার ভাই, কি বোর্ডে শুভ্র ভাই, ড্রামসে ফারাবি ভাই। অসাধারন একটা টিম ছিল। স্পেশালি আশজাদ ভাই এর ভোকাল হিসেবে পারফরমেন্স ছিল অন্য লেভেলের । তাদের বাজানো মিশন ইম্পসিবলের থিম এখনো কানে বাজে। ঐ বছর মিট হয়েছিল আমাদের কলেজে। ভলান্টিয়ার হিসেবে ছিলাম। ছুটি কম পাবো ভেবে প্রথমে মন খারাপ থাকলেও পরে নিজের কলেজ সহ আরও ৯ টি কলেজের ব্যান্ডের পারফরমেন্স দেখে বুঝতে পেরেছিলাম আসলে থেকে খারাপ করিনি।

২০০৬ সালঃ এবারো এলআরবির আরেকটি গান। গানটার নাম কি এক্স্যাক্টলি খেয়াল নেই। লাইন টা অনেক টা এরকম , ঠিকানা শুধু এক সমাধি সারে তিন হাত মাটি। ভোকাল হাসান ভাই, লিড এ আহমেদ ভাই, বেজে নউশান ভাই, ড্রামসে তানভীর ভাই এবং কি বোর্ডে রিয়াদ ভাই। বেশ ভালোই লাগতো তাদের গানটা। আইসিসি প্র্যাকটিস গুলোতে সবাই যখন বিভিন্ন লিটারেরি ইভেন্ট আর ক্ল্যাসিকাল মিউজিক শোনার পর নাক ডেকে ঘুমানো শুরু করতো, তখন তাদের গানটা অনেকটা টনিকের মতো কাজ করতো।

২০০৭ সালঃ আমাদের অল্টারনেট সিনিয়র দের পালা এবার। যথারীতি এলআরবি ! ঘুমন্ত শহরে গাওয়া হল সেবার। রকিং একটা গান। তারাও বেশ ভালই পারফর্ম করতেন। ভোকাল জিল্লুর ভাই, লিডে আহমেদ ভাই, বেজে মবিন ভাই, ড্রামসে হানিফ ভাই আর কি বোর্ডে রিয়াদ ভাই। গানটা শুনতে সবসময় ই ভালো লাগতো। বেশ অন্য রকমের একটা থ্রিল কাজ করতো।

২০০৮ সালঃ আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র রাও ট্র্যাডিশন ধরে রাখলেন। আরেকটা এলআরবি প্রোডাকশন করলেন তারা। ঘুম ভাঙ্গা শহরে ফিরে এলো আবার । তাদের ব্যান্ড টিমটা অসাধারন ছিল। ভোকাল ছিলেন দুই বার আইসিসি তে বেস্ট মিউজিশিয়ান এ্যাওয়ার্ড পাওয়া ফারহান ভাই। অসম্ভব ভাল গাইতেন গানটা। লিডে আবদুল্লাহ ভাই ও ইমরুল ভাইয়ের যুগলবন্দী বেশ লাগত। আইরন মেইডেনের ফেস অন দা সেন্ড গানটার মিউজিক বাজাতেন তারা। মাথা নষ্ট করা প্লে !  ফাত্তাহ ভাই কি বোর্ড বাজাতেন। বেজে ছিলেন জাহেদ ভাই। দুর্ভাগ্যবশত এই অসাধারণ টিম টা  আইসিসি তে পারফর্ম করতে গিয়ে একটা বাজে সিচুএশনে পরে। তারা যখন স্টেজে পারফর্ম করতে উঠে তখন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই  তাদের  হঠাত স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সবাই একদম হতভম্ব ! পরে কারন বলা হয় যে তাদের নাকি স্টেজ ডিসিপ্লিন ঠিক ছিল না । টাইয়ের নট নাকি লুজ ছিল ,হাতার বোতাম লাগানো ছিলো না  ইত্যাদি। পরে সব কলেজের পারফর্ম করা শেষ হলে তারা শেষ প্রতিযোগী হিসেবে স্টেজে উঠেন। এটাই শাপে বর হয়ে দাড়ায়। শেষে তাদের পারফরমেন্স  জাজের চোখে বেশ ভালো লেগে যায়…

২০০৯ সালঃ আমার নিজের ব্যাচের পালা এবার। আমাদের ব্যাচের প্রধান দুই গিটারিস্টেরই  একটা ঝামেলা হয়েছিল। একজন হুট করে একটা কারনে  ক্লাস ইলেভেনে কলেজ আঊট হয়ে যায় আর আরেক জন একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় হুট করে ধর্মভীরু  হয়ে যায়। সে রেগুলার নামাজ কালাম পরাশুরু করে .. অনেক কাহিনী করেও তাকে গিটার বাজাতে রাজি করানো যায়নি ! টিপূ ছিল ভোকাল ও বেজ গিটারে। এরপর রিসেন্টলি গিটার শেখা জুনায়েদ ও ইশতিয়াক লিড গিটারে হল ধরে  । সাজিদ  ছিল কী বোর্ডে। ড্রামার ছিল দুই জন। তাই তারা নিজেদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়।আসিফ ড্রামসে আর ফেরদৌস ওক্টোপ্যাডে । অবশেষে এবার এলআরবি অনুপস্থিত ! সম্পূর্ণ অচেনা একটা গান গায় ওরা। ফায়ারব্র্যান্ড  ব্যান্ডের সন্ধ্যা যখন নামে একটা গান। আগে কখনো শুনিনি গানটা। ওদের প্র্যাকটিসের সময় গানটা এত বার শুনেছি যে এখনো মাঝে মাঝে আনমনে গুনগুন করে গেয়ে উঠি।

 

খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি যে রসকস বিহীন একটা তালিকা করেছি উপরে। তবুও লিখলাম খুব আগ্রহ করে। কারন এই লিস্টের এখানেই সমাপ্তি ! শুধু আমার জন্য না , এটা যেকোন ক্যাডেট এর জন্যই প্রযোজ্য।এমসিসি বা অন্য কোনো কলেজের কোনো ক্যাডেট কয়েক বছর পরে এসে চাইলেও এই লিস্ট টা তে নতুন কোনো নাম বা গান ঢুকাতে পারবে না। কারন ২০০৯ সালের পর থেকে আন্ত ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা থেকে ব্যান্ড গান নামক ইভেন্ট টাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নীতি নির্ধারক যারা আছেন তারা অবশ্যই তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো কিছু কারন ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সম্মান আমার আছে। তবুও ভাবতেই অবাক লাগে যে একটা মিট হচ্ছে অথচ সেখানে কোনো ব্যান্ড গানের ইভেন্ট নেই। কয়েকটা এলএম মিটের অভিজ্ঞতায় যা বুঝেছি তাতে কোনো সন্দেহ নেই ক্যাডেট রা মন প্রাণ দিয়ে এই ইভেন্ট টায় অংশ নিতো। এখানে খুব সুস্থ্য একটা প্রতিযোগিতা ছিল। অন্য কলেজের প্র্যাকটিস সেশনে বাকি কলেজের ক্যাডেট দের  স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ই এর প্রমাণ । অনেক ক্যাডেট কেই দেখেছি শুধু আইসিসিএলএম এ পারফর্ম করবে বলে গিটার ,ড্রামস , কি বোর্ড বাজানো শেখা শুরু করে। আমি নিজে কখনো এসবের সাথে জড়িত ছিলাম না, কিন্তু এটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এর সাথে তাদের অনেক আবেগ ও শ্রম জড়িত ছিল। হ্যা, কেউ হয়তো বলতে  পারেন যে কলেজের প্রোগ্রামে তো পারফর্ম করতে পারবে ওরা ! সুতরাং সমস্যা কোথায়?  আমার কথা হলো নিজেদের মেলে ধরার  জন্য একটা বৃহত মঞ্চ থাকলে কি ভালো হয় না ? ওই বড় মঞ্চে তারা যখন বাংলাদেশের সেরা ব্যান্ড শিল্পী দের সামনে গান গায় তখন সেটা ক্যাডেট কলেজের গন্ডী পেরিয়ে আরো বাইরে চলে যায়। ব্যান্ড এর গান বাদ দিয়ে সেখানে আরেকটা লোক সঙ্গীতের ইভেন্ট ঢোকানোর মাঝে কেন জানি আমি ইতিবাচক কিছু দেখি না। পুরোপুরি একটা সাইড কে বন্ধ করে দেওয়া টা কি ঠিক হচ্ছে? রিসেন্ট ব্যাচের জুনিয়র ক্যাডেট রা হয়তো জানেই না যে এককালে আইসিসি মিট এ ব্যান্ডের গান গাওয়া হতো। কি অদ্ভূত ! আমরা কি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এর ক্যাডেটদের বঞ্চিত করছি না ?

৪,১৩৩ বার দেখা হয়েছে

৪৪ টি মন্তব্য : “ব্যান্ড সঙ্গীত ও আন্ত ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    সংশোধনীঃ ২০০৩ এর নিঃসঙ্গতা গানের শিস আমি বাজাতাম। :shy: সাথে :guitar:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. রিজভী(২০০৪-২০১০)

    কলেজের বাথরুম সিঙ্গারদের কাছে ষ্টেজ পারফরমেন্স কিছুই না 😀 হেন কোন গান নেই যা বাথরুম সিঙ্গাররা গাইত না। বিশেষ করে লিরিক ভুলে যাওয়া পার্টি যে বিনোদনটা দিত 😉


    বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।

    জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        গত মাসে এক্স ক্যাডেট ফোরামে সা'দ (সিলেট) এর একটা পোস্টে আলোচনা চলছিল। সত্যি কথা বলতে এখন নিজেকে লাস্ট অফ মোহিকান্‌স মনে হয়। যদিও ব্যাপারটা খুব ভাবের মনে হতে পারে কিন্তু আসলে খুবই ভয়াবহ।

        বলেছিলাম ব্যান্ড পারফর্মেন্স শুধু শো-অফ আর ভাব দেখানোর জন্য না। এখানে অনেক কিছু মিশে আছে। যারা ২০১১ এর মেকা রি-ইউনিয়নে গিয়েছে। তারা বলতে পারবে নিজের কলেজের ভাইদের ব্যান্ড কিরকম সাড়া ফেলতে পারে ক্রাউডের মাঝে। আফসোস এবং হতাশ! :no: :no: :no:


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
          • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

            সেই লেভেল?! রিইউনিয়নের দ্বিতীয় দিন গ্রীন রুমে গেছিলাম। আমরা। কথা বার্তা হালকা জ্যামিং ইত্যাদি করতে। গীটারিসট খুইজা পাই না। খেলতে গেসে। ড্রামার অফিসিয়ালি কেউ নাই। কিন্তু কাজ চালানোর মত আছে। শুনে খুব অবাক হইসিলাম। লিডিং ব্যাচের এই অবস্থা কেনো?
            ৪ হাজার টাকার ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক গিটার দিয়া এল,এম এ গেসি। এদের দেখি নতুন গিটার তাও ব্র্যান্ডেড। আইবানেজ। তখনো এই তথ্য জানতাম না। সিদ্ধান্ত নিছিলাম আসার আগে আমার গীটারটা মিউজিক ক্লাবে দিয়ে আসবো। এই কাহিনী জানার পরে সিদ্ধান্ত বাতিল। :/ একটা ইভেন্ট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত যে কি ভয়াবহ হতে পারে এটা না দেখলে বোঝানো যাবে না! :/ 🙁


            \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
            অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

            জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ব্যান্ড সঙ্গীত বন্ধ করার পিছনে একটা যৌক্তিক কারন কি কেউ বলতে পারবে?


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      আকাশ ভাই প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করা গেসে যে একজন ডি,এ,জি বলেছেন "ব্যান্ডের গানের কারনে ছেলে মেয়েরা প্রেম ভালোবাসা বেশী করে।" =(( =((
      অবিকল ডায়ালগটা মনে নাই। গার্লসের আননিসা (০৪-১০) বলেছিলো। শুইনা তব্দা খায়া ছিলাম মিনিটখানেক!


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
        • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

          ক্যান ফেইসবুকের কনফেশন আর ক্রাশ পেইজের বেশীর ভাগ কাবযাব তো এল,এম নিয়া। সব দোষ ব্যান্ডের পুলাপানের। 😀 বাকি গুলা দুধ ভাত! বর্তমানের এল,এম মানেই বলে প্রেম কানন। আমি তো কোমর বাইন্ধা ঝগড়া করতে নিছিলাম। পরে দেখি সবাই একই কথা কয়। চিন্তা কইরা দেখলাম ৯ বছর অনেক লম্বা সময়। ফাপর নেয়া উচিত না! তাই চুপ কইরা গেসি! ;;;
          এল, এম এর অবস্থা বলে আসলেই এখন শোচনীয়। সবাই বলে শুধু 😡 আর 😡 করতেই যায়! :dreamy: :dreamy:


          \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
          অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

          জবাব দিন
          • নাফিস (২০০৪-১০)

            হা ! হা ! অপরিণত বয়স ও উড়ু উড়ু মন , তাই একটু কথা বার্তা হলে ই সেটাকে প্রেম মনে করে পোলাপান আকাশ পাতাল কল্পনা শুরু করে... 😡 আর সেগুলা নিয়ে কনফেশন পেজে পোস্ট দেয়! জোর করে কিউপিডের তীর এর খোচা খাইতে চায় আরকি পোলাপান! =(( কিছুই বদলায় নাই ভাই! সব একই রকম আছে ! আর কনফেশন পেজে কথা না বাড়াইয়া ভালো করছেন। খুবই বিরক্তিকর একটা জায়গা ওটা ..

            জবাব দিন
            • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

              কি জানি পাবন পর্যন্ত আমাকে বললো পরিস্থিতি পরিবর্তন হইসে। আমার একটা নোটে আরেকজন কইলো পুরা নোটের কোথাও গার্লস কলেজের কথা নাই ক্যামনে কি? বোঝাইতে পারলাম না গার্লস ক্যাডেট কলেজ অন্তত এল,এম এ আলোচনার কোন বিষয় ছিলো না। ওরা বরং আরেকটা প্রতিপক্ষ এবং বিপদজনক প্রতিপক্ষ হিসেবেই এল,এম এ আসতো। পাশে দিয়ে কে হেটে গেলো একটু কথা বলা গেলো কিনা। কে দেখতে কি রকম এই ফাত্‌রামি করার সময় পাই নাই। এইগুলা বললাম দেখি হাসে। বুঝলাম বিশ্বাস করে না! পরে হাল ছেড়ে দিসি! 😕


              \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
              অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

              জবাব দিন
  4. মুশফিকুর রহমান তুষার (২০০২-২০০৮)

    প্রেম দুই-একটা হইতো। ঠিক আছে। তবে সেটা ব্যান্ড পার্টিই করে তা নয়! রবীন্দ্র সংগীত-সাঃ জ্ঞান পার্টিরেও প্রেম করতে দেখছি! :gulli2:

    তবে ব্যান্ডে যারা যাইতো গার্লসের কাছে মনে হয় তাঁদের কদর বেশী থাকতো! 😛 😛


    ছোট হাতি

    জবাব দিন
  5. ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০)

    দারুণ টপিক নিয়া লিখছিস :boss: :boss:
    ব্যান্ড বন্ধ কৈরা লোকগীতি ডাবল করা হইসে।


    যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    ব্যান্ড গান বন্ধ করলো কি চিন্তা করে!!!!!!!!!
    এইটা পুরাই আজিব !!

    আমাদের কলেজে অবশ্য প্রায় ৩-৪ বছর আইসিসিএলএম মানেই ছিল মিফতাহ ভাই 😛


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আগেরবার জুইত কইরা কমেন্ট করতে পারি নাই।

    গানবাজনা না করলে কি হয়!
    কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক ভাবে শুধ্য ব্যান্ড সং বন্ধ করাটা :dreamy:

    এই লেখাটা এইচ কিউতে পাঠাবার ব্যাবস্থা করা হোক।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  8. আহমেদ ১৫২৯ (২০০৭-২০১৩) প.ক.ক

    কত কষ্ট করে লালনের ফিউশন করছিলাম লাষ্ট ইয়ার এই আশায় যদি শুধু ব্যান্ড থাকে। কিন্তু হইলো না।


    বারে বারে অবাক হই, আর দেখি ফিরে ফিরে
    কতটা বদলে গেছি এই আমি প্রতিটি পদে পদে.....................

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।