অদ্ভুত ফ্যান্টাসি গুলো

বাচ্চাকাল থেকেই এক একটা মানুষের একেক রকম ফ্যান্টাসি থাকে। এই ফ্যান্টাসি গুলো অনেকটা বাধাহীন বলগা হরিণের মতো। কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করে না। খুব ছোটবেলায় টাইটানিক দেখেছিলাম। একটা সিন আছে মুভিতে যে জ্যাক জাহাজের সামনে দাড়িয়ে খোলা সাগরের দিকে তাকিয়ে চিত্কার করে বলে,” আই এম দি কিং অফ দি ওয়ার্ল্ড” .. দৃশ্যটা কোনো এক অদ্ভুত কারনে আমার কচি মস্তিস্কে গেথে যায়। কালে কালে এটাই হয়ে যায় আমার ফ্যান্টাসি। কোনো কাজ করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে গেলে এ রকম একটা চিন্তা করে রিফ্রেশ হয়ে নিতাম। শুনতে খুব অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি ।স্বপ্ন দেখতাম খোলা সমুদ্রে জাহাজের সামনে দুই হাত পাশে মেলে দাড়িয়ে থাকবো পাখির মতো। জাহাজ চলবে, আমি স্থির। দমকা বাতাসের ঝাপটায় আমার চোখ নিভু নিভু হয়ে যাবে। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে একধনের ইলিউশন তৈরী হবে … ব্লা ব্লা ব্লা !

বড় হওয়ার পরও ফ্যান্টাসি টা মাথা থেকে যায়নি। বরং ফ্যান্টাসিতে আরো রং লাগতে শুরু করে।আমার মনে হতে লাগলো যে এই ফ্যান্টাসি টাকে বাস্তব করার জন্যই আমাকে বেচে থাকতে হবে।টিপিকাল কিশোর পাগলামি। নেভিতে যাওয়ার পেছনে এই পাগলামির কোনো হাত আছে কিনা সেই ব্যাপারে ডিটেইলসে  গিয়ে কখনো ভাবিনি। যাই হোক, ২০১১ এর আগস্ট মাসে ৪২ দিনের সি ট্রেইনিং এ একটা শীপে উঠি।বেশ কয়েকদিন পর ৭ দিনের একটা ক্রুজে আমরা ডিপ সী তে  চলে যাই। আমার প্রথম সমুদ্র যাত্রা। ভালোই কাটছিলো সময়। একদিন গভীর রাতে আমার ডিউটি পড়ল লুক আউট হিসেবে। অনেকটা পাহারাদার এর মতন..   ব্রীজ রুমের  পাশে বায়নোকুলার নিয়ে দাড়িয়ে আছি। জাহাজ পুরো অন্ধকার। আলো বলতে শুধু জোত্স্নার আলো। ফুল মুন ছিল ঐদিন। যুদ্ধজাহাজ গুলোতে রাতে সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। তাই জোত্স্নার আলো আর চারদিকের নিস্তব্ধতা মিলে কেমন জানি অন্যরকম একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল । বায়নোকুলার দিয়ে চারপাশ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেলাম। সমুদ্র বড় একঘেয়ে একটা জিনিস। ঢেউ এর পরে ঢেউ, আর তার একঘেয়ে শব্দ। কি মনে করে জাহাজের সামনের দিকে তাকালাম। হুট করে পুরনো পাগলামি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। আস্তে আস্তে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম। টের পেলাম কেন জানি বুকের ভিতর হৃতপিন্ড টা লাফাচ্ছে। সারা জীবন যে ফ্যান্টাসি টা মাথার ভেতর পোকার মতো কিলবিল করতো , তা এখন করতে যাচ্ছি। একদম সামনে গিয়ে দাড়ালাম। সামনে দেশের পতাকা লাগানো থাকে। ওটার নিচে গিয়ে দাড়ালাম। জায়গাটাকে বলা হয় ফক্সল।  হাতদুটো দু পাশে বাড়ালাম। প্রথমে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। তাকাতে ভয় পাচ্ছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর  সামনের দিকে আস্তে আস্তে তাকালাম।প্রথমে ধরতে একটু সময় লেগেছিল। এরপর হঠাতই মনে হচ্ছিল যেন  আমি এলবাট্রসের মতো সাগরের উপর দিয়ে উড়ছি। পেছনে কি ছিল তার সব ভুলে গিয়েছিলাম। উড়ছি তো উড়ছি !একটা ঘোরের মাঝে চলে গিয়েছিলাম।চিত্কার করার সাহস হয়নি। ফিসফিস করে বললাম,”আই এম দি কিং অফ দি ওয়ার্ল্ড” .. মনের ভুল ছিল মনে হয় , কেন জানি মনে হলো অনেক দূর থেকে কে জানি প্রতিধ্বনি দিল,”ইউ আর দি কিং অফ দি ওয়ার্ল্ড”… বেশিক্ষণ ছিলাম না ওখানে। ডিউটি স্টেশন থেকে কাউকে না বলে  চলে আসায় আমাকে খোজাখুজি করছিল এক ক্লাসমেট। তাই বাধ্য হয়ে ফিরে গিয়ে আবার বাইনোকুলার নিয়ে দাড়িয়ে গেলাম। হটাত করেই খারাপ লাগা শুরু হয়। ফ্যান্টাসি টা আর ফ্যান্টাসি থাকলো না। প্রচন্ড রকমের বিষন্ন একটা  অনুভূতি। খুব বাজে একটা ফিলিংস। পুরো ব্যাপার টাকেই   নেহাতই একধরণের ছেলেমানুষী মনে হচ্ছিল ।

 

এককালে হ্যারি পটার সিরিজের বিশাল ফ্যান ছিলাম। গোগ্রাসে গিলতাম বই গুলো।হোগার্টস এর কল্পনার স্কুল  আর আমার ক্যাডেট কলেজ কে  মেলানোর চেষ্টা করতাম। স্বপ্নের মাঝে কুইডিচ খেলে বেড়াতাম। ম্যাজিক ওয়ান্ড দিয়ে কলেজের কাবিল টিচার  আর সিনিয়র ভাইদের দের ডেথ কার্স দিয়ে মেরে ফেলতাম।হ্যারিপটার সিরিজের শেষ বইটা যখন পড়া শেষ করি অনেক ক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। আবার সেই অদ্ভুত অনুভূতি । কেন জানি মনে হচ্ছিল আমার জীবন থেকে রন, হ্যারি আর হারমিওন রা  চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে।  মনে হচ্ছিল বইটা না পড়লেই ভালো হতো। সেই বাজে ফিলিংস টা অনেকদিন ছিল আমার মাঝে। হয়তো এখনো আছে। খানিকটা। তাই শেষ মুভিটা এখনো দেখি নি, দেখার ইচ্ছেও নেই… দেখলেই তো সব শেষ !

তিন গোয়েন্দা নিয়ে অনেক ফ্যান্টাসি ছিল এককালে। কিশোর পাশা, মুসা আমান, রবিন মিলফোর্ড। আহ ! কি মেলবন্ধন! তিন গোয়েন্দার বই পড়েছি পাগলের মতো.. কাথার নিচে, বইয়ের ফাকে, ক্লাসরুমে।বই গুলোর ব্যাক কভারে কিছু কথা লিখা থাকতো।

“ হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা-
আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে।
জায়গাটা লস এঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে।
হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।
যারা এখনো আমাদের পরিচয় জানো না, তাদেরকে বলছি,
আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম
তিন গোয়েন্দা।
আমি বাঙ্গালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে।
দুই বন্ধুর একজনের নাম মূসা আমান- ব্যায়ামবীর,
আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান,
রবিন মিলফোর্ড-বইয়ের পোকা।
একই ক্লাসে পড়ি আমরা।
পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে
পুরনো একটা মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার।
নতুন আরও দুট রহস্যের জালে জড়িয়েছি আমরা।
এসো না, চলে এসো আমাদের সঙ্গে।”

স্বপ্ন দেখতাম এই হেড কোয়ার্টারে ঢোকার। ওদের সাথে রকি বীচের পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর কিংবা গোবেল দ্বীপের পুরনো কোনো বাতিঘরে গোপন রহস্যের সমাধান করতে। ভাবতাম ,ফগরেম্পারকট কে একটু ভয় দেখাতে পারলে মন্দ হয়না । ভাবতাম ওদের খুঁজে বেরকরার জন্যই আমাকে ওখানে যেতে হবে.. এরপর  বিধাতার ই এক অদ্ভুত খেলায় কালে কালে কিভাবে যেন আমি এসে ঠেকলাম এই দেশেই। প্রথম পা রাখি সেই লসএঞ্জেলেস শহরেই।   একদিন ছিলাম ঐখানে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, প্রথম দিন হোটেলের রিসিপশনিস্ট এর কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল,” ডু ইউ নো হোয়ার ইজ রকি বীচ ? ”  উনি আমার ডেসপারেট ভাব দেখে ধরেই নিয়ে ছিলেন যে ওখানে আমার নিকট আত্মীয় কেউ মনে হয় থাকে! লবিতে বসে অনেকক্ষণ ম্যাপে রকি বীচ শহরটা খুজেছিলাম। কষ্টের বিষয় হলো এই নামে আসলে ওই জোনে কোনো শহরই নেই । সান্তা মনিকা নামে একটা শহর আছে যেটার সাথে রকি বীচের বর্ণনার অনেক মিল আছে। পরে আরো খোজ অনেক খবর নিয়েছি ।  তিন গোয়েন্দা লেখা হয়েছে  ,”থ্রি ইনভেস্টিগেটর” সিরিজের অনুকরণে । ওই বইয়ের লেখক বেশ  কিছু শহরের আদলে এই বর্ণনা টা  দিয়েছেন  মনে হয়। অনেক গুলো শহরের অনেক গুলো বৈশিষ্টের সাথে রকি বীচের মিল আছে। কিন্তু  আসল শহর উধাও ! নেই ! এই ফ্যান্টাসির এখানেই করুণ সমাপ্তি ! রকি বীচের পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড আর খুঁজে বের করা হলো না আমার।


সব কিছু পেয়ে যাওয়া আমাদের জন্য মোটেই ভালো কিছু না। কিছু জিনিস সবসময় ধরাছোয়ার বাইরে থাকা উচিত। মাঝে মাঝে এমন একটা কিছুর পেছনে আমাদের ছোটা উচিত যা কখনোই আমাদের হাতের মুঠোয় আসবেনা। সব  হাতের মুঠোয় চলে এলে মাঝে মাঝে হাত ঝলসে যায়। আমরা সবসময় সবকিছুর জন্য রেডি থাকিনা। একজীবনে আমরা যা পাই, তার সবকিছু  আমরা সবসময় ডিসার্ভ করিনা। ইদানিং  নতুন ফ্যান্টাসি সংকটে ভুগছি।  ফ্যান্টাসি গুলো ফ্যান্টাসি হিসেবে থাকলে ই বোধহয় এই সংকট টাকে এড়ানো যেত !

 

২,৬৬৬ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “অদ্ভুত ফ্যান্টাসি গুলো”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    আসলেই দোস্ত, কিছু ফ্যান্টাসি পূরণ না হওয়াই ভাল। ওই গুলার জন্যেই আমরা বেঁচে থাকি।

    অলস দুপুরে, কিংবা বৃষ্টিঝরা রাতে ওইগুলার কথা মনে করেই আমরা আনমনে হেসে ফেলি। সব সত্য হয়ে গেলে তো এইসব মুহূর্তগুলো একাকী কাটাতে হবে...


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. রেজা শাওন (০১-০৭)

    এই শিশু তুমি তো চমৎকার লিখ।

    তোমার লেখা পড়ে একটু মন খারাপ হল। কত-শত ফ্যান্টাসি ছিল, যত বয়স বাড়তেছে, টু ডু লিস্টে যা ছিল, সব কমে যাচ্ছে। বাচ্চাকালে স্কুল পালায়ে যে দিনগুলোতে বাংলা ছবি দেখতে যাইতাম, সে দিনগুলোতে মনে হত একটা বারের জন্য হলেও যাত্রা ঢং এর ঝালরওয়ালা ড্রেসগুলো পড়তে হবে।

    এখন আর এসব মনে আসে না। বয়স বাড়া মানেই সমস্যার শেষ নাই।

    জবাব দিন
  3. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ছোটবেলা থেকে দেখেছি বাসায় বাবার গাড়ির বই, টাইপ ৫৬ এসেম্বলী ম্যানুয়াল। বন্দুকের প্রতি ঝোঁক তখনো ছিলনা। তবে গাড়ির মেকানিক হবো স্বপ্ন দেখতাম।আর দশটা ফৌজের সন্তানের মত গাড়ি নিয়ে ছিলো ফ্যান্টাসি। সেই ফ্যান্টাসি হাওয়ায় উড়ে যেতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অপেক্ষা করা লেগেছিলো। ততদিনে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার স্বপ্নই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। জীবন শুরু হলো আইনের সাথে।

    এরপরে বিমান চালানো, সাবমেরিন চালানো ইত্যাদি উদ্ভট ফ্যান্টাসি সময়ক্ষেপণের জন্য চিন্তার রেলগাড়ি হিসেবে ব্যবহার করতাম। হার্ডকোর গেমার আমি নই তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গেম IL2 Sturmovik ও Silent Hunter খেলেছি খুব আন্তরিকতার সাথে। গেমার বন্ধুরা ঠাট্টা করতো আমার এইসব উদ্ভট গেমের প্রতি আগ্রহ দেখে। আমার চাওয়া ছিলো অল্প। ফ্যান্টাসির কাছাকাছি না হলেও এলাকায় একটু ঘুরে আসা।

    চার বছরের আইন পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনটা তেতো ছিলো একটি কারণের সমষ্টিগত অভিজ্ঞতায়। তখন পড়েছিলাম আলেকজান্দার দ্যুমার কাউন্ট অফ মন্টে ক্রিস্টো। উদ্ভট এক অসুস্থ ফ্যান্টাসি সেখান থেকে এখনো লালন পালন করি। এডমন্ডের মত প্রতিশোধ নিতে পারতাম।যদি পারতাম তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিতে। প্রতিশোধের অংশ গুলো অনেকবার পড়েছি শুধু একটু আমেজ পাবার আশায়। এখনো মাঝেমাঝে হারিয়ে যাই এই ফ্যান্টাসির মাঝে।

    লেখাটা অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলো। :boss:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    যতদূর মনে পড়ে আমার ছেলেবেলার প্রথম ফ্যান্টাসী ঢাকা স্টেডিয়ামের মাঠ আর সেখানে খেলা আবাহনীর খেলোয়ারেরা। আব্বুর সাথে যখন সেই পিচ্চি কালে মাঠে যেতাম তখন প্রথম ঢোকার আগে গেটের ফাক দিয়ে উকি মেরে একটু দেখতে পাওয়া সবুজ মাঠ, আর মাঠে ঢোকার পর সেটাকে কি বিশাল মনে হত! আর সেখানে আকাশী জার্সি পরে খেলা আবাহনীর এক একজন ফুটবলার! এরপরে কত ফ্যান্টাসীই এসেছে, কিন্তু ঐ মাঠে ফুটবল খেলার ফ্যান্টাসীকে কোনটাই ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. নাফিস (২০০৪-১০)

    ভালো কথা মনে করেছেন। ফুটবল আমার লাইফেরও বিশাল বড় একটা ফ্যান্টাসি! ছোটবেলা থেকেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল দেখি। সেই গ্যালাকটিকোস যুগ থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের অন্ধ ভক্ত আমি... সান্টিয়াগো বার্নাব্যু তে স্বপ্নে অনেক ম্যাচই খেলে ফেলেছি। 😀
    এখনো একটা ইচ্ছে আছে যে কোনো এক সময় বার্নাব্যু র গ্যালারিতে রিয়ালের জার্সি পরে একটা খেলা দেখবো। দেখা যাক ...

    জবাব দিন
  6. মুশফিকুর রহমান তুষার (২০০২-২০০৮)
    “ হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা-
    আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে।
    জায়গাটা লস এঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে।
    হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।
    যারা এখনো আমাদের পরিচয় জানো না, তাদেরকে বলছি,
    আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম
    তিন গোয়েন্দা।
    আমি বাঙ্গালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে।
    দুই বন্ধুর একজনের নাম মূসা আমান- ব্যায়ামবীর,
    আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান,
    রবিন মিলফোর্ড-বইয়ের পোকা।
    একই ক্লাসে পড়ি আমরা।
    পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে
    পুরনো একটা মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার।
    নতুন আরও দুট রহস্যের জালে জড়িয়েছি আমরা।
    এসো না, চলে এসো আমাদের সঙ্গে।”

    :boss: :boss: :boss:


    ছোট হাতি

    জবাব দিন
  7. সালেহ (০৩-০৯)

    একেবারেই অসাধারণ একটা লেখা।

    আমারও বিভিন্ন সময় অনেক ফ্যান্টাসি ছিল। এখনও আছে। একটাও পূরণ হয় নাই। এই নিয়ে আক্ষেপও নাই। ফ্যান্টাসি পূরণ হলে কি আর সেটা ফ্যান্টাসি থাকে?


    Saleh

    জবাব দিন
  8. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ছোটবেলায় তিনগোয়েন্দার ভক্ত পাঠক ছিলাম। জানতাম ওদের লস এঞ্জেলসের রকি বীচের ঠিকানা। ২০০৮ এ ইউসিএল'এতে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত লস এঞ্জেলসের প্রায় সবগুলো সি-বীচ দেখা হয়ে গেলো, কিন্তু তিন গোয়েন্দার অফিস 'রকি বীচ' খুঁজে পেলাম না। আফসোস!

    লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।......... কত কথা মনে পড়ে গেল!


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নাফিস (২০০৪-১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।