যদ্যপি আমার গুরু…

জীবনে প্রথম কোন বই পড়েছিলাম মনে নেই। ঠাকুরমা’র ঝুলি হবে হয়তো। তবে সবচেয়ে বেশী পড়েছি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই। এটা নিশ্চিত।

আজ অনেকে বলছে স্যারের মৃত্যুদিবস!!! আমার প্রশ্ন স্যার মারা গেলেন কিভাবে??

তাঁর কি মৃত্যু আছে? একজন হুমায়ূন আহমেদ কি মরনশীল কেউ? এই নষ্ট পৃথিবী কে স্যারের দেহ ত্যাগ করেছে…কিন্তু স্যার তো আমাদের মাঝেই আছেন! পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগুনিত হিমু-মিসির আলী-শুভ্র-রুপা-মাজেদা খালা-মহাজ্ঞানী ফিহা-মজিদ-রমনা থানার ওসি-পাংখাপুলার রশীদ-তিতলী-কংকা-মুনা-বাকের ভাই-সৈয়দ বংশের পোলা-বদি-ধনু শেখ-মুহিব-বাদল-আতাহারদের মাঝেই স্যার চিরকাল থাকবেন!

পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যখন কোন অপরুপ সুন্দরী কিশোরী তাঁর হত দরিদ্র গৃহশিক্ষকের প্রেমে পড়ে কিংবা কেউ যখন উথালপাথাল জোছনা দেখে বিমোহিত হয়; আমি নিশ্চিত স্যার তখন কাছাকাছি কোথাও দাড়িয়ে মুচকি হাসেন! কোন বিশাল প্রভাবশালী জমিদারের সাথে যখন অত্র এলাকার মসজিদের মাওলানা ভয়ার্ত আলাপ করেন স্যার মনোযোগ দিয়ে শোনেন!

আজকের তরুন প্রজন্ম যখন আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে স্লোগান দেয় “তুই রাজাকার! তুই রাজাকার”…আমি নিশ্চিত স্যারের খুব গর্ব হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অসীম সাহসী সন্তান তিনি, গর্ব তো তিনি করতেই পারেন! ১৯৭৯ সালে যখন রাজাকার সর্ষিনার পীরকে দেয়া হয় স্বাধীনতা পুরস্কার (!) তখন তিনি সরাসরি তাঁর লেখায় এর বিরোধিতা করেছিলেন। ৯১-৯৬ সরকারের সময় যখন রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলা ছিল পাপ বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা (!!); তখন তিনি পাখির কন্ঠে দিয়েছিলেন “তুই রাজাকার”! আর ২০০৪ সালে যখন সালে যখন নিজামী-মুজাহিদের গাড়ীতে উড়তো জাতীয় পতাকা (!!!) তখন প্রকাশ পায় তাঁর অমর সাহিত্য ‘জোছনা ও জননীর গল্প’!!

স্যার হয়তো এখনও নেত্রকোনার ভাঁটি এলাকায়, শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে বা নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটির বারান্দায় জীবন খুঁজে বেড়ান! নুহাশপল্লীর গাছগুলোর কাছে গেলে হয়তো শোনা যাবে স্যার ফিসফিস করে কথা বলছেন। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি কত ভালবাসাই না তিনি একজীবনে পেয়েছেন! শহীদ মিনারে তাঁর লাশের সামনে যে কান্না, যে ভালবাসা দেখেছি তা অকল্পনীয়। সেদিন আমার পাশে থাকা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছি। আর একটা কথা বলেছিলাম; জীবন যত বড় বা ছোটই হোক; হতে হবে স্যারের মত! এক সম্রাটের জীবন যার সাম্রাজ্য কোনদিন শেষ হবার নয়!

স্যার, আপনাকে যে কত ভালোবাসি কিভাবে বোঝাই!! এই ভালোবাসা লিখে প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নাই; আপনার ছিলো!

সেই রাতের কথা কোনদিন ভুলতে পারবোনা। স্যারের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকে নিয়মিত খবর রাখতাম স্যার কেমন আছে। যখন মাঝে একবার দেশে আসলেন তখন মন থেকে সব ভয় কেটে গেলো। নিশ্চিত ছিলাম তিনি ফিরে আসবেন। এক লেখায় তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন দেশে ফিরে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়বেন। সবার কাছে সাহায্য চাইবেন। সারাদেশ থেকে ভলান্টিয়ার  নেবেন। স্যারকে দেবার জন্য আমি ৫০০০ টাকা জমা করে রাখলাম। স্যারকে কোনদিন সামনাসামনি দেখিনি। ভাবলাম ভলান্টিয়ার হিসাবে যোগ দেব যাতে একবারের জন্য হলেও তাঁকে সামনাসামনি দেখতে পারি। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও শুনলাম তিনি বিপদমুক্ত। মোটামুটি নিশ্চিত যে স্যারকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে পাচ্ছি। এমন স্বস্তি নিয়ে ১৯ জুলাই রাতে মুহসীন হলের রুমে ঘুমাচ্ছি। এমন সময় ফোন পেলাম। হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন!! মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো! এখনও মনে হয় দুঃস্বপ্ন দেখেছি হয়তো। দৌড়ে গেলাম টিভিরুমে। সবাই চুপ করে তাকিয়ে আছে ব্রেকিং নিউজের দিকে।

স্যারের মৃত্যুর পর থেকে সারাদেশে সত্যিকারের শোকের ছায়া দেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়-রাস্তাঘাট-যানবাহনে-অফিসে সবখানে শুধু হুমায়ূন আহমেদ। তখন বুঝতে পেরেছিলাম কেন মৃত্যুর আরেক নাম “মহাযাত্রা”…  সত্যিই তা ছিলো আরেক ভুবনের উদ্দেশ্যে মহা সমারোহে যাত্রা!

“দেয়াল” উপন্যাসটা পড়ার সময় বা “ঘেটুপুত্র কমলা” সিনেমা দেখার সময় বারবার কান্না পেয়েছে। গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠা একটা কষ্ট অনুভব করেছি বারবার। এক একটা লাইন পড়ছিলাম, এক একটা দৃশ্য দেখছিলাম আর শুধু ভাবছিলাম শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘নতুন হুমায়ূন আহমেদ’! কলেজে পড়ার সময় অল্প লেখালেখি করতাম। স্যারের প্রায় সব লেখা পড়েছি বলে মাঝে মাঝে হয়তো আমার লেখায় স্যারের হালকা ছায়া পড়তো। বন্ধুদের কাছে শুনে কি যে ভালো লাগতো!!! স্যারের চলে যাবার পর ফেসবুক বা ব্লগে কিছু লিখিনাই স্যারকে নিয়ে। আজ এক বছর পর লিখলাম।

আরেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্যারের দেখানো উপায়েই স্যারকে শ্রদ্ধা জানাবো। স্যার রবীন্দ্রণাথকে শ্রদ্ধা জানানোর একটা কাহিণী লিখেছেন। ঐ গল্পের মতো আমিও জীবনে একদিনের জন্য হলেও শিক্ষকতা করবো। শ্রেণীকক্ষে ঢুকে সব শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করবো “বলতো হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিবস কবে?” যখন কেউ উত্তর দেবে, ১৯ জুলাই; আমি কপট রাগ দেখিয়ে বলবো  “ভুল উত্তর! দাড়িয়ে থাকো!  সঠিক উত্তর হলো হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু নাই!”

 

 

পুণশ্চঃ ১

আমার মনে মনে একটা অভিমান আছে স্যারের কাছে। তিনি আমাদের সকলকে কথা দিয়েছিলেন তিনি সশরীরে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। স্যার,আপনি কেন কথা রাখলেন না?

পুণশ্চঃ ২

আর একটা প্রশ্ন স্যারের ‘পরম করুনাময় ঈশ্বরে’র কাছে। অন্ধকার রাতে কেন আপনি স্যারের জীবনাবসান ঘটালেন? সারাজীবন যে মানুষটা আকুতি জানিয়েছে ‘চান্নি পসর রাতে’ মৃত্যুর জন্য; তাঁর মৃত্যুতে কেন  আকাশে জোছনা থাকবে না?

পুণশ্চঃ ৩

অনেকে স্যারকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করে। স্যারের কি ভালো কি খারাপ জানিনা।শাওন কি ভালো না খারাপ জানিনা। আমি শুধু জানি তিনি যা করেছেন ভালো করেছেন। শাওন যেমনই হোক স্যার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাঁকে ভালোবাসতেন।

“যদ্যপি আমার গুরু শুড়িবাড়ী যায়

তদ্যপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়”

 

২,৭০০ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “যদ্যপি আমার গুরু…”

  1. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    যে যত সমালোচনাই করুক এই প্রজন্মের নাইন্টি পার্সেন্ট পোলাপানের বই পড়ার আগ্রহের কারন যে হুমায়ূন আহমেদ সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
  2. মুশফিকুর রহমান তুষার (২০০২-২০০৮)

    🙂 🙂

    আমার লেখার ক্ষমতা নেই। যদি থাকতো স্যারকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতাম। আমি নিয়মিত খবরের কাগজ পড়ি। অনেক বই পড়েছি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের সবকটা বই এত বেশীবার পড়েছি যে নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই জীবনে ছাপার অক্ষরে যা পড়েছি তাঁর প্রায় ৪০ ভাগই হুমায়ূন আহমেদের!


    ছোট হাতি

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    নাম পছন্দ হইছে।
    হু আহমেদের বেশিরভাগ লেখার নামই তো এরকম এইখন সেইখান থেকে নেয়া।
    সো নামটা বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ হইছে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    পড়লাম।
    জোছনা ও জননী কি সত্যি অমর?

    হু আহমেদের লেখা শক্তিশালী তবে লক্ষ্যহীন।
    যাই হোক।
    তার ভক্ত সংখ্যা অনেক। তাদের মাঝে অনেকদিন বাঁচবেন।
    বাট ২০ বছর পর এইটা আলোচিত হবে যে হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের বাঙলা সাহিত্যকে কতটা ক্ষতি করেছেন।

    আপাতত তার ভক্তরা কাঁদুক।
    একজন লেখকের জন্য এইটাই বা কম পাওয়া কিসের!


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • মুশফিকুর রহমান তুষার (২০০২-২০০৮)

      অমর কিনা সেটা তো সময় বলে দেবে। আমার মনে হয় অমর।
      আমার অতি প্রিয় বই। আমার যত বন্ধু-বান্ধব পড়ছে সবার কাছেই এমন শুনছি। আমাদের প্রজন্ম যতদিন বেঁচে আছে ততোদিন কমপক্ষে অমর!

      লাভ-ক্ষতি বুঝিনা। জীবনানন্দ কে নিয়ে তাঁর জীবদ্দশায় সবাই হাসাহাসি করতো। কিন্তু আজ সে কিংবদন্তী!
      মানিকের ৪০ টা উপন্যাস। বাংলায় অনার্স করা লোকও মাত্র ১০-১২টার নাম জানে। কিন্তু ঐ অল্প কয়েকটা দিয়েই সে বিখ্যাত। হু আহমেদের অনেক বাজে বই আছে; কিন্তু কে জানে ভালো কয়েকটা দিয়েই হয়তো সে টিকে থাকবে। সাহিত্যের উপকার করবে।


      ছোট হাতি

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        জীবনানন্দ দাশ বেচে থাকতে তেমন স্বীকৃতি পান নি সত্য। কিন্তু সেটা অনেকের ক্ষেত্রেই সত্যি।
        মানিক বা বিভূতি বাবু এমন কোন উচু মানের জীবন যাপন করে যান নি।
        বিভূতিবাবু ত স্কুলের মাষ্টার ছিলেন।

        ফুল ফুটুক বা না ফুটুক এর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় তো রীতিমতো জীবনানন্দকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছেন, এমনি তার জীবনানন্দ নাম নিয়েও।
        তার বনলতা সেন ইত্যাদি চরিত্র নিয়ে কথা উঠেছে।
        কথা হচ্ছে এই ধরণের অভিযোগ কিন্তু বুদ্ধদেব বসুর বিরুদ্ধেও উঠেছে।
        জীবনানন্দের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল তার কবিতায় পরাবাস্তববাদিতা বেশি। সমাজের সাধারন মানুষের কথা নেই। তখন সমাজতন্ত্রের একটা জোয়ার ছিলো কিনা।
        সো সেটাও ভেবে দেখার মতো বিষয়।
        পরে সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্ষমাও হয়তো চেয়েছেন।
        সুভাষের কবিতা তুলে দিলাম পাঠকের জন্য

        ফুল ফুটুক না ফুটুক

        ফুল ফুটুক না ফুটুক
        আজ বসন্ত
        শান-বাঁধানো ফুটপাথে
        পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
        কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে
        হাসছে।
        ফুল ফুটুক না ফুটুক
        আজ বসন্ত।
        আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে
        তারপর খুলে -
        মৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে
        তারপর তুলে -
        যে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে
        যেন না ফেরে।
        গায়ে হলুদ দেওয়া বিকেলে
        একটা দুটো পয়সা পেলে
        যে হরবোলা ছেলেটা
        কোকিল ডাকতে ডাকতে যেত
        - তাকে ডেকে নিয়ে গেছে দিনগুলো।
        লাল কালিতে ছাপা হলদে চিঠির মত
        আকাশটাকে মাথায় নিয়ে
        এ-গলির এক কালোকুচ্ছিত আইবুড়ো মেয়ে
        রেলিঙে বুক চেপে ধ’রে
        এই সব সাত-পাঁচ ভাবছিল -
        ঠিক সেই সময়
        চোখের মাথা খেয়ে গায়ে উড়ে এসে বসল
        আ মরণ ! পোড়ারমুখ লক্ষ্মীছাড়া প্রজাপতি !
        তারপর দাড়ম করে দরজা বন্ধ হবার শব্দ।
        অন্ধকারে মুখ চাপা দিয়ে
        দড়িপাকানো সেই গাছ
        তখন ও হাসছে।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        জীবদ্দশায় তো জীবনানন্দের রূপসী বাঙলা আলোর মুখই দেখেনি, যেমনটি দেখে নি তার উপন্যাসগুলো।

        সুধীন দত্তের কবিতা কয়টি? ১৫০ টি। আর কিছু হাইনের অনুবাদ।

        ওয়েষ্টল্যান্ড, ফোর কোয়াট্রেট এর কবি এলিয়টের কবিতা কয়টি?

        বুদ্ধদেব বসু তার চটি সাইজের রাত ভ'রে বৃষ্টির জন্য আমর হয়ে থাকবেন।

        রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস কাউন্ট করলে এক শেষের কবিতা এনাফ। বাকি কিছু পড়ার দরকার আছে কি?
        অমর হবার জন্য আবু ইসহাকের সূর্য দীঘল বাড়ি একটাই যথেষ্ট।
        আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস কয়টা?
        ২টা।
        চিলেকোঠার সেপাই।
        খোয়াবনামা।

        মুল ব্যাপারটা হচ্ছে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা।
        সেটা হুমায়ুন আহমদের কতটা ছিলো তা অন্তত আমার কাছে পরিষ্কার না।

        বাট হুমায়ুন আহমেদ এর কোন ক্ষমতাই যে নেই তা নয়। তার ছোটগল্পগুলো অনেক বেশী সার্থক। তার ছোটগল্প দিয়ে বেশ কিছু নাটক-সিনেমা বানানো যায়।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  5. সৌরভ(০৬-১২)

    আমাদের কলেজে এক বাংলার স্যার ছিলেন , সালাউদ্দিন স্যার। ওনাকে একবার হুমায়ূন স্যারের কথা বলতেই উনি বলেছিলেন "ওই হুমায়ূন পাগলার কথা আমার সামনে বলবা না " :bash:
    তবে অনেকে অনেক কিছু বললেও এটা ঠিক হুমায়ূন আহমেদ একটা কাজ খুব ভালো পারতেন , সহজ ভাষায় সাবলীল লেখনী...
    রবি ঠাকুর ই তো বলে গেছিলেন, "সহজ কথা যায় না বলা সহজে "...
    তাঁর প্রথম দিকের উপন্যাস গুলো আসলেই অসাধারণ ছিল... শঙ্খনীল কারাগার পড়ে আমি কেন জানি জল ধরে রাখতে পারি নি... 🙁


    মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মুশফিকুর রহমান তুষার (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।