আফটার এণ্ড বিফোর এভরি ইভেন্ট জোকস – ১

পরোটা

ক্লাস সেভেনের ঘটনা। আমাদের ব্যাচে জামিল দুইজন। একজন র-জামিল, অন্যজন ফ-জামিল।
র-জামিল মানে রবীন্দ্র হাউসের জামিল আর ফ-জামিল মানে ফজলুল হক হাউসের জামিল। ঘটনাটা ফ-জামিলকে নিয়ে।

ডাইনিং হলে খাবার সময় কিছু চাইলে পাশের সিনিয়র ভাইদের কি বলতে হইত এটা আমাদের সবার মনে আছে। যেমন- ভাত দরকার হলে বলতাম, “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, ভাত পাস করেন”। অথবা ডাল দরকার হলে বলতাম, “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ডাল পাস করেন”।

ডাইনিং টেবিলে একপাশে বসত অল্টারনেটিভ সিনিয়র, আর অন্যপাশে ইমিডিয়েট সিনিয়র। এটাও আমাদের সবার মনে আছে। তো জামিলের একপাশে বসত অল্টারনেটিভ ব্যাচের তৌহিদ ভাই। জামিলের পারমিশন নেয়ার ধরনটা ছিল অনেকটা এইরকম- “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, ভাতটা পাস করেন” অথবা- “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, ডালটা পাস করেন”। জামিলের মুখ থেকে ভাতটা, ডালটা, কারিটা(সবজিটা), কাবাবটা- এরকম টা-জাতীয় শব্দ শুনতে শুনতে তো তৌহিদ ভাইয়ের মাথার মেজাজ গরম। তারপর উনি একদিন জামিলকে ডেকে ইচ্ছামত শান্টিং দিয়ে বুঝায় দিলেন যে ‘টা’ ইউজ করা যাবে না।

এরপর একদিন ব্রেকফাস্টে…

যথারীতি ডিউটি ক্যাডেট ঘণ্টা বাজাল, ডাইনিং হল প্রিফেক্ট ‘বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম’ বলল, ক্যাডেটরা সব খাওয়া শুরু করল। আর তখন জামিল তৌহিদ ভাইকে- “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, পরো পাস করেন”! তৌহিদ ভাই বললেন, ‘কি’? তখন জামিল আবার- “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, পরো পাস করেন”। তৌহিদ ভাই পুরো টেবিল জুড়ে খুঁজতে লাগলেন যে কোথাও পরো নামের জিনিস দিছে নাকি এটা দেখার জন্য!

যাই হোক, পরে উনি বুঝতে পারছেন আসল ঘটনা কী। এরপর এক সপ্তাহ সম্ভবত জামিলের ‘বিফোর এণ্ড আফটার এভরি ইভেন্টস’ রিপোর্ট ছিল।

৯৯৩ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “আফটার এণ্ড বিফোর এভরি ইভেন্ট জোকস – ১”

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।