বেকার

হাঁটছি আমি একলা পথে
এবড়োথেবড়ো রাস্তা জুড়ে
মানুষভর্তি এই শহরে
রোদমাখা এই ভরদুপুরে
সূর্যটার আজ কি যে হল
মানছে না তো কোন বারণ
ইচ্ছেমত জ্বলছে শুধু
জ্বালাচ্ছে-ও ইচ্ছে মতন
চারিদিকে এত আলো
পাই না তবু আলোর দেখা
এত কোলাহলের ভীড়েও
থাকে শুধু নির্জনতা
স্বপ্নগুলো আর দে না দেখা
বাড়ছে কেবল মনের অসুখ
রাখে না কেও খোঁজখবর আর
ভুলছে সব পরিচিত মুখ
এত কিছু বলে কি লাভ
বলছি শুধুই আবোল-তাবোল
শুনছে কে আর আমার কথা
কষ্টগুলো বাড়ছে কেবল
বলব কি আর মনের কথা
বলে আর কী বা হবে
পাচ্ছি না তো কাউকে বলার
বন্ধু তুমিই শোন তবে
হাঁটছি আমি একলা শুধু
ব্যাগ ভর্তি সব সার্টিফিকেট
এত খোঁজাখুঁজির পরেও
পাই নি কোন job- এর টিকেট
মেজাজটা যে বাড়ছে দিনদিন
হচ্ছি শুধুই অনুভূতিহীন
স্বপ্নগুলো সব হারাচ্ছে রং
হচ্ছে জীবন-টা অর্থহীন
মাথার ভেতর চিন্তাগুলো
ঘুরছে শুধু এদিক ওদিক
হাটছি আমি যত্রতত্র
স্বপ্ন হারায় দিগ্বিদিক
অবশেষে বাসায় এসে
ছুটি দিলাম কল্পনাকে
ভাগ্যে নেই কী আর করা
মেনে নিলাম ‘যন্ত্রণা’-কে
অনেকক্ষণ তো হল এবার
সিগ্রেট একটা খাওয়া দরকার
হাতড়ে দেখলাম টেবিলটাতে
লাল-সাদা ঐ প্যাকেট-টাতে
দিনটা আমার এতই খারাপ
নেই কিছু আর ভাগ্যটাতে
সার্টিফিকেটের ব্যাগটা ছুঁড়ে
কলম খাতা নিলাম তুলে
এলোমেলো এই গান বানালাম
অভিমান আর দুঃখ ভুলে…

“পৃথিবীতে সবচেয়ে জঘন্যতম কাজ হল ‘চাকরি খোঁজা’, দ্বিতীয় জঘন্যতম কাজ হল ‘পড়াশুনা করা’ ”- জনৈক বেকার ভাই

এই গানটা পৃথিবী-র সকল বেকার ভাইদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে dedicate করছি। ‘ভাল সময়’ কেবল তাদের জন্যই অপেক্ষা করে যারা ‘খারাপ সময়’ অতিবাহিত করে…

৭৩৮ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “বেকার”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    হা হা। ব্যাপারনাহ। বেকার হওয়ার পজিটিভ দিকগুলাও দেখ। কত আরাম করে দুপুর বেলা ঘুম থেকে উঠা যায়। কোন তাড়াহুড়া নাই কিছুতে। সর্বোপরি নিজেকে কেমন মুক্ত মুক্ত লাগে 😀
    কেন জানি আগে খেয়াল করিনাই তুই সিসিবিতে লিখিস! আজকেই প্রথম খেয়াল করলাম!
    হাতে যখন অনেক টাইম, লিখতে থাক! 😀


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    একেকদিন এমন হয় (বিশেষত কবিতার ক্ষেত্রে) যে কোন একটা লেখা তেমন টানলোনা বা বুঝলামনা। অন্যদিন সেটাই ভীষণ অন্যরকম লাগে। তোমার এই লেখাটা শুরু করে তেমনি মনে হলো। শুরুটা সত্যি রুক্ষ দুপুরে খালি পায়ে খালি পেটে একটা ব্যাগ কাঁধে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াবার অনুভূতি এনে দ্যায়। কিন্তু মাঝখান পর্যন্ত গিয়ে আর যেতে পারিনা যেন। মনে হলো, যা বলার তুমি ইতিমধ্যে বলে ফেলেছো। আর না বললেও চলতো। প্রথম ড্রাফটের পর এডিট করার কায়দাটা রপ্ত করতে হবে, নির্মমভাবে কেটে বাদ দিতে হবে।

    হয়তো খুব কাটাকাটা হয়ে গেলো আমার মন্তব্যটা। খারাপ লাগলে ক্ষমা করে দিও।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জিহাদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।