আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা

স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded

হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া, ঘোচে পেরেশানি।
তখন আসিলো বেদে, কেঁদে গায় গান
“গুরু কে?” শুধালে বলে “ফকির লালন”।
জিজ্ঞাসিলো রাজা তারে “কেন কাঁদ ভাই?”-
“পাখি কোথা গেছে উড়ে, জানি না যে, তাই”
শুনিয়া রাজায় ভাবে বেজায় ক্রোধিয়া
দেব কি শুলের অগ্রে ব্যাটা রে বাঁধিয়া ?
চারিদিকে এত পাখি করে কোলাহল
কি বলছে এই বেদে, গর্দভের দল !
বেদে ও বাঁদর কুল আত্মীয় নিশ্চয়
মহামতি ডারউইনও দিয়েছেন সায়।
এহেন ভাবনা তাঁর না হতেই শেষ
কাঁধে তুলে নিল বেদে, চোখের নিমেষ
ফেলিতেই দেখি রাজা বসা উচু দাঁড়ে,
কেমনে কী হয়ে গেল বুঝিতে না পারে।
হেন কালে এল এক বুড়ি থুড়থুড়ি
হাসিয়া ঝুলানো পায়ে দেয় সুড়সুড়ি।
কেহ তারে নাহি ছাড়ে, ভীষণ আপদ
চুল-তক নাহি নড়ে ঝোলানো দু-পদ।
‘পাখির মতন রাজা করে ঝট পট,
বেদে কানে কানে বলে — হিং টিং ছট।’
শুনিলো কি বুঝিলো না কোনো কিছু তার
নিমেষে হবুর মুখ হয়ে গেল ভার।
বেদে, বুড়ি, সবই গেল মিলায়ে সহসা
রাজার মনেতে কালো মেঘ বাধে বাসা,
একি মন্ত্র দিল কানে লালনের চেলা
অর্থ খুঁজে নাহি পাই, কেটে যায় বেলা!
গৌড়ানন্দ কবি ভনে হিং টিং ছট্‌ —
স্বপ্নমঙ্গলের কথা, শুনিতে উদ্ভট!

 

পাদটীকাঃ নীচে তথ্যসূত্র দিলাম, গৌরচন্দ্রিকা সমেত পুরো কবিতাটাই সেখানে পাবেন। কিন্তু কবিতাটি নিয়ে আমি একটু মজার খেলা খেলতে চাই। তথ্যসূত্রটি দেখার আগেই অনুমান করুন তো মুল কবিতাটা কি ছিল? এবং অন্যের কথাকে কিভাবে নিজের ভাষায় পুনর্ব্যক্ত করা যায় তার উদাহরণ হিসেবে আমার এই কবিতাটি ১০০ তে কত পাবে সেটাও উল্লেখ করবেন প্লীজ।

তথ্যসুত্রঃ
মুল প্রকাশনার লিঙ্কঃ http://wp.me/p1DL73-14

৬৯ টি মন্তব্য : “আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা”

    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      অরুপ ভাই, কলেজে জয়েন করার তিন চার দিনের মাথায় ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ১৮ ইন্টেকের শামস ভাই। তারপর থেকেই আমি ভালো হয়ে গেছিলাম :-B


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    কবিতা চিনতে পারি নাই মুজিব ভাই কিন্তু টাইটেল দেখে এক চোট হেসে পুরোটা পড়ে বিষম খাবার জোগাড়। মূল লিংকে গিয়ে মিলিয়ে দেখে মনে হচ্ছে গোল্ডেন এ প্লাস দিতেই হয়। অর্থাৎ ৯০/১০০


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      এই করতে গিয়াই তো দম সব শেষ 🙁
      নতুন দমের খোঁজে দেরাজ খুলে দেখি সেখানে আর কিছুই নেই! একটা ড্রাফট রাখসিলাম, বাল্যপ্রমের গল্প, টেরিজিডি। মেয়েটার অনেক বড় এক জমিদারবাড়িতে বিয়ে হয়ে যায়। ছেলেটা শেষমেশ মদ খেয়ে মেয়েটার শ্বশুরবাড়ির গেটের সামনে মরে পরে থাকে।
      কিন্তু ড্রাফট টা গেল কই? নিসচয়ই কোন বদ জুনিয়ার এইটা চুরি করছে! পরে নিজের বলে চালিয়ে দেবে। 😡


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      আর বইলেন না আফা! দেরাজে আটকাইয়া গেছি... মানে একটা দরকারি কাজে আটকে গেছি.. একটু ঝাড়া হাত-পা হলেই এদিকে হাজির হব। 🙁


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      থ্যাংকস লুতফুল ভাই, মাফ চেয়ে নিচ্ছি, রিদমিক এ খন্ড ত আর চন্দ্রবিদু কিভাবে লিখতে হয় তা আজও বের করতে পারিনি :frontroll:
      ভাইয়া, না মানে... আপনার ডেন্টিস্টের ঠিকানাটা একটু দেবেন? আমার কমিশনটা এখনো দিচ্ছেনা...


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
        • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

          তাইলে তো ডেন্টিস্টের কাছে কমিশন দাবী করাটা ফরজ হয়ে গেল.... 😀


          গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

          জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        প্রথমে বিদ্যু লিখবেন দেখবেন সাজেশনে বিদ্যুৎ আসবে। সেখান থেকে কেটে নিয়ে যেখানে ব্যবহার করা সেখানে বসাবেন! 😛 😛


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

          কি তামসা! বিদ্যু লিখলেই বিদ্যুৎ চলে আসে!! খবরদার, এই কথা যেন কোন পাঠান বা সর্দারজির কানে না যায়। নাহলে লোডশেডিং হলেই বিদ্যু বিদ্যু লিখে সিসিবির সব কমেন্টের ১০ জবাবের কোটা শেষ করে ফেলবে... 😛

          থ্যাংকস মোকা, সহজ একটা বুদ্ধি বালে দেবার জন্য। :thumbup:
          কিন্তু চন্দ্রবিন্দুটাকে কিভাবে বাগে আনা যায় বলোতো? ~x(


          গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

          জবাব দিন
          • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

            চঁন্দ্রঁবিঁন্দুঁরঁ রঁহঁস্যঁ উঁদঁঘাঁটঁনঁ কঁরেঁছিঁ স্যাঁরঁ।

            রিদমিকে যদি ভুল না করে থাকি বাঙলা দুটো লে আউটে ইনপুট দেয়া যায়। অভ্র ও প্রভাত। সেখান থেকে অভ্রের বদলে প্রভাত সিলেক্ট করে আপার কেইসে লিখার যেই বাটন সেটা চাপ দিলে দেখবেন বাংলার বাকি অক্ষর গুলো দেখাচ্ছে। সেখানে দেখুন নিচের সাড়ির সর্বডানে হসন্তের উপরে চন্দ্রবিন্দু দেখায়। ব্যবহার করতে সেই বাটনটি চাপ দিয়ে ধরে থাকুন বিন্দু এসে যাবে। একই ভাবে একই স্ক্রিনে সবার উপরের সাড়ির মাঝে দেখেন "উ" আছে। এর উপরে দেখেন "ৎ" দেখায়। সেখানেও "উ" বাটন চেপে ধরে রাখলে "ৎ" চলে আসবে।

            এতদিন ধরে রিদমিক ব্যবহার করি অথচ এই ছোট ট্রিকটা এতদিন ধরে ব্যবহার না করে "ৎ" কত খন্ড যে করলাম! ~x( ~x(


            \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
            অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

            জবাব দিন
            • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

              গুড ফাইন্ডিং মোকা! brilliant :thumbup:
              যাহোক, আমিও ইতিমধ্যেই একটা সমাধান পেয়ে গেছি রিদমিক এর ম্যানুয়াল এ। qq লিখলে ঁ এসে যায়, আর TH লিখলে ৎ চলে আসে। 🙂


              গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

              জবাব দিন
              • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                কম্পিউটার লাইনের লোকজনের মাঝে একটি এ্যাক্রোনিম প্রচলিত আছে RTFM যার মানে হলো রিড দ্য ফাকিং ম্যানুয়াল। বুঝতে পারছি তারা কি কারণে এই এ্যাক্রোনিমটা চালু করেছে! 🙁


                \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    মুজিব,
    শুধু মুগ্ধ বললে কম বলা হবে।
    এই কবিতাকে নিজের মত করে এত চমৎকার করে লিখে ফেলা যা তা ব্যাপার না। তুমি হাসির রাজা।
    সিরিয়াস কিছু লিখলেও যে অত্যুৎকৃষ্ট কিছু লিখবা জানি।
    তুমি জিনিয়াস মিয়া।

    জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      নুপুরদা, এবার কিন্তু সত্যি সত্যি ই লজ্জা পাবো। এইরকম ভাবে বললে আমার মত একজন বেলজ্জাহীনও লজ্জা পেতে লজ্জা করবে না :shy:


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।