প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)

এদেশে এসেছিলাম এক বছরের ভিসা নিয়ে। তবে ভিসা হাতে পাওয়ার তিন মাস পরে এদেশে আসার কারনে হাতে আর সময় ছিল মাত্র নয় মাস। এর মাঝেই চাকরী-বাকরী খোঁজা, গোধূলির জন্ম, এসব করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো। তখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, পেয়ে গেলাম আরও চার বছরের জন্য। এই চার বছর যখন শেষ হবে তখন আমাদের এদেশে অবস্থানের সময়কাল হবে চার বছর নয় মাস। হাই-স্কিলড মাইগ্রান্ট দের জন্য পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হতে হলে কমপক্ষে পাঁচ বছর এদেশে থাকতে হবে। এক তরুন নেপালী ব্যারিস্টারের পরামর্শে পাঁচ বছর শেষ হবার চার মাস আগেই অ্যাপ্লাই করলাম, এবারেও কোন ঝামেলা ছাড়াই আইএলআর পেয়ে গেলাম। এরপরে আলসেমিতে পেয়ে বসল, ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলাম যথাসময়ের চেয়ে এক বছরেরও পরে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সপরিবারে অ্যাপ্লাই করলাম, এবং এবারও কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই মার্চ মাসে পেয়ে গেলাম লেটার অব কনফার্মেশন। এখন একটা সেরিমনিতে হাজির হতে হবে। সেখানে আমাদেরই মত আরও কয়েকজন সদ্য-ব্রিটিশদের সঙ্গে একসাথে “আমি শপথ করিতেছি যে সুবোধ বালক হইয়া থাকিবো…” – এরকম কিছু কথাবার্তা বলতে হবে, তবেই মিলবে নাগরিকত্বের সনদ। চাইলে কিছু বাড়তি ফী দিয়ে প্রাইভেট সেরিমনিতেও যাওয়া যায়, যেখানে শুধু আমরাই থাকবো। বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তায়, এপ্রিলের ২২ তারিখে হাজির হলাম আমাদের জন্য নির্ধারিত প্রাইভেট সেরিমনিতে। মহান রানীর পক্ষ থেকে তাঁর একজন প্রতিনিধি বসলেন আমাদের তিনজনকে নিয়ে। কথাবার্তা, চালচলন আর আদিখ্যেতায় ভদ্রমহিলা একজন পুরোদস্তুর গোঁড়া গোরা, কঠিন কেতাদুরস্ত। সবার প্রথমেই প্রাইভেট আয়োজন বাবদ অতিরিক্ত ফী এর আদায়টা নিশ্চিত করে নিলেন। রানীর প্রতিনিধি বলে কথা! নজরানা ব্যাতিরেকে আলাপ নিষেধ। এরপরে তিনি আমাদেরকে হাসিমুখে মহামান্য রানীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানালেন। এবার এল শপথ আওড়ানোর পালা।

দুই ধরনের শপথ বাক্য লেখা কার্ড দেখিয়ে জানতে চাইলো আমাদের পছন্দ কোনটি। প্রথমটির শুরুটা এরকম – “আমি শপথ করিতেছি যে…” আর অন্যটির শুরুতে আছে “আমি ঈশ্বরের নামে শপথ করিতেছি যে…” ইত্যাদি ইত্যাদি। সেখান থেকে আমি প্রথমটি বেছে নিলাম। ঈশ্বরের নামে কসম করতে পরিষ্কার নিষেধ আছে টেন কমান্ডমেন্টে। তাছাড়া ভবিষ্যতে যদি কখনও প্রয়োজন হয় তাহলে ঈশ্বরকে না জড়িয়েই শপথ ভঙ্গ করার পথটাও খোলা রাখতে হবে বৈকি! কবিগুরুই তো বোধ হয় বলেছিলেন যে, শপথ করা হয় তা ভঙ্গ করার জন্যেই। কথায় কথায় রাজপ্রতিনিধিকেও এগুলো জানালাম। তাঁর মুখ দেখে বোঝা গেল তিনিও এতে কিছুটা মজা পেয়েছেন। ভাগ্যিস এদেশে এখন আর গোঁড়া ধার্মিকদের তেমন একটা দাপট নেই, নাহলে ততক্ষণে আমার বিরুদ্ধে দু’চারটা ব্লাশফেমী মামলা দায়ের হয়ে যেত!

যাহোক, এরপরে শপথ-টপথ পাঠ করে, উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে একাত্মতা প্রদর্শন করলাম। এখানেও আবার সেই একই যন্ত্রণা, জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইনটাই হল – গড সেভ দ্য কুইন… ! এখন খোদা-নাখাস্তা কখনও যদি রানীর কিছু হয় যায় তাহলে? রাজ প্রতিনিধি আগেই জানিয়েছিলেন যে, জাতীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে কোন বিকল্প অপশনের সুযোগ নেই। যা হোক, অবশেষে হাতে পেলাম ব্রিটিশ নাগরিকত্বের সনদ। কী তামশা! এখন আমরা দুই দেশের নাগরিক! ভানু ব্যানার্জির ভাষায় – “রাস্তা দিয়া বুক ফুলাইয়া চিৎ হইয়া হাইটা যাই” – টাইপের অবস্থা। আবার পাশাপাশি মুম্বাই তাজ হোটেলের ঘটনাও মনে পরে গেল – ব্রিটিশ আর আমেরিকান পাসপোর্ট ধারীদেরকে সেখানে খুঁজে খুঁজে খুন করা হয়েছিল। এসব কুলক্ষণে চিন্তাকে পাশে সরিয়ে রেখে ফেসবুক মারফত তাবৎ বন্ধু-বান্ধবকে শুভ সংবাদটা জানিয়ে দিলাম। আর বিপত্তিটাও বাঁধলো ঠিক তখনই।

আমার একাধিক পরিচিতজন বিভিন্ন ভাবে ঠারে-ঠুরে আমাকে শুনিয়ে দিলেন যে, বিদেশীদের পা চেটে চেটে বিদেশে বসবাস করার চেয়ে অপমানজনক আর কিছু হতে পারে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এধরনের কথাবার্তা আমাকে খুব একটা অবাক করে না, আহতও করে না। আসলে এগুলোর হাত থেকে আমি রীতিমত ভ্যাক্সিনেটেড। ছাত্র জীবনে আমি ক্যাডেট কলেজে পড়েছি – এটা জানার সাথে সাথেই অনেক সদ্য-পরিচিত চাচা-খালাদেরকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে দেড়শ’ একটা বাজে মন্তব্য করতে দেখেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, কোন না কোন সময়ে তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই কোন না কোন সন্তান অথবা খুবই ঘনিষ্ঠ কেউ ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে ব্যর্থ হয়েছে, অথবা তাঁদের পরিচিতদের মধ্যে দেখতে পারেন না এমন কারো সন্তান ক্যাডেট কলেজে পড়ছে! আবার, প্রথম যখন খুলনা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতা ছেড়ে ঢাকায় ইষ্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করেছিলাম, তখনও অনেককে এরকম অনেক কথা বলতে শুনেছি। আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগের সমাজে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিয়ে মানুষের মনে নানা রকম গোপন দুর্ভাবনা কাজ করত। পরবর্তীতে সে সকল বিদ্বজনের অনেককেই আবার বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ফুল-টাইম কিংবা পার্ট-টাইম ক্লাস নেবার জন্য হন্যে হয়ে ছুটতে দেখেছি। এখন আমার এই বিদেশে এসে থিতু হওয়া নিয়েও পাঁচ কথা শুনতে হবে – এতে আর অবাক হবার কী আছে?

তাছাড়া দেশে থাকতেও আমি কোন নবাব-জমিদারের জীবন যাপন করিনি। লাইন ধরে উঠেছি বাসে, লিফটে, সিনেমা হলে, কিংবা ক্রিকেট দেখতে স্টেডিয়ামে। ট্যাক্স ফাঁকি দেইনি, তহবিল তছরুপ করিনি। প্রোমোশন আর বেতন বৃদ্ধির জন্য ব্যাকডোরের সুলুক সন্ধান না করে  ছাত্র পড়ানো আর গবেষণার উপরে আস্থাশীল থেকেছি। ‘নেতা আসবেন তাই রাস্তা বন্ধ’ – দেখে কোন গাঁইগুঁই না করে সুবোধ ছেলের মত রিক্সা থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে বাসায় গিয়েছি। কোন উচ্চমার্গীয় উন্নাসিকতা না দেখিয়েই, পাড়ার মাস্তান “জনপ্রতিনিধির” কার্যালয়ে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটের জন্য সবিনয়ে যথাযথ ফরমে আবেদন করে বসে থেকেছি। মামা খালু নয়, বরাবরই যোগ্যতা অভিজ্ঞতা আর প্রাক্তন কর্মস্থলের রেফারেন্সের জোরে টুকটাক কাজ-কাম জুটিয়েছি, মাস শেষে পাওয়া বেতন দিয়েই দিন গুজরান করেছি। এখন এই পরবাসে এসেও আমার জীবনাচরণে বিরাট কোন পরিবর্তন না এনেই উপরওয়ালার দয়ায় দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছি। তখনও কোন বিশাল পালোয়ান কিসিমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিলাম না, এখনও নই, বরাবরই এক মামুলী প্রাকৃতজন। এখন, এগুলো যদি ‘পা-চাটা’ হয় তাহলে এতেই আমি অভ্যস্ত, সব জায়গাতেই, সব সময়েই। দেশেও চেটেছি, এখানেও চাটছি। বরং এখানেই কিছুটা কম চাটতে হচ্ছে!

তবে সবচেয়ে বড় খোঁচাটা এসেছিল আমার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অনুজ প্রতিমের কাছ থেকে। ভদ্রলোক নিজেও অনেক আগে থেকেই প্রবাসী, তবে এখন তিনি পুরোদস্তুর ভাববাদী। সিটিজেনশিপ সেরিমনির কয়েকটা ছবি দিয়ে আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এর অব্যবহিত পরেই সরাসরি আমার নাম উল্লেখ না করে তিনি ফেসবুক মারফৎ সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে, এক সময়ে তিনিও এইসব ইমিগ্রেশন-সিটিজেনশিপ, ইত্যাকার বিষয়াদি নিয়ে অনেক আগ্রহী ছিলেন, এগুলোর পেছনে অনেক ছোটা-ছুটি করে অবশেষে প্রবাসে থিতু হয়েছেন। কিন্ত এখন তাঁর মনে হচ্ছে এসব করে অন্য দেশের ইমিগ্রেশন পাওয়া যায়, কিন্তু এতে পরকালের ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাবে কি? বড়ই কঠিন মারফতি প্রশ্ন। একটু ভয়ই পেয়ে গেলাম! এহেন ভাববাদী মানুষ যখন এমনটি বলছেন, তখন ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই উদ্বেগ বেশিদিন স্থায়ী হল না। তাঁকে যখন মাঝে মধ্যেই ফুটবল, ক্রিকেট, কিংবা বাংলাদেশের ও বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে ব্যাপক গবেষণায় লিপ্ত হতে দেখি তখন আমি আশ্বস্ত হই। মনে মনে ভাবি – এহেন ভাববাদী মানুষ যদি এসব ব্যাপারে এতটা উৎসাহী হতে পারেন, তাহলে আমি মনে হয় বিলেতে স্থায়ী হবার আগ্রহ দেখিয়ে খুব বড় কোন কবিরা গুনাহ করে ফেলিনি।

যা হোক, এগুলোকে গায়ে না লাগিয়ে ঝেড়ে ফেলাই উত্তম। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, যতজন মানুষ এই ধরনের নেতিবাচক মনভাব প্রকাশ করেছেন, তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী মানুষেরা আমাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, আমাদের আনন্দে ভাগ বসিয়েছেন। তাঁদের সেই অভিনন্দন-ভালোবাসা-আনন্দ কে সারাজীবন বয়ে বেড়াতেই আমার অনেক বেশী আগ্রহ। উপরওয়ালা সবার মঙ্গল করুক।

১,৪৫২ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)”

    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      থ্যাংকস মাহমুদ। আমি সাদাচোখে দেখা আমার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করে যাচ্ছি মাত্র। তোমার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। 🙂 🙂


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)
    তাছাড়া ভবিষ্যতে যদি কখনও প্রয়োজন হয় তাহলে ঈশ্বরকে না জড়িয়েই শপথ ভঙ্গ করার পথটাও খোলা রাখতে হবে বৈকি!

    :khekz: :khekz:

    "দেশে আছি বইলা আমার পিরিতি বেশী" এই নমুনার লোকজন দেখতে ভালো লাগে। আবার মনে করেন দেশে ফেরত আইসা পড়সি, এখন কয়, "ওমা দেশে আইলা কি মনে করতে? পাগল নাকি?" ;)) ;))


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)
      "দেশে আছি বইলা আমার পিরিতি বেশী" এই নমুনার লোকজন দেখতে ভালো লাগে। আবার মনে করেন দেশে ফেরত আইসা পড়সি, এখন কয়, "ওমা দেশে আইলা কি মনে করতে? পাগল নাকি?"

      মনের গহীনে থাকা কথাগুলো এইরকম সুন্দর ভাবে বলা... যা আমি দুই প্যারা জুড়ে প্যাঁচাল পেরেও পুরোপুরি ঠিকমত বলতে পারলাম না, সেটা তুমি জাষ্ট একটা বাক্যেই ঝেড়ে দিলে? .... মোকাব্বির, ক্যামনে পারো ম্যান? ... :boss: :boss: :boss:


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আসলেই তো, কে কি বললো, কি আসে যায় তাতে।
    তোমার জীবনটা তোমারই। সেটা তোমার মনমত হলে কে কি নেতিবাচক কথা বললো, তাতে কিছুই আসে যায় না।
    আর হ্যাঁ, তোমার পছন্দ কে যারা পছন্দ করতে পারে না, বন্ধু হিসাবে তাঁরা কেমন, আমি নিশ্চিত না।

    বাই দ্যা ওয়ে, নতুন নাগরিকত্ব নিয়ে তোমার একদিকে উচ্ছাস আবার অন্যদিকে কৌতুক করাটা বেশ এনজয় বলাম।
    😀 :)) 😀 :))


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পারভেজ ভাই।
      আসলে আমি এখানে বন্ধু বলতে ফেসবুক-ফ্রেন্ডদেরকে বুঝিয়েছি, তাঁদের অনেকেই সেভাবে আমার বান্ধব-স্বজন নয়।
      যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাবার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়নি, তাই বেশ ফুরফুরে মেজাজেই এটাকে গ্রহণ করতে পেরেছি। অন্যথায় ব্যাপারটা আমার জন্য এত কৌতুককর হত না।
      ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাবার সুবাদে একটা লাল পাসপোর্ট পেয়েছি, এছাড়া আর তেমন বিরাট কোনো সুবিধা নতুন করে পেয়েছি বলে মনে হয় না। ব্যাপারটা নিয়ে বরাবরই আমি টুকটাক কৌতুক করে আসছি। যেমন, প্রায়শই আমি বলে থাকি যে, "স্কিল আর পারফরমেন্স ছাড়া এখন আর কোন বাধা নেই যা ইংলিশদের হয়ে আমার টেস্ট ক্রিকেট খেলা আটকায়!" 😛 😛 😛 ... কিংবা "ফুটবলে ইংলিশ টিমকে সাপোর্ট করা এখন আমার প্যাট্রিওটিসমের অঙ্গ" ... :-/ :-/ :-/ ইত্যাদি ইত্যাদি ...


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।