ক্রিকেট জোকস

শোনা গল্প: ব্রাডম্যান তখন তরুণ, ইংল্যান্ড সফরে এসে একের পর এক সেঞ্চুরি মারছেন। ইংল্যান্ডে তখন গ্রীষ্মকাল, আর অস্ট্রেলিয়ায় শীতকাল। টেলিগ্রাফের মাধ্যমে খেলার রেগুলার আপডেট পৌঁছে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে। ব্রাডম্যানের দাদী নাকি সে খবর পেয়ে বলেছিলেন, “আহা ছেলেটা এই ঠাণ্ডার মধ্যে রাতের বেলাতেই এত এত রান করে ফেলল, খেলাটা দিনের বেলায় হলে না জানি আরও কত রান করে ফেলতো!”

বানানো গল্প: বাসায় টিভিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের চট্টগ্রাম টেস্ট (নভেম্বর ২০১৪) লাইভ দেখছি। সাথে আমার এক সর্দারজি বন্ধুও আছেন। ব্যাট করছেন মমিনুল। এক পেস বোলারের একটি বল দড়াম করে আঘাত করল মমিনুলের বক্সে! এলবিডাব্লিউ এর আবেদন, আম্পায়ারের না, শেষমেশ রিভিউ এর আবেদন। থার্ড আম্পায়ার বার বার রিপ্লে দেখছে, বার বার বল গিয়ে মমিনুলকে আঘাত করছে। গোটা দশেক রিপ্লে দেখার পরে আর থাকতে না পেরে সর্দারজি হাহাকার করে উঠে বললেন, “ঠিক এই কারণেই ইন্ডিয়ানরা এই ডিআরএসের ঘোর বিরোধী! হুহ্‌, আমরা কি এতই বোকা? আম্পায়ার বলেছে ‘না’, তার মানে – ‘না’, ব্যাস কেস ডিসমিসড। তা না করে এতক্ষণ ধরে রিভিউ চলছে। একবার কি কেউ ভেবে দেখেছে, শচীন পাজির বক্সে যদি এতবার করে বল মারা হত তাহলে কি সে আর বেঁচে থাকতো? আর তোমাদের এই মমিনুলটা কিভাবে পারছে কে জানে!!!”

১,৫৪৭ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “ক্রিকেট জোকস”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    জোকটা ধরতে একটু টাইম লাগছিলো! হাহাহাহাহাহাহাহাহা মজা পাইসি। ৯৯ বিশ্বকাপের সময় কিভাবে জানি একটা বুকলেট পেয়েছিলাম। মজার মজার সব জোক ছিল ইংরেজীতে। সবে পড়ি ক্লাস এইটে। অনেক কষ্ট করে জোক গুলো বুঝতে হয়েছিল। আপাতত শুধু একটা জোকই মনে আছে।

    (১) টেস্ট খেলা হচ্ছে। লাঞ্চ ব্রেকে ব্যাট্সম্যান প্রচুর মদ পান করলেন। করে সব কিছু তিনটে দেখা শুরু করলেন। এদিকে নামার সময় হয়ে যাচ্ছে। কোচকে বলতেই কোচ বললেন, "যেই তিনটে বল ছুটে আসবে তার মাঝের বলটি মারতে হবে।" উনি ব্যাটিং এ গেলেন সাথে সাথে বোল্ড হয়ে ফেরত আসলেন। কোচ জিজ্ঞাস করলো কি ব্যাপার বললাম না মাঝের বলটি মারতে হবে? ব্যাটসম্যানের উত্তরঃ "মাঝের বলটিই মেরেছিলাম কিন্তু মেরেছি ডানের ব্যাট দিয়ে।"

    এটি সম্ভবত সত্য ঘটনাঃ

    (২) Rodney Marsh (Australia) to Ian Botham (England) in an Ashes match: “So how’s your wife and my kids?” Ian Botham’s reply – “The wife’s fine. The kids are retarded!


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।