ইট হ্যাপেন্‌ড ওয়ান নাইট

এই ২৫শে জুলাই ড়্যান্ডি পাউশ মারা গেলেন। জীবনে তার অর্জন কম ছিল না। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে যা করে গেলেন তাই তাকে চির স্মরণীয় করে রাখবে। না, তিনি কোন যুগান্তকারী আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করে যাননি। মৃত্যুর আগে তিনি কেবল একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, একটি পাবলিক বক্তৃতা। তার বক্তৃতার বিষয় ছিল, “Really Achieving Your Childhood Dreams“। সত্যিই পাগল করে দেয়ার মতো ভাষণ। কেউ আবার ভাববেন না, ক্যান্সারে আক্রান্ত এক মুমূর্ষু ব্যক্তির বক্তৃতা বলে আমি অতিরঞ্জিত করছি। ব্যাপারটা মোটেও সেরকম না। আর ৬ মাসের মধ্যে যার মৃত্যু হবে সেও কথা বলে কয়েক শ মানুষকে হাসাতে পারে সেটা আমার জানা ছিল না। এজন্যই এতো বিস্মিত হয়েছিলাম। বিস্ময়ের আরেকটা কারণও অবশ্য ছিল। সেটা হল বক্তৃতার বিষয়বস্তু। বক্তৃতা নিয়ে লেখার কোন ইচ্ছা আমার নেই। আমি ঐ বিষয়বস্তু নিয়ে আলাপ শুরু করে, এক রাত্রের একটা ছোট্ট কাহিনী লিখেই শেষ করবো। তার আগে দর্শনেচ্ছুদের একটু উপকার করি:
যাদের নেটের স্পিড ভালো তারা সরাসরি দেখে ফেলেন এই লিংকে গিয়ে
যাদের নেটের স্পিড খ্রাপ তারা ডাউনলোড করে ফেলেন এই লিংকে গিয়ে

ছোটবেলায় অন্য সবার মতো আমিও অনেক স্বপ্ন দেখতাম। গ্রামে থাকলে ভালো নিশিস্বপ্ন দেখার চিন্তাও করা যায় না। কারণ, গ্রামে গাছগাছালি, পোকামাকড়, পাখপাখালি আর বাতাসের যৌথ প্রযোজনায় রাতের বেলা যে অশরীরি শব্দ আর আবহের সৃষ্টি হয় তা সব স্বপ্নের ঘোর কাটিয়ে দেয়। তারপরও স্বপ্ন দেখা যায়, কিন্তু সেগুলো মনে রাখার মতো না। যতদূর মনে পড়ে গ্রামে থাকতে একটা ভালো স্বপ্নই দেখেছিলাম। আমার এক চাচাতো ভাই চাচার সাথে ঢাকার চিড়িয়াখানা দর্শনে গিয়েছিলো। সে এসে গল্প করলো। তাই শুনে আমি রাতে চিড়িয়াখানার পশুপাখি স্বপ্নে দেখলাম। আর কোন ভালো নিশিস্বপ্নের কথা মনে পড়ে না।

তবে দিবাস্বপ্নের কোন কমতি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের অন্য সব ছেলেপুলের ক্ষেত্রে যা হয় আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো। দিবাস্বপ্নের কোনটিই বাস্তবে রূপ নিল না। ময়মনসিংহ শহরে এসে স্কুলে ভর্তি হওয়া বা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়া কোনটাই আমার স্বপ্নের মধ্যে ছিল না। আমি তো স্বপ্ন দেখতাম, নদীতে ভেসে যাওয়া একশটা কলাগাছ একসাথে জড়ো করে ফেলার, কলাগাছের সাহায্যে সাতরে সাতরে অনেক দূরে কোথাও চলে যাওয়ার, ডিঙি নৌকায় চড়ে পাথার (পিচ্চি টাইপ ঝর্ণাবিশিষ্ট একটা পাথুরে জায়গা) দেখতে যাওয়ার। তাই স্বপ্নকে পাশ কাটিয়েই সময় কাটতে লাগলো। ক্যাডেট কলেজে গিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখাই বন্ধ করে দিলাম। কারণ কলেজে আমার মটো ছিল, কোন ঝামেলার মধ্যে যাওয়ার দরকার নাই, সবাই যেদিকে যায় সেদিকেই যাও। এভাবেই কলেজের নির্ঝঞ্জাট পাঁচটি বছর কেটে গেল।

ক্লাস টুয়েলভে উঠে তো কিছু দিবাস্বপ্ন দেখতে হয়। কারণ তখন ইন্টারের পর কোথাও ভর্তি হওয়ার চিন্তা চলে আসে। ছোটবেলায় খালারা আমাকে দিয়ে বলিয়ে নিতো, বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবো। সেই কারণেই কিনা জানি না ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি একটা মোহ ছিল, অন্য সবার যেমন থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং আসলেই তো বুয়েটের কথা চলে আসে। কিন্তু সিনিয়র ভাইদের স্ট্যাটিস্টিক্স ঘেঁটে হতাশ হলাম। দেখলাম বুয়েটে যারা চান্স পায় তাদের সবাই কলেজে ১ থেকে ২০ এর মধ্যে থাকে। অগত্যা আশা ছেড়ে দিলাম। মেডিকেলের দিকে ঝুঁকলাম। কিন্তু ২ মাস কোচিং করার পর সেই আশাও ছাড়তে হলো। বুঝতে পারলাম, এতো পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না। অবশেষে ইন্টারের রেজাল্ট দিলো। কিভাবে কিভাবে যেন ইংরেজিতে প্লাস এসে গেলো। চোখ বন্ধ করে আইইউটি-তে চলে এলাম। কোন কিছুই পরিকল্পনা মতো হয়নি।

কিন্তু ভার্সিটিতে এসে লক্ষ্য করছি, কিছু দিবাস্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। আসলে নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শুরু করলেই এটা সম্ভব। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এই আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ অনেক দেরীতে পায়। এজন্যই মন মত কিছু করে উঠতে পারে না। আমার প্রথম দিবাস্বপ্ন বাস্তবায়নের সাথে জড়িয়ে আছে “বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন”। কলেজে ক্লাস টেনে থাকতে মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা “মহাকাশ বার্তা“-র একটা সংখ্যা হাতে এসেছিলো। পড়ে এতোই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছিলাম, জীবনে কোনদিন ঢাকা যেতে পারলে এই এসোসিয়েশনের অফিস খুঁজে বের করবো। ভার্সিটিতে এসে এই কাজটাই কর ফেললাম। এসোসিয়েশনের সদস্য হলাম। জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে আমার সম্পৃক্ততা শুরু হল। একসময় বুঝতে পারলাম, জ্যোতির্বিজ্ঞানই আমার ভবিষ্যৎ, এটাই আমার একমাত্র দিবাস্বপ্ন। আমার জীবনে এখন একটাই লক্ষ্য, “বড় হয়ে রেডিও অ্যাস্ট্রোনমার হওয়া”।

এখন সবকিছু প্ল্যানমতই চলছে। স্বপ্নের সাথে বাস্তবের অনেক মিলই পাচ্ছি। ড়্যান্ডি পাউশের বক্তৃতার মর্ম কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। মানুষ বোধহয় জীবনে দুই রকমের স্বপ্ন দেখে: একটা অবাস্তব স্বপ্ন আরেকটা বাস্তব স্বপ্ন। ড়্যান্ডি পাউশ জীবনে কোন অবাস্তব স্বপ্ন দেখেননি। এজন্যই তিনি ছোটবেলার সব স্বপ্ন বাস্তবায়নের দাবী করতে পেরেছেন। আমিও তাই এখন কিছু দাবী করতে পারি।
স্বাপ্নিক জীবনের একটা ঘটনাই দিয়েই কথা শেষ করবো। বিশেষভাবে এই ঘটনা বেছে নেয়ার কারণ স্বভাবতই ক্যাডেটপ্রীতি। মহাকাশ বার্তার সাথে সম্পৃক্ত হতে গিয়ে কয়েকজন ক্যাডেটের সাক্ষাৎ পেলাম। জগৎ বড়ই জটিল, কিন্তু সবকিছু আবার জালের মতো বোনা। নইলে আমি যেখানেই যাই সেখানেই ক্যাডেটের সন্ধান পাই কেন?

এক রাতের কথা। মহাকাশ বার্তা পত্রিকার লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের পুনর্মিলনী ছিল শুক্রাবাদের এক রেস্টুরেন্টে। আমি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের নিয়মিত সদস্যদের মধ্যে মোস্ট জুনিয়র। এখানেও ক্যাডেটের নিয়ম খাটে। আমাকেই সবচেয়ে বেশী কাজ করতে হয়। তাই যথারীতি সবার আগে গিয়ে উপস্থিত হলাম। ক্যাডেট গেঞ্জিটাই পরে গিয়েছিলাম। ক্যাডেট ফিলিংসের পাশাপাশি এর আরেকটা কারণও আছে, আমার আসলে ক্যাডেট আর আইইউটি-র গেঞ্জি ছাড়া পরার মতো আর কিছু নাই। শেষ কবে কাপড় কিনতে দোকানে গিয়েছি মনে নেই।

যাহোক কাজের কথায় আসি। রিইউনিয়নের প্রথম থেকেই একটু বিব্রত বোধ ছিলাম। কারণ এসোসিয়েশনের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমি এর আগে কোন কমিউনিটি কাজ কারবারে অংশ নেইনি। তেমন কাউকেই চিনি না। এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশহুরুল আমিনকেই (মিলন ভাই) কেবল ভালো করে চিনি। আর সবাইকে শুধু নাম দিয়ে চেনা। গিয়ে দেখি আম জনতা তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে। সুস্পষ্ট কোন বিভাজন না। আসলে তিন বয়সের তিন গ্রুপ। নিজ বয়সের গ্রুপের মধ্যে কথাবার্তা বেশী হওয়াটাই স্বাভাবিক। বৃদ্ধের দল এক গ্রুপ, মিলন ভাইদের সমবয়সীদের এক গ্রুপ, আর ঢাকা ভার্সিটির মাস্টার্স ও অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টদের এক গ্রুপ। আমি একদম একা। কথা বলার কেউ নাই। আর এমনিতেই আমি নিজে থেকে কারও সাথে কথা বলা শুরু করতে পারি না।

এই অবস্থায়ই অনুষ্ঠান শুরু হল। মিলন ভাই মহাকাশ বার্তার শুরুর কথা বলা শুরু করলেন। একটু পরে আরও দুইজন আসলেন। মিলন ভাই তাদের একজনকে “মিজানুর রহমান শাওন” বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আগে থেকেই নাম জানি। মহাকাশ বার্তা পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেছিলেন চার বন্ধু মিলে, ১৯৮৬ সালে। তাদের একজন এই শাওন ভাই। তারা প্রথম সংখ্যাটা ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেছিলেন। শাওন ভাই একটু আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির, কথাবার্তা খুব একটা বলেন না। নিজের ডিটেল্‌স পরিচয় না দেয়ায় মিলন ভাই নিজেই শুরু করলেন। আর তখনই আমি তার আসল পরিচয়টা জানতে পারলাম। শাওন ভাই বরিশাল ক্যাডেট কলেজের এক্স-ক্যাডেট। ১৯৮৪ – ১৯৯০ পর্যন্ত কলেজে ছিলেন। আর পায় কে। অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া-দাওয়া হল। পুরোটা সময় আমি কাঁচুমাচু হয়ে বসে রইলাম, ভাব দেখানোর চেষ্টা করলাম গুরুত্বপূর্ণ কিছু চিন্তা করছি। খাওয়া শেষ হতেই শাওন ভাইয়ের সাথে পরিচিত হলাম। ক্যাডেট-ক্যাডেট দেখা হলে কি কথা হতে পারে সেটা তো সবাই বুঝতেই পারছেন। সত্যি বলতে, শাওন ভাই থাকার কারণেই সবার মধ্যেও নিজেকে খুব একটা একা মনে হচ্ছিল না।

সব শেষে জিনিসপত্র ব্যাগে ঢুকাচ্ছি এমন সময় পেছন থেকে একজন ডাক দিলেন। ইনার নাম “আরশাদ মোমেন”, ঢাকা ভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। এই পরিচয়টুকু আগেই পেয়েছি। কিন্তু তিনি যখন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন “কোন কলেজ?” তখন আর বুঝতে বাকি রইল না যে ইনিও ক্যাডেট। কারণ, আমার গেঞ্জির পেছনে ক্যাডেট লেখা দেখেই উনি ডাক দিয়েছেন। সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হল। আমি মির্জাপুরের জানতে পেরে উনি পরিচয় দিলেন, ফৌজদারহাটের এক্স-ক্যাডেট। কোন ব্যাচ সেটা অবশ্য জানা হয়নি।

বাংলাদেশে শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার শুরুতেও একজন ক্যাডেট ছিলেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে শাওন ভাইদের অবদানটা আসলেই অতুলনীয় ছিল। আরশাদ মোমেন ভাইকে তো বাংলাদেশে বিশ্বতত্ত্ব (cosmology) চর্চার অগ্রদূত বলা যায়। ভার্সিটিতে কণা পদার্থবিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিতই বিশ্বতত্ত্ব চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই রাত থেকে নিজেকে আর অপাংক্তেয় মনে হয় না। সাহস করেই নিজের একমাত্র দিবাস্বপ্নটি বাস্তবায়নের আশা করতে পারি। আরও বাস্তবসম্মতভাবে রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি।

*****

ডিসক্লেইমার: শিরোনামটা ফ্রাংক কাপরার অতি বিখ্যাত অতি মজাদার স্ক্রুবল কমেডি সিনেমা It Happened One Night থেকে মারা।

৮২ টি মন্তব্য : “ইট হ্যাপেন্‌ড ওয়ান নাইট”

  1. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    বড়ই সুন্দর লেখা। বেশ কিছু লাইন খুবি মুগ্ধ করলো। আলাদা ভাবে আর উল্লেখ করলাম না। তোর পার্ট বাইড়া যাইতারে।
    ড়্যান্ডি পাউশ ব্যাটা মরে গেছে। ভিডিওটা দেখছিলাম মনে আছে। কিন্তু উনি তো এই কিছুদিন আগে না...
    স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিস, শুভকামনা। আমি এখনো কোন ফিক্সড স্বপ্ন নির্ধারণ করতে পারি নাই। তবে ঠিক করছি ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে থাকুম না।

    জবাব দিন
  2. তারেক (৯৪ - ০০)

    খুব ভাল লাগলো লেখাটা। লেখার গুণেই ভাবছি ভিডিওটা দেখবো আজ, বেশ আয়োজন করে বসে টসে।
    আরশাদ মোনেম স্যার এক্সক্যাডেট! এতদিন ধরে ক্লাশ করেও এটা জানতাম না! খুব পছন্দের স্যার আমাদের, এইবার আরও মজা লাগলো, মুহাম্মদকে ধন্যবাদ।


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      ওহ্‌। স্যারের নাম কি আরশাদ মোনেম? আসলে আমি তো মুখে মুখে নাম শুনেছি তাই মোনেম শব্দটা মোমেন হয়ে গেছে। ঠিক করে দিচ্ছি।
      লেখাটা দেয়ার সময় আপনার কথাই ভাবছিলাম। নিশ্চিত ছিলাম, আপনি স্যারকে চেনেন। মিলে গেল।
      অনুষ্ঠানে উনার কথা শুনেই বুঝেছি খুব ভালো ক্লাস নেন। উনি একটা প্রস্তাব রেখেছিলেন: বাংলাদেশের টপ কয়েকটা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর অন্তত একটা হলেও চেয়ার থাকা প্রয়োজন। কারণ এই সেক্টরে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছি।

      জবাব দিন
  3. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    এত কিছু কি কভাবে লেখ??????
    তোমাদের নিয়া আর পারিনা...।
    বারবার আমার না পারার জ্বালাটা বাড়িয়ে দিয়ে যাও তোমরা...।

    যাহোক, চালিয়ে যাও। জ্বলতে থাকলেও লেখা ঠিক ই পড়ে নেব...। 😉

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ভীষণ ভালো লেগেছে তোমার সরল উচ্চারণ। স্বপ্ন তোমার সফল হোক। :salute:

    আরশাদ কি ফৌজদারহাটের ২৬ ব্যাচের সেই পিচ্চিটা। দারুণ মেধাবী ছেলে। আমার ছোটভাইয়ের ব্যাচের। দেখি কাল নিশ্চিত হবো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদরে আসলেই হিংসা হয়, যখন থেইকা ওর লেখাগুলা পড়তেছি, তখন থেইকাই 🙂

    এই পোলাডা এতো জানে কেনো? অরে আমার হিংসা অয়। :grr: :grr:

    স্বপ্ন সত্যি হউক।

    কামরুলের কথাডাই মনের কথা :boss:

    আর অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন, মহাকাশ বার্তার গল্পগুলো পড়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়লো। ভার্সিটি লাইফে বেশ কয়েক সংখ্যা মহাকাশ বার্তা প্যাকেটে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে ডিস্ট্রিবিউশন করার মজার কাহিনিগুলো, কিংবা একটা ক্রস কান্ট্রি হাইকিংএ মিলন ভাইয়ের সবসময়ের উৎসাহ,সেই হাইকিংএর শেষদিন তার স্বয়ং যোগদেয়ার কাহিনি....।ভালো লিখতে পারলে স্মৃতিগুলো হ্যতো লিখে ফেলতে পারতাম :((
    যাহোক, পরে দুজন এক্স ক্যাডেটের কথা জেনে বেশ দারুন লাগলো। আর নামটা বোধহয় আরশাদ মোমেনই হবে। সানাউল্লাহ ভাই কিংবা তারেক সঠিকটা জানবে মনে হয়।
    এনিওয়েজ, সমসাময়িক ধারায় মুহাম্মদরে এরকম একটা লেখার জন্য :salute:

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      হ্যা ওমর ভাই, আরশাদ মোমেন স্যার আপনার কথা বলেছিলেন।
      যখন শুনলেন্আমি মির্জাপুরের তখনই জিজ্ঞেস করলেন,
      - ওমরকে চেন না?
      আমার তো না চেনার প্রশ্নই উঠে না। এই প্রেক্ষিতে আরও কথা হলো। আপনার লিন্ডাউ যাওয়া নিয়েও একটু কথা হয়েছিল। স্যার আসলেই বস। উনার ১০ মিনিটের কথা শুনেই বুঝেছি। আপনাদের ডিপার্টমেন্টের ৪-৫ জন স্টুডেন্টও এসেছিলো সেদিন।
      মোমেন স্যার কথার মাঝখানে তার এক ছাত্রীকেই জিজ্ঞেস করলেন,
      - তুমি থিসিস করছো কোন সাবজেক্টে?
      উনি জবাব দিলেন
      - সলিড স্টেট ফিজিক্সে।
      তারপরই মোমেন স্যার দেশের বর্তমান পরিস্থিতিটা বুঝিয়ে বললেন। একজনের সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু জ্যোতির্বিজ্ঞান আর বিশ্বতত্ত্ব। অথচ সে থিসিস করছে সলিড স্টেট ফিজিক্সে। এ প্রেক্ষিতেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর আলাদা চেয়ার করার কথা বলেছিলেন।

      জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    সবখানে খালি ক্যাডেট আর ক্যাডেট, ধুর ভাল্লাগে না।

    এই বার স্বপ্ন দেখছি গরু ছাগলের খামার করবো। বিরাট গরু ছাগলের খামার।

    মুহম্মদ, তোমার পাট নেয়া লেখার জন্য :salute:

    পাউশের লেকচারটা ডাউনলোড করে রাখছি অনেকদিন, দেখাই হয় না, মনে করাই দিলা আবার।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. আপনার অনেক অনেক অনেক প্রশংসা শুনেছি আহমেদের(সিসিসি
    )কাছে। লেখাটা পড়ে মনে হল কোথাও একটুও বাড়িয়ে বলেনি ও।
    এমন স্বপ্ন দেখার সাহস সবার থাকে না,আমি তো ভাবতেই ভয় পাই।
    সব সব স্বপ্ন সত্য হোক,অনেক শুভ কাম্না রইল

    জবাব দিন
  8. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    আমি বরং এপিজি আবুল কালামের একটা বাণী বলি,সম্ভবতঃ এরকম(উইংস অফ ফায়ার বই থেকে)-
    "আমার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যা দেখি তা স্বপ্ন নয়। যা আমাদের ঘুম নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে সেটাই আমাদের স্বপ্ন।"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।