দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – শেষ পর্ব

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব

সিনেমার ভবিষ্যৎ কি একই সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নয়নের উপর নির্ভর করে না?

আমার মনে হয় না। মাঝেমাঝে তো মনে হয়, আমার দেশে যখন সামাজিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল তখনই শিল্প সবচেয়ে বেশী এগিয়েছে। শিল্প বোধহয় সমাজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে কাজ করে। শিল্পীরাই পরিবেশের প্রতিকূলতাকে প্রতিহত করে।

ইরানী সিনেমায় একটি প্রচলিত ধারণা হচ্ছে: শিল্প সবার জন্য; আমি মনে করি এটা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও গণতান্ত্রিক। কিন্তু আমার মতে, মাঝেমাঝে কিছু পরিচালক সবকিছু এত সাধারণভাবে তুলে ধরেন যে, মনে হয় শিল্প জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিফলন।

হ্যাঁ, জীবনের হুবহু অনুকরণকে শিল্প বলা যাবে না। গোদারের একটা উক্তি আছে, জীবন একটা সিনেমা যা সুনির্মীত নয়। সিনেমা বানাতে হলে আপনাকে অবশ্যই সবকিছু ভালোভাবে করতে হবে, সেটা সম্পাদনা করতে হবে, কিছু বিষয় পছন্দ করতে হবে, আর কিছু বিষয় ছেঁটে ফেলতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সিনেমার অত্যাবশ্যক সত্যটা সৃষ্টি করতে হবে, বাস্তবেই যা আছে তা হুবহু দেখিয়ে দিলে চলবে না।

ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতিতে প্রচুর আবহ সঙ্গীত ব্যবহার করা হয় যা আপনার সিনেমায় অনুপস্থিত। এ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

সঙ্গীত নিজেই একটি পরিপূর্ণ শিল্প। এটা খুব শক্তিশালী ও চিত্তাকর্ষক। আমার সিনেমায় কখনোই সঙ্গীতের সাথে প্রতিযোগিতা করার সাহস করিনি। সে ধরণের কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভবও না। কারণ সঙ্গীত আবেগকে উস্কে দেয়, আর আমি আমার দর্শকদের উপর এই নৈসর্গ্যিক বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না। সঙ্গীত দর্শকের আবেগের উপর কাজ করে, তাদেরকে উত্তেজিত বা বিষণ্ণ করে, এবং তাদেরকে নিয়ে এক আবেগী রোলার-কোস্টারে চেপে বসে। সঙ্গীতের উত্থান-পতনগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে দর্শকরাও রোলার-কোস্টারে ভ্রমণ করতে থাকে। আমি আমার দর্শকদের এতটাই শ্রদ্ধা করি যে, তাদের সাথে এহেন আচরণ করার কথা ভাবতে পারি না।

আবহ সঙ্গীতের ব্যবহারে সাধারণ ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্রকারদের সাথে আপনার এই পার্থক্য প্রসঙ্গে কি জাতীয় চলচ্চিত্রের নাম করা যায়? নাকি সিনেমা এতই আন্তর্জাতিক হয়ে গেছে যে এ যুগে জাতীয় চলচ্চিত্রের ধারণা অবান্তর?

এর উত্তর হ্যাঁ এবং না। প্রতিটি সিনেমারই নিজস্ব জাতীয় পরিচয় ও জন্মের সার্টিফিকেট আছে। তারপরও সবশেষে সিনেমার বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষ এবং মানবতা। একেক দেশের মানুষ একেক রকম, তাদের স্বভাব, ধর্ম, ভাষা এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতিতে অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু ভেতরে আমরা সবাই সমান। কোন মানুষের এক্স-রে করে বলা সম্ভব না সে কোন ভাষায় কথা বলে, কোন সমাজ থেকে এসেছে বা তার বর্ণ কী। আমাদের রক্ত একই পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়, আমাদের চোখ বা স্নায়ুতন্ত্র একই ভাবে কাজ করে, আমরা একই ভাবে কাঁদি বা হাসি, আমাদের কষ্ট পাওয়ার ধরণও এক। যে জাতি বা সমাজেরই হই না কেন, আমাদের সবার দাঁত একইভাবে ব্যথা করে। আমরা যদি সিনেমা এবং সিনেমার বিষয়বস্তু ভেঙে পরীক্ষা করি তাহলে দেখব, সবগুলোই হয় বেদনা নয়তো আনন্দ নিয়ে কথা বলছে। এদিক থেকে তাই সব দেশ সমান।

এবার একটু “ক্লোজ-আপ” এর বার্থ সার্টিফিকেট তথা জাতীয় পরিচয় নিয়ে কথা বলি। সিনেমাটি এমন এক সামাজিক পরিবেশে তৈরী করা যেখানে ইরানীরা আত্ম-পরিচয় সংকটে ভুগছিল। র‌্যাডিকেল পরিবর্তন এবং এর বিশাল রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবে মানুষ নিজের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছিল। ক্লোজ-আপ জাতির সামষ্টিক পরিচয় নিয়ে এ ধরণের কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।


বুদ্ধিমান দর্শক বা চলচ্চিত্র সমালোচকরা এ ধরণের ব্যাখ্যা দিতে পারে। কিন্তু সিনেমাটা তৈরী করার সময় এমন কোন চিন্তা আমার মাথায় থাকার কথা না, আসলে ছিলও না। তবে সিনেমা নিয়ে আরও চিন্তা করার পর মনে হচ্ছে এটাকে বিভিন্ন দিক থেকে দেখার সুযোগ আছে, একটি দিক হচ্ছে আত্ম-পরিচয়। এছাড়া আরেকটি দিক হতে পারে বড় ধরণের বিপ্লবের পর সৃষ্টি হওয়া সামষ্টিক হতাশা। সিনেমায় সাবজিয়ান নামের এক সিনেমা পাগল নিজেকে চলচ্চিত্রকার মোহসেন মাখমালবফ হিসেবে পরিচয় দেয়। আসলে হতাশার যুগে সে যা চেয়েছে তার কিছুই পায়নি, আর আহানখাহ পরিবার বেশ কিছু জিনিস হারিয়েছে। কিন্তু কোন না কোন উপায়ে তারা একত্রিত হয়েছে। একজন অ-ইরানী দর্শক আমাকে এদিকটা সম্পর্কে বলেছিল এবং তার কথা খুব সত্য মনে হয়েছে। এই দর্শক ভেবে নিয়েছিল, সিনেমার মানুষগুলো সম্পূর্ণ বিপরীত জগৎ থেকে এসে একটি নির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে একত্রিত হয়েছে; ভূমিকম্প বা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর যেমন হয় আর কি। একটি সাধারণ সমস্যা তাদেরকে কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছে।

আপনার অধিকাংশ চরিত্রকেই বাস্তব ও ভ্রমের মধ্যবর্তী নো ম্যান্‌স ল্যান্ডে বাস করতে দেখা যায়। এজন্যই হয়তোবা নিজেদের জন্য ঠিক করা লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছুনো তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে: “ট্র্যাভেলার” এর ছেলেটা, “দ্য রিপোর্ট” এর মিস্টার ফিরোজ কুহি, “ক্লোজ-আপ” এর হোসেইন সাবজিয়ান, “থ্রু দি অলিভ ট্রিস” এর হোসেইন, “দি এক্সপেরিয়েন্স” এর হোসেইন, “দি ওয়েডিং স্যুট” এর ছেলেটা- ইত্যাদি সবার জন্যই এটা সত্য।

কেউ একজন আমাকে বলেছিল, আমি এই চরিত্রগুলো পছন্দ করি কারণ এরা সবাই অপ্রকৃতস্থ। আমি মনে করি, যেসব অপ্রকৃতস্থ মানুষ নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে অনেক দূরে যেতে পেরেছে তারাই আমাদের সাহায্য করছে। তারা যেন বলছে, “তোমরা আমাদের জন্য যে সীমানা ঠিক করেছ তা খুব সংকীর্ণ, আমাদের আরও জায়গা দরকার।” আমাদের উচিত শিল্পীর চোখ দিয়ে অপ্রকৃতস্থদের দেখা। বিচারক শেষে তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো একেবারেই উচিত না। তাদের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে বেড়ানোও উচিত না। বরং তাদেরকে এমন মানুষ হিসেবে তুলে ধরা উচিত যারা সঠিক সময়ে সঠিক যত্ন পায়নি। সুবিধাবঞ্চিত এবং অপ্রকৃতস্থদের সাহায্য করার জন্য অনেক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, কিন্তু সবকিছুর পরেও তারা কেমন যেন অবহেলিত রয়ে গেছে। অবস্থা খারাপ হতে হতে যখন এমন হয়েছে যে, কল্পনা করাও সম্ভব হচ্ছে না তখনই কিভাবে যেন তারা কল্পনা করতে শুরু করেছে- তাদের এই কল্পনা একদিন ডালপালা মেলবেই।

সুতরাং আপনার সিনেমার বাচ্চাদেরকেও “অপ্রকৃতস্থ” বলছেন?

হ্যাঁ, ক্লোজ-আপের ত্রিশোর্ধ হোসেইন সাবজিয়ান যে সমাজ এবং শিক্ষার ফলাফল এই বাচ্চারা সেই একই সমাজ এবং শিক্ষার ফল। সিনেমায় হোসেইনের বলা একটা কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। সে বলেছিল, “আমি ট্র্যাভেলার সিনেমার সেই বাচ্চা যাকে ফেলে সবাই চলে গিয়েছিল।” আর ট্র্যাভেলারের এই বাচ্চা কিন্তু অনেকটা “হোমওয়ার্ক” এর বাচ্চাদের মতই। আর এই সব বাচ্চারাই “হোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ড্‌স হোম” এর বাচ্চাদের মত। আমি মনে করি, এরা সবাই একরকম, এরা হয়ত হঠাৎ করে বড় হয়ে গেছে, কিংবা কখনই বেড়ে উঠেনি।

আমি এই বলে শেষ করছি যে, আপনার মত সত্যিকারের মেধাবীরাই সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে কোন ঝামেলা করে না; যাদের মেধা এবং যোগ্যতায় খাদ আছে তারাই বরং বিচ্ছিন্নতার দেয়াল তুলে দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

এ প্রসঙ্গে ইরানে একটি প্রবাদ বাক্য আছে, “ফলন্ত বৃক্ষটিই নুয়ে পড়ে।” ধন্যবাদ।

আব্বাস কিয়ারোস্তামির চলচ্চিত্রসমূহ (২০০৫ পর্যন্ত)

Bread and Alley, ১৯৭০
Recess, ১৯৭২
The Traveler, ১৯৭৪
The Wedding Suit, ১৯৭৬
Report, ১৯৭৭
Where Is the Friend’s House?, ১৯৮৭
Homework, ১৯৯০
Close-Up, ১৯৯০
Life and Nothing More . . . , ১৯৯২
Through the Olive Trees, ১৯৯৪
A Taste of Cherry, ১৯৯৭
The Wind Will Carry Us, ১৯৯৯
A.B.C. Africa, ২০০১
Ten, ২০০২
Five, ২০০৪
Tickets, ২০০৫ (তিন পর্বের ইতালীয় অ্যান্থলজি সিনেমার একটি পর্ব)

২১ টি মন্তব্য : “দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – শেষ পর্ব”

  1. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    একসময় কিছু কবিতা অনুবাদ করার চেষ্টা করে ক্ষান্ত দেই। তখনই বুঝতে পারি অনুবাদ আমার কম্মো নয়, তাই অনুবাদ নিয়ে আমার বিশ্লেষণ ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।

    মুল সাক্ষাৎকারটি পড়ে কিছু কিছু স্থানে আমি একটা ironic ভাব পেয়েছি যা তোর লেখায় অনুপস্থিত মনে হয়েছে। আর তোর কথাটাই সত্য, মুখের ভাষার অনুবাদ করা অনেক কঠিন(আমার জন্য অসাধ্য)।

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
      মুল সাক্ষাৎকারটি পড়ে কিছু কিছু স্থানে আমি একটা ironic ভাব পেয়েছি যা তোর লেখায় অনুপস্থিত মনে হয়েছে।

      চমৎকার পর্যবেক্ষণ। সম্পূর্ণ একমত। আয়রনিক ভাবটা আনার ভালই চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আসলে হয় নাই। মনে হচ্ছে মনিস রফিকের অনুবাদটা আরও ভাল হয়েছে। যদিও ঐটা আমি পুরা পড়ি নাই। কামরুল ভাই ভাল বলতে পারবেন।

      জবাব দিন
        • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

          সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে, চিন্তা নেই।

          তবে তুই সমালোচনা শুনতে চাইছিস, তাই একটু বলি।
          শুরুটা তোর ভালো হয়েছিলো, কিন্তু পুরো লেখাটা তুলনা করলে মনিস রফিকেরটা একটু বেশি ঝরঝরে তোর অনুবাদের তুলনায়।

          দেখ , আমি একটা উদাহরন দেই। একেবারে শেষ প্রশ্ন আর উত্তরটা তুলনা করি.........

          তোর অনুবাদঃ

          আমি এই বলে শেষ করছি যে, আপনার মত সত্যিকারের মেধাবীরাই সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে কোন ঝামেলা করে না; যাদের মেধা এবং যোগ্যতায় খাদ আছে তারাই বরং বিচ্ছিন্নতার দেয়াল তুলে দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

          এ প্রসঙ্গে ইরানে একটি প্রবাদ বাক্য আছে, “ফলন্ত বৃক্ষটিই নুয়ে পড়ে।” ধন্যবাদ।

          মনিস রফিকের অনুবাদঃ

          শেষ করার আগে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে বলতে চাই আপনার মতো প্রতিভাবান যেসব ব্যক্তির সাথেই আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েছি, গভীর সহোযোগিতা পেয়েছি, অন্যদের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি।

          ধন্যবাদ। ইরানে একটি প্রবাদ আছে- যে বৃক্ষে প্রচুর ফল ধরে সেটা তো নুয়ে থাকবেই।

          এবার তুই তুলনা কর।

          মুখের কথা খুব একটা ভাবানুবাদ করা যায় না, করলে কন্টেন্ট বদলে যাওয়ার ভয় থাকে কিন্তু তারপরও আমার মনে হয় কিছু বিকল্প শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করলে পারতি, হুবহু আক্ষরিক অনুবাদে না গিয়ে। শার্লী'র পর্যবেক্ষণটাও মাথায় রাখিস পরের বার।

          সত্যজিতের টা অনুবাদ শুরু করে দে, দেখবি এইসব টুকটাক ব্যপার কেটে গেছে।
          আর সত্যি কথা হচ্ছে, আমি এতো কথা বলছি, কিন্তু আমি চেষ্টা করে দেখলাম, তোর জায়গায় আমি অনুবাদ করলে এর চেয়ে বাজে হতো। সুতরাং নো চিন্তা।


          ---------------------------------------------------------------------------
          বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
          ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

          জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
    সবশেষে সিনেমার বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষ এবং মানবতা। একেক দেশের মানুষ একেক রকম, তাদের স্বভাব, ধর্ম, ভাষা এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতিতে অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু ভেতরে আমরা সবাই সমান। কোন মানুষের এক্স-রে করে বলা সম্ভব না সে কোন ভাষায় কথা বলে, কোন সমাজ থেকে এসেছে বা তার বর্ণ কী। আমাদের রক্ত একই পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়, আমাদের চোখ বা স্নায়ুতন্ত্র একই ভাবে কাজ করে, আমরা একই ভাবে কাঁদি বা হাসি, আমাদের কষ্ট পাওয়ার ধরণও এক। যে জাতি বা সমাজেরই হই না কেন, আমাদের সবার দাঁত একইভাবে ব্যথা করে। আমরা যদি সিনেমা এবং সিনেমার বিষয়বস্তু ভেঙে পরীক্ষা করি তাহলে দেখব, সবগুলোই হয় বেদনা নয়তো আনন্দ নিয়ে কথা বলছে। এদিক থেকে তাই সব দেশ সমান।

    আমার অবশ্য সিনেমা নিয়ে আগ্রহ কম। তবে অনুবাদটা পড়ে আব্বাস সম্পর্কে চমৎকার ধারণা পেলাম। জানলাম তার জীবন দর্শনও। ভালো লাগলো। অনুবাদটায় আরো ঘষামাজা করো। :hatsoff: মুহাম্মদ।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।