আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর

আদার ব্যাপারী হয়েও যারা জাহাজের খবর নিতে মজা পান তাদের সবাইকে নিমন্ত্রণ। 😀 আসেন আম্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়া মাতামাতি করি। প্রতি চার বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এবারের প্রথম মঙ্গলবার পড়েছে ৪ঠা নভেম্বরে। নির্বাচন শুরু হয়েছে সকাল ৬ টায়। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। পুরো আমেরিকা নির্বাচনের সাজে সেজেছে। আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ যে বারাক ওবামার পক্ষে সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। ওবামার জয় প্রায় নিশ্চিত। ওবামার সমর্থকরা তাই আগে থেকেই আনন্দোৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারপরও ভয় থেকে যায়। ২০০৪ সালে তো একম অঘটনই ঘটেছিলো, উদারনৈতিকদের হারিয়ে বুশের সম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরায় ক্ষমতায় এসেছিলো।

প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে দুয়েক কথা বলে নেই। এদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি পরোক্ষ। অর্থাৎ প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ইলেক্টোরাল ভোট দিয়েই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একেক অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা একেক রকম। যেমন, টেক্সাসের ইলেক্টোরাল ভোট ৩৪টা হলেও আলাস্কার ইলেক্টোরাল ভোট মাত্র ৩টা। সবগুলো অঙ্গরাজ্য মিলে মোট ইলেক্টোরাল ভোট ৫৩৮টা। জয়লাভ করতে হলে কোন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টা ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়।

এবার প্রার্থীদের কথায় আসি। প্রতি চার বছর পরপর অলিম্পিক হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও হয় প্রতি চার বছর পরপর। মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় এই দুই ঘটনার প্রচারই প্রায় সমান সমান হয়। তাই প্রার্থীদের কথা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। বাংলাদেশে যেমন বিএনপি আর আওযামী লীগ; আমেরিকায় তেমন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট।
– ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ বারাক ওবামা, আর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
– রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বুইড়া জন ম্যাকেইন, আর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেক্সি-অথর্ব সারাহ প্যালিন।

আমি জন ম্যাকেইন আর সারাহ প্যালিনরে দুই চক্ষে দেখতে পারি না। সিএনএন এ জন ম্যাকেইনের কথা শুনলে মনে হয়, বুইড়া শিয়াল বয়সের ভারে আর ঠিকমতো হুক্কাহুয়া করতে পারতেছে না। আর বারাক ওবামার কথা শুনলে মনে হয়, বাংলা ভাষণ শুনতেছি। এতো স্পষ্ট আর দৃঢ়তার সাথে কোন রাজনীতিবিদকে কথা বলতে দেখিনি। গুরু ওবামার ভক্ত আমেরিকার প্রায় সব বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীরা। ক্যালটেকের প্রফেসররা কসমিক ভ্যারিয়েন্স নামে একটা ব্লগ চালায়। ঐ ব্লগে এবারের নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নিয়া একটা জম্পেশ জোক দেখলাম। সবগুলারে ট্রেনের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কে কেমন ট্রেন, দেখে নিন:

train

আরেকটু কুৎসা রটনা করি। ম্যাকেইন বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ, বুশের চেয়ে সে কোন অংশেই ভালো হবে না। সারাহ প্যালিনের মাথায় ইন্টেলেক্ট বলতে কিছু নাই। ভাইস-প্রেসিডেন্ট কারে কয় এইটাও সে জানে না। মাথা ভর্তি গোবর। ইনি এক সময় মিস আলাস্কা হইছিলো, মডেলও ছিলো। আর ওবামা হলেন প্রদীপ। তার প্রতিটা কথায় ইন্টেলেক্টের পরিচয় পাওয়া যায়। অকাট যুক্তি ছাড়া কোন কথা বলেন না। বিজ্ঞান কাকে বলে জানেন। আধুনিকতা কাকে বলে জানেন। ওবামা প্রেসিডেন্ট না হলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আর কোন আশাই থাকবে না।

প্রার্থীদের কথা তো অনেক হলো। এবার চলমান নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা যাক। তার আগে ভবিষ্যৎবাণীটা দেখে নেই। নির্বাচনে কে কত ভোট পাবে বলে নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন সেটাই প্রথমে দেখা যাক। নিচের মানচিত্রটা দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে:

map

এটাকে আসলে ভবিষ্যৎবাণী বলা যায় না। আমি এটাকে ওবামা কিভাবে নির্বাচন জিতবে তা বোঝার যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করছি। মানচিত্রটা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন:
নীল স্টেটগুলোতে ওবামা নিশ্চিত জিতবেন, লাল স্টেটগুলোতে ম্যাকেইন নিশ্চিত জিতবেন। আর ধূসর রঙের স্টেটগুলো নিয়ে সন্দেহ আছে। কে জিতবে তা আগেভাগে বলা যাচ্ছে না।

এখন হিসাব করে দেখেন। নীল স্টেটগুলোর ইলেক্টোরাল ভোট গণনা করলে সংখ্যাটা দাড়ায় ২৪৩। কিন্তু নির্বাচনে জিততে হলে তো ২৭০টা ভোট লাগবে। তার মানে ওবামাকে আরও ২৭টা ভোট পেতে হবে। এগুলো আসবে ধূসর স্টেটগুলো থেকেই। এখানেও আশা আছে। করণ ধূসর স্টেটগুলোর বেশ কয়েকটাতে ওবামার বিজয়ের সম্ভাবনা বেশী।

এই ২৭টা ভোট পাওয়ার ৩টা আলাদা আলাদা উপায় আছে:
১। ফ্লোরিডা: এই স্টেটের ইলেক্টোরাল ভোট ২৭টা। একদম খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। জিততে পারলেই ম্যাকেইন মধ্য আটলান্টিকে ডুবে যাবে। কিন্তু এই অঙ্গরাজ্য নিয়ে অনেক সময়ই ঝামেলা হয়। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেশ টাইট।
২। পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং ওহাইয়ো; এই তিন স্টেটের মধ্যে যেকোন দুটাতে জিতলেই ২৭টা ভোট এসে যাবে। পেনসিলভ্যানিয়া ও ভার্জিনিয়াতে ওবামা এগিয়ে আছে। তাই এখান থেকেই জয় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। জিতলেই কেল্লা ফতে, ম্যাকেইনের গলায় ছুরি।
৩। পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং ওহাইয়ো; এই তিন স্টেটের যেকোন একটিতে জেতা এবং পশ্চিমের ছোট ছোট স্টেটগুলোর মধ্যে এক বা একাধিকটিতে জেতা।

তাই ওবামার পাল্লাই ভারী। ম্যাকেইন সবগুলো লাল স্টেট আর ফ্লোরিডা জিতে গেলেও (যার প্রোবাবিলিটি কম থাকলেও পসিবিলিটি আছে) ওবামার জয়ের সম্ভাবনা আছে।
উপায়ান্তর আরও আছে। ওবামা পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া, ওহাইয়ো আর ফ্লোরিডা এই সবগুলোতে হেরেও যদি ইন্ডিয়ানা, মিসৌরি ও কলোরাডো জিতে নেয়, তাহলেও সম্ভব। কিন্তু এসব ভেবে খুব একটা লাভ নেই। উপরের তিনটা পথের দিকেই আমরা তাকিয়ে থাকতে পারি। সুতরাং কষ্ট করে সবগুলো স্টেটের ফলাফলের দিকে নজর রাখার দরকার নাই। নিচের ৭টা স্টেটের দিকে কড়া নজর রাখুন। ওবামা জিততে শুরু করবে আর আমাদের আনন্দোৎসব শুরু হবে।

১। পেনসিলভ্যানিয়া
২। ভার্জিনিয়া
৩। ওহাইয়ো
৪। ফ্লোরিডা
৫। ইন্ডিয়ানা
৬। মিসৌরি
৭। কলোরাডো

নির্বাচনের কিছু রেজাল্ট কিন্তু আমাদের হাতে চলে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়ানাতে ম্যাকেইনেরই জেতার কথা। কিন্তু ওহাইয়ো নিয়ে সন্দেহ আছে। এখানেই ওবামার অ্যাডভান্টেজ। ওহাইয়ো না জিতে নাকি কোন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হয়নি। তাই ওহাইয়ো জিতলেই আমরা হিপ হিপ হুররে শুরু করতে পারবো।

কিছুক্ষণ আগেই দুটি শহরের রেজাল্ট চলে এসেছে। সবসময়ই নাকি এই দুই শহর সবার আগে রেজাল্ট প্রকাশ করে। নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের “ডিক্সভিল নচ” ও “হার্টস লোকেশন” নামক এই দুই শহরের খবর পজিটিভ। দুই শহরেই ওবামা জিতেছে। শুরু ভালো যার সব ভালো তার, এই যেন হয়। এর মধ্যে অবশ্য ডিক্সভিল নচে কখনই রিপাবলিকানরা জিতেনি।

ওবামা নিজের ভোট দিয়ে ফেলেছেন। হোম স্টেট ইলিনয়ে ভোট দিয়ে অন্য রাজ্যে চলে গেছেন প্রচারণার জন্য। ওবামা মেয়েকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন, ছবিটা দিলাম:

obama

সর্বশেষ আপডেট এ পর্যন্তই। সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ জানতে হলে এই পাতায় চোখ রাখুন, নতুন কোন খবর জানলে শেয়ার করুন। আমি মন্তব্যের মাধ্যমেই আপডেটগুলো জানাবো।

অতি আগ্রহীরা নিচের পাতাগুলোতেও চোখ রাখতে পারেন:
সচলায়তনের বিশেষ আয়োজন: সরেজমিন মার্কিন নির্বাচন – সচলায়তন
Fired Up, Ready to Go – কসমিক ভ্যারিয়েন্স

১৩৩ টি মন্তব্য : “আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর”

  1. পলিন আপায় হেভভি হট।
    আমার খালি উনারে টাচ করতে ইচ্ছা করে। 😉 😉 😉

    ওবামা জিতুক, এইটাই চাই। আমাদের কলেজের ওয়াহাব ভাই একজন রেজিস্টার্ড ডেমক্রাট। ইলেকশন প্রেডিকশন নিয়া তিনি একটা কলাম লিখছেন ডেইলি স্টারে। যারা আগ্রহী পড়তে পারেন। এইখানে

    জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        আমগো বুইড়া বা প্যালিনের দরকার নাই। যা আছে তাই দিয়ে নির্বাচনী ব্লগের ব্যবস্থা করা হবে।
        এইটাই প্রথম নির্বাচন যখন বাংলা ব্লগ জিনিসটা থাকতেছে। গত নির্বাচনে বাংলা ব্লগের অস্তিত্ব ছিলো না। তাই নির্বাচনের সময় আমরা ফাটায়া ব্লগিং করুম।
        তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এখানে কয়েকটা নীতি মেনে চলার দরকার হতে পারে:
        - প্রত্যেকে নিজের দলের বিজয়ে উল্লাস প্রকাশ করবে।
        - অন্য দলের সমর্থকদের কেউ আঘাত করবে না।
        - এলাকাভিত্তিক নির্বাচনের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রত্যেকে নিজ এলাকার নির্বাচনের অবস্থা নিয়ে বেশী করে বলবেন।

        জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    সচলায়তনে শোহেইল মতাহির চৌধুরীর কমেন্ট থেকে জানলাম, রাত ১১:০০টা (জিএমটি) থেকে রেজাল্ট আসা শুরু হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় ভোর ৫:০০টা থেকে আমরা রেজাল্ট পেতে শুরু করবো। ওবামা জিতে যাচ্ছে। এখন কেবলই অপেক্ষার পালা।
    ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে সবার আগে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। এই দুই রাজ্যেই বোধহয় সবার আগে রেজাল্ট ঘোষিত হবে।

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমার বিসিএসের ভাল পিরিপারেশন হয়া গেল।বাহ সিসিবি খালি আনন্দ না, আজকাইল সত্যিকারের উফকার ও করে…
    সাবাস মুহম্মদ…এই পুলাডার লিখা পড়লে নিজেরে নিরক্ষন নিরক্ষর লাগে(আমি যে তা না সেই দাবী করি না মাগার অর লিখা পড়লে সেই ভাবটা প্রবল হয়া উঠে)

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ধন্যবাদ মুহাম্মদ। প্রথম আলো না ছাড়লে এইবারও আম্রিকার ইলেকশন কাভার করতে যাইতাম। ভীষণ আগ্রহউদ্দীপক ঘটনা। ২০০৪ সালে বুশ-কেরির ইলেকশন কাভার করতে একমাস ওইদেশে আছিলাম। কেরির একটা জনসভাও কাভার করেছিলাম। এবার মিস করছি দারুণ। আমাদের রেডিওটা দাঁড়িয়ে গেলে আশা করি ২০১২ সালের নির্বাচন কাভার করতে যামু।

    ইলেকশন কাভার করা আমার কাছে ভীষণ ইন্টারেস্টিং লাগে। ১৯৯৮, ১৯৯৯ ো ২০০৪ সালের ভারতীয় নির্বাচনও কাভার করেছিলাম। ২০০৪-এর ভারতীয় নির্বাচন নিয়ে পরে একটা বই লিখেছিলাম, "ভারতের ভোটের রাজনীতি"।
    বইটির কাভার এখানে। Election Politics of India


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

      দারুন খবর।
      সানাউল্লাহ ভাইএর কাছে কয়েকটা আব্দার,

      2004 এর ইলেকশনটা নিয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যদি শেয়ার করতেন।

      অন্যান্য ইলেকশনগুলো কাভার করা নিয়েও ইন্টারেস্টিং কাহিনি গুলো নিয়ে কিছু লেখা।

      যেহেতু একটি এফ এম স্টেশন এর একেবারে শুরুথেকেই আছেন একে দাড়া করানোর কাজে, সেটি নিয়েও যদি কিছু লিখতেন তবে আমার মনে হয় আনন্দের পাশাপাশি আমরা ছোটরা অনেক কিছুই শিখতে পারবো সেগুলো থেকে।

      দেখা যাক, সিসিবি বাসী ভাইয়েরা কি কি বলে এ ব্যাপারে।


      সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

      জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      আপনার ইলেকশন কাভারের কথা শুনে সাংবাদিকদের ঈর্ষা হচ্ছে। ইচ্ছা করে সব বাদ দিয়া সাংবাদিক হয়া যাই।
      ভবিষ্যতে আপনার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেয়ার করবেন আশাকরি।
      আর আশাকরি ২০১২-র আগেই আপনার রেডিওটা দাঁড়িয়ে যাবে। ২০১২-র মার্কিন নির্বাচনে যখন শাদা ঘরে কালো মানুষটা আরও ৪ বছর থাকবে কি-না তা নির্ধারিত হবে, তখন আপনি মার্কিন মুল্লুক থেকেই সে কথাগুলো আমাদের জানাবেন।

      জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    বিবিসি-র খবর:
    যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এখনও কোন একজন প্রার্থীকে প্রেফার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কিন্তু ওয়েল্‌সের ফার্স্ট মিনিস্টার রড্রি মর্গান বলেছেন,

    Mr. Obama is undoubtedly a symbol of hope to many people, it would be a triumph of hope over fear if he is elected.
    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নিউ ইয়র্ক সিটির একটা বরো হচ্ছে ম্যানহাটন। ম্যানহাটনের একটা জায়গার নাম হার্লেম। হার্লেমকে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ জনতা এখানে জড়ো হয়েছে। ওবামার আশু বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে। সবার গায়ে ওবামা টি-শার্ট। কোনটাতে ওবামার মুখ, কোনটাতে তার স্ত্রী মিশেলের মুখ, কোনটাতে মার্টিন লুথার কিং এর পাশে ওবামার ছবি। এখানে ব্যবসায়র চেয়েও আনন্দ হচ্ছে বেশী।
    আফসোস, মার্টিন লুথার কিং ও কৃষ্ণাঙ্গদের মুক্তি আন্দোলনের রূপকারেরা এই দিনটা দেখে যেতে পারলেন না।

    জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    বুইড়া ম্যাকেইন এখন কলোরাডোতে। রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য এখন গ্র্যান্ড জাংশনের এক স্টেজে আছে। জনগণ ভালোই তাল দিচ্ছে। দিবেই তো। যারা তাল দেবার তারাই তো ঐখানে গেছে, ওবামার সমর্থকরা তো আর যায় নাই। ম্যাকেইনের বউ ইরাক যুদ্ধে মাকেইনের প্রকৃত নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। ম্যাকেইন বলছে,

    political courage is a scarce commodity

    মানুষজন ভালোই এনজয় করতেছে।

    জবাব দিন
  8. সামি হক (৯০-৯৬)

    আমাদের দেশে এইবার ইলেকশনে সুবরণা মুস্তফা কে পালিন হিসাবে দাড় করানো যাইতে পারে। যাইহোক লিখাটা পড়ে ভালো লাগলো। আশা করি ঘুম থেকে উঠে এই লিখায় চোখ বুলালেই কে জিতছে নিরবাচনে তা যেনে ফেলতে পারবো। মুহাম্মদ হ্যাটস অফ টু ইউ।

    জবাব দিন
  9. মরতুজা (৯১-৯৭)

    ইইহ, জাহাজের খবর রাখতে রাখতে তো আদার দামই ভুইলা গেলাম। ব্যাবসা লাটে উঠতে বেশি দেরি নাই 😀

    যাউজ্ঞা...

    ওবামা - ১৭৪, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৪৯ (সুত্রঃ সিএনএন) জেতার জন্য দরকার - ২৭০

    জবাব দিন
  10. মরতুজা (৯১-৯৭)

    ওবামা ওহাইওতে জিতেছেন। যে ওহাইওতে না জিতে কোনদিন কোন রিপাব্লিকান প্রেসিডেন্ট হয়নি।
    ওবামা - ১৯৪, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৬৯ (সুত্রঃ সিএনএন) জেতার জন্য দরকার - ২৭০

    জবাব দিন
  11. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ঘুমায়া পড়চিলাম। ভাবছিলাম ভোরে ঘুম থেকে উঠুম। পারি নাই। উইঠা দেখি ৮:৩০ বাজে। যাহোক, সুখবর পাইলাম। ব্লগে আইসা দেখি অন্যরা চালায়া নিছেন।
    একটু আগেই দেখলাম ওবামা - ২০০; ম্যাকেইন - ৯০।
    আর এখন: ওবামা - ২০০; ম্যাকেইন - ১৩০।
    শিট। ওবামা ২০০-তে আটকায়া গেছে। তবে চিন্তা নাই মনে হয়। এই ব্যবধান ম্যাকেইনের চৌইদ্দ গুষ্টি একসাথে হয়েও কাভার করতে পারবো না।

    জবাব দিন
  12. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এক ঐতিহাসিক বিজয়। মার্টিন লুথার কিং এর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন একজন কালো মানুষ। আমরা এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। ছবি দিয়ে দিচ্ছি। আমরা সাক্ষী আছি এটা তাহলে আরও ভালোভাবে প্রমাণ হবে। বিবিসি-র স্ক্রিনশট:
    obama president

    জবাব দিন
    • সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
      এক ঐতিহাসিক বিজয়। মার্টিন লুথার কিং এর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন একজন কালো মানুষ। আমরা এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। ছবি দিয়ে দিচ্ছি। আমরা সাক্ষী আছি এটা তাহলে আরও ভালোভাবে প্রমাণ হবে।

      মুহাম্মদ - তোমারে অসংখ্য ধন্যবাদ :clap: :clap: ।
      দারুন কিছু একটার সুযোগ করে দিলা।


      Life is Mad.

      জবাব দিন
  13. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আর কেউ ধরতে পারবে না। ওবামা - ৩৩৩; ম্যাকেইন - ১৫৫
    কন্ডোলিজা রাইস সেক্রেটারি অফ স্টেট্‌স হওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন- মার্টিন লুথার কিং এটা দেখে যেতে পারলেন না। কিং এর সেই স্বপ্ন পূরণ আমাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। এবার বাস্তবায়িত হলো চূঢ়ান্ত স্বপ্ন। এর মাধ্যমে যেন বিশ্বের সকল দেশের সকল নিপীড়িত ও শোষিত জনতার মুক্তি আসে, সেই কামনা করছি। মার্টিন লুথার কিং এর এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন যেন সবার জন্য ভালো হয়।

    জবাব দিন
  14. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টোরির দিকে আগাচ্ছেন ওবামা। ফ্লোরিডাতে এখনও রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়নি। আসা করা হচ্ছে এখানেও ওবামা জিতবে।
    ইতিহাস তৈরী হয়ে গেছে। কারণ:

    Many years from now, political science students will still be debating how a black guy from a broken home beat a war hero and ex-beauty queen to the US presidency.
    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      অ্যামেরিকার নতুন ফার্স্ট ফ্যামিলি স্টেজে উঠেছে। ওবামার হোম স্টেট ইলিনয়ের শিকাগোতে আছেন তারা। শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্কের স্টেজে উঠেছে বারাক ওবামা, মিশেল ওবামা এবং তাদের দুই মেয়ে ম্যালিয়া ও সাশা। ওবামা বক্তৃতা শুরু করেছেন।

      জবাব দিন
  15. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    টাইমলাইন টু হিস্টরি: (বাংলাদেশ সময়ে সেট করা)
    ১০:০১ - আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই ওবামা ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট অর্জনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
    ১০:০৪ - ইতিহাস গড়ে উঠলো। ক্যালিফোর্নিয়া জেতার মাধ্যমে আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন বারাক ওবামা। ক্যালিফোর্নিয়ার ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৫।
    একইসাথে ওবামা ভার্জিনিয়া জিতে নিয়েছেন। ১৯৬৪ সালের পরে এই স্টেটে কোন ডেমক্র্যাট নির্বাচিত হয়নি। এই ১৯৬১ সালেও এই স্টেটে ওবামার বাবা-মা'র বিয়েকে অবৈধ ঘোষণার পায়তারা করা হয়েছিলো।
    ১০:১৯ - কেনিয়াতে আনোন্দৎসব চলছে। ওবামার বাবা যে গ্রামে জন্মেছিলেন সে গ্রামের সবই সেলিব্রেট করছে।
    ১০:২০ - বিমর্ষ জনতার উদ্দেশ্য ম্যাকেইন বলেছেন যে তিনি ওবামাকে কংগ্রেচুলেশন জানিয়েছেন। সিএনএন এর খবরে প্রকাশিত হয়েছে:
    MCCAIN CONGRATULATES OBAMA
    America votes for change
    ১০:২৫ - ম্যাকেইন তার সকল সমর্থকদের ওবামাকে কংগ্রেচুলেশন জানাতে বলেছেন।
    ১০:২৬ - ম্যাকেইন আর পেলিন পাশাপাশি দাড়িয়ে আছেন। ম্যাকেইনের পুরনো রূপ নাকি ফিরে এসেছে, যে রূপটাকে অনেকে শ্রদ্ধা করতো। জনগণ বিমর্ষ বদনে চিয়ার্স দিচ্ছে।

    জবাব দিন
  16. সিএনএনের নিউজ,

    কৃষ্ণাঙ্গ একজন ভাষ্যকার এতক্ষণ অনেক কথা বললেও এখন কেবলই ঝরঝর করে কাঁদছেন। ষাটের দশকেও যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হতো, সেখানে আজ কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা পুরো আমেরিকার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন

    ১০০ বছর আগে আমেরিকার নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণাঙ্গরা সমান অধিকার পেতোনা, ১০০ বছর আগে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট কৃষ্ণাঙ্গ বুকার টি ওয়াশিংটনকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানালে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, আর আজ সেই অধিকারবঞ্চিত মানুষদের একজনই আমেরিকার ক্ষমতার শীর্ষে।

    জবাব দিন
  17. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অসাধারণ বক্তৃতা দেন ওবামা। আগেই বলেছিলাম এতো স্পষ্ট আর অন্তর্ভেদী বক্তৃতা আমার জীবনে কাউকে দিকে শুনিনি। প্রথম কথাতেই আবার বাজিমাত করলেন ওবামা। আরেকটি ঐতিহাসিক বক্তৃতা শুরু হলো এভাবে:

    Americans have sent a message to the world that we have never been a collection of individuals, we are and always will be the United States of America.

    আর ম্যাকেইন সম্পর্ক ওবামা বললেন,

    McCain has endured sacrifices for America that most of us can never imagine, he is a brave and selfless leader.

    এই কথাগুলো থেকে আমাদের বোধহয় অনেক কিছু শিখার আছে। একজন বিজয়ী প্রসিডেন্টের বক্তৃতা বাংলাদেশের সব রাজনীতিবিদ নিশ্চয়ই শুনছেন। কিন্তু এ থেকে কি তারা আদৌ কোন শিক্ষা নেবেন?

    জবাব দিন
    • কিন্তু এ থেকে কি তারা আদৌ কোন শিক্ষা নেবেন?

      কোন সম্ভাবনা নাই। আমাদের এইখানে এরা নোংরা কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। এদের কথা বার্তার নমুনা হইলো...
      দেবর ভাবীর সংলাপ,
      উনি গভীর রাতে হোটেলে কি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, আপনি কেনো আমার সোনা নিয়ে টানাটানি করছেন- দুই নারীর মিলনে কোনো কিছু হয় না-

      এই ধরনের।

      জবাব দিন
  18. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ১২৫,০০০ মানুষকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেইন ওবামা।
    ম্যাকেইন আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। সারাহ পেলিন তার হোম স্টেট আলাস্কায় ফিরে আছেন। মেয়ের কাছে যাবেন। তার মেয়ে ব্রিস্টল অচিরেই মা হচ্ছে, আর পেলিন হচ্ছে নানী।

    জবাব দিন
  19. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আজীজ হাসান মুন্না ভাই,
    অনেক ভাইবা দেখলাম নানী প্যালিনের নামে অশ্লীল কথাগুলা বাদই দিয়া দেই। শত্রুপক্ষ হাইরা গ্যাছে, তাই একটু সহানুভূতি দেখাই। তাই ব্লগ থেইকা ঐ.. লাইনটা বাদ দিয়া দিছি। আপনার কমেন্টটাও সেই কারণে মুইছা ফেলতে হইছে। কিছু মনে কইরেন না। বুঝতেই পারতাছেন, হাজার হোক প্যালিনের বয়স তো হইছে, এইবারের মতো একটু ছাড় দেই.. 😀

    জবাব দিন
  20. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এক কৃষ্ণাঙ্গ লোকের কথা শুনেন। স্থির থাকতে পারবেন না:

    My family came here as slaves in 1703. For the first time in my life I feel like an American. No longer a black American, just an American. This is a toast to America, may we be truly one nation and one nationality.

    ওবামার বক্তৃতা বোধহয় শেষ। ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্টেজে উঠছেন। ওবামা ফ্যামিলির সাথে এখন বাইডেনও তাই স্টেজে।

    জবাব দিন
  21. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    পাঁচটা স্টেটের রেজাল্ট ঘোষণা দেয়া বাকি:
    - আলাস্কা (প্যালিনের দ্যাশ)
    - নর্থ ক্যারোলাইনা
    - ইন্ডিয়ানা
    - মিসৌরি
    - মন্টানা
    বর্তমানে ইলেক্টোরাল ভোটের অবস্থা:
    ওবামা - ৩৩৮; ম্যাকেইন - ১৫৫

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      naive না মাসরুফ ভাই। আপনি ঠিকই বলছেন। আমিও মনে করি একদিন সেই অবস্থা আসবে। আমি কিন্তু এখনও নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতে কার্পণ্য করবো না। আপনার কথাগুলা বিশুদ্ধ দেশপ্রেম থেকে আসছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। আপনারে :salute:

      জবাব দিন
  22. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার এক লোক পাট মাইরা উড়ায়া ফেলতাছে। অবশ্য পাট মারার মতো যথেষ্ট কারণও আছে। উনি কইতাছেন, এই পাঁচ স্টেটের মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানাতে ওবামার জয়ের আশা আছে। বাকি তিনটা হারাবেন। তাহলে ওবামার মোট ইলেক্টোরাল ভোট হবে ৩৬৪। ভার্জিনিয়ার ইলেকশন গবেষণা টিম ঠিক এই ভবিষ্যৎবাণীটাই করছিলো। প্রমাণ আছে দেইখা লন:
    THE LAST LAST WORD - ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার ক্রিস্টাল বল ২০০৮

    জবাব দিন
  23. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    সর্বশেষ পরিস্থিতি:
    2008
    বারাক ওবামার ন্যাংটাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিক ছবি দেখতে চাইলে শিকাগো ট্রিবিউন এর এই পেইজে যান।
    আগে বারাক ওবামাকে বর্তমানের চেয়ে বেশী শ্রদ্ধা করতাম। যখন তিনি মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে বলার পর মনে হলো, যেই লাউ সেই কদু না হয়ে যায়। কিন্তু এখন আবার আশায় বুক বেধেছি। পুরো আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ একা ওবামা যুদ্ধ করে হয়তো তাৎক্ষণিক কোন পরিবর্তণ আনতে পারবেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে আশাকরি সব হবে।

    ওবামা ইতোমধ্যে তার ২০১২ নির্বাচন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেক কিছুই এক টার্মে করা সম্ভব না। আশাকরি দুই টার্ম মিলিয়ে আমরা অনেক ভালো কিছু পাবো।

    বারাক ওবামার অ্যাকসেপটেন্স স্পিচ শুনতে হলে এখানে যান:
    President-elect Barack Obama's speech in full - BBC

    জবাব দিন
  24. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এতোদিন মার্কিনীরাও মার্কিন হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করতো। একজনের কথা শুনেন:

    For the first time in eight years I can travel overseas and across the world and feel proud, not ashamed, to be an American.

    কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট Mwai Kibaki বলেছেন:

    We the Kenyan people are immensely proud of your Kenyan roots. Your victory is not only an inspiration to millions of people all over the world, but it has special resonance with us here in Kenya.

    আফগানিস্তানের কাবুল থেকে আমরা স্বর শুনতে পেয়েছি। এ যেন বুশ প্রশাসনের নৃশংসতায় বিধ্বস্ত আফগানদেরই কণ্ঠস্বর:

    We Afghans are extremely happy that Obama won the election as we are very hungry for change in our country. A change here is almost impossible without a change in Washington.
    জবাব দিন
  25. বন্য (৯৯-০৫)
    তিনি বলেছেন, অনেক কিছুই এক টার্মে করা সম্ভব না। আশাকরি দুই টার্ম মিলিয়ে আমরা অনেক ভালো কিছু পাবো।

    ওবামা ভাই চরম জিনিয়াস..উনি আমার থেকে :salute: আদায় করে নিলো

    জবাব দিন
  26. হাসনাইন (৯৯-০৫)

    ভাই আমি এত আশা করি না। বুশ মার্কা নীতি থেকে ওবামা কতটুকু সরে আসবে সেটাই দেখার বিষয়। ইরান নীতি নিয়াও কথা আছে। মধ্যপ্রাচ্যে কি ঘটে তাই-ই দেখা যাক। তয় আমেরিকানদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের দিন, বিশেষ কইরা এই জেনারেশন এর জন্য।
    খবর পইড়া আর দেইকখ্যা যা বুঝলাম সিনেটের থাকাকালেও ওবামা ইসরাইল পন্থি ছিল। রবার্ট ফিস্কের একটা কথা খুব মনে ধরছে আমার, ওবামা তার স্পিচে 'পরাজিত' করার কথা বললেও 'জাস্টিস' এর কথা বলে নাই।

    যাহা হউক ছোট মুখে বড় কথা কইয়া ফেলাইলাম।
    মুহাম্মদ ভুল কিছু কইলে ঠিক কইরা দিস।

    জবাব দিন
  27. তৌফিক (৯৬-০২)

    আজব জিনিস দেখলাম। কিছুদিন আগে কানাডার সাধারণ নির্বাচন হইল, কানাডিয়ানদের মধ্যে কোন সাড়া শব্দ নাই। ভাবলাম তারা মনে অয় এরকমই। কিন্তু আইজকা দেখি পুরা উলটা, রীতিমতো দল বাঁইধা সবাই পাবে যাইতাছে, একসাথে ইলেকশনের রেজাল্ট দেখব তাই। আমি তো তাজ্জব। এরেই মনে অয় কয়, যার বিয়া তার ধুম নাই, পাড়া পর্শীর ঘুম নাই।

    জবাব দিন
  28. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আরেক মার্কিনীর মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি। তিনি বলেছেন:

    I hope the world can start to forgive us now. We missed you world. I'm sorry we were such brats.

    নাহ্‌, আমরা এখনও ক্ষমা করতে শুরু করিনি। আমরা ওবামার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। শুভ কোন কিছু করে দেখাতে পারলেই কেবল ক্ষমা করা শুরু করতে পারি। কিন্তু আমি আরও বলি, আমরা হয়তো তোমাদের তখন ক্ষমা করতে পারবো, কিন্তু ইরাক আর আফগানিস্তানে তোমরা যাদের কতল করেছ তাদের পরিবার-পরিজনেরা সম্ভবত কোনদিন তোমাদের ক্ষমা করতে পারবে না।

    জবাব দিন
  29. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটলো। আমেরিকার প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ও এক সময় ডেমোক্রেটদের হয় লড়াই করা (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য) জেসি জ্যাকসনকে অশ্রুসজল অবস্থায় দেখা গেছে। তার চোখের পানি অনেকের আবেগকে উথলে দিয়েছে। ওটা ওবামার আরেক বড় অর্জন। জ্যাকসন অনেক আগে থাকেই মানবাধিকার বিশেষত কালার্‌ডদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন।
    ওবামা ইন্ডিয়ানা জিতে গেছেন। বর্তমান অবস্থা:
    ওবামা - ৩৪৯; ম্যাকেইন - ১৬২
    আর ১ ভোট পেলেই ওবামার বিজয়কে বলা হবে "ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি"। আনন্দোৎসব শেষে ইলিনয়ের শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্ক থেকে ডেমোক্রেট সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সারা রাত ঘুমানো হয়নি। অনেকেই গিয়ে ঘুম দেবেন।
    কিন্তু নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ারে এখনও রমরমা অবস্থা। এটাই ঐতিহাসিক টাইম স্কয়ারের বৈশিষ্ট্য।

    জবাব দিন
  30. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ভাই একেকজন সব অবিস্মরণীয় বুলি দিতাছে। কয়েকটা কট করি।
    অবশেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ওবামার রাজনীতি সম্পর্কে কইছেন:

    inspirational campaign, energising politics with his progressive values and his vision for the future

    ব্রিটেনের করজারভেটিভ পার্টির নেতা বলছেন:

    Mr. Obama is the first of a new generation of world leaders

    ডিমোক্রেটদের হয়ে ক্যাম্পেইন করা বব শ্রুন বলেছেন:

    This country has renewed itself as a great, inspired, creative and unpredictable force in the world, and this is one of the proudest nights of my life as an American, not just as a Democrat.

    অনেকে বলছেন, ওবামা খুব ভালো ইলোকুয়েন্ট স্পিকার। অনেক সুন্দর করে কথা বলেন। কথার মারপ্যাঁচে উনি অনেক আশাই জাগাতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে কি সব করবেন? সেটাই এখন বিশ্ববাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন।

    জবাব দিন
  31. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    প্রায় সব দেশই ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেছে। প্রায় সবাই এটাকে ঐতিহাসিক নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করে ওবামার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে বলে আশা করেছে। এমনকি ইরানও একই কথা বলেছে। ইসরায়েলের সাথে ওবামার সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। এহুদ ওলমার্ট তাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে বলে আশা করেছে।

    বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হইছে। রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদ এই নির্বাচনকে বলেছেন:

    historic moment for America and the world

    প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ ওবামাকে হার্টিয়েস্ট কংগ্রেচুলেশন জানানোর পর বলেছেন:

    It is my profound hope that in the years to follow our mutual relations will be further widened and deepened.

    আগের অবস্থাই এখনও আছে। ওবামা-৩৪৯, ম্যাকেইন-১৬৩। দুইজনের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ করলে হয় ৫১২। দুইটা স্টেট বাকি আছে: মিসৌরি ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এই দুইটার ইলেক্টোরাল ভোট মোট ২৬। ৫১২+২৮=৫৩৮। তাহলে বাকি ২৬টা ভোট হচ্ছে:
    * নর্থ ক্যারোলাইনা - ১৫
    * মিসৌরি - ১১

    একটা ম্যাপ দিয়ে দিলাম: (270towin.com থেকে)
    270towin

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      এইখানে একটু খটকা আছে। আসলে বিবিসি-র টাই ঠিক। নেব্রাস্কার ৫টা ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ৪টা ঘোষণা করা হইছে। একটা বাকি আছে। নেব্রাস্কা যেহেতু লাল স্টেট সেহেতু এই সাইটে বাকি ১টাও ম্যাকেইনের ঘরে ধরা হইছে। তাই ম্যাকেইন ১৬৩ হয়া গেছে। তবে ঘোষণা আসলে, ম্যাকেইন এক কমতে এবং ওবামা এক বাড়তে পারে। আর তখনই ল্যান্ডস্লাইড এসে যেতে পারে। দুইটা স্টেট ছাড়াই।

      জবাব দিন
  32. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    গতকালই স্পাইক লি'র একটা সিনেমা দেখলাম। অ্যামেরিকার গুটিকয়েক আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ডিরেক্টরদের মধ্যে উনি একজন। তার "ইনসাইড ম্যান" সিনেমাটা কালকে দেখলাম। ইনি "ম্যালকম এক্স" সিনেমার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। স্পাইক লি ওবামার বিজয় সম্পর্কে বলেছেন:

    I never thought I would see it [Mr Obama's victory]. Thank God I was here to witness it with my own eyeballs. It does not signal the end of racism but is just the beginning.

    এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র পরিচালক কমেন্টাইলেন।
    ঐদিকে পোপ বেনেডিক্টও মেসেজ পাঠিয়েছেন। ঈশ্বরের ব্লেসিং এর কথা বলেছেন। অবশ্য লাভ নাই। ডেমোক্রেটরা এমনিতেই একটু নাস্তিক টাইপের।

    জবাব দিন
  33. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নতুন ইনফরমেশন। ওবামা আমেরিকার পঞ্চম কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, আরও চারজন প্রেসিডেন্ট আছে যারা ওবামার চেয়ে কম বয়সে অফিসে বসছে। এইখানে পাঁচজনের লিস্টি দিলাম। নামের পাশে ব্রাকেটে অফিসে অধিষ্ঠানের তারিখ আছে। আর শেষে আছে কত বছর বয়সে অফিসে বসছে তা:

    ১। থিওডোর রুজভেল্ট (১৪সেপ্ট, ১৯০১) - ৪২বছর ১০মাস ১৮দিন
    ২। জন এফ কেনেডি (২০জান, ১৯৬১) - ৪৩ব ৭মা ২২দি
    ৩। উইলিয়াম জেফারসন ক্লিনটন (২০জান, ১৯৯৩) - ৪৬ব ৫মা ১দি
    ৪। ইউলিসিস এস গ্র্যান্ট (৪মার্চ, ১৮৬৯) - ৪৬ব ১০মা ৫দি
    ৫। বারাক ওবামা (২০জান, ২০০৯) - ৪৭ব ৫মা ১৬দি

    জবাব দিন
  34. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    একটা পর্যালোচনা হয়ে যাক। সবাই বলছে ৭টা স্টেটের রেজাল্ট সবকিছু নির্ধারণ করবে। এগুলাতে যে জিতবে তারই বিজয় আসবে। এটা নিয়ে ব্লগে ডিটেইল্‌স লেখা আছে। এই ৭টা স্টেটের মধ্যে ৬টাতেই (পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, ওহাইয়ো, কলোরাডো এবং ফ্লোরিডা) ওবামা জিতছে। ১টা স্টেটের (মিসৌরি) রেজাল্ট দেয়া এখনও বাকি আছে। বলা যায় বাজিমাত করলো ওবামার ডেমোক্রেট দল।

    জবাব দিন
  35. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    একইসাথে কিন্তু কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষে নির্বাচন চলছে। উচ্চ কক্ষের নাম "সিনেট", আর নিম্ন কক্ষের নাম "হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ"। সিনেটে মোট সদস্য তথা সিট সংখ্যা ১০০, পূর্ণ কর্তৃত্বের জন্য ৫১টি আসন লাগে। হাউজের মোট আসন সংখ্যা ৪৩৫ (৫ জন ভোট ক্ষমতাবিহীন সদস্য)। কোনটাতে কি অবস্থা দেখে নিন:
    senate house
    তার মানে, সিনেট আর হাউজ দুটাতেই ডেমোক্রেটদের পূর্ণ কর্তৃত্ব বহাল আছে। সবটাতেই তারা একক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

    জবাব দিন
  36. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    মিসৌরি আর নর্থ ক্যারোলাইনা মইরা গ্যাছে মনে হয়। কোন সাড়াশব্দ নাই। তবে ধারণা করা যায়, মিসৌরিতে ম্যাকেইন জিতবে আর এনসি-তে ওবামা জিতবে। তাইলেই ল্যান্ডস্লাইড হয়া যায়। নিচের ম্যাপ দেখলেই বুঝা যায়:
    mo
    মিসৌরিতে লাল অনেক বেশী।
    nc
    নর্থ ক্যারোলাইনাতে প্রায় সমান সমান।

    ওবামা ইতোমধ্যে নিজের চিফ অফ স্টাফ (আর্মির না কিন্তু, বেসামরিক) নিয়োগ দিয়া ফেলছেন: ইলিনয়ের কংগ্রেসম্যান "Rahm Emanuel" যিনি ক্লিনটনের উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী গুরুদায়িত্ব অর্থমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া।
    বিশ্বের প্রতিটি দেশ ওবামার দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন। সবার আশা বোধহয় পূরণ হবার নয়।

    জবাব দিন
  37. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নতুন ইনফরমেশন:
    বারাক ওবামার ছোট মেয়ে "সাশা ওবামা" হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম অধিবাসী। সবচেয়ে কম বয়সে সাদা ঘরে ঢুকছিলো কেনেডির ছেলে "জন এফ কেনেডি জুনিয়র"।

    জবাব দিন
  38. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নর্থ ক্যারোলাইনাতে ওবামা জিতে গেছেন। বর্তমান অবস্থা: ওবামা - ৩৬৪; ম্যাকেইন - ১৬২। তার মানে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টোরি।
    ওবামা ৯ জন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে কথা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল।
    ওবামার চিফ অফ স্টাফ "Rahm Emanuel" ইসরায়েলী বংশোদ্ভূত। এটা নিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অসন্তোষের সূচনা ঘটেছে। রাহ্‌মের চিন্তাধারাও ইসরায়েলপন্থী।

    জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার সাপ্রেস করেও যেকোন মূল্যে বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার পক্ষে যারা, তাদেরকেই বোধহয় ইসরায়েলপন্থী বলা যায়।

        জবাব দিন
        • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

          ঠিকাছে। তয় আসল কথা কি জানস, আইজকাল ফিলিস্তিনিরাও চায় যে ইসরায়েল তাদের সাপ্রেস করুক। সেই ভালো। কেননা, তাদের বর্তমাল সরকার ইসরায়েলের চেয়েও অধিক গুয়ামারা দানা পারদর্শী। বিশ্বাস না হইলে ৪১৪ তে যাইয়া আহমেদরে জিগা।

          জবাব দিন
          • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

            যে যাই করুক, এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার থাকা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের এই মঞ্চে শোষক হইলো ইসরায়েল আর শোষিত হইল ফিলিস্তিন। আমি সবসময়ই শোষিতের পক্ষে।
            এমনকি আমেরিকার বুদ্ধিজীবী সমাজেও এ নিয়ে কোন সংশয় নেই যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখছে।
            আমি অবশ্যই আহমাদিনেজাদের মত ইসরায়েলের বিলুপ্তিতে বিশ্বাসী না। কিন্তু সবাইকে তার প্রাপ্য জমি দিয়ে দুটা দেশকেই আলাদা করে দিতে হবে।
            মনে রাখিস, প্যালেস্টাইন কিন্তু ১৯৯২ সালেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিছিলো, কিন্তু ইসরায়েল আজও প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেয় নাই। বর্তমানে (এখন পর্যন্ত) আমেরিকার পরই পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় থ্রেট ইসরায়েল। কারণ এই দেশটা কট্টর ধর্মবাদীদের হাতে গড়া। প্যালেস্টাইনও অবশ্য গোড়া ধর্মবাদীদের (হামাস) হাতে যাচ্ছে, কিন্তু শোষিত বলে তারা তেমন কিছু করতে পারতেছে না।

            জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : বন্য

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।