প্রযুক্তি,টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ

development-and-nature

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফরিয়াদ

-মোস্তাফিজুর রহমান

আধা বর্বর থুড়ি আধা পরিবাহী
তড়িচ্চুম্বকীয় আবু গারিবের ফরিয়াদ
কানে তোলো কিচিরমিচির
এত কষ্ট দিও না নিউরন রেটিনাকে
ক্যাথোড গামা কাপড় খুলে
এলইডি পরালেই চলবে না
অবরোধ তুলে নিতে হবে
ঘাস ফুল মৌমাছি থেকে
নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আন
ফড়িং আর সব প্রজাপতি।

প্রিয় পাঠক, সত্যি বলছি এই কবিতার সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক আছে। প্রযুক্তি মানে কিন্তু শুধু কম্পিউটার, ট্যাবলেট, অ্যাণ্ড্রয়েড কিংবা মুঠোফোন এ সব নয়। বিজ্ঞানের মধ্যে ইতিহাস আছে গল্প আছে, আছে কবিতাও। বিষয়টা নির্ভর করে লেখকের বিজ্ঞান মনষ্কতার উপর।লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, জুলভার্ন, এইচ জি ওয়েলস, আইজাক আসিমভ, আর্থার সি ক্লার্ক কিংবা আমাদের আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন এদের কথা ভেবে দেখুন। আবদুল্লাহ আলমুতী বিজ্ঞান বিষয়ে লিখে সাহিত্যে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছিলেন।

আমি খুব সামান্য মানুষ। এই কবিতায় বড় কোন জ্ঞানের কথা বলতে চাইনি। উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে গিয়ে আমরা যেন মানবিকতা হারিয়ে না ফেলি সেটিই আমার ফরিয়াদ। আরাম আয়েশে থাকার জন্য আমরা উন্নয়ন চাই। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করি। প্রযুক্তি হল জ্ঞান এবং যন্ত্রতন্ত্রের ব্যবহার কৌশল যা আমরা আমাদের জীবন সহজ করার স্বার্থে ব্যবহার করছি। সাময়িক সুখ স্বাচ্ছন্দ লাভের জন্য প্রকৃতির কি ক্ষতি করছি ভেবে দেখি না অনেক ক্ষেত্রেই। বিষয়টি কিন্তু ভাবনার দাবী রাখে।

আমরা যেন তড়িচ্চুম্বকীয় কারাগারে বন্দী। কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারের বন্দীদের মত নির্যাতিত। ক্যাথোড রে টিউব রঙ্গীন টিভি কিংবা এলইডি মনিটরে তাকিয়ে থেকে চোখ আর শরীরের ক্ষতি করছি। আর উন্নয়ন চিন্তায় নিউরনের বারো বাজাচ্ছি। বেড়ে যাচ্ছে রক্তের চিনি আর চাপ। কীটনাশক বা আগাছানাশক এর যথেচ্ছ ব্যবহার মৌমাছি আর ঘাস ধ্বংস করে।মৌমাছির বিদায় মানে ব্যাপক ক্ষতি।কীটনাশক শেষ করে দিচ্ছে পাখির বংশ।তাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে পরিবেশের ক্ষতি না করে।তাহলেই সম্ভব টেকসই উন্নয়ন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বালু, পাথর, অল্প কয়েকটা ঘাস, প্রায় অদৃশ্য ফড়িং এর ছবিটি দেখে ফরিয়াদ কবিতাটি লেখা যা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এবং বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ-এ  প্রকাশিত।

পুনশ্চঃ এটি ছিল টেকটিউনস-এ আমার প্রথম টিউন ।

২,৬৮১ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “প্রযুক্তি,টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ”

  1. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে গিয়ে আমরা যেন মানবিকতা হারিয়ে না ফেলি" - বিষয়টার প্রতি আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ। এই আহ্বানে কন্ঠ মেলালাম!
    "সাময়িক সুখ স্বাচ্ছন্দ লাভের জন্য প্রকৃতির কি ক্ষতি করছি ভেবে দেখি না অনেক ক্ষেত্রেই। বিষয়টি কিন্তু ভাবনার দাবী রাখে" - অবশ্যই, অবশ্যই!
    "কীটনাশক বা আগাছানাশক এর যথেচ্ছ ব্যবহার মৌমাছি আর ঘাস ধ্বংস করে। মৌমাছির বিদায় মানে ব্যাপক ক্ষতি। কীটনাশক শেষ করে দিচ্ছে পাখির বংশ। তাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে পরিবেশের ক্ষতি না করে" - এ বিষয়ে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।