মণ্ডল থেকে সরকারঃ জেনারেল উবাচ

“দ্যাশের অবস্থা খুব খারাপ। সাবধানে যাও ব্যাটা। বিজয়ী হয়া ফিরি আসো। যদি খারাপ অবস্থা চলতেই থাকে বা আরো অবনতি ঘটে, আয়সো না।ইচ্ছা করলে বিয়া করি ওখানে থাকতে পারো। তুমার মা, ভাই বোনদের লিয়া ভায়বিনা। অরে আমি দেখি রাখব।” কথাগুলো বলছিলেন আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমাণ্ডার মতিউর রহমান সরকার।অনেক কষ্টে মানুষ করা প্রথম সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানর সময়।

তখন মে মাস, ১৯৭১ সাল।ফুফাতো ভাই রফিক মাসখানেক আগেই ভারতে চলে গেছে। রতন নাম ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এ দিকে যাব যাচ্ছি করেও না না ঝামেলায় ভারতে যাওয়া হয়ে উঠছিল না ফজলুর রহমানের। পিতা মতিউর রহমান সরকার জামনগর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিতেন।সে সময় অনেক যুবক কাউকে কিছু না জানিয়েই ভারতে চলে গিয়েছিলো।কিন্তু ফজলুর রহমান পিতার উপদেশ এবং দোয়া নিয়ে যাবার মত সৌভাগ্যবান ছিলেন। তিনি প্রথম যুদ্ধ কমিশনে সেকেণ্ড লেফটেনেন্ট পদে নিয়োগ লাভ করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ফজলুর রহমান পিএসসি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। অন্তর্মুখী এই মানুষটির নিজের সম্পর্কে বলতে খুবই অনাগ্রহ।তিনি ২০১৫ সালের মে মাসে বাড়িতে আসলে এক ফাঁকে বাগাতিপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যান।কয়েকজন সহযোদ্ধার সাথে সাক্ষাত হলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তিনি নিজে থেকেই বলা শুরু করেন আগুন ঝরা সেই সব দিনগুলোর কথা।প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে আলোচনা। মুঠোফোনে ধারণ করা হয় তার কিয়দংশ।প্রিয় পাঠক শ্রোতা, তা হলে শ্রবণ করুন সেই সোনালী দিনগুলোর কথা-

কিছু ছবিটবি দেখুন-

২,৪৩৬ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “মণ্ডল থেকে সরকারঃ জেনারেল উবাচ”

  1. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    মুক্তিযোদ্ধাগণ সময়ের শ্রেষ্ট সন্তান। অফুরান প্রেরণা দিল এই লেখা। অনেক ধন্যবাদ, তোমাকে।


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
  2. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার সালাম।
    আমার বংশ/পরিবারের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি ধারাবাহিক লেখা লেখার ইচ্ছা আছে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : Mostafiz

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।