ইংরেজীতে ব্লগ প্রকাশ প্রসঙ্গে

কনফেসন অফ এ বার্বেরিয়ান

সিসিবির রেড বুকে আছে- ব্লগ বাংলাতে লেখতে হবে, ইংরেজীতে নয়। মন্তব্য বাংলাতে করতে হবে। ইংরেজীতে মন্তব্য করা হলে তা প্রকাশের নিশ্চয়তা নেই। মাতৃভাষার প্রতি অন্তরের টান থেকেই এটি করা । এই সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাই কখনও ইংরেজী লেখা দিতে চাইলে সাথে বাংলাও দেই। এতে আইন ভাংঙা না হলেও দোমড়ান মোচড়ান হয়। এডু স্যার যে এই দোষে আমাকে ইডি দেন নি সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি সিসিবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নই। ডাকসাইটে লেখকও নই। প্রাণের টানে চলে আসি এখানে। সব কিছুই যে ভাল লাগে তা নয়। কিন্তু শেকড়ের টান অস্বীকার করা যায় না। তাই মাঝে মাঝে কষ্ট পেলেও ফিরে আসি। আমি বিলুপ্ত প্রায় গরীব ক্যাডেটদের প্রতিনিধি। আমার মানসিক বিকাশ গত সমস্যা আছে সেটি বুঝি। ক্যাডেট কলেজে পড়ার ফলে বিকাশজনিত ঘাটতি পূরণ হয়নি। আমার চিন্তা ভাবনাও হয়তো সঠিক নয় অনেক ক্ষেত্রে। প্রকাশ ভঙ্গিতে সমস্যা থাকতেই পারে। দুই বছরের বেশি সময় আমি সিসিবির সক্রিয় সদস্য। এ সময় নিজে নিয়মিত লেখেছি এবং অন্যদের লেখার বেশিরভাগই পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি। অন্যদিক থেকে এটির অভাববোধ করেছি অনেক সময়ই। তাই একবার পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ অন্যের আয়নায় নিজেকে দেখা লিখেছিলাম। যাই হোক, সময় পাল্টেছে। আমিও পাল্টেছি। ছা পোষা জীবনে আরো ব্যস্ত হয়েছি। আকারে ছোট না হলে এখন অন্যের লেখা তেমন পড়া হয় না। ফলে মন্তব্য করাও হয়ে ওঠেনা তেমন। শুধু নিজের লেখায় মন্তব্যের জবাব দেই। স্বার্থপর এবং কৃপন হয়ে উঠছি আমি। পারত পক্ষে ইংরেজীতে কোন মন্তব্য করিনি। মন্তব্য করার স্থানে সতর্কবাণী দেয়াই আছে। ইংরেজী মন্তব্য বড় আকারের হলে পড়ি না। সাম্প্রতিক কালে কিছু মন্তব্য বেশ বড় আকারের ছিল। একটি পোষ্টে মন্তব্য করতে গিয়ে ইংরেজী মন্তব্যের দৈর্ঘ্য দেখে মন্তব্য করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলি। তখন এ স্টর্মি নাইট শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম অনুবাদসহ। কিন্তু অনিবার্য কারণে বাংলা সংস্করণ প্রস্তুত ছিল না। যাই হোক, মনে করলাম বিশাল বিশাল মন্তব্য ও তার জবাব চলছে। কোন আপত্তি নাই। তাহলে ইংরেজী টা দিয়ে দিই। কিছু একটা তো হবেই। জিহাদ এবং আকাশ আপত্তি জানায় । তখন বাধ্য হয়ে ঝড়ের রাতেটা সাথে জুড়ে দেই। কিন্তু আমি যে বাংলা সংস্করণ করতে যাচ্ছিলাম তা বড় এবং বিস্তারিত হত। ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট এর আগমনে ব্যাপারটা অন্যরকম হল। লক্ষ্য বস্তু যে আমি। তবে কর্তৃপক্ষ সজাগ হওয়ায় সাধুবাদ জানাই। ভুল করলেই শেখা যায়। যেমন , ম্যানার এবং এটিকেট শেখালেন সাবিনা আপু। একবার বলেই নিশ্চিত হতে পারেননি। তাই আবার। যাঁরা প্রবাসে থাকেন তাদের আবেগ অনেক ক্ষেত্রে তার বহুল ব্যবহৃত ভাষায় আশ্রয় নিতে পারে। তারপরও শেকড়ের টানে সিসিবিতে বাংলায় ব্লগ ও মন্তব্য পোষ্ট করার নিয়ম রয়েছে। রেডবুক প্রথম দিকে দেখতাম । এখন আর তেমন দেখা হয় না। এজন্য জানা বা অজানা কোন ভুল থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নূপুর ঠিকই বলেছে অতিথি যে সুযোগ পেতে পারে আমরা সদস্যরা কিন্তু তা পাবনা। আমরা নিয়ম মানতে বাধ্য। লগইন না করলে আমিও কিন্তু অতিথি। সে ক্ষেত্রে একটা সুযোগ থেকে যাচ্ছে ইংরেজীতে মন্তব্য করার।ঐ একই পোষ্টে কিন্তু একজন সিনিয়র ভাইও ইংরেজীতে মন্তব্য করেছেন। সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই বলছি , আসুন আমরা সবাই রেডবুক মেনে চলি। আর কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। সিসিবি আমার বাড়ির মত । দিনে অন্তত ১০/১৫ বার এখানে আসি। এখন তো জোয়ার চলছে। ভাটার সময় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি । এখানকার সময়টা খুব উপভোগ্য ছিলো। ছোট বড় লেখক পাঠক সবার জন্য রইল অনেক শুভকামনা। অনেক দৌড়েছি আপনাদের সাথে । এবার একটু বিশ্রাম নিব। আবারো ভাটার টান শুরু হলে কিংবা প্রয়োজন মনে করলে আওয়াজ দিবেন। এই অধম হাজির হয়ে যাবে। আপাতত-

মোস্তাফিজুর রহমান টিটো আহত অবসর ১১৭*

২,৩৯৯ বার দেখা হয়েছে

৩৭ টি মন্তব্য : “ইংরেজীতে ব্লগ প্রকাশ প্রসঙ্গে”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    হতাশ হলামঃ অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিয়ে ফেললেন। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ছিল।

    ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট এর আগমনে ব্যাপারটা অন্যরকম হল। লক্ষ্য বস্তু যে আমি।

    আপনি কি নিশ্চিত লক্ষ্যবস্তু আপনি ছিলেন? আমি কিন্তু নিশ্চিত নই।

    পরিশেষেঃ সিদ্ধান্ত আপনার, সম্মান করতেই হবে। কিন্তু অভিমানটুকু ভুল দিকে পরিচালিত করছেন সেটার প্রতিবাদ জানালাম। চলতি ও আগামী দিন গুলো ভাল কাটুক এই প্রত্যাশায়।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. সামিউল(২০০৪-১০)

    ব্যস্ততার কারণে কয়েকদিন আসা হয় নাই ব্লগে। আজকে এসেই দেখি অনেক কিছু হয়ে গেছে।
    আমি নিজে অনেক জুনিয়র, বড়দের সবসময় চেষ্টা করি সম্মান দিতে। এই ব্লগের সিনিয়র ভাই/আপুরা অনেকেই আছেন আমার বাবার চেয়েও বেশি বয়সী। তবু তাদের একান্ত কাছের বড় ভাই কিংবা আপুর মত মনে হয়।

    এডু স্যারের পোস্ট পড়ে বুঝলাম কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। এখন, মোস্তাফিজ ভাইয়ের লেখা পড়ে আরো ক্লিয়ার হলাম।

    ভাই সত্যি বলতে ব্লগের অন্য কারো সাথে খুব ভাল করে মেশার আগে আপনার সাথে আমার পরিচয়। নিজে থেকে এগিয়ে এসে আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছেন। আপনার সাথে ব্লগের বাইরেও মেলামেশা হয়েছে।
    আপনার লেখার আমি অনেক বড় ভক্ত।

    ছোট ভাই হিসেবে অনুরোধ করছি, ভুল বুঝাবুঝি যা হয়েছিল ভুলে যান প্লিজ।
    ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার কোন মানে হয় না।
    আপনি থাকেন আমাদের সাথে, নতুন লেখা দেন। আমরা পড়বো, কমেন্ট করবো, হাততালি দেবো, নাহলে পঁচাবো।
    ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার কোন মানে নাই। আমরা আমরাই তো।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  3. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    মোস্তাফিজ, তোমার এই সুলিখিত বক্তব্যটা পড়ে একদিকে যেমন মুগ্ধ হ'লাম, অপরদিকে তোমার বিশ্রাম নেয়ার কথা জেনে কিঞ্চিৎ ব্যথিতও হ'লাম।
    আশাকরি এ আসরে তোমার গুণমুগ্ধ পাঠকদের কথা ভেবে ব্যাপারটা আরেকবার ভেবে দেখবে।
    "ঐ একই পোষ্টে কিন্তু একজন সিনিয়র ভাইও ইংরেজীতে মন্তব্য করেছেন" - সন্দেহটা একেবারেই কম বলা চলে যে তিরটা আমার দিকেই ছোঁড়া হয়েছে, কারণ পাপ্পুর ইংরেজী মন্তব্যের উত্তরে একমাত্র আমিই বোধহয় ইংরেজীতে মন্তব্য করেছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই যে ইংরেজীতে মন্তব্য করার ব্যাপারে আমিও একটু দ্বিধান্বিত ছিলাম। কিন্তু আমি সবসময় এক্সপ্রেশনের ন্যাচারাল ফ্লো কে বাধাগ্রস্ত করার/দেখার ব্যাপারে অনীহ। তাই যখন যেভাবে ফ্লো আসে সেভাবেই লিখি। অন্যেরা লিখলেও মাইন্ড করি না। রেডবুকের বিধি নিষেধ মাথায় রেখেও অনেক সময় ফাউল করি এই ভেবে যে রেফারীতো কয়েকজন আছেনই। গুরুতর অন্যায় কিছু দেখলে তারা বাঁশী বাজাবেন। আর তারা বাঁশী বাজিয়ে ফ্রী কিক দিলে তা হাসিমুখেই মেনে নিব।
    তুমি আহত হয়েছো, এজন্য দুঃখবোধ করছি। কিন্তু আমার মনে হয়, তুমি ব্যাপারটা আরেকবার খোলা মন নিয়ে ভেবে দেখতে পারো। এডু কিন্তু তোমার বাংলাবিহীন লেখাটা প্রকাশ করেছিলো, শুধু বিধির কথাটা একটু স্মরণ করিয়ে দিয়ে, যা তার একান্ত কর্তব্য ছিলো। তুমিও তোমার সহজাত উদারতায় তা মেনে নিয়ে বাংলা ভার্সনটা পরে জুড়ে দিয়েছিলে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিলো। কিন্তু একজন অতিথির ইংরেজীতে করা মন্তব্যের ব্যাপারে তোমার পরের মন্তব্যগুলো নূপুরের মত আমার কাছেও একটু কঠোর মনে হয়েছিল বিধায় আমরা আমাদের মন্তব্যে তা প্রকাশ করেছি। মত প্রকাশের এটুকু স্বাধীনতা আশাকরি তুমিও দিতে কার্পণ্য করবেনা, ব্যাপারটা পুনর্বিবেচনা করে।
    অফটপিকঃ "১১৭*"-জিনিসটা কি তা মাথায় আসছেনা। তুমি বা অন্য কেউ একটু বুঝিয়ে বলবে কি?

    জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "এই ব্লগের সিনিয়র ভাই/আপুরা অনেকেই আছেন আমার বাবার চেয়েও বেশি বয়সী। তবু তাদের একান্ত কাছের বড় ভাই কিংবা আপুর মত মনে হয়"
    হ্যাঁ, তুমি একদম ঠিক কথা বলেছো সামিউল। এই আসরের অনেকেই আছে যারা আমার ছেলেদের চেয়েও কনিষ্ঠ। তুমিও তাদেরই একজন যে আমার জ্যেষ্ঠ ছেলের চেয়ে (সেও একজন এক্স ক্যাডেট) একাডেমিকালী প্রায় নয় দশ বছরের কনিষ্ঠ। কিন্তু আমি সবসময় তারুণ্যের সাহচর্য্যে থাকতে পছন্দ করি। আমার বয়সটা যে তোমাদের সাথে থাকার জন্য এখনো বড় বেশী বাধা হয়ে যায়নি, তা উপলব্ধি করেই আমি এ আসরে এখন প্রায় নিয়মিত লিখে চলেছি এবং তোমাদের লেখাগুলোও পড়ে চলেছি। ক্যাডেটীয় বন্ধনটা আমার কাছে মনে হয় এক eternal fraternity, যার কারণে আঙ্কেল এর চেয়ে ভাইয়া ডাকটাই শুনতে পছন্দ করি। এ ডাকের সাথে একটা আদর জড়িয়ে থাকে, আর এ ডাক শোনার সাথে সাথে একটা common communicative language প্রস্তুত হয়ে যায়।
    আমি MECA'র ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ছেলে একই সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক। সে ইসি মিটিং গুলোতে আমাকে নির্দ্বিধায় ভাইয়া বলে যায়। আমিও তাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ, ওটা ক্যাডেটীয় ভাষা।

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আপনি মনে হয় খুব বেশি ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে নিয়েছেন।
    আপনি খেয়াল করেছেন কিনা আমি নিজে ইংরেজিতে ব্লগ লেখার পক্ষে। যদিও ইংরেজিতে আমি খুবই দুর্বল। ইয়েটস, এলিয়টের কবিতা বুঝি না বলে যথেষ্ট দুঃখ আছে মনে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    মোকা-র কথার প্রতিধ্বনি জানাবো আমিও। বেশি কিছু বলার থাকেনা আসলে।
    তবু কিছু কথা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলছি - ১। তর্কের খাতিরে ২। স্বচ্ছতার খাতিরে
    আপনার এই লেখাটি ব্লগ এডজুটেন্ট এর মন্তব্য হিসেবেই আসতে পারতো। আপনি যে লক্ষ্যবস্তু এমনটা আমার মনে হয় নি -- সম্পূর্ণ ইংরেজিতে একটা পোস্ট আর কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই; স্বভাবতই এডমিন তাঁর মতামত জানিয়েছেন এবং আমাদের স্মরণ করে দিয়েছেন। আমার দেখামতে আপনি সিসিবির অন্যতম স্পোর্টিভ সদস্য। সমালোচনা, বেশ কড়া সমালোচনাও আপনাকে অনেক সহৃদয়ভাবে নিতে দেখেছি। তাই আপনার সমালোচনা করতে দ্বিধা করিনা তেমন।

    ওইজন্যই বলছিলাম --- আপনার সেই মন্তব্যে 'অবাক আর হতাশ' হয়েছিলাম। সংবেদনশীলতার অভাব টের পাচ্ছিলাম। আর সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই আপনি ইংরেজিতে লেখা দিলেন -- এ যুক্তি আমি অন্তত নিতে পারছিলামনা। ফলে আমিও কঠোর অবস্থান নিয়েছিলাম, একটু কঠোর বাক্যবিনিময় করেছি। কিন্তু আপনি তো জানেন মতামতের জায়গা আর হৃদয়ের জায়গা ভিন্ন হতে পারে। প্রভূত তর্ক আর বিতর্কের মধ্যেও আমরা আলিঙ্গন করার অবকাশ ধারণ করি , বা করতে পারি বলে বিশ্বাস করি। সেখানে আপনার এই 'রিটায়ার্ড হার্ট' কথাটা কেমন যেন সবাইকে খোঁচা দিয়ে চলে যাবার মত শোনাল। আপনার ইংরেজি পোস্ট এবং অতিথির ইংরেজি মন্তব্য -- দুটো আলাদা অসম্পর্কিত বিষয়; আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন বলে আমি মনে করি।

    এবং দীর্ঘ ইংরেজি মন্তব্য দেখয়ে যদি আপনার 'চোখ জ্বালা' হয়ও সেটা আপনি সরাসরিই বলতে পারতেন -- 'বাঙাল' এডমিনকে ঘুরিয়ে দেখানোর 'প্রয়োজন' ছিলনা বলে আমার মত - আমি সেটা নিয়েও আমার উষ্মা প্রকাশ করেছি, সরাসরিই। আমার বরং মনে হয়েছে আপনার ইংরেজি লেখা বেশি স্বতঃস্ফূর্ত , বাংলার চেয়ে --- ইংরেজি লেখাটাকে আমি তেমনি ভেবেছিলাম। আমার এও মনে হয় ইংরেজি বিভাগ একটা আমরা ধীরে ধীরে চালু করতে পারি।

    সবশেষে -- কথা যখন এতদূর গড়ালোই, তাই বলি - অতিথির ইংরেজি মন্তব্যের জবাবে আমিও কিছু জবাব দুর্বল ইংরেজিতে দিচ্ছিলাম। ফিরিঙ্গি ভাষা বলে ইংরেজির প্রতি আমার উন্নাসিকতা নেই, উচ্ছ্বাসও নেই। একজন অতিথির বাংলায় প্রকাশক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে আমরা সবাই ভাববিনিময় করছিলাম। এসব কথা হয়তো তাঁরও চোখে পড়ছে বা পড়বে -- বলতে দ্বিধা নেই আমি যাপরনাই লজ্জিত এবং সংকুচিত হয়ে আছি সেজন্যে। আলোচনা এবং হৃদ্যতার দ্বার উন্মুক্ত রেখে আমি স্পষ্টভাবে পুনর্বার বলতে চাই -- আমার কাছে এ আচরণ অনিভপ্রেত ঠেকেছে। আমি এও জানি --- আপনার সমালোচনা নেবার উদারতা আছে, আপনার সৃষ্টিশীলতা আছে -- সিসিবি আপনাকে ভীষণভাবেই মিস করবে। ছেলেমানুষি না করে ফিরে আসুন, প্লিজ।

    জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    গত দুদিন ব্লগে আসা হয়নি। আজ ঢুকেই আপনার এই লেখাটা পড়ে দুঃখ পেলাম, সাথে হতাশ ও হলাম মোস্তাফিজ ভাই।

    আপনার ঐ ব্লগ আমি এক জন নিয়মিত এবং সাধারন পাঠক হিসেবেই কিন্তু প্রথম বার পড়েই অনুরোধ করেছিলাম বাংলা জুড়ে দিতে। সিসিবিকে এবং এর সদস্যদের নিজের পরিবারের অংশ হিসেবে ভাবি বলেই সরাসরিই শুধু ইংরেজির ব্যাপারে আপত্তির কথা আপনাকে বলে ছিলাম।

    একই ভাবে আপনিও কিন্তু ঐ লম্বা ইংরেজি কমেন্ট ভাল না লাগার কথাটা সরাসরি ওখানেই বলতে পারতেন, এত টুকুই যদি আমরা সরাসরি না বলতে পারি তাহলে আর পরিবার হলাম কি ভাবে!

    আর এডুর দেয়া পোস্ট পড়ে আমার অন্তত মনে হয়নি ওটা শুধু আপনার লেখাকে উদ্দেশ্য করে দেয়া, সেখানে লেখকদের অনুরোধ এর কথা উল্লেখ আছে, তার মানে অন্য কোন লেখকেরা হয়ত ইংরেজিতে লেখা প্রকাশ করতে চেয়ে অনুরোধ করেছিল।

    যাই হোক, আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই একজন পাঠক হিসেবে অনুরোধ করছি সিসিবির জোয়ার, ভাটা সবসময়ই আপনাকে সাথে থাকতে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  8. ব্লগ এডজুট্যান্ট

    সম্মানিত সদস্য,
    সিসিবির একজন শুভাকাঙ্খী এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে আপনার এযাবতকালীন অংশগ্রহনের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাদের ব্যাখ্যাটি আপনাকে জানানো প্রয়োজন। প্রথমত এবং প্রধানত, ইংরেজি ব্লগ বিষয়ের উপর আমাদের পোস্টটি কোন প্রকাশিত পোস্ট কিংবা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়নি। বেশ কজন নিয়মিত এবং সিনিয়র সদস্য এবং অনিয়মিত কয়েকজনের ইংরেজিতে লেখা বিভিন্ন পোস্ট প্রকাশের জন্য ব্লগ এডমিনদের প্রতি বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষিতেই উল্লেখিত বিষয়টি সামনে এনে এডমিন প্যানেলের আলোচনার ফল ছিলো পোস্টটি। তাই কোনভাবেই পুরো বিষয়টি এরকম ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার সুযোগ নেই বলেই আমাদের বিশ্বাস।

    আশা করছি এরপর আর ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবেনা।
    হ্যাপি ব্লগিং।

    জবাব দিন
  9. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    প্রিয় মোস্তাফিজ,
    এইটা কোন কথা হইল? তুমি অবশ্যই লিখবা, পোষ্ট করবা। আমরা পড়ব, কখনো প্রশংসা করবো, কখনো দিব বকা। এটাই তো পাঠকের কাজ। আর কবি - সে লিখে যাবে আপন মনে...
    প্রিয় সবাই,
    কবিরা একটু সংবেদনশীল হয়। তাই তো শামসুর রাহমান বলেছিলেন..."কবিকে দিও না দুঃখ..."

    জবাব দিন
  10. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ব্লগ এডজুট্যান্ট এর কমেন্টের পর আর ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই।
    আমি নিজেও তাদের মধ্যে একজন যে ইংরেজিতে ব্লগ লেখালিখির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসুক চাই।
    আমি প্রায় সব লেখাই পড়ি। কমেন্ট ও করি। কিন্তু যেহেতু মন্তব্য বাঙলায় করতে হয় আর বেশিরভাগ সময় থাকি মোবাইলে তাই ইমো দিয়ে কাজ সারি বেশিরভাগ সময়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  11. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙁 🙁 🙁 🙁

    সিসিবির 'বাঙাল' এডুর পোস্ট, নূপুরের কতিপয় প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে অথবা আমার এটিকেট আর ম্যানারস বিষয়ক বক্তিমার পর হঠাৎ তুমি কনফেসন অব এ বারবেরিয়ান লিখে ব্লগ পোস্ট শুরু করেছো দেখে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম, জানো। এক ব্লগ পোস্টের লেখার উত্তর অন্য একটি ব্লগ পোস্ট করে তুমি দিতে চাইছো মনে হলো।

    নূপুর তোমাকে অন্য একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছিল, ' বর্বরতার জবাবে বর্বরতা ন্যায়বিচার হতে পারেনা।' তুমি নূপুরের সামান্য একটি মন্তব্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে ধরে নিলে, ভাইয়া! এবং নিজেই নিজেকে বর্বর ভাবতে শুরু করলে। আমার কাছে এটি খুব ছেলেমানুষি বলে মনে হলো। আমরা আঠের পেরিয়ে এসেছি অনেককাল আগে। এখনো আঠেরোর গ্রাজ অথবা অভিমান নিয়ে বসে থাকবার কোন মানেই হয়না।!

    নূপুর, মোকা অথবা আকাশের বিস্তারিত আলোচনার পর আমার আর কিছুই বলবার থাকতে পারে না। তবুও আমাকে তোমার লেখায় উল্লেখ করেছো বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চর্বিত চর্বণ করা!

    লেখালেখি নিয়ে আলাপচারিতা চলতে পারে, আলোচনা সমালোচনা তো অবশ্যই চলতে পারে, ক্ষেত্র বিশেষে খুনসুটিও চলতে পারে। পরস্পরের পিঠ চাপড়ে দেয়া নয় কেবল গঠনমূলক সমালোচনা থেকে আমাদের মাঝ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন সম্ভাবনাময় একজন লেখক।

    ভাল থেকো। অভিমান ভাঙলে আমাদের আড্ডায় যোগ দিও, ভাইয়া!

    জবাব দিন
  12. সাইদুল (৭৬-৮২)

    আমি বিলুপ্ত প্রায় গরীব ক্যাডেটদের প্রতিনিধি।

    হা হা হা , টিটো আমিও ওই দলেরই। মজার ব্যাপার হল ছোট্ট একটি ভুলের জন্যে কত জ্ঞানী গুনি লোকের মন্তব্য পেলে। অভিনন্দন, আহত অবসর ১১৭*
    এবার পরের ইনিংস শুরু করো। খেলা থেকে অবসর নিয়োনা।


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  13. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    সিসিবিতে মতের অমিল নিয়ে মাঝে মাঝেই একেকটা এপিসোড হয় -- তর্কে তর্কে খানিকটা মন কষাকষিও হয়। খুবই স্বাভাবিক যা।
    মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। সবাইকে আশ্বস্ত করছি এটা জানিয়ে, যে, উনি একটু ব্রেক নিচ্ছেন। তার পরেই উনি ফিরবেন।

    মোস্তাফিজ ভাই, আপনার উদ্দেশ্যে ---
    আমি প্রতিদিন খুব আশা নিয়ে দেখছি আপনি এই বুঝি কিছু লিখলেন -- কিছু বললেন কোথাও। যেদিন আমার এই অপেক্ষা শেষ হবে সেদিন কি রকম আনন্দের হবে আমি জানি - আপনিও জানেন।

    জবাব দিন
  14. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    আসসালামু আলাইকুম ভাই, ব্লগে লিখা হয় না ঠিকই তবে মাঝে মাঝে ব্লগ পড়ি। ইংরেজি নিয়ে সমস্যা নিয়ে পড়ছিলাম। আমার কাছে ব্যাপারটা এত সিরিয়াস কোন বিষয়ই মনে হয় নি তবে আপনার লিখাটাকে অনেক এপ্রেশিয়েট করি। অনেক শুভকামনা।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।