তৃষ্ণা

তৃষ্ণা

পড়শীর ডালপালায়
ক্ষনিকের আশ্রয়
পাতা চোয়ানো শিশির
কালাহারি তৃষ্ণা
অলিন্দের পাশে
নিলয়ের গভীরে
খুজে ফিরি শেকড়!

[ লেখেছিলাম এক কথা ভেবে কিন্তু পাঠক বিশ্লেষণ করেছেন অন্যভাবে । সেটি বেশ মজার । পাঠক – মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান পলাশ আমার সহকর্মী বন্ধু। তাঁর মতামত দেখুন]

ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন সমাজসেবা অফিসারের ধনপতি হওয়ার তীব্র আকাংখা এ কবিতায় ফুটে উঠেছে। কবি প্রতিটি ছত্রে রূপকের মাধ্যমে তার পাওয়া না পাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়,পড়শীর আশ্রয় বলতে নিজেকে ঘর বাড়ি হীন, পাতা চোয়ানো শিশির বলতে সামান্য কন্টিজেন্সি আর টি এ বরাদ্দ। অথচ কবির বুকে ধনী হওয়ার তীব্র বাসনা অর্থাৎ কালাহারি তৃষনা। কবি নিলয়ের পাশে ও অলিন্দের ভিতরে বলতে বনানীর পাশে গুলশানের ভিতরে শিকড় গাড়তে অর্থাৎ বাড়ি গড়তে চান।

কালাহারি তৃষ্ণা

১,৫৪৩ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “তৃষ্ণা”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কবিতা আর ব্যখ্যা দুটোই ভাল লাগলো মোস্তাফিজ ভাই। শুধু আমার মত পাঠকদের জন্য যদি আপনার নিজের ব্যখ্যাটাও একটু দিয়ে দিতেন 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।