লোকটি

পানি উন্নয়নের পশ্চিম পাড় ঘেঁসে
ছুটে চলেছে বরাহ মহাসড়ক
তার একটা বাচ্চা খালটির
বুক চিরে পুবের কচু ক্ষেতের দিকে।
কনক্রিটের ক্ষুরাঘাতে মৃতপ্রায়
নর্দমার রুপ নিয়েছে পাউবো।
সেখান থেকে সাড়ে তিন হাত দক্ষিণে
কাঠফাটা রোদে ঘুমিয়েছিল লোকটি।

কদমফুল মাথা ভাটের গোড়ায়
ডান তালুর উপর স্থির
পায়ের কাছে পড়ে আছে
সবুজ পানির বোতল।
আধভাঁজ করা হাঁটুর উপরে
অলস কবজি নড়ে উঠে একটুখানি।
ব্যাস,ঐ টুকুই।

পড়ন্ত বিকেলের ছায়ার সাথে
পাল্লা দিয়ে লম্বা হয় তার নিরবতা।
কয়েকটা মাছি অরুচির সাথে
বিচরণ করে তার নাকে মুখে ।
আইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে পথিক
সতর্ক চোখে ধরা পড়েনা
খাদ্য সন্ধানী পিঁপড়ের সারি।

কখনও তাকে দেখি রাজধানীগামী
মহাসড়কের পাশে কনক্রীটের
ডিভাইডারে হেলান দিয়ে
কখনও গলির ধারে ফেলে রাখা
বাঁশের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে
সর্বদা ঘুমন্ত  উপেক্ষিত ।

১,১৮৭ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “লোকটি”

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।